ক্লেলিয়া লোল্লিনি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্লেলিয়া লোলিনি
ক্লেলিয়া লোলিনি, ১৯১৯ সালের প্রকাশনা থেকে।
জন্ম(১৮৯০-০৫-০১)১ মে ১৮৯০
মৃত্যু২৪ নভেম্বর ১৯৬৩(1963-11-24) (বয়স ৭৩)
জাতীয়তাইতালি ইতালীয়
পেশাচিকিৎসক
পরিচিতির কারণ'মেডিকেল উইমেনস ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন' এবং 'ইতালিয়ান উইমেন মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন' প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন

ক্লেলিয়া লোলিনি (১ মে ১৮৯০ – ২৪ নভেম্বর ১৯৬৩) ছিলেন একজন ইতালীয় চিকিৎসক। তিনি "মেডিকেল উইমেনস ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন" এবং "ইতালিয়ান উইমেনস মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

ক্লেলিয়া লোলিনি ইতালির রাজধানী রোমে জন্মগ্রহণ করেন। ভিটোরিও লোলিনি ছিলেন তার পিতা এবং এলিসা অগ্নিনি তার মাতা। তার বাবা ছিলেন একজন আইনজীবী এবং মা ছিলেন সাংবাদিক এবং নারীবাদী। তারা চার বোনই (ওলগা, ক্লারা, লিভিয়া এবং ক্লেলিয়া "লোলিনি") উচ্চশিক্ষা এবং পেশাদার ক্যারিয়ার অর্জন করেন। ক্লেলিয়া লোলিনি ১৯১৫ সালে তার মেডিকেল ডিগ্রি শেষ করেন।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে তিনি ভেনিসের[২] একটি সামরিক হাসপাতালে একটি শল্যচিকিৎসক (সার্জন) হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়ে কাজ করেন।[৩] ১৯১৯ সালে তিনি নিউইয়র্কের ওয়াইডব্লিউসিএ-র আন্তর্জাতিক মহিলা চিকিৎকদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন।[৪][৫] সেখানে তিনি "ইতালির পতিতাবৃত্তি এবং যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধ" শীর্ষক একটি বক্তৃতা দেন[৬] এবং ইতালীয় পাবলিক স্কুল পাঠ্যক্রমে সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি যুক্ত করার জন্য তার প্রচেষ্টা বর্ণনা করেন।[৭] তিনি রোমে অবিবাহিত মহিলাদের জন্য প্রসবপূর্ব ক্লিনিকও খোলেন।[৮]

তিনি মেডিকেল ওইমেন ইইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তীতে তিনি এবং মাইরা কার্কিউপিনো-ফেরারি মিলে খুব শীঘ্রই ইতালীয় মহিলা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (এআইডিএম) প্রতিষ্ঠা করেন।

যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে তার দু'বছর স্যানিটোরিয়ামে থাকার অভিজ্ঞতা হওয়ায় তিনি যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের যত্ন নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করেন। ১৯৩০ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি ম্যাসা-র যক্ষ্মা-প্রতিরোধী সংস্থার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ১৯৩৮ সালে ত্রিপোলিতে চলে আসেন এবং সেখানেও তিনি তার যক্ষ্মার বিষয়ক কাজ চালিয়ে যান।

ব্যক্তিগত জীবন ও উত্তরাধিকার[সম্পাদনা]

ক্লেলিয়া লোলিনি ইতালীয়, ফরাসি, জার্মান, ইংরেজি এবং আরবি ভাষায় কথা বলতে পারতেন। চোখের অস্ত্রোপচারের পরে তিনি ১৯৬৩ সালে ত্রিপোলিতে ৭৩ বছর বয়সে মারা যান।[১]

সিলভিয়া মরি পোলভারি ডি লুনা (২০১৪) নামে একটি উপন্যাস লেখেন যা ম্যাসার যক্ষ্মা-প্রতিরোধী সংস্থায় লোলিনির কাজ অবলম্বনে ছিল।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Silvia Mori, "Clelia Lollini" Enciclopedia delle Donne.
  2. "Dottoresse al fronte? Ecco le donne medico nella Grande Guerra" Estense.com (November 15, 2016).
  3. Mabel Potter Daggett, Women Wanted: The Story Written in Blood Red Letters on the Horizon of the Great World War (George H. Doran Company 1918): 74.
  4. "The International Conference of Women Physicians" Medical Record (September 27, 1919): 551-552.
  5. "Italy and Holland to be Represented at Physicians' Conference" War Work Bulletin (August 29, 1919): 4.
  6. Clelia Lollini, "Prostitution and Prophylaxis of Venereal Disease in Italy" Proceedings of the International Conference of Women Physicians (Woman's Press 1920): 62-66.
  7. "International Conference of Women Doctors" The Woman Citizen (September 20, 1919): 393.
  8. Elizabeth O. Toombs, "In the Hands of Women" Good Housekeeping (November 1919): 40.
  9. "Le "Polveri di Luna" di Silvia Mori per il ritorno di 'Scrittorincarrara'" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে La Gazzetta di Massa e Carrara (January 15, 2015).