কিথ স্ল্যাটার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কিথ স্ল্যাটার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামকিথ নিকোল স্ল্যাটার
জন্ম (1936-03-12) ১২ মার্চ ১৯৩৬ (বয়স ৮৮)
মিডল্যান্ড জংশন, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২১২)
৯ জানুয়ারি ১৯৫৯ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫৫ - ১৯৬৮ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৭৪
রানের সংখ্যা ২১৯৮
ব্যাটিং গড় ২১.১৩
১০০/৫০ ০/০ ১/১৩
সর্বোচ্চ রান ১* ১৫৪
বল করেছে ২৫৬
উইকেট ১৪০
বোলিং গড় ৫০.৫০ ৪২.২৯
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৪০ ৪/৩৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/০ ৫০/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল তথ্য
খেলোয়াড়ী জীবন
বছর ক্লাব খেলা (গোল)
১৯৫৫ - ১৯৫৮, ১৯৬০ - ১৯৬৩, ১৯৬৭ সোয়ান ডিস্ট্রিক্টস ১৬৬ (১৯৯)
১৯৬৪ - ১৯৬৬ সুবিয়াকো ৫২ (?)
প্রতিনিধিত্বমূলক দলে অংশগ্রহণ
বছর দল খেলা (গোল)
১৯৫৬ - ১৯৬৭ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ২০ (১৬)
কোচিংয়ে অংশগ্রহণ
বছর ক্লাব খেলা (জ-প-ড্র)
১৯৬৪ - ১৯৬৬ সুবিয়াকো ৬৪ (২৭-৩৫-২)
১৯৬৭ শেষে খেলোয়াড়ী পরিসংখ্যান সঠিক
রাজ্য ও আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান ১৯৬৭ অনুযায়ী সঠিক।
কোচিং পরিসংখ্যান ১৯৬৬ অনুযায়ী সঠিক।
খেলোয়াড়ী জীবনের উল্লেখযোগ্য দিক
  • ১৯৬১, ১৯৬২, ১৯৬৩ - ডব্লিউএএনএফএল প্রিমিয়ারশীপ
  • ১৯৬১ – সিম্পসন পদক
  • শতাব্দীর সেরা সোয়ান ডিস্ট্রিক্টস দল
উৎস: অস্ট্রেলিয়ানফুটবল.কম

কিথ নিকোল স্ল্যাটার, এএম (ইংরেজি: Keith Slater; জন্ম: ১২ মার্চ, ১৯৩৬) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মিডল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ডব্লিউএএফএল খেলোয়াড়। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে শীর্ষসারিতে ব্যাটিং করতেন কিথ স্ল্যাটার

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৯৫৫-৫৬ মৌসুম থেকে ১৯৬৭-৬৮ মৌসুম পর্যন্ত কিথ স্ল্যাটারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। কিথ স্ল্যাটার বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অল-রাউন্ডার ছিলেন। সময়ের প্রয়োজনে অফ স্পিন কিংবা মিডিয়াম-পেস সিম বোলিং করতে পারতেন তিনি। ব্যাটিংয়েও বেশ ভালো ছিলেন। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিক পর্যন্ত এ ধারা বহমান ছিল তার।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন কিথ স্ল্যাটার। ৯ জানুয়ারি, ১৯৫৯ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করলেও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৪টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। অল-রাউন্ডার ছিলেন তিনি। তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং ভঙ্গীমার বিষয়ে সন্দেহ থাকায় তার খেলোয়াড়ী জীবন সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ১৯৬১ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে দলে রাখা হয়নি। যদিও তাকে রাখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল দল নির্বাচকমণ্ডলী। ফলে, ১৯৫৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজে এক টেস্টে অংশগ্রহণের পর আর কোন টেস্টে যুক্ত হয়নি তাকে। দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতি ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, ইম্পেরিয়াল ক্রিকেট কনফারেন্সের নীতি বাস্তবায়নে কোন ধরনের সন্দেহযুক্ত বোলারকে বাদ দিতে হবে। ঐ সময়ে বিষয়টি বেশ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হতো। পরবর্তীতে তিনি তার বোলিংশৈলীর ভিডিও চিত্র দেখান।[১] এছাড়াও, ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে খেলাকালীন বল ছোঁড়ার দায়ে অভিযুক্ত হন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল খেলায়ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন কিথ স্ল্যাটার। কিথ স্ল্যাটার সোয়ান ডিস্ট্রিক্টস ও সুবিয়াকোর তারকা ফুটবলার ছিলেন। ১৯৬১ সালের ডব্লিউএএনএফএল প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনালে সোয়ানের সদস্যরূপে ইস্ট পার্থের মুখোমুখি হন। অনবদ্য ক্রীড়াশৈলী উপহার দিয়ে অপ্রত্যাশিত বিজয়ে অর্জনের পাশাপাশি সিম্পসন পদক জয় করেন।[২] পরবর্তী দুই মৌসুমেও সোয়ান্সের পক্ষে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। এরপর, ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত সুবিয়াকো দলে খেলেন। ঐ সময়ে দলটি শেষের দুই স্থানে অবস্থানে করতো। দুইটি ব্যর্থ মৌসুম অতিবাহনের পর দলের সভাপতি ফ্রাঙ্ক এক্সেল তাকে অধিনায়ক-কোচের দায়িত্ব দেন।[৩] ১৯৬৭ সালে সোয়ান ডিস্ট্রিক্টসে ফিরে আসেন। তবে, পরের মৌসুমেই খেলার জগৎ থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Coverdale, Brydon (মে ২৩, ২০১৬)। "Brydon Coverdale meets Keith Slater, who played an Ashes Test in 1959"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ মে ২৪, ২০১৬ 
  2. Devaney, John; Full Points Footy’s WA Football Companion; p. 293. আইএসবিএন ৯৭৮০৯৫৫৬৮৯৭১০
  3. Spillman, Ken; Diehards: The Story of the Subiaco Football Club 1946–2000, p. 99. আইএসবিএন ০৯৫৭৮১৮৫০৫

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]