কেনেথ পাওয়েল

কেনেথ পাওয়েল
কেনেথ পাওয়েল
জন্ম	২০ এপ্রিল ১৯৪০; কোলার, মহীশূর, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু	১১ ডিসেম্বর ২০২২ (বয়স ৮২); ব্যাঙ্গালোর, কর্ণাটক, ভারত
অন্যান্য নাম	জেন্টলম্যান স্প্রিন্টার
পেশা	ট্র্যাক এবং ফিল্ড ক্রীড়াবিদ
উচ্চতা	৫ ফুট ৭ ইঞ্চি
পুরস্কার	অর্জুন পুরস্কার (১৯৬৫); রাজজ্যোৎসব পুরস্কার (২০১৮);

কেনেথ লরেন্স পাওয়েল (২০ এপ্রিল ১৯৪০ – ১১ ডিসেম্বর ২০২২), যিনি "দ্য জেন্টলম্যান স্প্রিন্টার" নামে জনপ্রিয় ছিলেন,^[১]^[২] কর্ণাটক রাজ্যের একজন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ ছিলেন। তিনি ১৯৬৪ সালের অলিম্পিক এবং ১৯৭০ সালের এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করেছিলেন। একজন দৌড়বিদের পাশাপাশি তিনি রাজ্য দলের হ্যান্ডবল দলের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৬৫ সালে ভারতের সরকার কর্তৃক অর্জুন পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে কর্ণাটক সরকারের রাজ্যোৎসব পুরস্কারে ভূষিত হন।^[৩]^[৪]

প্রারম্ভিক জীবন

পাওয়েল ১৯৪০ সালের ২০ এপ্রিল কর্ণাটকের বর্তমান ভারতের কোলার শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রথম বড় সাফল্য ছিল ১৯৫৭ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত জাতীয় স্কুল গেমসে তৃতীয় স্থান অর্জন।^[৫]

কর্মজীবন

পাওয়েল ১৯ বছর বয়সে বেঙ্গালুরু চলে যান এবং ভারতীয় টেলিফোন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে যোগ দেন, যেখানে তিনি রেঞ্জার্স অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের কোচ কৃষ্ণার কাছে প্রশিক্ষণ নেন।^[৫]^[৬] বহু বছর পর একটি সাক্ষাৎকারে পাওয়েল স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি একজন ক্রীড়াবিদ হতে চাননি, এটি একটি দুর্ঘটনা ছিল। তিনি প্রথমে ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন এবং ভারতীয় টেলিফোন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে একজন ফাস্ট বোলার ছিল। কোচ বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্ক তাকে দ্রুত দৌড়ানোর দক্ষতা দেখে স্প্রিন্টিং শুরু করার পরামর্শ দেন।^[৭]

পাওয়েল ১৯৬০-এর দশকে ভারতের শীর্ষ ক্রীড়াবিদের মধ্যে ছিলেন এবং মিলখা সিংয়ের সাথে তার সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য পরিচিত ছিলেন।^[৮] তিনি ১৯৬৪ সালের টোকিও অলিম্পিকে ভারতের ৪ × ১০০ মিটার রিলে দলের সদস্য ছিলেন, যারা সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। একই অলিম্পিকে, তিনি ১০০ মিটার এবং ২০০ মিটার স্প্রিন্ট প্রতিযোগিতায়ও দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি ১৯৭০ সালের এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক জিতানো দলের সদস্য ছিলেন। এর আগে, ১৯৬৬ সালের ব্যাংকক এশিয়ান গেমসের জন্য তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।^[৫] তার কর্মজীবনে, পাওয়েল ভারতের বিভিন্ন স্থানে ১৯টি স্প্রিন্টিং শিরোপা জিতেছিলেন।^[৫]

পাওয়েল ১৯৭০ সালে জাতীয় হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপে কর্ণাটককে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং ১৯৮১ সালে সিঙ্গাপুরে এশিয়া মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০-৪৪ বছর বয়সী বিভাগের ১০০ মিটার ইভেন্টে রৌপ্য পদকও জিতেছিলেন।^[৮] তিনি মেলবোর্নে বিশ্ব মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৪৫-৪৯ বছর বয়সী ইভেন্টের ফাইনালিস্টও ছিলেন।^[৯]

তিনি "দ্য জেন্টলম্যান স্প্রিন্টার" হিসেবেও পরিচিত ছিল।^[৮] আইটিআই-তে কাজ করার পর তিনি রেলওয়ে-তে চাকরি নেন এবং পরবর্তীতে টাটা স্টিলে যোগ দেন, যেখানে ১৯৯৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন।^[১০] পাওয়েল অবসর নেওয়ার পরও কর্ণাটকে অ্যাথলেটিক্সের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি কান্তিরাভা স্টেডিয়ামের অবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং এর সুবিধাগুলি অ-ক্রীড়া উদ্দেশ্যে ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।^[১১]

পুরস্কার

পাওয়েল ১৯৬৫ সালে ভারতের সরকারের কাছ থেকে অর্জুন পুরস্কার পান।^[৫] তিনি কর্ণাটক থেকে প্রথম ক্রীড়াবিদ ছিলেন যিনি এই পুরস্কার লাভ করেন।^[১২] ২০১৮ সালে তিনি কর্ণাটক সরকারের রাজ্যোৎসব পুরস্কারও পেয়েছিলেন।^[১৩]

ব্যক্তিগত জীবন এবং মৃত্যু

পাওয়েল ড্যাফনি পাওয়েলের (ওরফে সাইমন) সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন, যিনি তার যুবকালে একজন ক্রীড়াবিদ ছিলেন।^[৬]^[৮]^[১০] এই দম্পতি বেঙ্গালুরুর কুক টাউন এলাকায় বসবাস করতেন।^[৬]^[১৪]

পাওয়েল ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে বেঙ্গালুরুতে ৮২ বছর বয়সে মারা যান।^[৫]^[৯]

তথ্যসূত্র

↑ bhambra, abhijit (১৯ জুন ২০২১)। "Milkha Singh was a simple man with a simple living, says Kenneth Powell, The Gentleman Sprinter"। NEWS9LIVE (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০২২। ^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}
↑ ইভান্স, হিলারি; গিয়ার্ড, আরিল্ড; হাইম্যানস, ইরোইন; ম্যালন, বিল; ও অন্যান্য। "Kenneth Powell Olympic Results"। Sports-Reference.com এ অলিম্পিক। স্পোর্টস রেফারেন্স এলএলসি। ১৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
↑ "Karnataka / Bangalore News : Athletes who almost made it"। The Hindu। ১৩ আগস্ট ২০০৮। ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
↑ "India at the Games"। Sportstaronnet.com। ২ আগস্ট ২০০৮। ১৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
↑ ^ক ^খ ^গ ^ঘ ^ঙ ^চ PTI (১১ ডিসেম্বর ২০২২)। "Olympian and 1970 Asian Games medallist Kenneth Powell passes away"। sportstar.thehindu.com (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।
↑ ^ক ^খ ^গ Baskaran, Hari (১১ এপ্রিল ২০১৮)। These Bloomin' Anglos: Glimpses into the Anglo-Indian heart (ইংরেজি ভাষায়)। Notion Press। আইএসবিএন 978-1-64249-767-0। ১০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২৩।
↑ "Past masters, still burning bright"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ এপ্রিল ২০১৫। ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।
↑ ^ক ^খ ^গ ^ঘ "'Gentleman sprinter' Kenneth Powell passes away"। ১১ ডিসেম্বর ২০২২। ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।
↑ ^ক ^খ "Olympian Kenneth Powell dies at 82"। OnManorama। ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।
↑ ^ক ^খ Lazarus, Juliana (১ আগস্ট ২০১০)। "Anglos: A part and yet apart"। Bangalore Mirror (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।
↑ "Non-sporting events should be banned at stadium, says Olympian"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ ডিসেম্বর ২০১২। ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।
↑ "A Gentleman champion who endeared all"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ ডিসেম্বর ২০২২। ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।
↑ "Karnataka Rajyotsava awards announced"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ নভেম্বর ২০১৮। ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।
↑ "A song for the road"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ আগস্ট ২০১০। ১০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।

বহিঃসংযোগ

অলিম্পিডিয়ায় কেনেথ পাওয়েল (ইংরেজি)

[1] ra, abhijit (১৯ জুন ২০২১)। "Milkha Singh was a simple man with a simple living, says Kenneth Powell, The Gentleman Sprinter"। NEWS9LIVE (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০২২। ^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}

[SportsRef-2] ইভান্স, হিলারি; গিয়ার্ড, আরিল্ড; হাইম্যানস, ইরোইন; ম্যালন, বিল; ও অন্যান্য। "Kenneth Powell Olympic Results"। Sports-Reference.com এ অলিম্পিক। স্পোর্টস রেফারেন্স এলএলসি। ১৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।

[3] "Karnataka / Bangalore News : Athletes who almost made it"। The Hindu। ১৩ আগস্ট ২০০৮। ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩।

[4] "India at the Games"। Sportstaronnet.com। ২ আগস্ট ২০০৮। ১৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩।

[:0-5] ক ^খ ^গ ^ঘ ^ঙ ^চ PTI (১১ ডিসেম্বর ২০২২)। "Olympian and 1970 Asian Games medallist Kenneth Powell passes away"। sportstar.thehindu.com (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।

[:32-6] ক ^খ ^গ Baskaran, Hari (১১ এপ্রিল ২০১৮)। These Bloomin' Anglos: Glimpses into the Anglo-Indian heart (ইংরেজি ভাষায়)। Notion Press। আইএসবিএন 978-1-64249-767-0। ১০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২৩।

[7] "Past masters, still burning bright"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ এপ্রিল ২০১৫। ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।

[news9live-obit2-8] ক ^খ ^গ ^ঘ "'Gentleman sprinter' Kenneth Powell passes away"। ১১ ডিসেম্বর ২০২২। ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।

[:1-9] ক ^খ "Olympian Kenneth Powell dies at 82"। OnManorama। ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।

[:42-10] ক ^খ Lazarus, Juliana (১ আগস্ট ২০১০)। "Anglos: A part and yet apart"। Bangalore Mirror (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।

[11] "Non-sporting events should be banned at stadium, says Olympian"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ ডিসেম্বর ২০১২। ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।

[12] "A Gentleman champion who endeared all"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ ডিসেম্বর ২০২২। ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।

[13] "Karnataka Rajyotsava awards announced"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ নভেম্বর ২০১৮। ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।

[14] "A song for the road"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ আগস্ট ২০১০। ১০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]

[৯]

[১০]

[১১]

[১২]

[১৩]

[১৪]