বিষয়বস্তুতে চলুন

কিবোর্ড বিন্যাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কিবোর্ড বিন্যাস বা কিবোর্ড লেআউট হচ্ছে কম্পিউটার কিবোর্ড, মোবাইল ফোন বা অন্যান্য টাইপোগ্রাফিক ডিভাইসে ব্যবহৃত ইনপুট বোতামের একটি ভৌত, ভিজুয়াল বা ভার্চুয়াল বিন্যাস।[] লেখার পদ্ধতি, ভাষা, এবং ব্যবহারের উপরে নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের প্রমিত কিবোর্ড বিন্যাস হতে পারে। কিছু ব্যবহারকারী এবং নির্মাতা তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী অথবা নির্দিষ্ট কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য অ-প্রমিত লেআউটও তৈরি করেন।

ভৌত বিন্যাস হচ্ছে কিবোর্ডের প্রকৃত স্থানে বোতামের অবস্থান। ভিজুয়াল বিন্যাস হচ্ছে কিবোর্ডের বোতামের উপরে লেবেল, চিহ্ন ইত্যাদি বিভিন্ন নির্দেশকের উপস্থিতির বিন্যাস। কিবোর্ডের বিভিন্ন বোতাম একত্রীকরণ বা কিবোর্ড ম্যাপিং সফটওয়্যার দ্বারা নির্ধারিত হয় তখন তা ফাংশনাল বিন্যাস।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
একটি রাশিয়ান চিঠি-মুদ্রণ টেলিগ্রাফ সেটের কিবোর্ড আনু. 1900

কিবোর্ড বিন্যাস বিভিন্ন  সময়ে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে সাথে বিকাশ লাভ করেছে। বিশেষভাবে প্রভাবশালী ছিল: শোলস ও গ্লিডেন টাইপরাইটার (১৮৭৪, যা রেমিংটন ১ নামেও পরিচিত)। এটি ছিল প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সফল টাইপরাইটার, যা থেকে কোয়ার্টি বিন্যাসের সূচনা হয়। এর উত্তরসূরি রেমিংটন ২ (১৮৭৮) থেকে শিফট বোতামের প্রবর্তন হয়।[] আইবিএম সেলেকট্রিক (১৯৬১) একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী বৈদ্যুতিক টাইপরাইটার, যা পরবর্তীতে কম্পিউটার কিবোর্ডকে প্রভাবিত করে।[] আইবিএম পিসি (১৯৮১) বিশেষত মডেল এম (১৯৮৫)-কে আধুনিক কিবোর্ড বিন্যাসের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রচলিত বাংলা কিবোর্ড বিন্যাস

[সম্পাদনা]

মুনীর কিবোর্ড

[সম্পাদনা]
মুনীর চৌধুরীর উন্নয়ন করা মুনীর লেআউট

মুনীর-অপটিমা টাইপরাইটারে ব্যবহৃত বাংলা লেআউট থেকে মুনীর কিবোর্ডের উৎপত্তি। ১৯৬৫ সালে মুনীর চৌধুরী এই কিবোর্ডটি উন্নয়ন করেন।[] তার এই কাজে তাকে সহায়তা করে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড। পরে জার্মানির একটি টাইপরাইটার কোম্পানির সাথে যৌথভাবে এই লেআউটটি টাইপরাইটারে ব্যবহৃত হয়, যা মুনীর-অপটিমা নামে পরিচিত ছিল।[] এই টাইপরাইটার বাংলাদেশে সর্বাধিক প্রচলিত। তাই বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রস্তুতকারক তাদের কিবোর্ড সফটওয়্যারে মুনীর-অপটিমার অনুরূপ লেআউট দেয়া শুরু করেন। পরে ইউনিকোডের সাথে সামঞ্জস্য রাখার জন্য একুশে কর্তৃক এই লেআউটের পরিমার্জনা করা হয়।

ইউনিজয় কিবোর্ড

[সম্পাদনা]
একুশে কর্তৃক ইউনিজয় লেআউট

একুশে কর্তৃক ইউনিজয় কিবোর্ডের উন্নয়ন করা হয়েছে। এটি ৭ ডিসেম্বর ২০০৫ সালে Kenichi Handa কর্তৃক National Institute of Advanced Industrial Science and Technology (AIST) এর কপিরাইটে জিএনইউ লেসার জেনারেল পাবলিক লাইসেন্সের আওতায় m17n ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হয়। [][]

স্মার্টফোনের স্ক্রিন উপযোগী ইউনিজয় কিবোর্ড
স্মার্টফোনের স্ক্রিন উপযোগী ইউনিজয় কিবোর্ড (শিফট)

জাতীয়

[সম্পাদনা]
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত জাতীয় লেআউট

জাতীয় কিবোর্ড লেআউট বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত একটি লেআউট, এটিকে প্রমিত লেআউট হিসেবে ধরা হয়।[] এই লেআউটটি বাংলাদেশে অফিসিয়াল লেআউট হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

২০০৪ সালে জাতীয় বাংলা কম্পিউটার কিবোর্ড প্রণয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। উক্ত সময়কালে দেশে একাধিক কিবোর্ড (যেমন: বিজয়, বসুন্ধরা, মুনীর, বর্ণ, লেখনী ইত্যাদি) বিদ্যমান থাকার কারণে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনকল্পে বাংলা কী-বোর্ডের একটি প্রমিত মান নির্ধারণে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দেশে বিদ্যমান বিভিন্ন বাংলা কিবোর্ড পর্যালোচনা করে জাতীয় বাংলা কম্পিউটার কিবোর্ড প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রণীত কিবোর্ডটিকে বিএসটিআই  বাংলা কম্পিউটার কিবোর্ডের জাতীয় মান হিসেবে ঘোষণা করে যা বাংলাদেশ মান BDS 1738:2004 হিসেবে পরিচিত। [] জাতীয় বাংলা কী-বোর্ডে বর্ণ ও চিহ্নসমূহ মোট ৪ টি স্তরে বিন্যাস করা হয়। বহুল ব্যবহৃত বর্ণ, চিহ্ন ও যুক্তাক্ষর ১ম ও ২য় স্তরে বিন্যাস করে অপেক্ষাকৃত কম ব্যবহৃত বর্ণ ও চিহ্নগুলোকে ৩য় ও ৪র্থ স্তরে রাখা হয়।

ইতোমধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা প্রমিতকরণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি বিদ্যমান জাতীয় বাংলা কম্পিউটার কিবোর্ড আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিসিসি আধুনিকায়নের কাজ সম্পাদন করে বিএসটিআইতে প্রেরণ করে যা BDS 1738:2018 হিসেবে অনুমোদন লাভ করে। [] জাতীয় কিবোর্ড ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল উইন্ডোজলিনাক্সের সফটওয়ার উন্নয়ন করে। [১০]

২০১৭ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল জাতীয় কিবোর্ড লেআউটটি সংশোধন করে এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজয় কিবোর্ড লেআউটকে জাতীয় কিবোর্ড লেআউট হিসেবে ঘোষণা করে। [১১]

কোডপত্র কর্তৃক প্রণীত বর্ণ লেআউট

বর্ণ, জায়েদ আহসান সা'দ কর্তৃক উন্নয়নকৃত একটি বাংলা সফটওয়্যার, যা ০৯ নভেম্বর ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। এটা ইউনিকোডের সর্বশেষ ভার্সন সমর্থন করে। এতে ফিক্সড কিবোর্ড লেআউট ছাড়াও ফনেটিক লেআউটের সমর্থন রয়েছে। এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হলো ফিক্সড লেআউটে বাংলা টাইপ করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে শব্দ আন্দাজ করতে পারে।

ইনস্ক্রিপ্ট

[সম্পাদনা]
মাইক্রোসফট কর্তৃক বাংলা ইনস্ক্রিপ্ট লেআউট

এই কিবোর্ড লেআউট কম্পিউটারে একটি ইউনিফর্ম লেআউটসহ সব ইন্ডিক স্ক্রিপ্টে টাইপ করার জন্য নকশা করা হয়েছে। এই লেআউট অফিসিয়ালভাবে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কর্তৃক গৃহীত হয় এবং তাদের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ডিফল্ট রূপে প্রদান করা হয়। এই লেআউটটি প্রধানত ভারতে বেশি জনপ্রিয়।

প্রভাত

[সম্পাদনা]
একুশে কর্তৃক বাংলা প্রভাত লেআউট

একটি মুক্ত ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা ফিক্সড লেআউট। প্রভাত প্রায় সব লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম(গুলি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর কী ম্যাপিং ফোনেটিক প্যাটার্নের অনুরূপ কিন্তু টাইপিং পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে ফিক্সড বা সংশোধিত।

বিজয়

[সম্পাদনা]
মোস্তফা জব্বার কর্তৃক উন্নয়নকৃত বিজয় লেআউট

বিজয় কিবোর্ড এর লেআউটসহ মোস্তফা জব্বারের একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন সফটওয়্যার। বাংলাদেশ কপিরাইট আইন ২০০৫ এর আওতায় এটি লাইসেন্স করা।[১২] বিজয় সফটওয়্যারটি প্রতি কম্পিউটারে ব্যবহার করার জন্য একটি লাইসেন্স ক্রয় করা আবশ্যক। ১৯৯৮ সালে বিজয় কিবোর্ড প্রথম ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় সফওয়্যার এবং ফন্টসহ প্রকাশ করা হয়। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সংস্করণ প্রকাশ করা হয় ১৯৯৩ সালে। এর প্রথম সংস্করণ সম্ভবত ভারতে কোনো ভারতীয় প্রোগ্রামার দ্বারা উন্নয়ন করা হয়। বিজয় কিবোর্ডের পরবর্তী সংস্করণগুলো বাংলাদেশে আনন্দ কম্পিউটার্সের ডেভেলপার দ্বারা উন্নয়ন করা হয়; তাদের মধ্যে অন্যতম মুনিরুল আবেদিন পাপ্পানা যিনি বিজয় ৫.০ এর জন্য কাজ করেছেন, যা বিজয় ২০০০ নামে বেশি পরিচিত।[১৩] বিজয় আসকি-ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা ইনপুট সফটওয়্যার। বিজয় কিবোর্ডের সাথে সরবারহকৃত সফটওয়্যারের মাধ্যমে কিছু স্বরবর্ণ লেখার পদ্ধতি ইউনিকোড থেকে আলাদা। ইউনিকোড ভিত্তিক অভ্র কিবোর্ড আসার আগে পর্যন্ত এটি বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় কিবোর্ড ছিল।

বৈশাখী

[সম্পাদনা]
ভাষা-প্রযুক্তি গবেষণা পরিষদ কর্তৃক বৈশাখী কিবোর্ড।

পশ্চিমবঙ্গের (ভারত) ভাষা-প্রযুক্তি গবেষণা পরিষদ কর্তৃক বৈশাখী কিবোর্ডের উন্নয়ন করা হয়।[১৪] ইউনিকোড সমর্থিত এই কিবোর্ড মূলত বিভিন্ন সরকারি কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া অধিকাংশ লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে বৈশাখী লেআউট অন্তর্ভুক্ত থাকে।

ইউনি গীতাঞ্জলি

[সম্পাদনা]
পুরাতন গীতাঞ্জলি কিবোর্ডের ইউনিকোড ভিত্তিক ইউনি গীতাঞ্জলি রূপ

গীতাঞ্জলি নামের পুরাতন একটি বাংলা লেআউটকে ভাষা-প্রযুক্তি গবেষণা পরিষদ (পশ্চিমবঙ্গ) কর্তৃক ইউনিকোডের জন্য সামঞ্জস্য করে ইউনি গীতাঞ্জলি নামকরণ করা হয়।[১৫] ভারতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে এর ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ইউনি গীতাঞ্জলি অন্তুর্ভুক্ত থাকে।

সায়ক সরকার কর্তৃক দিশা লেআউট

দিশা লেআউট মূলত প্রভাত লেআউটের উপর ভিত্তি করে সায়ক সরকারের উন্নয়নকরা একটি ফোনটিক ধরনের লেআউট।[১৬] অঙ্কুর গ্রুপের প্রস্তাবনায় এই লেআউটকে m17n ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১৭]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Mishra, Umakant (২০ জুলাই ২০১৩)। "10 Inventions on Keyboard key layout: A TRIZ based analysis"arXiv 
  2. Kaufenberg, Cheryl (২২ সেপ্টেম্বর ২০২১)। "Origins of the QWERTY Keyboard"Wisconsin 101 Our History in Objects। ১৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. Edlin, Jim (নভেম্বর ১৯৮২)। "The PC's Keys"PC Magazine। পৃষ্ঠা 175। ৯ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩ 
  4. "যন্ত্রে যন্ত্রে বাংলা"প্রথম আলো। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ১৮ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২২ 
  5. "What We've Lost"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৪-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৭ 
  6. "The m17n Library: Data provided by the m17n database"www.nongnu.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৭ 
  7. Handa, Kenichi (৭ ডিসেম্বর ২০০৫)। "m17n-db - NEWS (Commit log)"index : m17n/m17n-db.git। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ 
  8. "Information Technology (IT) related Bangladesh Standards"বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩ 
  9. "স্ট্যান্ডার্ডস উন্নয়ন"বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। ৬ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩ 
  10. "জাতীয় কিবোর্ড লেআউট সফ্‌টওয়্যার"বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। ২৬ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩ 
  11. "যন্ত্রে যন্ত্রে বাংলা | প্রথম আলো"web.archive.org। ২০২২-০১-১৮। ২০২২-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২১ 
  12. জব্বার, মোস্তফা (নভেম্বর ২০১৫)। বাংলা শব্দ বিন্যাস ও বিজয় নির্দেশিকা। ঢাকা: আনন্দ কম্পিউটার্স। পৃষ্ঠা ২। 
  13. "An amazing journey from Shahid Lipi to Avro"দ্য ডেইলি স্টার। ২০১৯-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৮ 
  14. "Baishakhi Bengali Keyboard - Free | Unicode 6.3 Standard"baishakhi.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৭ 
  15. "Development of Technology and Tools"www.nltr.org। ২০১৮-০৫-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৭ 
  16. "Disha by sayak-sarkar"sayak.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৭ 
  17. "[m17n-list] m17n Based Visual Input System: bn-disha"lists.nongnu.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৭