ক্রিস্তিনা মোরভাই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্রিস্টিনা মোরভাই
২০০৯ সালে ক্রিস্টিনা মোরভাই
ইউরোপীয় সংসদের সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৪ জুলাই ২০০৯ – ১ জুলাই ২০১৯
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1963-06-22) ২২ জুন ১৯৬৩ (বয়স ৬০)
বুদাপেস্ট, হাঙ্গেরি
রাজনৈতিক দলজববিক টিকেটে নির্বাচিত
দাম্পত্য সঙ্গীজর্জ বালো (২০১১ সাল পর্যন্ত)
সন্তান
  • ভেরা
  • সোরা
  • লিলি
প্রাক্তন শিক্ষার্থীইতভাস লোরান্ড বিশ্ববিদ্যালয়
কিংস কলেজ লন্ডন
পেশারাজনীতিবিদ, আইনজীবী

ক্রিস্টিনা মোরভাই (জন্ম ২২ জুন ১৯৬৩) একজন হাঙ্গেরিয়ান আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ। তিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন (এমইপি), ২০০৯ সালের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে রাজনৈতিক দল জববিক–মুভমেন্ট ফর বেটার হাঙ্গেরির তালিকায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে পুনর্নির্বাচিত হন। ক্রিস্টিনা মোরভাই জববিকের সদস্য নন,[১] এবং পরবর্তীতে ফিডেসকে সমর্থন করেন।[২]

জীবন ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

ক্লারি ফিকেটি ও মিকলিস মোরভাইয়ের সন্তান ক্রিস্টিনা ১৯৬৩ সালে বুদাপেস্টে জন্মগ্রহণ করেন। ইএলটিই এপাকজাই সিসের জেনোস হাই স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর, তিনি বুদাপেস্টের ইতভাস লোরান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ডিগ্রী কাম লাউড লাভ করেন। স্নাতক শেষ করার পর তিনি হাঙ্গেরিতে বিচারক হিসেবে অনুশীলনের যোগ্যতা অর্জন করেন, কিন্তু সেই যোগ্যতায় কাজ করার পরিবর্তে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। বর্তমানে তিনি একজন সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।[৩] তিনি ১৯৮৯ সালে মধ্য ইউরোপের শিক্ষার্থী হিসাবে সর্ব প্রথম ব্রিটিশ সরকারের বৃত্তির প্রাপক হয়ে ওঠেন এবং ব্যক্তিগতভাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার তার পুরস্কার প্রদান করেছিলেন। তিনি বৃত্তি ব্যবহার করে লন্ডনের কিংস কলেজের উন্নত আইন অধ্যয়ন করেন। তিনি ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে উইসকনসিন–ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে আইন বিষয়ে পাঠদান করেন।[৪] তিনি প্রাথমিকভাবে দণ্ড আইন, বিচারের পূর্ববর্তী দৃষ্টিভঙ্গি প্রশাসন, গর্ভপাতের প্রশ্ন, ফৌজদারী পদ্ধতিতে ভিকটিমের অধিকার, এইচআইভি পজিটিভের মর্যাদা ও অধিকার, শিশু নির্যাতন ও যৌন শোষণ, পতিতাবৃত্তির সমস্যা, বৈষম্য এবং পারিবারিক সহিংসতা ক্ষেত্র নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি পারিবারিক সহিংসতা বিষয়ক টেরর এ স্যালাদবান (পরিবারে সন্ত্রাস) বইয়ের লেখিকা।

ক্রিস্টিনা ১৯৯০-এর দশকে ইউরোপীয় মানবাধিকার কমিশনের জন্য কাজ করেন[৫] এবং ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে তিনি জাতিসংঘের নারী বৈষম্য বিরোধী কমিটির সদস্য ছিলেন।[৬]

বিভিন্ন মানবাধিকার ইস্যুতে ক্রিস্টিনা মোরাভিয়া বহুবার আন্তর্জাতিক ভাবে নজরে এসেছিল। তিনি জাতিসংঘের নারী অধিকার কমিটির হাঙ্গেরীয় সদস্য হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন।

ক্রিস্টিনা যমজসহ তিন কন্যার মা। তিনি পূর্বে হাঙ্গেরীয় টেলিভিশন প্রতিবেদক (রিপোর্টার) জর্জ বালোর সাথে বিবাহিত ছিলেন, কিন্তু ২০১১ সালে তাঁদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।[৭]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তিনি হাঙ্গেরীয় টেলিভিশন উপস্থাপক, সাংবাদিক জর্জ বালোকে বিবাহ করেন। তাদের ভেরা ও সারা নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ক্রিস্টিনার প্রথম সম্পর্ক থেকে লিলি নামে আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Kispál, Gergely (২৭ মে ২০০৯)। "EP Elections - Interview with Jobbik candidate Krisztina Morvai"The Budapest Times। ২০ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  2. "Morvai Krisztina tolja a Fidesz kampányát"Index.hu। ৩০ মার্চ ২০১৮। 
  3. "Dr. Morvai Krisztina önéletrajza, (Curriculum Vitae of Krisztina Morvai)" (হাঙ্গেরীয় ভাষায়)। [১]। ৮ জুন ২০০৯। ১১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২১Dr. Morvai Krisztina önéletrajza...ELTE Állam és Jogtudományi Karán szereztem jogász diplomát. Bírói szakvizsgám, valamint LL. M (Master of Law) és Ph.D (régi fogalmak szerint kandidátus) tudományos fokozatom van  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  4. Jewish Telegraphic Agency ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৯-০৬-১৪ তারিখে
  5. "European Parliament Official Member Page"। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  6. "Jobbik's new EU-candidate: Dr Krisztina Morvai"Jobbik। ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  7. [২], Politics.hu, ৬ জুলাই ২০১১
  8. Morvai Krisztina - Biography