কে-৪ (ক্ষেপণাস্ত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কে-৪ (ক্ষেপণাস্ত্র)
প্রকার অন্তর্বর্তী-পাল্লার এসএলবিএম
উদ্ভাবনকারী ভারত
ব্যবহার ইতিহাস
ব্যবহারকাল ২০২০-এর দশ [১]
ব্যবহারকারী  ভারতীয় নৌবাহিনী
উৎপাদন ইতিহাস
নকশাকারী প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা
উৎপাদনকারী ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড
তথ্যাবলি
ওজন ১৭ টন (১৯ শর্ট টন)[২]
দৈর্ঘ্য ১২ মি (৩৯ ফু)[২]
ব্যাস ১.৩ মি (৪.৩ ফু)[২]

ওয়ারহেড কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র

ইঞ্জিন দুটি পর্যায়ের রকেট মোটর[৩]
প্রপেল্যান্ট কঠিন জ্বালানী[৩]
অপারেশনাল
রেঞ্জ
৩,৫০০ কিমি (২,২০০ মা)[৪][৫]
নির্দেশনা
পদ্ধতি
মধ্যবর্তী-গতিপথ: জিপিএস/নাভিক উপগ্রহ নির্দেশিকা সহ আন্তঃদেশীয় বিমানপোতচালন ব্যবস্থা
প্রান্তিক: টেরিনের কনট্যুর ম্যাচিং[৬]
লঞ্চ
প্লাটফর্ম
অরিহন্ত-শ্রেণির ডুবোজাহাজ, এস৫-ডুবোজাহাজ

কে-৪ একটি পারমাণবিক সক্ষম অন্তর্বর্তী-পাল্লার ডুবোজাহাজ-হতে-উৎক্ষিপৎ নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র, যা ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা অরিহন্ত-শ্রেণির ডুবোজাহাজসমূহকে অস্ত্র সরবরাহ করতে বিকশিত করে।[৭] ক্ষেপণাস্ত্রটির সর্বাধিক পরিসীমা বা পাল্লা প্রায় ৩,৫০০ কিমি।[৮]

উন্নয়ন[সম্পাদনা]

আইএনএস অরিহন্তকে সজ্জিত করার জন্য একই সক্ষমতার সাথে সীমাবদ্ধ ১৭ মিটার (৫৬ ফুট) দৈর্ঘের অগ্নি-৩ সংযোগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ার পরে কে-৪ এর উন্নয়ন শুরু হয়। কে-৪ এর দৈর্ঘ্য ১২ মিটার (৩৯ ফুট), যা অগ্নি-৩ এর দৈর্ঘ্য ১৭ মিটার (৫৬ ফুট) থেকে ৪ মিটার কম। কে-৪ এর জন্য নকশাকৃত গ্যাস-বুস্টারের সফলভাবে পরীক্ষা ২০১০ সালে নিমজ্জিত পন্টুন থেকে করা হয়।[৯]

বিবরণ[সম্পাদনা]

কে-৪ দুটি পর্যায়ে গঠিত একটি ডুবোজাহাজ-হতে-উৎক্ষিপৎ নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র।[৩] ক্ষেপণাস্ত্রটি ১.৩ মিটার (৪ ফুট ৩ ইঞ্চি) ব্যাসের সাথে ১২ মিটার (৩৯ ফুট) দীর্ঘ এবং প্রায় ১৭ টন (১৯ টন) ওজন বিশিষ্ট। এটি ২ টন (২.২ টন) ওজনের একটি ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম এবং কঠিন রকেট প্রোপেল্যান্ট শক্তি সরবরাহ করে। ডিআরডিও জানান, যে ক্ষেপণাস্ত্রটির লক্ষ্য ছিল একটি উচ্চ নির্ভুলতা অর্জন করা।[২] নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিপরীতে কে-৪ ত্রিমাত্রিক কসরত করতে সক্ষম।[১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Sub-launched K-4 ready for induction"The New Indian Express। ২৫ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৫ 
  2. "Longest Range Ballistic Missile All Set for Undersea Launch"দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ১০ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২১ 
  3. "India Test Fires Nuke Capable SLBM K-4 Secretly"The New Indian Express। ৯ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২১ 
  4. "K-4 Missile Set for 'Secret' Test"। THE NEW INDIAN EXPRESS। ৪ মার্চ ২০১৬। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৬ 
  5. "India successfully test-fires underwater missile"The Hindu। ২৭ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৩ 
  6. CSIS। "Sagarika/Shaurya"Missile Threat। CSIS। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২০ 
  7. Diplomat, Ankit Panda, The। "India Inches Closer to Credible Nuclear Triad With K-4 SLBM Test"The Diplomat। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২১ 
  8. http://www.nasic.af.mil/LinkClick.aspx?fileticket=F2VLcKSmCTE%3d&portalid=19
  9. Subramanian, T. S. (২৮ জানুয়ারি ২০১১)। "DRDO plans another K-15 missile launch"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২১