খড়্গপুর–শিলিগুড়ি অর্থনৈতিক করিডর
খড়্গপুর–শিলিগুড়ি অর্থনৈতিক করিডর[১] হল পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুর ও শিলিগুড়ির মধ্যে একটি প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডোর। করিডোরটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে বিস্তৃত এবং বর্ধমান, বহরমপুর, মালদা ও রায়গঞ্জের মতো প্রধান জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলির মধ্য দিয়ে যায়। করিডোরের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য প্রায় ৫১৬ কিমি। করিডোরটি বিদ্যমান ১২ নং জাতীয় সড়ক (এনএইচ১২) (যা বকখালি ও শিলিগুড়ির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে), ২৭ নং জাতীয় সড়ক (এনএইচ২৭) ও প্রতাবিত প্রস্তাবিত খড়্গপুর–মোরগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের[২] চারপাশে চিত্রিত করা হয়েছে।[৩]
পটভূমি
[সম্পাদনা]হলদিয়া বন্দর দ্বারা শিলিগুড়ি ও উত্তর-পূর্ব ভারতে পণ্য আমদানি রপ্তানি করা হয়। কিন্তু বন্দর থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত পথ খুবই যানজটপূর্ণ, যার ফলে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হয়। শিলিগুড়ি ও খড়্গপুরের মধ্যে সহজ ও দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য করিডর নির্মাণের প্রস্তাব রাখা হয়। করিডর নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে হলদিয়া ও প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দর থেকে পণ্য শিলিগুড়িতে পৌঁছানো ও শিলিগুড়ি থকে রপ্তানি পণ্য সহজে ও দ্রুত বন্দরে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।[৪]
পথ
[সম্পাদনা]মেদিনীপুর বিভাগ
[সম্পাদনা]করিডরটি পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনিপুর জেলার খড়্গপুর শহরে শুরু হয়। এর পরে করিডরটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল শহর অতিক্রম করে বর্ধমান বিভাগের হুগলি জেলায় প্রবেশ করে।
বর্ধমান বিভাগ
[সম্পাদনা]বর্ধমান বিভাগের থেকে বর্ধমান বিভাগে প্রবেশ করে হুগলি জেলার আরামবাগ শহর অতিক্রম করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর ও বর্ধমান বিভাগের বিভাগীয় সদর বর্ধমান শহর পর্যন্ত অগ্রসর হয়। বর্ধমান শহর থকে করিডরটি অগ্রসর হয়ে ভাগীরথী নদী অতিক্রম করে প্রেসিডেন্সি বিভাগের নদীয়া জেলার নবদ্বীপ শহরে পৌছায়।
প্রেসিডেন্সি বিভাগ
[সম্পাদনা]প্রেসিডেন্সি বিভাগের নদীয়া জেলার নবদ্বীপ শহর থেকে পলাসী হয়ে মালদা বিভাগের মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রবেশ করে।
মালদা বিভাগ
[সম্পাদনা]করিডরটি মালদা বিভাগের মুর্শিদাবাদ জেলার সদর বহরমপুর, মালদা জেলার সদর মালদা ও উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর রায়গঞ্জ অতিক্রম করে জলপাইগুড়ি বিভাগের দার্জিলিং জেলায় প্রবেশ করে।
জলপাইগুড়ি বিভাগ
[সম্পাদনা]করিডরটি জলপাইগুড়ি বিভাগের শিলিগুড়ি শহরে শেষ হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Bharatmala presentation
- ↑ রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (২৩ মে ২০২২)। "এক্সপ্রেসওয়েতে বাঁকুড়া জুড়বে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে"। বাঁকুড়া: www.anandabazar.com। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২২।
- ↑ বরুণ দে (৮ আগস্ট ২০২২)। "নয়া করিডর, চাই হাজার একর জমি"। www.anandabazar.com। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২২।
- ↑ BHARATMALA PARIYOJANA, PHASE-I