বিষয়বস্তুতে চলুন

খড়্গপুর–শিলিগুড়ি অর্থনৈতিক করিডর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

খড়্গপুর–শিলিগুড়ি অর্থনৈতিক করিডর[] হল পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুরশিলিগুড়ির মধ্যে একটি প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডোর। করিডোরটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে বিস্তৃত এবং বর্ধমান, বহরমপুর, মালদারায়গঞ্জের মতো প্রধান জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলির মধ্য দিয়ে যায়। করিডোরের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য প্রায় ৫১৬ কিমি। করিডোরটি বিদ্যমান ১২ নং জাতীয় সড়ক (এনএইচ১২) (যা বকখালি ও শিলিগুড়ির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে), ২৭ নং জাতীয় সড়ক (এনএইচ২৭) ও প্রতাবিত প্রস্তাবিত খড়্গপুর–মোরগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের[] চারপাশে চিত্রিত করা হয়েছে।[]

পটভূমি

[সম্পাদনা]

হলদিয়া বন্দর দ্বারা শিলিগুড়ি ও উত্তর-পূর্ব ভারতে পণ্য আমদানি রপ্তানি করা হয়। কিন্তু বন্দর থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত পথ খুবই যানজটপূর্ণ, যার ফলে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হয়। শিলিগুড়ি ও খড়্গপুরের মধ্যে সহজ ও দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য করিডর নির্মাণের প্রস্তাব রাখা হয়। করিডর নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে হলদিয়া ও প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দর থেকে পণ্য শিলিগুড়িতে পৌঁছানো ও শিলিগুড়ি থকে রপ্তানি পণ্য সহজে ও দ্রুত বন্দরে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।[]

মেদিনীপুর বিভাগ

[সম্পাদনা]

করিডরটি পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনিপুর জেলার খড়্গপুর শহরে শুরু হয়। এর পরে করিডরটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল শহর অতিক্রম করে বর্ধমান বিভাগের হুগলি জেলায় প্রবেশ করে।

বর্ধমান বিভাগ

[সম্পাদনা]

বর্ধমান বিভাগের থেকে বর্ধমান বিভাগে প্রবেশ করে হুগলি জেলার আরামবাগ শহর অতিক্রম করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর ও বর্ধমান বিভাগের বিভাগীয় সদর বর্ধমান শহর পর্যন্ত অগ্রসর হয়। বর্ধমান শহর থকে করিডরটি অগ্রসর হয়ে ভাগীরথী নদী অতিক্রম করে প্রেসিডেন্সি বিভাগের নদীয়া জেলার নবদ্বীপ শহরে পৌছায়।

প্রেসিডেন্সি বিভাগ

[সম্পাদনা]

প্রেসিডেন্সি বিভাগের নদীয়া জেলার নবদ্বীপ শহর থেকে পলাসী হয়ে মালদা বিভাগের মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রবেশ করে।

মালদা বিভাগ

[সম্পাদনা]

করিডরটি মালদা বিভাগের মুর্শিদাবাদ জেলার সদর বহরমপুর, মালদা জেলার সদর মালদা ও উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর রায়গঞ্জ অতিক্রম করে জলপাইগুড়ি বিভাগের দার্জিলিং জেলায় প্রবেশ করে।

জলপাইগুড়ি বিভাগ

[সম্পাদনা]

করিডরটি জলপাইগুড়ি বিভাগের শিলিগুড়ি শহরে শেষ হয়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Bharatmala presentation
  2. রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (২৩ মে ২০২২)। "এক্সপ্রেসওয়েতে বাঁকুড়া জুড়বে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে"। বাঁকুড়া: www.anandabazar.com। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২২ 
  3. বরুণ দে (৮ আগস্ট ২০২২)। "নয়া করিডর, চাই হাজার একর জমি"। www.anandabazar.com। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২২ 
  4. BHARATMALA PARIYOJANA, PHASE-I