কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব

কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব' এর জন্ম ১৯৫৫ সালের ২০ অক্টোবর শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে। পিতার নাম মরহুম হাবিবউল্লাহ খান এবং মাতা মরহুমা সামসিয়া বেগম। পিতার কর্মস্থল ঢাকাতেই আওরঙ্গজেবের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা। ঢাকা কলেজ হতে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমাজবিজ্ঞানে সম্মানসহ মাস্টার্স পাশ করেন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব এর জন্ম ১৯৫৫ সালের ২০ অক্টোবর শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে। পিতার নাম মরহুম হাবিবউল্লাহ খান এবং মাতা মরহুমা সামসিয়া বেগম। পিতার কর্মস্থল ঢাকাতেই আওরঙ্গজেবের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা। ঢাকা কলেজ হতে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমাজবিজ্ঞানে সম্মানসহ মাস্টার্স পাশ করেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

কলেজ জীবন থেকেই জনাব আওরঙ্গজেব ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং দু’বার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নেতৃত্ব দেন। ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ১৯৭৫-৭৬ সাল এক বছর কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৮০ সাল হতে ১৯৯০ পর্যন্ত দীর্ঘ দশ বছর ভারতে প্রবাস জীবন যাপন করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জনাব আওরঙ্গজেব শরীয়তপুর-১ (শরীয়তপুর-জাজিরা) আসন হতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। কিন্তু ১৯৯২ সাল হতে তাকে পুনরায় কারাভোগ করতে হয়। ১৯৯২ হতে ১৯৯৬ সাল র্দীর্ঘ পাঁচ বছর বছর কারাভোগের পর তিনি ১৯৯৬ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বেকসুর খালাস পান।

২০০১ সালের নির্বাচনে জনাব আওরঙ্গজেব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শরীয়তপুর এক আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদন্দ্বীতা করে জয়যুক্ত হন। ২০০৬ সালে আওরঙ্গ বিএনপিতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে শরীয়তপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের কাছে পরাজিত হন। ২০১১ সালে আওরঙ্গ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হন।[১]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

২০১৩ সালের ৩ আগস্ট শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা-মাওয়া সড়কে মেদেনীমন্ডল ইউনিয়নের খান বাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনায় আওরঙ্গসহ অন্তত ১১ জন নিহত হন। কেএম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব এক পুত্র সন্তান, স্ত্রী ৩ ভাই ও ৩ বোন রেখে গেছেন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "দুর্ঘটনায় নিহত আওরঙ্গ"bangla.bdnews24.com। বিডি নিউজ২৪। ৬ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৭