কেন মিউলম্যান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কেন মিউলম্যান
১৯৪৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে কেন মিউলম্যান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামকেনেথ ডগলাস মিউলম্যান
জন্ম(১৯২৩-০৯-০৫)৫ সেপ্টেম্বর ১৯২৩
মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু১০ সেপ্টেম্বর ২০০৪(2004-09-10) (বয়স ৮০–৮১)
নেডল্যান্ডস, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান, কোচ
সম্পর্কপুত্র: রবার্ট মিউলম্যান
নাতি: স্কট মিউলম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ১৬৭)
২৯ মার্চ ১৯৪৬ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১১৭
রানের সংখ্যা ৭৮৫৫
ব্যাটিং গড় ০.০০ ৪৭.৬০
১০০/৫০ ০/০ ২২/৪১
সর্বোচ্চ রান ২৩৪*
বল করেছে ১২৪৭
উইকেট ১৯
বোলিং গড় ৫০.৩১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/০ ৩৫/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৯ জুলাই ২০১৯

কেনেথ ডগলাস মিউলম্যান (ইংরেজি: Ken Meuleman; জন্ম: ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯২৩ - মৃত্যু: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০০৪) ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্নে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৬ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়াওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন কেন মিউলম্যান

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৪৫-৪৬ মৌসুম থেকে ১৯৬০-৬১ মৌসুম পর্যন্ত কেন মিউলম্যানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন কেন মিউলম্যান। ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে।

পরবর্তীতে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে চলে যান। সেখানে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলে যোগ দেন। ১৯৪৫-৪৬ মৌসুম থেকে ১৯৬০-৬১ মৌসুম পর্যন্ত দলটিতে খেলেন ও শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতায় রাজ্য দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বেশ কয়েক মৌসুমে দলকে নেতৃত্ব দেন। ৪৮টি শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় অংশ নিয়ে ৪৮.১৯ গড়ে ৪৯১৬ রান তুলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন কেন মিউলম্যান। ২৯ মার্চ, ১৯৪৬ তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্বাগতিক দলের ম্যাক অ্যান্ডারসন, ভার্ডান স্কট, গর্ডন রো, লেন বাটারফিল্ড, সেস বার্ক, ডন ম্যাকরে এবং অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে কেন মিউলম্যান, কিথ মিলার, কলিন ম্যাককুল, ইয়ান জনসন, ডন টলন, রে লিন্ডওয়ালআর্নি তোশ্যাকের একযোগে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে।[২] এটিই তার সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে ১৯৪৫-৪৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১৯৪৬ সালে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছিলেন কেন মিউলম্যান। এ সফরে ওয়েলিংটন টেস্টে অংশ নিয়ে শূন্য রানে বিদেয় নেন তিনি। এরপর ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে আরও একবার নিউজিল্যান্ড গমন করেছিলেন।

অবসর[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর পার্থভিত্তিক মিউলম্যানস ক্রিকেট সেন্টার নামীয় ক্রীড়ায় সরঞ্জামাদি বিক্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করেন। এর পাশাপাশি প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেট সম্প্রসারণকল্পে কাজ করেন। বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার জাস্টিন ল্যাঙ্গারের উত্তরণে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন।

১০ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ তারিখে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার নেডল্যান্ডস এলাকায় পার্থভিত্তিক হলিউড প্রাইভেট হাসপাতালে ৮১ বছর বয়সে কেন মিউলম্যানের দেহাবসান ঘটে। তার পুত্র রবার্ট মিউলম্যান ও নাতি স্কট মিউলম্যান ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Australia – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৯ 
  2. "Australia in New Zealand (1945 – 1946): Scorecard of only one Test"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১০, ২০১৯ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]