কোম জাতি (মণিপুর)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কোম
(কোম রেম)
মোট জনসংখ্যা
১৪০০০
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
ভারত
(মণিপুর)
ভাষা
কোম
ধর্ম
খ্রিস্টধর্ম
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী
হ্মার জাতি · চিরু জাতি · জো জনগোষ্ঠী

কোম উপজাতি হল অন্যতম প্রাচীন একটি উপজাতি। এরা মণিপুরে বসতি স্থাপন করেছিল। এখানে এদের সমসাময়িক ছিল মণিপুরী (জাতি) ( খাম্বা থোইবি মহাকাব্যের লোককাহিনীর উল্লেখ অনুযায়ী)।

জাতিগত পরিচয়[সম্পাদনা]

পরবর্তী কালে ব্রিটিশ ভারত সরকার তাদের জমির নথিতে (প্রশাসনিকভাবে) এদের নাগা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছিল কিন্তু তারও পরে ১৮৪৭ সালে বার্মা থেকে কুকিদের প্রবেশের পর, নৃতত্ত্ববিদ এবং ইতিহাসবিদেরা তাদের ভাষাগতভাবে চিন-কুকি-মিজো গোষ্ঠীর (জো জনগোষ্ঠী) স্বজাতীয় বলে মনে করেন। এদের প্রধানত উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুরে দেখতে পাওয়া যায়। [১] এই জাতি চিন-কুকি-মিজো সম্প্রদায়ের স্বজাতিগুলির অন্তর্গত। যদিও তাদের "কোম" হিসাবে উল্লেখ করা হয়, নিজেদের মধ্যে তারা নিজেদেরকে কাকোম হিসাবে উল্লেখ করে। সমষ্টিগত কোম জাতি ছয়টি উপজাতি নিয়ে গঠিত, সেগুলি হল: চিরু, আইমল, খারাম, পুরুম, কইরেং এবং কোম।

অবস্থান[সম্পাদনা]

কোম-রেম (সমষ্টিগত পরিচয়) উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর এবং ত্রিপুরায় বসবাস করে। কোম জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই মণিপুরে বাস করে। এদের মণিপুরের প্রায় সমস্ত জেলাতেই দেখতে পাওয়া যায় তবে প্রধানত চুরাচাঁদপুর, বিষ্ণুপুর, চান্দেল, কাংপোকপি, টেংনোপাল, থৌবল, কাকচিং এবং সেনাপতি জেলায় এরা বেশি থাকে।

ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, কোম-এর জনসংখ্যা হল ১৪,৬০২ জন। [২]

উৎপত্তি[সম্পাদনা]

তাদের উৎপত্তি কোথা থেকে হল তা খুব একটা পরিস্কার নয়, কারণ তারা স্মরণাতীত বহু দশক ধরে মণিপুরে বসতি স্থাপন করে আছে। কোম জাতির পৌরাণিক কাহিনী থেকে বিশ্বাস করা হয় যে পৃথিবীর অন্তর্গত একটি গুহা (খুরপুই) থেকে মানুষ আবির্ভূত হয়েছিল। করং (পুভোম নামেও উল্লেখ করা হয়), লেইভন, সার্টো, মাংতে, তেলেন / থিংপুই এবং মিরেম ছিল কোম উপজাতির প্রধান গোষ্ঠীগুলির নাম। গুহা জীবন ছেড়ে বেরোনোর সময় থেকেই এই গোষ্ঠীগুলির নাম কোম জনগণের নেতাদের দ্বারা পরিচালিত সামাজিক স্তরবিন্যাস এবং ভূমিকার প্রতিনিধিত্ব করে।

বংশের নাম[সম্পাদনা]

বংশের নাম নিম্নরূপ:[৩]

গোষ্ঠীর নাম কারং
সাইচে সার্টো
লিভন লিভন
লুফেং লুফেং
তেলিয়েন
মাংটে
নিমরং

যদিও বংশের নামগুলো কয়েক দশক ধরে ধরে রাখা হয়েছে এবং খুরপুই (গুহা) গল্পের বংশতালিকা থেকে, এই সম্প্রদায়ের অধিকাংশই খ্রিস্টান। তাদের গল্প - যেগুলি লোককাহিনী এবং কিংবদন্তি, সেগুলি কথ্য বা মৌখিক আকারে বা মুখের কথার মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলতে থাকে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Politics and Culture। Bookwell। ২০১৩। পৃষ্ঠা 90। আইএসবিএন 978-9380574448 
  2. 2001 Census of India. "Population of Schedule Tribes of Manipur"
  3. "HISTORY AND LINGUISTIC CLASSIFICATION"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 

টেমপ্লেট:জো জনগোষ্ঠীটেমপ্লেট:উত্তর-পূর্ব ভারতের পার্বত্য উপজাতি