খতমে নবুওয়াত একাডেমি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

খতমে নবুওয়াত একাডেমী (ইংরেজি:Finality of Prophethood Academy) হচ্ছে ফরেস্টগেট, লন্ডন, যুক্তরাজ্য-এ অবস্থিত একটি আহমেদিয়া বিরোধী[১] সংস্থা । সংস্থাটি তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে যে কাদিয়ানী মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা হিসেবে মুসলমানদের নেতৃত্ব দিচ্ছে।[২]আহমেদিয়া মুসলমানদের প্রতিও অবমাননাকর শব্দটি প্রায়ই ব্যবহৃত হয় ।[২]একাডেমিটি খতমে নবুয়াত বা নবুয়াত সমাপ্তির উপর তাত্ত্বিক প্রকাশনায় ও শিক্ষায় মুহম্মদ স. শেষ নবী ও রাসূল হিসেবে আগমনের চূড়ান্ততাকে বর্ণনা করে। সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে অনুরূপ সংস্থাগুলির সাথে বিশেষ করে পাকিস্তানে থাকা সংস্থাগুলির সাথে আংশিক সংযুক্ত।[২]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

২০১০সালে দ্য ইন্ডিপেন্ডেট প্রতিবেদন করে যে খতমে নবুয়াত একাডেমিটি আহমদি ও অন্যান্য মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন উসকে দিয়েছিল।

সেই সময়ে একাডেমির অন্তর্গত ওয়েবসাইটটি আহমদিদেরকে বিশ্বাসঘাতক, ধর্মত্যাগী এবং কাফের বলে বর্ণনা করেছিল। এই প্রসঙ্গে একাডেমির একজন মুখপাত্র আকবর চৌধুরী বলেছেন

“'ধর্মত্যাগী' এবং 'কাফের' শব্দগুলি ইসলামিক ধর্মতাত্ত্বিক অর্থে বিশেষ করে উর্দু-তে আলাদাভাবে বোঝায়। তাই বর্তমান চলনসই আরও সংবেদনশীল পদ প্রতিস্থাপিত হতে পারে যেখানে এই শব্দগুলির ভাবার্থ (ব্যবহার) গত কয়েক বছরে বেশ দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে। [২]

২০১৮ সালে নিউ স্টেটসম্যান-এর একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে যে 'খতমে নবুওয়াত একাডেমি'-এর ওয়েবসাইটের একটি সরাসরি আহমদি মুসলমানদের বর্ণনা করতে ব্যবহৃত নিম্নলিখিত শব্দ প্রদর্শন করে: "কাফির" ‌। কবি আল্লামা মুহম্মদ ইকবালের কাছ থেকে নেওয়া একটি উদ্ধৃতিও তালিকাভুক্ত করেছে যেখানে বলা হয়েছে,

"আহমাদিরা ইসলাম ও ভারত উভয়েরই বিশ্বাসঘাতক।"[৩]

সংবাদমাধ্যমে[সম্পাদনা]

দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর নিবন্ধের পর বিবিসি BBC[৪]চ্যানেল ৪[৫]সংবাদ মাধ্যমও বিষয়টি তুলে ধরেন এবং অভিযোগ করেন যে দক্ষিণ লন্ডনে আহ্‌মদীয়া হত্যার পক্ষে প্রচারপত্র বিতরণ হয়েছে।

যদিও ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস খবর নিয়ে দেখে যে এমন কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়নি এবং কোনো অভিযোগ আসেনি।[৬] একজন আহ্‌মদীয়া মুখপাত্র বলেছেন যে একটি বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা বিবেচনা করা হচ্ছে এবং লর্ড অ্যাভেবেরি (সিপিএস) তদন্তের জন্য বলেছেন। তবে কোনো বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা বা তদন্ত হয়নি। অ্যাভেবেরি মন্তব্য করেছেন যে বিচারের সীমাবদ্ধতা খুব বেশি এবং প্রশ্ন তোলেন কেন আইনটি আসার পর থেকে শুধুমাত্র একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।[৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Haroon Siddique (অক্টোবর ৭, ২০১২)। "Ahmadi Muslims in UK call for urgent action against hate"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৮, ২০১৪ 
  2. Jerome Taylor (অক্টোবর ২১, ২০১০)। "Hardliners call for deaths of Surrey Muslims"। The Independent। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৮, ২০১৪ 
  3. Mughal, Fiyaz (১৯ জুলাই ২০১৮)। "We have turned a blind eye to extremism against the British Ahmadi Muslim community"www.newstatesman.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২০ 
  4. "Ahmadiyya 'targeted by hate campaign'" 
  5. "Hate crime investigation into threats against Ahmadi Muslims" 
  6. Omar Oakes। "CPS criticised for not prosecuting alleged Ahmadiyya Muslim hate crimes in Tooting"। The Wimbledon Guardian। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]