কুয়াংচৌ শহরের পরিবহন ব্যবস্থা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কুয়াংচৌ শহরের এর পরিবহন ব্যবস্থা বিশ্বের উন্নতমানের পরিবহন ব্যবস্থা যুক্ত শহর গুলির মধ্যে একটি। এই শহরের সড়ক ও মহাসড়ক, মেট্রো রেল বা সাবওয়ে জালের মত ছড়িয়ে রয়েছে শহর জুড়ে। শহরটিতে উড়ালপুল যান চলাচল দ্রুত করেছে।[১]

সড়ক পরিবহন[সম্পাদনা]

শহরটিতে সড়ক পথের সুষ্ঠ ব্যবস্থা রয়েছে। শহরটিতে যান চলাচলের গতি বাড়ানোর জন্য বেশির ভাগ সড়ক গুলিকে দ্বি-মুখী যান চলাচলের উপযুক্ত করে তোলা হয়েছে। শহরটির সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বা শহরের উপকন্ঠের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য রয়েছে এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। শহরটি জাতীয় সড়ক দ্বারা কুনমিং, বেইজিং, সাংহাই, সিনজিং প্রভৃতি শহরের সঙ্গে যুক্ত।

বাস[সম্পাদনা]

শহরটিতে দ্রতগতির বাস বা বাস র্যাপিট ট্রান্সপোট সিস্টেম রয়েছে। এই ব্যবস্থাটি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম।

রেল পরিবহন[সম্পাদনা]

কুয়াংচৌ শহরটি রেলপথের দ্বারা বিভিন্ন শহরের সঙ্গে যুক্ত। এই শহর থেকে কুয়াংচৌ-বেজিং রেলপথ, কুয়াংচৌ-কুনমিং রেলপথ, কুয়াংচৌ-সিনজিং রেলপথ দ্বারা দেশের বড় শহর গুলির সঙ্গে যুক্ত]]। এছাড়া এই শহর থেকে য়ুনহাই-কুয়াংচৌ উচ্চগতির রেলপথ রয়েছে।

উচ্চগতির রেল[সম্পাদনা]

চীন দেশে দুরুত্ব পূর্ন শহর গুলির মধ্যে উচ্চগতির রেলপথ গড়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে কুয়াংচৌ শহরের সঙ্গে যুনহাই শহর হয়ে বেইজিং পর্যন্ত রেলপথ গড়া হবে।

সাবওয়ে[সম্পাদনা]

গুয়ানজু শহরটিতে একটি মেট্রো রেল ব্যবস্থা চালু আছে। এটি কুয়াংচৌ মেট্রো নামে পরিচিত। এটি দেশের চতুর্থ মেট্যো ব্যবস্তা। শহরটিতে মোট ২৬৬ কিলোমিটার মেট্রো রেলপথ রয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে ৫০০ কিলোমিটার মেট্রো রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

বিমান পরিবহন[সম্পাদনা]

কুয়াংচৌ শহরের বিমান পরিবহনের জন্য একটি আন্তর্ছাতিক বিমান রয়েছে। এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত। বিমানবন্দরটি ২০০৪ সালে চালু হয়। এর আগের পুরানো বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি কুয়াংচৌ শহরের কেন্দ্র স্থলের কাছে অবস্থিত। বর্তমানে বিমানবন্দরের দ্বিতীয় প্রান্তিক বা টার্মিনাল এর নির্মাণ চলছে।

জলপথ ও বন্দর[সম্পাদনা]

এই শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে পার্ল নদী। এই নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে জলপথে যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা। এছাড়া পণ্য পরিবহনের জন্য রয়েছে কুয়াংচৌ বন্দর,[২] চীনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর কুয়াংচৌ এর প্রধান বন্দর। এই বন্দরটি দক্ষিণ চীন এর প্রধান ও বৃহত্তম বন্দর। বন্দরটি দক্ষিণ চীন সাগর এর তীরে পার্ল নদী এর ব -দ্বীপে অবস্থিত। এটি অতিতে ক্যান্টন বন্দর রূপে পরিচিত ছিল। বন্দরটি দক্ষিণ চীনের রাজ্য গুলোর বনজ-দ্রব্য পরিবহন করে থাকে। এই বন্দরটি বিশ্বের ৮০ টি দেশের প্রায় ৩০০ টি বন্দরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এবং বন্দর গুলির মধ্যে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে। এ বন্দরটি দেশের মূল ভূখন্ডের বন্দর গুলির মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সমগ্র বন্দর গুলির মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। বন্দরটি পার্ল নদী এর খারি ও এই এলাকার আরও তিনটি নদী এর খাড়িতে গড়ে উঠেছে।বর্তমানে নদী গুলির গভীরতা কমে যাওয়ার কারণে বন্দরের পণ্য পরিবহনে সমস্যা হচ্ছিল। বন্দরটি ১ থেকে ৩ হাজার টন এর জাহাজ ছাড়া অন্য জাহাজ নোঙর করতে পারছিলোনা কিন্তু বর্তমানে বন্দরটিতে ড্রেজিং এর ফলে ১ লক্ষ DWT জাহাজ ভিড়তে বা নোঙর করতে পারছে।বন্দরটি এখন প্রতি বছর ৩০০ মিলিয়ন টন কার্গো পণ্য ও ৪.৮ মিলিয়ন কন্টেইনার পরিবহন করছে। বন্দটি চীন এর দক্ষিণ অংশের অর্থনীতির বিকাশ দ্রুত করেছে। এই বন্দরটি এই এলাকায় শিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছে।

আরও[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]