ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার
ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার | |
---|---|
পরিচালক |
|
প্রযোজক | কেভিন ফেইজ |
চিত্রনাট্যকার |
|
উৎস | জো সাইমন জ্যাক কিরবি কর্তৃক ক্যাপ্টেন আমেরিকা |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | হেনরি জ্যাকম্যান |
চিত্রগ্রাহক | ট্রেন্ট ওপালক |
সম্পাদক |
|
প্রযোজনা কোম্পানি | মার্ভেল স্টুডিওস |
পরিবেশক | ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৪৭ মিনিট[১][২] |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $২৫০ মিলিয়ন[৩] |
আয় | $১.১৫৩ বিলিয়ন[৩] |
মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের পর্যায়সমূহ | |
---|---|
| |
| |
| |
ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার (ইংরেজি: Captain America: Civil War) হচ্ছে ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্ভেল কমিকস চরিত্রের ক্যাপ্টেন আমেরিকা সমন্বিত একটি আমেরিকান অ্যাকশনধর্মী সুপারহিরো চলচ্চিত্র।[৪] এটি মার্ভেল স্টুডিও দ্বারা প্রযোজিত এবং ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওর মোশন পিকচার্স দ্বারা আবণ্টিত হয়। চলচিত্রটি ২০১১ সালের দ্য অ্যাভেঞ্জার্স চলচ্চিত্রের সিক্যুয়াল এবং মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের ত্রয়োদশতম চলচ্চিত্র। এর চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেছেন রুশো ব্রাদার্স।[৫][৬][৭]
কাহিনী
[সম্পাদনা]চলচ্চিত্রটির প্রথম অংশে একটি দৃশ্যপট রয়েছে যেখানে দেখা যায় হিউম্যান রিসোর্স এর একজন মহিলা তার নিজের ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী করছেন টনি স্টার্ক (এজ অব আল্ট্রনে সোকোভিয়ার যুদ্ধে জীবন হারিয়েছিল তার ছেলেটি)। সেই জন্যই এক প্রকারের পাপাচরণবোধ দেখা যায় টনির দৃষ্টিভঙ্গিতে। এছাড়াও তার অভ্যন্তরীণ যে একধরনের অপরাধবোধ সৃষ্টি হচ্ছে সেটা পূর্বের দুই চলচ্চিত্রেও (আয়রন ম্যান ৩ এবং এজ অফ আল্ট্রন) উন্মোচন হয়েছিল। এবং তিনি মনে করেন যে তারা হয়তো মাঝে মধ্যে আইনের আদর্শের বাইরে চলে যাচ্ছে। এইজন্য অ্যাভেঞ্জার্সদের নিয়মের মধ্যে আসা প্রয়োজন। এর জন্যে তিনি চুক্তির সমর্থনে। আর ইউ.এন চাচ্ছে অবশিষ্ট এবং তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করার জন্য এবং তিনি সেটিই করবেন।
এদিকে ক্যাপ্টেন আমেরিকা চুক্তির সম্পূর্ণ বিপক্ষে। ওয়ান্ডাকে বলা তার সেই বার্তা থেকেই অনেককিছু সমাধান হয়ে যায় ব্যপারটি। “আমাদের পেশা হল মানুষের প্রান বাঁচানো। কিন্তু সবসময় সকলকে বাঁচানো সাধ্যগত হয়না”। এবং ক্যাপ্টেন আমেরিকার অনুযায়ী “চুক্তিতে স্বাক্ষর করা উদ্দেশ্য হচ্ছে ইউ.এন'দের কাছে আমাদের ক্ষমতা আত্মসমর্পণ করা। হয়তো ক্যাপ্টেনের দলকে এমন কোথায় যেতে বলবে যেখানে আমাদের যাওয়া সঠিক হবে না অথবা আমাদের এমন কোনো জায়গায় যাওয়া প্রয়োজন সেখানে তারা আমাদের যেতে দিতে চাইবেনা।” তাই ক্যাপ্টেন আমেরিকার মতে তারা হয়তো নির্ভুল নয় কিন্তু তাদের জন্য মুক্তভাবেই থাকাটাই সবচেইয়ে বেশি বিপদমুক্ত। পরবর্তীতে ভিয়েনার ইউ.এন কনফারেন্সে যেই বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল তার জন্যে দায়ী মনে করা অবশিষ্ট বার্নসকে যখন গ্রেফাতারের নির্দেশ দেয়া হয় তখন বাকি নিজেও প্রথমে তার বিরুদ্ধে ছিলেন না, বরং তিনি নিজেই গিয়েছিল বাকিকে গ্রেফতার করতে। সে মনে করেন যে বাকিকে গ্রেফতারের জন্য তিনিই একমাত্র উপযুক্ত ব্যক্তি।
সোকোভিয়া চুক্তি নিয়ে বোধহয় তাদের বিরোধিতা চলতে থাকতো, অথবা বিতর্কের এক সময় রজার্স অবসরের সিদ্ধান্ত নিবে কিংবা হয়তো এক পর্যায়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হতো। অবশ্য বাকিকে গ্রেফতার করার পরে যখন ডঃ থিও ব্রোসার্ডের রুপে হেলমুট জিমো বাকির উইন্টার সৈনিক প্রক্রিয়া সক্রিয় করে তাকে উন্মুক্ত করে দেয়। বাকি পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। তখন এক সময় মারামারির হয়, মারামারির একপর্যায়ে ক্যাপ্টেন বাকিকে ঐখান থেকে অজ্ঞাত এক জায়গাযতে নিয়ে যায়। সেখানে বাকি ক্যাপ্টেনকে বলে যে সে ক্যাপকে চিনতে পেরেছে এবং তার মত আরো পাঁচজন উইন্টার সৈনিক রয়েছে আর জিমো তাদের অবস্থান জানতে পারায় এতোকিছু করেছে। ঠিক সময়ে বাঁধা না দিলে জিমো তাদেরকে সক্রিয় করে দিবে এবং যার পরিণতি হবে খুব ভয়ংকর। ক্যাপ্টেন প্রথমে টনিকে ডাকার কথা ভাবলে চুক্তির কারণে টনি কতটুকূ সাহায্য করতে সক্ষম হবে এই চিন্তা করে তিনি আর টনিকে কিছু বলেননি। তারপর ফ্যালকনের সাহায্যে একটি দল গঠন করে জিমোকে আটকানোর জন্যে।
বাকি যখন স্বীকার করেন যে তিনি আর কখনো খুনাখুনি করবেনা, জিমোর পরিকল্পনা বিস্তারিত খুলে বলায় ক্যাপ্টেন তাকে বিশ্বাস করে এবং বুঝতে পারে জিমো তাকে আবারো ব্রেইনওয়াস করানোতে এই পরিণাম ঘটেছে। তাই জিমোর পরিকল্পনা তুলে ধরতে এবং ভিয়েনার বিস্ফোরণের বিষয়বস্তু বাকির সত্যতা প্রমাণ করতে ক্যাপ্টেন বাকিকে সাহায্য করতে শুরু করে।
শ্রেষ্ঠাংশে
[সম্পাদনা]- ক্রিস ইভানস (ক্যাপ্টেন আমেরিকা)
- রবার্ট ডাউনি জুনিয়র (আয়রন ম্যান)
- স্কার্লেট ইয়োহান্সন (ব্ল্যাক উইডো)
- সেবাষ্টিয়ান স্ট্যান (দ্যা উইন্টার সোলজার)
- এন্থনি ম্যাকি (ফ্যাল্কন)
- ডন চিডল (ওয়ার মেশিন)
- জেরেমি রেনার (হকআই)
- চ্যাডউইক বোসম্যান (ব্ল্যাক প্যান্থার)
- পল বেটানি (দ্যা ভিশন)
- এলিজাবেথ ওয়েলসন (স্কারলেট উইচ)
- পল রুড (অ্যান্ট ম্যান)
- এমিলি ভ্যানক্যাম্প (শ্যারন কার্টার)
- টম হল্যান্ড (স্পাইডারম্যান)
- ফ্রাঙ্ক গ্রিলো (ক্রসবোন্স)
- উইলিয়াম হার্ট (জেনারেল থাড্ডিয়াস 'থান্ডারবোল্ট’ রস)
- ড্যানিয়েল ব্রুল
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স
- মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের চলচ্চিত্রের তালিকা
- মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের টেলিভিশন ধারাবাহিকের তালিকা
টীকা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Captain America: Civil War (12A)"। bbfc.co.uk (ইংরেজি ভাষায়)। মে ১৫, ২০১৬। আগস্ট ২৮, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৮, ২০১৬।
- ↑ গ্রায়েম, ম্যাকমিলান (মার্চ ৯, ২০১৬)। "'Captain America: Civil War' Will Be the Longest Marvel Studios Film to Date"। hollywoodreporter.com (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য হলিউড রিপোর্টার। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৯, ২০১৬।
- ↑ ক খ "Captain America: Civil War (2016)"। boxofficemojo.com। বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৬।
- ↑ "Captain America: Civil War"। marvel.com।
- ↑ "ঢাকায় 'ক্যাপ্টেন আমেরিকা : সিভিল ওয়ার'"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৭।
- ↑ web@somoynews.tv। "সুপারহিরোদের দ্বন্দ্ব নিয়ে আসছে"। somoynews.tv (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৭।
- ↑ "যেভাবে বানানো হলো ক্যাপ্টেন আমেরিকা : সিভিল ওয়ার"। NTV Online। ২০১৯-০৭-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- মার্ভেল স্টুডিওজ
- মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স
- ২০১৬-এর চলচ্চিত্র
- মার্কিন চলচ্চিত্র
- ধারাবাহিক চলচ্চিত্র
- আইম্যাক্স চলচ্চিত্র
- ইউরোপে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত চলচ্চিত্র
- জার্মানির পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- বার্লিনের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- জার্মানিতে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- বার্লিনে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- লন্ডনের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- বাবেল্সবার্গ স্টুডিওর চলচ্চিত্র
- মার্কিন বিজ্ঞান কল্পকাহিনী অ্যাকশন চলচ্চিত্র
- কারাগারের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের চলচ্চিত্র
- নিউ ইয়র্কের (অঙ্গরাজ্য) পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- ৪ডিএক্স চলচ্চিত্র
- মন নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে চলচ্চিত্র
- কাল্পনিক ভাষার চলচ্চিত্র
- ২০১০-এর দশকের রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র
- ২০১০-এর দশকের মার্কিন চলচ্চিত্র
- ২০১০-এর দশকের ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ২০১০-এর দশকের সুপারহিরো চলচ্চিত্র
- ২০১৬-এর অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র
- মার্কিন ত্রিমাত্রিক চলচ্চিত্র
- মার্কিন অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র
- মার্কিন ধারাবাহিক চলচ্চিত্র
- রাজহত্যা সম্পর্কিত কল্পকাহিনী
- ১৯৯১-এর পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- ২০১৬-এর পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- বিমানবন্দরের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- সাইবেরিয়ার পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- নরওয়েতে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- ম্যাসাচুসেটসের পটভূমিতে চলচ্চিত্র