কুবাং পুতিহের বড় মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ০°২০′০০″ দক্ষিণ ১০০°২৪′০৪″ পূর্ব / ০.৩৩৩৩৫৮° দক্ষিণ ১০০.৪০১১৯০° পূর্ব / -0.333358; 100.401190
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুবাং পুতিহের বড় মসজিদ
মাসজিদ রায়া কুবাং পুতিহ
কুবাং পুতিহের মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানকুবাং পুতিহ, বানুহাম্পু উপজেলা, আগাম, পশ্চিম সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া
স্থানাঙ্ক০°২০′০০″ দক্ষিণ ১০০°২৪′০৪″ পূর্ব / ০.৩৩৩৩৫৮° দক্ষিণ ১০০.৪০১১৯০° পূর্ব / -0.333358; 100.401190
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীসারগ্রাহী
সম্পূর্ণ হয়১৮১০
বিনির্দেশ
দৈর্ঘ্য২৩.৭৫ মিটার (৭৭.৯ ফুট)
প্রস্থ২১.২ মিটার (৭০ ফুট)
মিনার

কুবাং পুতিহের বড় মসজিদ (ইন্দোনেশীয়: মাসজিদ রায়া কুবাং পুতিহ) হল উনবিংশ শতাব্দির শুরুর দিকে নির্মিত একটি মসজিদ। মসজিদটি ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রার কুবাং পুতিহ শহরে অবস্থিত। মসজিদটিকে পশ্চিম সুমাত্রার আগাম শহরের বিংকুদু মসজিদ, তানাহ দাতার শহরের রাও রাও মসজিদ এবং পাদাং শহরের গান্টিং বড় মসজিদের মত পুরনো মসজিদের মত একটি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। [১]

বিবরণ[সম্পাদনা]

মসজিদটি নির্মান করা হয় ১৮১০ সালে। তালুয়াক জামে মসজিদের আগে আগাম শহরের বুনুহামপু উপজেলার সবচেয়ে পুরানো মসজিদ হল কুবাং পুতিহের বড় মসজিদ। [২] ৬১১ বর্গ মিটার (৬,৫৮০ বর্গফুট) এলাকা জুড়ে অবস্থিত মসজিদটির মূল ভবন আয়তাকার যার দৈর্ঘ্য ২৩.৭৫ (৭৭.৯ ফুট) এবং প্রস্থ ২১.২ মিটার (৭০ ফুট)।

সারগ্রাহী ধাঁচে কুবাং পুতিহের বড় মসজিদটির নকশা করা হয়েছে যেখানে ইউরোপিয়ান, মুঘল এবং চীনা স্থাপত্যকলার মত বিভিন্ন স্থাপত্যকলার মিথস্ক্রিয়া ঘটেছে। পশ্চিম সুমাত্রার অধিকাংশ মসজিদের মত বহু ধাপ বিশিষ্ট উঁচু ছাদ কুবাং পুতিহের বড় মসজিদে অনুপস্থিত। কুবাং পুতিহের বড় মসজিদের ছাদ এমনভাবে বানানো হয়েছে যেখানে চারটি নিম্ন কৌণিক পিরামিড, ঢেউতোলা ধাতুর আবরণে ঢাকা থাকে। [৩][৪] জাভার সাকা গুরুর মত মসজিদের প্রধান হলটিতে চারটি প্রধান স্তম্ভ আছে। স্তম্ভগুলো আয়তাকার আকৃতির এবং মাঝখানে প্লাস্টার করা। মিহরাবে আছে চারটি স্তম্ভ এবং মিম্বর বানানো হয়েছে কংক্রিট দিয়ে। [৩][৪]

মসজিদটি ২ মিটার (৬.৬ ফুট) চওড়া বারান্দা দিয়ে ঘেরা। পশ্চিম দিকের ৭.৮ মিটার (২৬ ফুট) লম্বা বারান্দাটির একেবারে মাঝ বরাবর জায়গাটি মিহরাবের জন্য সংরক্ষিত। এই জায়গাটি বাইরের দিকে প্রসারিত হয়ে বারান্দাটিকে দুইভাগে বিভক্ত করে। মিহরাবের পূর্ব দিকে প্রবেশদ্বারটি অবস্থিত। প্রবেশদ্বারটির বাইরের দিকে ৭.৫ বাই ৫ মিটার ক্ষেত্রফলের একটি বারান্দা আছে। [৪]

স্থানীয়ভাবে পুত নামে পরিচিত একটি মিনার মিহরাবের সমতলে মসজিদের পূর্ব পাশে অবস্থিত। মিনারটি মূল ভবন থেকে আলাদা করা। তালুয়াকের জামে মসজিদের মত এই মসজিদের মিনারটির আকার ১৯-শতকের মিনাংকাবাউয়ের মসজিগুলোর মত। মসজিদের মিনারটি অষ্টভুজাকৃতির এবং আরবিয়-পারশিক নকশার অনুসরণ করে বানানো হয়েছে। মিনারের উপরের স্তরে এবং মধ্যম স্তরে দুইটি ব্যালকনি আছে। মিনারের মাথায় একটি গম্বুজ আছে। গম্বুজটি উপরের স্তরের ব্যালকনিকে রোদ ও বৃষ্টি হতে সুরক্ষা দেয়। ঐতিহাসিকভাবে পাদ্রি যুদ্ধের সময় মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত মুসলিম ধর্মীয় সংস্কারকদের মাধ্যমে মিনাংকাবাউয়ের মসজিদগুলোর মত মিনারগুলো আগমন ঘটে। [৫]

১৯৮৯ সালে মসজিদটির সংস্কার করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Peraturan Menteri Kebudayaan dan Pariwisata Nomor PM.05/PW.007/MKP/2010 Tahun 2010", Menteri Kebudayaan dan Pariwisata Indonesia, ২০১০  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  2. Mustaqim (6 January 2017). "Masjid Parabek dan Karangan Syekh Ibrahim Musa" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে. Surauparabek.com.
  3. "Cagar Budaya Kabupaten Agam" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জুন ২০২১ তারিখে. Kementerian Pendidikan dan Kebudayaan Indonesia.
  4. Masjid Raya Kubang Putih Official Web of Agam Regencydi situs resmi Kabupaten Agam.
  5. Nas, P.; De Vletter, Martien (২০০৯)। Masa Lalu dalam Masa Kini: Arsitektur di Indonesia। Gramedia Pustaka Utama। পৃষ্ঠা 68।