কিউ উদ্যান
কিউ উদ্যান | |
---|---|
![]() কিউ উদ্যানের পাম ভবন ও এর আশেপাশের দৃশ্য | |
![]() | |
ধরন | উদ্ভিদতাত্বিক |
অবস্থান | লন্ডন বরো অব রিচমন্ড আপন টেমস, ইংল্যান্ড |
স্থানাঙ্ক | ৫১°২৮′৪৪″ উত্তর ০০°১৭′৩৭″ পশ্চিম / ৫১.৪৭৮৮৯° উত্তর ০.২৯৩৬১° পশ্চিম |
আয়তন | ১২১ হেক্টর (৩০০ একর) |
খোলা হয় | ১৭৫৯ |
পরিদর্শক | প্রতি বছর ১৩.৫ লাখের বেশি |
প্রজাতি | > ৫০,০০০ |
পাবলিক ট্রানজিট এক্সেস | ![]() ![]() |
ওয়েবসাইট | www |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ |
মানদণ্ড | সাংস্কৃতিক: (ii), (iii), (iv) |
সূত্র | 1084 |
তালিকাভুক্তকরণ | ২০০৩ (২৭তম সভা) |
আয়তন | ১৩২ ha (৩৩০ একর) |
নিরাপদ অঞ্চল | ৩৫০ ha (৮৬০ একর) |

কিউ উদ্যান হলো দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনে অবস্থিত একটি উদ্ভিদ উদ্যান, যেখানে “পৃথিবীতে উদ্ভিদ ও ছত্রাকের সবচেয়ে বড় ও সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা” অবস্থিত।[১] ১৭৫৯ সালে রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউয়ের তত্ত্বাবধানে কিউ পার্কে ভিনদেশীয় উদ্ভিদ নিয়ে এই উদ্যানটি গড়ে তোলা হয়। বর্তমানে এই উদ্যানে ২৭,০০০-এর অধিক জীবিত প্রজাতি[২] এবং উদ্যানের অভ্যন্তরে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ হার্বেরিয়ামে প্রায় ৮৫ লক্ষাধিক উদ্ভিদ ও ছত্রাকের নমুনা সংরক্ষিত আছে।[৩] উদ্যানে অবস্থিত গ্রন্থাগারে ৭.৫ কোটির অধিক বই এবং চিত্রশালায় ১,৭৫,০০০-এর অধিক মুদ্রিত ও হাতে আঁকা চিত্র রয়েছে। এটি লন্ডনের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন স্থান এবং ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের অন্যতম।[৪][৫]
আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ এই কিউ উদ্যান এবং সাসেক্সে অবস্থিত ওয়েকহার্স্ট উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। প্রায় ১,১০০ কর্মচারীর এই সংস্থাটি যুক্তরাজ্যের পরিবেশ, খাদ্য ও পল্লীবিষয়ক বিভাগ কর্তৃক অর্থায়িত অবিভাগীয় সরকারি সংস্থা।[৬]
১৭৫৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কিউ উদ্যানের যাত্রা শুরু হয়।[৭] তবে এর পূর্বে এই স্থানে টিউক্সবারির হেনরি, লর্ড ক্যাপেল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বৈদেশিক উদ্ভিদসমৃদ্ধ একটি বাগানের অস্তিত্ব ছিল বলে জানা যায়। বর্তমানে ১৩২ হেক্টর (৩৩০ একর)[৮] আয়তনের আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে বাগান ও উদ্ভিদবৈজ্ঞানিক কাচঘর, চারটি ১ম শ্রেণির তালিকাভুক্ত ভবন ও ৩৬টি ২য় শ্রেণির তালিকাভুক্ত স্থাপনা বিরাজমান রয়েছে।[৯] কিউ উদ্যান ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক উদ্যান ও বাগানের তালিকায় ১ম শ্রেণির উদ্যান হিসেবে তালিকাভুক্ত।[১০]
কিউ উদ্যানের কিউ কনস্ট্যাবুলারি নামে একটি স্বতন্ত্র পুলিশবাহিনী রয়েছে, যা ১৮৪৫ সাল থেকে উদ্যানের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।[১১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]
লন্ডনের কিউ এলাকাটি প্রধানত কিউ উদ্যান ও এর তৎসংলগ্ন কিছু আবাসিক এলাকা নিয়ে গঠিত।[১২] এই এলাকায় রাজকর্মচারীদের আবাসস্থল তৈরির সূচনা ঘটে যখন ১২২৯ সালে ইংলান্ডের রাজা প্রথম এডওয়ার্ড পার্শ্ববর্তী রিচমন্ডের (তৎকালে শিন নামে পরিচিত ছিল) একটি জমিদারবাড়িতে তার কাচারি স্থাপন করেন। এই রাজকর্মচারীদের অবস্থান পরবর্তীতে কিউ উদ্যানের অবকাঠামো তৈরিতে মূল ভূমিকা পালন করবে।[১২] একসময় ঐ কাচারিঘরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। তবে ১৫০১ সালে রাজা সপ্তম হেনরি শিনে রিচমন্ড প্রাসাদ নামে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন, যা পরবর্তীতে তার স্থায়ী রাজকীয় আবাস হিসেবে গণ্য হবে।[১৩][১৪][১৫] ১৬শ শতাব্দীতে রিচমন্ড প্রাসাদের কর্মচারীরা কিউয়ে স্থায়ীভাবে আবাস স্থাপন করেন এবং বিশালাকার বাসভবন নির্মাণ করতে থাকেন।[১২] কিউয়ের আদি বাসিন্দাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মেরি টিউডর। ১৫২২ নাগাদ তার বাড়িতে এখানে ছিল। এরপরে সেই স্থানে রিচমন্ড প্রাসাদকে সংযুক্ত করার জন্য সড়ক নির্মাণ করা হয়।[১২] ১৬০০ সাল নাগাদ কিউ উদ্যানের স্থানটি “কিউ মাঠ” নামে পরিচিত ছিল। নতুন নতুন বেসরকারি মালিকানায় এখানে চাষবাস করা হতো।[১৬][১৭]
কিউ উদ্যানের স্থানে টিউক্সবারির প্রথম ব্যারন ক্যাপেল কর্তৃক বৈদেশিক উদ্ভিদসমৃদ্ধ একটি বাগান তৈরি করার পর প্রিন্স অব ওয়েলস ফ্রেডরিকের বিধবা স্ত্রী ডোয়েজার প্রিন্সেস অব ওয়েলস অগাস্টা বাগানটিকে ব্যাপকভাবে বর্ধিত করেন। ১৭৭২ সালে রিচমন্ড ও কিউয়ের রাজকীয় ভূ-সম্পত্তি একীভূত করে কিউ উদ্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।[১৮] উইলিয়াম চেম্বার্স বাগানের অনেক স্থাপনার নির্মাণ করেন। ১৭৬১ সালে তিনি উচ্চাভিলাষী মহাপ্যাগোডার নির্মাণ করেন, যা অদ্যাবধি সেখানে রয়েছে। তৃতীয় জর্জ বাগানকে আরও সমৃদ্ধ করেন। উইলিয়াম এইটন ও স্যার জোসেফ ব্যাংকস এই কাজে তাকে সহায়তা করেন।[১৯] তৎকালে “হোয়াইট হাউজ” নামে পরিচিত পুরনো কিউ উদ্যানটি ১৮০২ সালে ভেঙে ফেলা হয়। তৃতীয় জর্জ ১৭৮১ সালে উদ্যান সংলগ্ন “ডাচ হাউজ” ক্রয় করে রাজপরিবারের শিশুদের জন্য নার্সারি প্রতিষ্ঠা করেন। সাধারণ ইটের তৈরি এই ভবনটি কিউ প্রাসাদ নামে পরিচিত।
দি এপিকিউর'স অ্যালমানাক-এ ১৮১৫ সালে কিউ উদ্যানের সীমানা দেয়ালের একটি বর্ণনা পাওয়া যায়: “ড্রিয়ারি লেন, যা রিচমন্ড পর্যন্ত যায়, তা ধরে এগিয়ে গেলে, কিউ উদ্যানের পূর্ব সীমানার দেয়ালের দেখা পাওয়া যায়, যা লম্বায় প্রায় এক মাইল লম্বা। এই মরা দেয়াল একসময় পথচারীদের জন্য বিরক্তিকর আর ক্লান্তিকর ছিল। এরপর তিরস্কৃত এক পঙ্গু নাবিক কয়েক বছর আগে চক দিয়ে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সমস্ত যুদ্ধজাহাজের চিত্র এঁকে এই দেয়ালকে জীবনদান করেছেন। তিনি প্রতি বছর তার জাহাজের শিল্প পুনরুদ্ধারে আসেন এবং রিচমন্ড থেকে আসা-যাওয়া করা পথচারীদের থেকে তার খাদ্যের জন্য অন্নের সংস্থান করে।”[২০]
উদ্যানের শুরুর দিককার কিছু কিছু গাছ উত্তর ওকেনডন অবস্থিত স্টাবার্সের প্রাচীরবেষ্টিত বাগান থেকে আনা হয়েছিল।[২১] ১৭৭১ সালে প্রধান সংগ্রাহক হিসেবে ফ্রান্সিস ম্যাসনের নিযুক্তির পূর্ব পর্যন্ত উদ্যানের উদ্ভিদের সংগ্রহশালায় নতুন উদ্ভিদ আনার কাজ এলোমেলোভাবে হচ্ছিল।[২২] ইংল্যান্ডের সবচেয়ে পরিচিত নিসর্গ স্থপতি ক্যাপাবিলিটি ব্রাউন কিউয়ের প্রধান বাগানি পদে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কিউ কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করে।[২৩]
১৮৪০ সালে কিউ উদ্যানকে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর পেছনে বৃহৎ অংশে রয়েল হর্টিকালচার সোসাইটি এবং এর সভাপতি উইলিয়ান ক্যাভেনডিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।[২৪] কিউয়ের পরিচালক উইলিয়াম জ্যাকসন হুকারের অধীনে বাগানের আয়তন ৩০ হেক্টর (৭৪ একর) পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। একইসাথে প্লেজার গ্রাউন্ড বা আর্বোরেটামের আয়তন প্রথমে ১০৯ হেক্টর (২৭০ একর) ও পরবর্তীতে ১২১ হেক্টর (৩০০ একর) পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, যা এর বর্তমানের আয়তনের সমান। কিউয়ের প্রথম কিউরেটর ছিলেন জন স্মিথ।
১৮৪৪ থেকে ১৮৪৮ সালের মধ্যে স্থপতি ডেসিমাস বার্টন ও লোহার কারিগর রিচার্ড টার্নার কিউ উদ্যানের পাম ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন। এটি ছিল বৃহৎ পরিসরে নির্মাণকাজে পেটা লোহার প্রথম ব্যবহার। এই ভবনটিকে “এখন পর্যন্ত টিকে থাকা ভিক্টোরীয় যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাচ ও লোহার অবকাঠামো” হিসেবে গণ্য করা হয়।[২৫][২৬] এই অবকাঠামোর কাচের পাতগুলো হাত দিয়ে জুড়ানো। এরপর ১৯শ শতাব্দীতে পাম ভবনের দ্বিগুণ আয়তনের নাতিশীতোষ্ণ ভবন নির্মাণ করা হয়। এটি ভিক্টোরীয় যুগে নির্মিত ও এখন পর্যন্ত টিকে থাকা সবচেয়ে বড় কাচনির্মিত ঘর। ১৯শ শতাব্দীতে কিউ উদ্যানেই দক্ষিণ আমেরিকার বাইরে প্রথমবারের মতো সফলভাবে রাবার বৃক্ষ রোপণ করা হয়।
১৯১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লন্ডনে ধারাবাহিক অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সুফ্রাগেট আন্দোলনকর্মী অলিভ হোয়্যারি ও লিলিয়ান লেন্টন কিউ উদ্যানের চাঘরে অগ্নিসংযোগ করেন।[২৭]
১৯৮৭ সালের মহাঘূর্ণিঝড়ে কিউ উদ্যানের শত শত উদ্ভিদের ক্ষয়ক্ষতি ঘটে।[২৮]
১৯৫৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কিউ উদ্যানে ব্রিটেনের সবচেয়ে উঁচু পতাকাদণ্ড অবস্থিত ছিল। কানাডা থেকে উপহারস্বরূপ আসা দণ্ডটি একটিমাত্র ডগলাস ফির উদ্ভিদের কাণ্ড থেকে প্রস্তুত করা হয়েছিল। কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া অঙ্গরাজ্যের একশত বছর পূর্তি এবং কিউ উদ্যানের দ্বিশত বছর পূর্তি উপলক্ষে এই পতাকাদণ্ডটি স্থাপন করা হয়েছিল। আবহাওয়া ও কাঠঠোকরার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পতাকাদণ্ডটি বিপজ্জনক অবস্থায় উপনীত হওয়ার পরে সরিয়ে ফেলা হয়।[২৯]
২০০৩ সালের জুলাই মাসে ইউনেস্কো কিউ উদ্যানকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।[৭]
৪১ মিলিয়ন পাউন্ড খরচে উদ্যানের নাতিশীতোষ্ণ ভবনের সংস্কারকাজ ২০১৮ সালের মে মাসে সম্পন্ন হয়।[৩০]
১৭৬২ সালে উদ্যানের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচটি উদ্ভিদ জীবিত অবস্থায় টিকে রয়েছে। এদেরকে একত্রে “পঞ্চ সিংহ” বলা হয়। উদ্ভিদগুলো হলো: গিংকো (গিংকো বাইলোবা), প্যাগোডা বা পণ্ডিত গাছ (স্টিফনোলোবিয়াম জ্যাপোনিকাম), চিনার (প্ল্যাটানাস অরিয়েন্টালিস),[৩১] কালো পঙ্গপাল বা ছদ্ম আকাশি (রবিনিয়া সিউডোঅ্যাকাশিয়া) এবং ককেশীয় জেলকভা (জেলকভা কার্পিনিফোলিয়া)।[৩২][৩৩]
স্থাপনা
[সম্পাদনা]গাছের উপর হাঁটাপথ
[সম্পাদনা]২০০৮ সালে গাছের উপর দিয়ে একটি হাঁটাপথ নির্মাণ করা হয়।[৩৪] উদ্ভিদবেষ্টিত এলাকায় ১৮ মিটার (৫৯ ফুট) উঁচুতে অবস্থিত এই হাঁটাপথটি ২০০ মিটার (৬৬০ ফুট) লম্বা। হাঁটাপথে দর্শনার্থীদের চরার জন্য একটি লিফট রয়েছে। হাঁটাপথের মেঝে ছিদ্রযুক্ত ধাতুর পাত দিয়ে তৈরি। হাঁটার সময় এতে মুড়মুড়ে শব্দ উৎপন্ন হয় এবং বাতাসে পথটি সামান্য দোদুল্যমান থাকে। স্থপতি ডেভিড মার্কস এটির নির্মাণ করেন।[৩৫]
আনুষঙ্গিক একটি ছবিতে হাঁটাপথের একটি অংশ দেখা যায়। হাঁটাপথে ইস্পাতের তৈরি স্তম্ভগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে মরিচা পড়ার ফলে তা দেখতে অনেকটা গাছের কাণ্ডের মতো মনে হয় এবং আশেপাশের পরিবেশের সাথে মিশে যায়।[৩৬]
হাঁটাপথের নির্মাণকাজের বিস্তারিত বর্ণনাসহ শর্টভিডিও অনলাইনে পাওয়া যায়।[৩৭]
হ্রদ পারাপারের সেতু
[সম্পাদনা]গ্রানাইট পাথর ও ব্রোঞ্জে তৈরি হ্রদ পারাপারের সেতুটি ২০০৬ সালের মে মাসে নির্মাণ করা হয়।[৩৮] বুরো হাপল্ড ও জন পসন এটির নকশা করেন। পূর্বে ড. মর্টিমার ও থেরেসা স্যাকলারের স্মৃতিতে সেতুটির নামকরণ করা হয়েছিল।[৩৯]
মিনিমালিস্ট শৈলীতে কালো গ্রানাইট পাথরে প্রসারিত দুইটি বাঁক দিয়ে সেতুটির নকশা করা হয়। সেতুর পাশের দিক ব্রোঞ্জের খুঁটি দিয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে সেতুটি একটিমাত্র নিরেট দেয়ালের তৈরি বলে মনে হয়। এছাড়া অন্য দৃষ্টিকোণ ও সেতুর উপর থেকে দেখলে প্রতিটি ব্রোঞ্জের খুঁটি আলাদাভাবে দৃশ্যমান হয় এবং সেতুর উপর থেকে খুঁটির ফাঁক দিয়ে এর তলদেশে প্রবাহিত পানির দৃশ্য দেখা যায়।[৩৮]
সেতুটি দর্শনার্থীদের বাগান পরিদর্শনে উৎসাহিত করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণের পর থেকে সেতুটি দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেতুটি নাতিশীতোষ্ণ ও বিবর্তন ভবন হয়ে মিনকা ভবন ও বাঁশবাগানের দিকে দুইটি শিল্প প্রদর্শনী কক্ষকে সংযুক্ত করে।[৪০]
সেতুটি ২০০৮ সালে রয়েল ইনস্টিটিউট অব ব্রিটিশ আর্কিটেক্টস থেকে বিশেষ পুরস্কার লাভ করে।[৪১]
দ্য হাইভ
[সম্পাদনা]২০১৬ সালে নির্মাণ করা দ্য হাইভ হলো মৌমাছিদের অনন্যসাধারণ জীবনকে উদ্দেশ্য করে বানানো একটি বহু-সংবেদী অভিজ্ঞতা প্রদানকারী ভাস্কর্য। ওয়াইল্ডফ্লাওয়ার মিডো নামে পরিচিত একটি স্থানে স্থাপিত ভাস্কর্যটির উচ্চতা ১৭ মিটার (৫৬ ফুট)। ব্রিটিশ শিল্পী উল্ফগ্যাং বাট্রেস দ্য হাইভের নকশা করেন। মূলত কয়েক হাজার অ্যালুমিনিয়ামের টুকরা একত্রে করে মৌচাকের আকৃতিতে দ্য হাইভ ভাস্কর্যটির নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সাময়িক প্রদর্শনীর জন্য দ্য হাইভ নির্মাণ করা হলেও পরবর্তীতে এর জনপ্রিয়তা বিবেচনায় কিউ উদ্যানে একে স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছে।[৪২]
যানবাহনে ভ্রমণ
[সম্পাদনা]“কিউ এক্সপ্লোরার” নামে একটি সেবার মাধ্যমে চক্রাকার পথে ৭২ আসনবিশিষ্ট লাইনবিহীন ট্রেনের মাধ্যমে উদ্যানের মধ্যে পরিভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। ট্রেনের চালক পর্যটকদের বিভিন্ন জায়গায় থামিয়ে থামিয়ে উদ্যানের বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে থাকেন।[৪৩]
কিউ উদ্যানের ওয়েবসাইটে উদ্যানটির একটি বিস্তারিত মানচিত্র পাওয়া যায়।[৪০]
জৈবসারের স্তূপ
[সম্পাদনা]কিউ উদ্যানে ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ জৈবসারের স্তূপ অবস্থিত। কিউ উদ্যানের বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ আবর্জনা এবং হাউজহোল্ড ক্যাভালরি থেকে আগত ঘোড়ার বিষ্ঠাকে এখানে সারে রূপান্তর করা হয়।[৪৪] এখানে প্রস্তুতকৃত জৈবসার মূলত উদ্যানের বাগানেই ব্যবহার করা হয়। তবে সময়ে সময়ে উদ্যানের প্রয়োজনে তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে জৈবসারের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।[৪৫]
জৈবসারের স্তূপের এলাকাটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়।[৪৪] তবে মহামান্য রাজার রাজস্ব ও শুল্ক (এইচএমআরসি) বিভাগ কর্তৃক জব্দ করা অবৈধ কাঠ দিয়ে একটি মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখান থেকে দাঁড়িয়ে দর্শনার্থীরা জৈবসার তৈরির প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।[৪৫]
নির্দেশিত হাঁটাপথ
[সম্পাদনা]উদ্যানের দর্শনার্থীদের ভ্রমণে সহায়তার জন্য একদল প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী উদ্যানে নিয়োজিত রয়েছেন।[৪৬]
বিশেষায়িত উদ্ভিদ ভবন
[সম্পাদনা]আলপাইন ভবন
[সম্পাদনা]২০০৬ সালের মার্চ মাসে ড্যাভিস আলপাইন ভবন খুলে দেওয়া হয়, যা ১৮৮৭ সালের পর ভবনটির তৃতীয় সংস্করণ। ভবনটি দৈর্ঘ্যে মাত্র ১৬ মিটার (৫২ ফুট) লম্বা হলেও ধনুকাকৃতির ছাদ সর্বোচ্চ ১০ মিটার (৩৩ ফুট) পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ফলে প্রাকৃতিকভাবে ভবনের মধ্যে বাতাস চলাচলের সুবিধা হওয়ায় আলপাইন জাতীয় গাছের জন্য প্রয়োজনীয় আবহাওয়াগত বৈশিষ্ট্য বজায় রাখা সম্ভব হয়।
নবনির্মিত ভবনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত খড়খড়ি-জাতীয় বাতাস চলাচল প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গরমের দিনে সূর্যের তাপ ভবনের বৃক্ষরাজির জন্য উপযুক্ত না হলে এই স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া সচল হয় এবং একই সাথে গাছের উপরে শীতল বাতাস প্রবাহিত হয়। তবে এই নকশার ভবনের মূল লক্ষ্য ছিল আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। ফলে এই ভবন নির্মাণে নিম্ন লোহার ঘনত্ববিশিষ্ট বিশেষ ধরনের কাচ ব্যবহার করা হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে সূর্যের আলোর ৯০% অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশ করতে পারে। কাচগুলো টানটান করে লাগানো লোহার তারের সাথে যুক্ত করার ফলে কাচের সংযোগস্থলে তুলনামূলক কম আলো বাধাগ্রস্ত হয়।
শক্তির অপচয় রোধে ভবনের বায়ুপ্রবাহকে শীতলীকরণ করার পরিবর্তে বাতাসকে নল দিয়ে তৈরি বিশেষ ব্যবস্থায় মাটির নির্দিষ্ট গভীরতা দিয়ে পরিচালনা করা হয়, যেখানে সারা বছর তাপমাত্রা মোটামুটি স্থিতিশীল থাকে। ভবনটিকে এমনভাবে নকশা করা হয়েছে, যাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৬৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)-এর নিচে থাকে।
কিউ উদ্যানে থাকা আলপাইন উদ্ভিদের সংখ্যা (সংজ্ঞানুসারে যেসকল উদ্ভিদ বৃক্ষরেখার বাইরে মাটি থেকে ২,০০০ মিটার (৬,৫৬২ ফুট) উঁচুতে জন্মে) ৭০০০-এর অধিক। আলপাইন ভবনে একসাথে শুধুমাত্র ২০০ গাছ প্রদর্শন করার সীমাবদ্ধতা থাকায়, প্রদর্শনীতে দেখানোর গাছগুলো সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়।
ন্যাশ সংরক্ষণাগার
[সম্পাদনা]
শুরুতে বাকিংহাম প্রাসাদের জন্য নকশা করা হলেও ১৮৩৬ সালে রাজা চতুর্থ উইলিয়াম এই ভবনটিকে কিউয়ে স্থানান্তর করেন। ভবনটি পূর্বে “অ্যারয়েড ভবন নং ১” নামে পরিচিত ছিল এবং আরেকাসিয়াই জাতীয় উদ্ভিদ প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহৃত হতো। ১৯৫০ সাল থেকে ভবনটি ২য়* শ্রেণির ভবন হিসেবে তালিকাভুক্ত।[৪৭] খোলামেলা পরিবেশের কারণে ভবনটি বর্তমানে বিভিন্ন প্রদর্শনী, বিয়ে ও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও ছবি তোলার প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের ছবি প্রদর্শনীর জন্যও এই ভবনটি ব্যবহৃত হয়।
অরেঞ্জারি
[সম্পাদনা]স্যার উইলিয়াম চেম্বার্স কিউয়ের অরেঞ্জারির[৪৮] নকশা করেন। ১৭৬১ সালে এর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়। ভবনটি ২৮ বাই ১০ মিটার (৯২ বাই ৩৩ ফুট) আয়তনের উপর প্রতিষ্ঠিত। পরবর্তীতে দেখা যায়, ভবনটি সাইট্রাস জাতীয় উদ্ভিদ উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে ১৮৪১ সালে সাইট্রাস উৎপাদনকেন্দ্রকে ভবনের বাইরে স্থানান্তর করা হয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের পর বর্তমানে ভবনটি রেস্তোরাঁ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
পাম ভবন
[সম্পাদনা]

স্থপতি ডেসিমাস বার্টন ও লোহার কারিগর রিচার্ড টার্নারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় ১৮৪৪ থেকে ১৮৪৮ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়।[৪৯] অদ্যাবধি ভবনটি জন ক্লডিয়াস লডন[৫০][৫১] ও জোসেফ প্যাক্সটন কর্তৃক উদ্ভাবিত কাচঘর নির্মাণের মূলনীতি অনুসরণ করে চলে।[৫১] প্রিস্ট্রেসড তারযুক্ত আনুভূমিকভাবে অবস্থিত নলাকার কাঠামো পেটা লোহার তৈরি স্পেস ফ্রেমকে ধরে রাখে।[৫১][৫২] এই কাঠামোটি ভবনের কাচের দেয়ালকে ধরে রাখে, যা প্রাথমিকভাবে[৪৯] হালকা সবুজ রঙের হওয়ায় কপার অক্সাইডযুক্ত হওয়ায় কাচঘরের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্যভাবে তাপমাত্রা হ্রাস করে। ভবনের মধ্যভাগ ১৯ মিটার (৬২ ফুট) উঁচু। এই অংশে ভূমি থেকে ৯ মিটার (৩০ ফুট) উচ্চতায় একটি হাঁটাপথ রয়েছে। এখান থেকে ভবনের পামগাছগুলো শীর্ষমুকুট পর্যবেক্ষণ করা যায়। পাম ভবনের সম্মুখে পূর্ব দিকে ঢালধারী দশটি প্রাণীর ভাস্কর্য রয়েছে। এগুলোকে দ্য কুইন'স বিস্টস বলা হয়। কিউ উদ্যানে রক্ষিত এই ভাস্কর্যগুলো জেমস উডফোর্ড পোর্টল্যান্ড পাথরে আসল কুইন'স বিস্টস-এর প্রতিকৃতি হিসেবে তৈরি করেছিলেন। ১৯৫৮ সাল থেকে কিউ উদ্যানে এই ভাস্কর্যগুলো অবস্থিত।[৫৩]
পাম ভবনের ভেতরে উত্তপ্ত করার জন্য দুইটি কয়লা দ্বারা প্রজ্জ্বলিত চুল্লি ব্যবহৃত হতো। এতে ১০৭ ফুট (৩৩ মিটার) উচ্চতার চিমনি “শ্যাফট অব দ্য গ্রেট পাম-স্টোভ” রয়েছে। ভিক্টোরিয়া ফটকের কাছে অবস্থিতি চিমনিটি বর্তমানে “ক্যাম্পানিল” নামে পরিচিত। সুড়ঙ্গপথে মানবচালিত হালকা রেলগাড়িতে করে ভবনে কয়লা আনা হতো। সুড়ঙ্গপথটি চুল্লির নির্গমনালী বা ফ্লু হিসেবে কাজ করতো। কিন্তু সুড়ঙ্গপথের দূরত্ব বেশি থাকায় এর কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় দেখা যায়। পরবর্তীতে চুল্লিতে দুইটি দুইটি ছোট চিমনি সংযুক্ত করা হয়। ১৯৫০ সালে রেলপথটিকে বৈদ্যুতায়ন করা হয়। চিমনি দুইটি এখনও বিদ্যমান এবং ২য় শ্রেণির ভবন হিসেবে তালিকাভুক্ত। বর্তমানে চিমনি দুইটির নিকটে অবস্থিত একটি তেলচালিত চুল্লিতে পানি গরম করে সুড়ঙ্গপথে পাম ভবনে সরবরাহ করা হয়।[৫৪]
প্রিন্সেস অব ওয়েলস সংরক্ষণাগার
[সম্পাদনা]
প্রিন্সেস অব ওয়েলস সংরক্ষণাগার হলো কিউ উদ্যানের তৃতীয় বৃহত্তম সংরক্ষণাগার। গর্ডন উইলসন এর নকশা করেন। ১৯৮৭ সালে ডায়ানা, প্রিন্সেস অব ওয়েলস তার পূর্বসূরি অগাস্টার সাথে কিউ উদ্যানের সম্পর্কের স্মরণে এর উদ্বোধন করেন।[৫৫] ২৬টি ছোট ছোট ভবন ভেঙে এই একটি ভবন নির্মাণ করা হয়।[৫৬] ১৯৮৯ সালে সংরক্ষণাগারটি সংরক্ষণ কাজের জন্য ইউরোপা নস্ট্রা পুরস্কার লাভ করে।[৫৭] ভবনটি কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত দশটি জলবায়ু অঞ্চলের অনুরূপ আবহাওয়াগত অংশ রয়েছে। ভবনের একটি বড় অংশ শুষ্ক ক্রান্তীয় ও আর্দ্র ক্রান্তীয় অঞ্চলের উদ্ভিদ দ্বারা পূর্ণ। ভবনের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন অর্কিড, শাপলা-জাতীয় উদ্ভিদ, ক্যাকটাস, লিথপস, বিভিন্ন মাংসাশী উদ্ভিদ ও ব্রোমেলিয়াসিয়াই-জাতীয় উদ্ভিদ রয়েছে। সংরক্ষণাগারের ক্যাকটাসের সংগ্রহ শুধু ভবনের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়। ভবনের বাইরেও কিছু প্রতিকূলতা-সহিষ্ণু ক্যাকটাস গাছ রোপণ করা হয়েছে।
সংরক্ষণাগারের মোট আয়তন ৪,৪৯৯ বর্গমিটার (৪৮,৪৩০ বর্গফুট; ০.৪৪৯৯ হেক্টর; ১.১১২ একর)। ভবনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে, যেন ভবনটি পরিচালনায় কম শক্তির প্রয়োজন হয়। ভবনের শীতল কক্ষগুলো ভবনের বাইরের দিকে গুচ্ছাকারে অবস্থিত। ভবনের মাঝখানের অংশে উষ্ণতা আটকে পড়ায়, এই অংশে নাতিশীতোষ্ণ কক্ষগুলো অবস্থিত। ভবনের কাচের দেয়াল মাটির গভীর পর্যন্ত প্রশস্ত হওয়ায়, ভবনটির কাঠামো অনন্য এবং এটি একইসাথে সর্বাধিক পরিমাণ সূর্যের আলোর ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে।
সংরক্ষণাগারের নির্মাণের সময় একটি টাইম ক্যাপসুল মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে। এতে প্রয়োজনীয় ও অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য ও বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ এবং সংরক্ষণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা রয়েছে।[৫৭]
নাতিশীতোষ্ণ ভবন
[সম্পাদনা]
নাতিশীতোষ্ণ ভবন আয়তনের দিক থেকে পাম ভবনের দ্বিগুণ। সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ থাকার পর ২০১৮ সালের মে মাসে সংরক্ষণাগারটি পুনরায় খুলে দেওয়া হয়। এটি এখন পর্যন্ত টিকে থাকা ভিক্টোরীয় যুগের সবচেয়ে পুরনো কাচঘর। পৃথিবীর নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের উদ্ভিদ ও বৃক্ষ এখানে রয়েছে। এদের মধ্যে কোনো কোনোটি অত্যন্ত দুর্লভ। ১৮৫৯ সালে অনুমোদনের পর স্থপতি ডেসিমাস বার্টন ও লোহার কারিগর রিচার্ড টার্নার ভবনটির নকশা করেন। ৪৮৮০ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট ভবনটির সর্বোচ্চ উচ্চতা ১৯ মিটার (৬২ ফুট)। কিউ উদ্যানের সহনশীল ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের উদ্ভিদের ক্রমবর্ধমান সংগ্রহগুলোকে স্থান দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ভবনটি নির্মাণে প্রায় ৪০ বছর সময় লাগে। এই সময়ে ভবনের নির্মাণব্যয় প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পায়। ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ভবনটি সংস্কারের জন্য কিছুদিন বন্ধ থাকে। এরপর ২০১৪–১৮ সালে পুনরায় ভবনটি সংস্কার করা হয়। এই দফায় ডোনাল্ড ইনস্যাল অ্যাসোসিয়েটস তাদের সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা অনুযায়ী সংস্কারকাজ সম্পন্ন করে।[৫৮]
ভবনের মধ্যভাগে দর্শনার্থীদের জন্য একটি পর্যবেক্ষণ কক্ষ রয়েছে। এখান থেকে দর্শনার্থীরা নিচে ভবনটিতে সংরক্ষিত উদ্ভিদসমূহ দেখতে পারেন।
শাপলা ভবন
[সম্পাদনা]
কিউ উদ্যানের ভবনগুলোর মধ্যে শাপলা ভবন সবচেয়ে উষ্ণ ও আর্দ্র। ভবনটিতে বিভিন্ন শাপলা-জাতীয় উদ্ভিদপূর্ণ জলাশয় রয়েছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও উষ্ণতাপ্রিয় উদ্ভিদের একটি বিবরণসহ তালিকার প্রদর্শনীও রয়েছে। শরৎ ও শীতকালে স্বল্পদৈর্ঘ্যে দিনে শাপলা-জাতীয় উদ্ভিদ বেঁচে থাকতে পারে না বিধায় শীতকালে এই ভবনটি বন্ধ থাকে। এই সময় ক্ষতিকর পোকামাকড় দমন করে ভবনটি পরিষ্কার করা হয়।[৫৯]
তখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় শাপলা-গোত্রীয় উদ্ভিদ ভিক্টোরিয়া অ্যামাজনিকা রোপণের জন্য ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পূর্বে কয়েকবার কিউ উদ্যানে এই উদ্ভিদের বীজ ও মূল আনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে ১৮৪৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পরিষ্কার পানির বৃহৎ পাত্রে করে একে কিউ উদ্যানে আনা হয়। শাপলা পরিবারের অন্যান্য কিছু সদস্য উদ্যানে ভালোভাবে বেঁচে থাকলেও, ভিক্টোরিয়া গণের শাপলাগুলো বেঁচে থাকেনি। ভবনের দুর্বল বায়ু চলাচলব্যবস্থাকে এর জন্য দায়ী মনে করে প্রজাতিটিকে অন্য একটি ভবনে (ভিক্টোরিয়া অ্যামাজনিকা ভবন নং ১০) স্থানান্তর করা হয়।
রিচার্ড টার্নার শাপলা ভবনের লোহার কাঠামো তৈরি করেছিলেন। ১৮৫২ সালে ভবনটির প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়। পাম ভবন থেকে একটি নির্গমনল বা ফ্লুয়ের মাধ্যমে শাপলা ভবনকে উত্তপ্ত করা হতো। বর্তমানে এই ভবনের নিজস্ব চুল্লি রয়েছে।[৬০]
বিবর্তন ভবন
[সম্পাদনা]অস্ট্রেলীয় সরকার কর্তৃক উপহারস্বরূপ প্রদত্ত এই ভবনটি পূর্বে “অস্ট্রেলীয় ভবন” হিসেবে পরিচিত ছিল। পূর্ত বিভাগের এসএল রথওয়েল এই ভবনের নকশা করেন। প্রকৌশলী জেই টেম্পল তার পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন। ক্রিটাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড ভবনটির নির্মাণ করে। ১৯৫২ সালে ভবনটি উন্মুক্ত করার পর ১৯৫৫ সাল থেকে এটি “বিবর্তন ভবন” হিসেবে পরিচিতি পায়। ভবনটির স্থাপত্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে পরিকল্পনা (তালিকাবদ্ধ ভবন ও সংরক্ষিত এলাকা) আইন ১৯৯০ অনুসারে সংরক্ষিত ভবন হিসেবে তালিকাবদ্ধ।[৬১]
বনসাই ভবন
[সম্পাদনা]
ড্যাভিস আলপাইন ভবন নির্মাণের পূর্বে বনসাই ভবনটি “আলপাইন ভবন নং ২৪” নামে পরিচিত ছিল। কিউ উদ্যানের ষাটটি উদ্ভিদের বনসাইয়ের সংগ্রহের সময়ে সময়ে এই ভবনে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। কিউ উদ্যানে রয়েছে একটি ১০০ বছরের পুরনো জাপানি ম্যাপল ও ২০০ বছরের পুরনো টেম্পল জুনিপার উদ্ভিদের বনসাই।[৬২]
সাবেক উদ্ভিদ ভবন
[সম্পাদনা]নিম্নোল্লিখিত উদ্ভিদ ভবনসমূহ ১৯৭৪ সালে ব্যবহার করা হতো, কিন্তু বর্তমানে ব্যবহার করা হয় না। এদের অনেকগুলো ভবনই ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং সংগ্রহের উদ্ভিদসমূহ প্রিন্সেস অব ওয়েলস সংরক্ষণাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।[৫৬][৬৩][৬৪]
আনুষ্ঠানিক ক্রমিক নং | নাম | টীকা |
২ | ক্রান্তীয় ফার্ন ভবন | প্রিন্সেস অব ওয়েলস সংরক্ষণাগারের উত্তরে |
৩ | ক্রান্তীয় ফার্ন ভবন | |
৪ | সংরক্ষণাগার | |
৫ | সাকুলেন্ট ভবন | |
৭ | গেসনারিয়াডস ও রিপস্যালিস ভবন, পূর্বে (১৯৩৯) দক্ষিণ আফ্রিকান ভবন | প্রিন্সেস অব ওয়েলস সংরক্ষণাগারের স্থানে অবস্থিত ছিল। ৭ নং থেকে ১৪(বি) নং উদ্ভিদ ভবনগুলো এর “T” আকৃতির কারণে টি-রেঞ্জ ভবনসারির অন্তর্ভুক্ত ছিল। |
৭(এ) | শারম্যান হয়ট ক্যাকটাস ভবন | |
৭(বি) | দক্ষিণ আফ্রিকান সাকুলেন্ট ভবন | |
৮ | অর্কিড ভবন, পূর্বে (১৯৩৯) বেগোনিয়া ভবন | |
৯ | অর্কিড ভবন, পূর্বে (১৯৩৯) স্টোভ ভবন | |
৯(এ) | নেপেন্থিস | |
১০ | ভিক্টোরিয়া অ্যামাজনিকা ভবন | |
১০(এ) | ইম্প্যাশেনস | |
১১ | ব্রোমেলিয়াড ভবন, পূর্বে (১৯৩৯) ইকোনমিক ভবন | |
১২ | দক্ষিণ আফ্রিকান ভবন, পূর্বে (১৯৩৯) ইকোনমিক ভবন | |
১২(এ) | পতঙ্গভুক উদ্ভিদ ভবন | |
১৩ | অর্কিড ভবন (১৯৩৯) | |
১৪ | অর্কিড ভবন (১৯৩৯) | |
১৪(এ) | বেগোনিয়া ভবন | |
১৪(বি) | বেগোনিয়া ভবন | |
১৪(সি) | বিশেষ প্রদর্শনী ভবন (১৯৩৯) | |
২(এ) | ফিল্মি ফার্ন ভবন | অরেঞ্জারি ভবনের উত্তরদিকে অবস্থিত |
অদ্যাবধি বিরাজমান “অ্যারয়েড ভবন” (বর্তমান ন্যাশ সংরক্ষণাগার) পূর্বে উদ্ভিদ ভবন নং ১ এবং “শাপলা ভবন” উদ্ভিদ ভবন নং ১৫ হিসেবে চিহ্নিত ছিল।
আলঙ্কারিক ভবন
[সম্পাদনা]মহাপ্যাগোডা
[সম্পাদনা]
কিউ উদ্যানের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে মহাপ্যাগোডা অবস্থিত। স্যার উইলিয়াম চেম্বার্স এটির নকশা করেন। ১৭৬২ সালে তৈরি করা এই প্যাগোডাটি চীনা টা প্যাগোডার অনুকরণে নির্মিত। অষ্টভুজাকৃতির দশতলা প্যাগোডার সবচেয়ে নিচতলার ব্যাস প্রায় ১৫ মি (৪৯ ফু)। ভূমি থেকে প্যাগোডার সর্বোচ্চ উচ্চতা ৫০ মি (১৬৪ ফু)।
প্রতিতলায় চীনা শৈলীর বিক্ষেপিত ছাদ ড্রাগনের প্রতিকৃতিযুক্ত সিরামিকের টালি দিয়ে তৈরি। লোকমুখে প্রচলিত কিংবদন্তি অনুযায়ী এই টালি সোনা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এবং ইংল্যান্ডের রাজা চতুর্থ জর্জ তার কৃত ঋণ পরিশোধে এই সোনা বিক্রি করে দেন।[৬৫] তবে, বাস্তবিকভাবেই ড্রাগনের নকশা সোনালি রঙে অঙ্কন করা হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে তা ফিকে হয়ে যায়। ভবনের দেয়াল ইট দ্বারা নির্মিত। ভবনের মধ্যভাগে ২৫৩ ধাপের সিঁড়ি রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে প্রতিটি তলার মেঝেতে বোমা ফেলার পরীক্ষামূলক মহড়ার জন্য ছিদ্র করা হয়।
মহাপ্যাগোডাটিতে বহু বছর যাবৎ দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ২০০৬ সালে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে ভবনটি পুনরায় খুলে দেওয়া হয়। ভবনটিতে হিস্টোরিক রয়েল প্যালেসেস প্রকল্পের অধীনে বৃহৎ পরিসরে সংস্কারকাজ চালানো হয় এবং ২০১৮ সালে পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।[৬৬] ৮০টি ড্রাগনের প্রতিকৃতি পুনরায় তৈরি করা হয় এবং ভবনের প্রতিটি তলায় স্থাপনা করা হয়।
জাপানি তোরণ (চোকুশি-মন)
[সম্পাদনা]
১৯১০ সালে জাপান–ব্রিটিশ প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে তৈরি করা এই স্থাপনাটি ১৯১১ সালে কিউ উদ্যানে স্থানান্তর করা হয়েছিল। চোকুশি-মন (“সম্রাটের দূতের তোরণ” মূলত কিয়োটোর নিশি হোঙ্গান-জি মন্দিরের তোরণ কারামনের চার-পঞ্চমাংশ অনুপাতের রেপ্লিকা। তোরণটি মহাপ্যাগোডা থেকে ১৪০ মিটার উত্তরে অবস্থিত। বর্তমানে তোরণটি নবনির্মিত ঐতিহ্যবাহী জাপানি শৈলীর বাগান দ্বারা পরিবেষ্টিত।
মিনকা ভবন
[সম্পাদনা]
২০০১ সালের জাপান ফেস্টিভ্যালের পর[৬৭] কিউ উদ্যানে মিনকা নামে পরিচিত জাপানি শৈলীর কাঠের ঘর যুক্ত করা হয়। ভবনটি ১৯০০ সালের দিকে ওকাজাকি শহরতলীতে নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে কিউ উদ্যানের পশ্চিম-মধ্যাংশের বাঁশবাগানে এর অবস্থান। জাপানি কারুশিল্পীরা এর মূল কাঠামোকে একত্রিত করেন এবং গ্লোব থিয়েটারে কাজ করা ব্রিটিশ নির্মাণকর্মীরা এতে কাদামাটির ফলক যুক্ত করেন।
২০০১ সালের ৭ মে ভবনের কাজ শুরু করা হয়। ২১ মে তারিখে মূল কাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর জাপানি রীতি অনুযায়ী আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়, যা জাপানের সংস্কৃতিতে শুভকাজ বলে গণ্য। ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে ভবনের সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন হয়। তবে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ভবনের ভেতরকার সকল নিদর্শন একত্রিত করতে কাজ চলমান থাকে।
রানি শার্লটের কুটির
[সম্পাদনা]
রানি শার্লটের কুটির কিউ উদ্যানের সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে অবস্থিত। ১৭৭১ সালের পূর্বে কোনো এক সময়ে রাজা তৃতীয় জর্জ তার স্ত্রী রানি শার্লটের জন্য এটির নির্মাণ করেছিলেন। হিস্টোরিক্যাল রয়েল প্যালেসেস প্রকল্পের অধীনে ভবনটির সংস্কারকাজ করা হয়েছে এবং সংস্থাটি পৃথকভাবে ভবনটির দেখভাল করে।[৬৮] গ্রীষ্মকালে সপ্তাহান্তে ও ছুটির দিনগুলোতে কুটিরটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
রাজা উইলিয়ামের মন্দির
[সম্পাদনা]
এটি ডরিক বিন্যাসের পাথর দিয়ে তৈরি একটি মন্দির। ১৭৫৯ সালের মিনডেনের যুদ্ধ থেকে ১৮১৫ সালের ওয়াটারলুর অভিযান পর্যন্ত ব্রিটিশ সামরিক বিজয়সমূহের স্মরণে মন্দিরের ভেতরের দেয়ালে পেটা লোহার তৈরি এক সারি ফলক টাঙানো রয়েছে। ১৮৩৭ সালে স্যার জেফরি ওয়াইয়াটভিলে “দ্য প্যান্থিয়ন” নামে ভবনটির নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে রাজা চতুর্থ উইলিয়ামের (১৮৩০–৩৭) নামে এটির নামকরণ করা হয়। ভবনটি ২য় শ্রেণি হিসেবে তালিকাভুক্ত।[৬৯]
ইয়োলাসের মন্দির
[সম্পাদনা]
এটি আটটি টাস্কান শৈলীর স্তম্ভবিশিষত গোলাকার একটি ভবন। ১৭৬৩ সালে স্যার উইলিয়াম চেম্বার্স প্রাচীন ভবনটির নকশা করেন। প্রাচীন ভবনটি নষ্ট হয়ে গেলে ১৮৪৫ সালে ডেসিমাস বার্টন তার স্থলে আরেকটি ভবন নির্মাণ করেন। এটি বর্তমানে ২য় শ্রেণির ভবন হিসেবে তালিকাবদ্ধ।[৭০] সাত বছরের যুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয়ের স্মরণে নির্মিত তিনটি মূল স্মৃতিস্তম্ভের মধ্যে এটি অন্যতম। যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস ইয়োলাস-এর নামে এর নামকরণ করা হয়েছে।[৭১]
আরেথুসার মন্দির
[সম্পাদনা]
ভবনটি দুইটি আয়োনীয় শৈলীর স্তম্ভযুক্ত ছোট আকারের গ্রিক মন্দির। ছাদে সুনির্দিষ্ট বিন্যাসে ত্রিকোণাকার কার্নিশ বিদ্যমান। ১৭৫৮ সালে স্যার উইলিয়াম চেম্বার্স এটির নির্মাণ করেন। ভবনটি ২য় শ্রেণির তালিকাভুক্ত।[৭২] ইয়োলাস ও বেলোনার মন্দিরের অনুরূপ, এই ভবনটি যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস আরেথুসা-এর নামে নামকরণ করা হয়।[৭১]
বেলোনার মন্দির
[সম্পাদনা]
এটি পলেস্তারাবিশিষ্ট চুনকাম করা একটি ভবন। এর সম্মুখভাগে বারান্দায় দুইজোড়া ডোরিক শৈলীর স্তম্ভের সাথে ছাদে মেটোপি ধরনের নকশা করা ত্রিকোণাকার কার্নিশ বিদ্যমান। কার্নিশের পেছনে একটি ছোট আকারের ডিম্বাকার গম্বুজ রয়েছে। ভবনটি এক কক্ষবিশিষ্ট এবং কক্ষের ভেতরে ডিম্বাকার গম্বুজের তলদেশ দৃশ্যমান। কক্ষের দেয়ালে সাত বছরের যুদ্ধের সাথে জড়িত ব্রিটিশ ও হ্যানোভার বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে স্মৃতিমাল্য ও পদক ঝুলানো রয়েছে। ১৭৬০ সালে স্যার উইলিয়াম চেম্বার্স এটির নির্মাণ করেন এবং পরবর্তীতে যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস বেলোনা-এর নামে ভবনের নামকরণ করা হয়।[৭১] ভবনটি দ্বিতীয় শ্রেণির তালিকাভুক্ত।[৭৩]
ভগ্নপ্রায় খিলান
[সম্পাদনা]
এটি মূলত ইটের গাঁথুনিযুক্ত একটি খিলান, যার পলেস্তারা ক্ষয়ে পড়েছে। এতে তিনটি খিলান রয়েছে, যার মধ্যে দুইপাশের দুইটি খিলানের উপরে ওকুলাস বিদ্যমান। পাথরের গাঁথুনিতে তৈরি স্থাপনাটির কার্নিশ ভাঙা পাথর ও ইটের টুকরা দিয়ে তৈরি। স্থাপনার প্রবেশপথেও কার্নিশ বিদ্যমান। ১৭৫৯–৬০ সালে স্যার উইলিয়াম চেম্বার্স এটির নির্মাণ করেন। এটি বর্তমানে ২য়* শ্রেণির তালিকাভুক্ত স্থাপনা।[৭৪]
বরফঘর
[সম্পাদনা]
বরফঘরটি ১৮শ শতাব্দীর শুরুর দিককার বলে ধারণা করা হয়। ইটের তৈরি গম্বুজ, দীর্ঘ প্রবেশপথ এবং পিপা-পূর্ণ চলার পথ এবং বিশেষভাবে কাদামাটির প্রলেপ ভবনটির বৈশিষ্ট্য। এটি ২য় শ্রেণি হিসেবে তালিকাভুক্ত।[৭৫]
সূর্যমন্দির
[সম্পাদনা]ভবনটি আগে অরেঞ্জারির স্থান থেকে ৯০ মিটাত দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ছিল।[৭৬] স্যার উইলিয়াম চেম্বার্স লেবাননের বালবেক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বাকাসের মন্দিরের অনুকরণে ১৭৬১ সালে এটি নির্মাণ করেছিলেন।[৭৭] আটটি ধ্রুপদি স্তম্ভ দ্বারা বেষ্টিত ভবনটি চাকচিক্যময় ছিল। ১৯১৬ সালের ২৭ মার্চ (কারও কারও মতে ২৮ মার্চ) একটি প্রবল ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের আঘাতে ভবনটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যায়।[৭৮]
কিউ প্রাসাদ
[সম্পাদনা]
ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদগুলোর মধ্যে কিউ প্রাসাদ ক্ষুদ্রতম। ১৬৩১ সালের দিকে ওলন্দাজ বণিক স্যামুয়েল ফোর্ট্রে এটির নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে তার থেকে রাজা তৃতীয় জর্জ এটি ক্রয় করে নেন। ভবনটি ফ্লেমিশ গাঁথুনিতে তৈরি। অর্থাৎ, ভবনের দেয়ালের ইটগুলো পরপর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে বিন্যস্ত। পাশাপাশি ভবনের সম্মুখের বাঁকানো কার্নিশের কারণে প্রাসাদটি ওলন্দাজ স্থাপত্যশৈলীর প্রদর্শন করে।
প্রাসাদের পেছনের দিকে “কুইনস গার্ডেন” নামে পরিচিত বাগানে ঔষধি গুণাবলিসম্পন্ন বলে পরিচিত উদ্ভিদসমূহ রোপণ করা হয়েছে। ১৭শ শতাব্দী নাগাদ ইংল্যান্ডে বিদ্যমান উদ্ভিদসমূহই কেবল বাগানে রোপণ হয়েছে।
২০০৬ সালে ডোনাল্ড ইনস্যাল অ্যাসোসিয়েটস প্রাসাদটিতে উল্লেখযোগ্য সংস্কারকাজ সম্পন্ন করার পর পুনরায় জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।[৭৯] প্রাসাদটির ব্যবস্থাপনা কিউ উদ্যানের দায়িত্বে নয়, বরং হিস্টোরিক রয়েল প্যালেসেসের অধীনে পৃথকভাবে হয়ে থাকে।
প্রাসাদের সম্মুখে একটি সূর্যঘড়ি রয়েছে। ১৯৫৯ সালে রাজকীয় সফরের স্মৃতিতে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। মার্টিন হোল্ডেন ১৭শ শতাব্দীর ঘড়ি প্রস্তুতকারক টমাস টম্পিওনের তৈরি করা একটি ঘড়ির অনুকরণে তৈরি করেছিলেন। টম্পিওনের ঘড়িটি জেমস ব্র্যাডলি কর্তৃক আলোর অপেরন আবিষ্কারের স্মরণে ব্র্যাডলির পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত প্রাসাদের (যেটি এখনও বিদ্যমান রয়েছে) পাশে ১৮৩২ সালে স্থাপন করা হয়েছিল।[৮০][৮১]
চিত্রশালা ও জাদুঘর
[সম্পাদনা]টিকিট কেটে উদ্যানে প্রবেশের পর চিত্রশালা ও জাদুঘরে বিনামূল্যে প্রবেশ করা যায়। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে “ইন্টারন্যাশনাল গার্ডেন ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার” প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
শার্লি শেরউড চিত্রশালা
[সম্পাদনা]
শার্লি শেরউড উদ্ভিদবৈজ্ঞানিক চিত্রশালা ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে সর্বপ্রথম খুলে দেওয়া হয়। চিত্রশালায় কিউ ও শার্লি শেরউডের সংগ্রহে থাকা উদ্ভিদবৈজ্ঞানিক চিত্রকর্ম সংরক্ষিত রয়েছে। এর মধ্যে অনেক চিত্রকর্ম এর পূর্বে জনসাধারণের সম্মুখে কখনোই উন্মোচন করা হয়নি। চিত্রশালায় জর্জ ডিওনিসিউস এহরেট, বাউয়ার ভাতৃদ্বয়, পিয়ের-জোসেফ রেডুটে এবং ওয়াল্টার হুড ফিচ প্রমুখ চিত্রকারের অঙ্কিত চিত্র সংরক্ষিত রয়েছে। এখানকার চিত্রগুলোর প্রদর্শনী প্রতি ছয় মাস পরপর পরিবর্তন করা হয়। চিত্রশালা মেরিয়েন নর্থ চিত্রশালার সাথে সংযুক্ত।
১ নং জাদুঘর
[সম্পাদনা]পাম ভবনের নিকটে একটি ভবনে “সাধারণ জাদুঘর” নামে একটি জাদুঘর অবস্থিত। বর্তমানে কিউ উদ্যানের একমাত্র জাদুঘর হওয়া সত্ত্বেও এটি “১ নং জাদুঘর” নামেও পরিচিত। ডেসিমাস বার্টন এই জাদুঘরের নকশা করেন। ১৮৫৭ সালে এটি খুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, অলঙ্কার, পোশাক, খাদ্য, ঔষধি প্রভৃতি অর্থনৈতিক উদ্ভিদবিজ্ঞানের সংগ্রহসমূহ এখানে প্রদর্শন করা হয়। উদ্ভিদের উপর মানুষের নির্ভরশীলতা প্রদর্শন করা এই জাদুঘরের উদ্দেশ্য। ১৯৯৮ সালে ভবনটি সংস্কার করে পুনরায় সাজানো হয়। ভবনের সর্বোচ্চ দুইতলা বর্তমানে শিক্ষাকেন্দ্র এবং নিচতলা “বোটানিক্যাল” রেস্তোরাঁ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই জাদুঘরের ঐতিহাসিক নিদর্শনসামগ্রীর জন্য কিউ লন্ডন মিউজিয়ামস অব হেলথ অ্যান্ড মেডিসিনের সদস্য।[৮২]
মেরিয়েন নর্থ চিত্রশালা
[সম্পাদনা]
মেরিয়েন নর্থ নামের একজন সাংসদ-কন্যা উদ্ভিদের ছবি আঁকার জন্য উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে একাকী ভ্রমণ করেন। তার সময়ে মহিলাদের জন্য এমন কাজ করা অচিন্তনীয় ছিল। মেরিয়েন নর্থের অঙ্কিত চিত্রকর্মগুলোকে স্থান দেওয়ার জন্য কিউ উদ্যানে ১৮৮০-এর দশকে মেরিয়েন নর্থ চিত্রশালা নির্মাণ করা হয়। চিত্রশালায় মেরিয়েনের অঙ্কন করা ৮৩২টি চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। মেরিয়েন কিউ উদ্যান কর্তৃপক্ষকে লেআউট পরিবর্তন না করার শর্তে চিত্রগুলো প্রদর্শনীর অনুমতি দেন।
চিত্রশালা ভবনটির স্থাপনাগত সমস্যা দেখা দেওয়ায় ২০০৮–০৯ সালে ডোনাল্ড ইনস্যাল অ্যাসোসিয়েটসের নেতৃত্বে ভবনটি সংস্কার করে নতুনভাবে সজ্জিত করা হয়।[৮৩] সংস্কার কাজ চলাকালীন চিত্রশালা বন্ধ থাকার সুবাদে মেরিয়েনের চিত্রগুলোরও সংস্কার ও পুনরুদ্ধারকাজ সম্পন্ন করা হয়। সংস্কারশেষে ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে চিত্রশালাটি পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।
চিত্রশালাটি সর্বপ্রথম ১৮৮২ সালে চালু করার পর থেকে এটি এখন পর্যন্ত ব্রিটেনের একমাত্র স্থায়ী চিত্রশালা, যা শুধুমাত্র একজন নারীর কর্মকে প্রদর্শন করে।
জাদুঘর ও প্রশাসনিক ভবনসমূহ
[সম্পাদনা]বর্তমানে “স্কুল অব হর্টিকালচার” ভবনটি পূর্বে “রেফারেন্স জাদুঘর” বা “২ নং জাদুঘর” নামে পরিচিত ছিল।[৬৩]
“৩ নং জাদুঘর” নামে চিহ্নিত জাদুঘরটি “কাঠ জাদুঘর” নামেও পরিচিত ছিল। এটি ১৮৬৩ সালে চালু করার পর ১৯৫৮ সালে তা বন্ধ করে ক্যামব্রিজ কুটিরে স্থানান্তর করা হয়।[৮৪]
২য় শ্রেণির ভবন হিসেবে তালিকাভুক্ত[৮৫] ক্যামব্রিজ কুটির ১৮১৯ থেকে ১৯০৪ সাল পর্যন্ত ক্যামব্রিজের ডিউকের বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো।[৮৬] ১৯০৪ সালে ভবনটি উদ্যানের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ১৯১০ সালে এই ভবনে “ব্রিটিশ বনবিদ্যা জাদুঘর” বা “৪ নং জাদুঘর” চালু করা হয়।[৮৪] ১৯৫৮ সালের পর জাদুঘরটি “কাঠ জাদুঘর” নামে পরিচিত হয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগৃহীত কাঠ এখানে প্রদর্শন করা হয়।[৬৩] বর্তমানে ভবনটি সম্মেলন ও অনুষ্ঠানকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
১৮৯৪ সালে উদ্যানের মূল ফটকের (বর্তমানের এলিজাবেথ ফটক) দক্ষিণ-পূর্ব দিক বরাবর কিউ গ্রিন সংলগ্ন একসারি ভবন প্রশাসনিক কাজকর্মে ব্যবহৃত হতো। কিউরেটরের বাসভবন, কিউ কুটির, পরিচালকের বাসভবন ও কার্যালয়, পূর্ত বিভাগের কার্যালয়, ক্যামব্রিজ কুটির ও রাজার কুটির এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৭৬] ১৯৭৪ সাল নাগাদ শুধু পরিচালকের কার্যালয় ও কাঠ জাদুঘর (বর্তমানের ক্যামব্রিজ কুটির) প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের চিহ্নিত করা হয়।[৬৩]
বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম
[সম্পাদনা]উদ্ভিদ সংগ্রহশালা
[সম্পাদনা]
কিউ উদ্যানের জীবিত উদ্ভিদ সংগ্রহশালার মধ্যে রয়েছে আলপাইন অ্যান্ড রক গার্ডেন, অ্যাকুয়াটিক, আর্বোরেটাম, অ্যারিড, অ্যারয়েড, বনসাই, ব্রোমেলিয়াড, কার্নিভোরাস প্ল্যান্টস, সাইকাড, ফার্ন, গ্রাস, আইল্যান্ড ফ্লোরা, মেডিটেরানিয়ান গার্ডেন, অর্কিড, পাম, টেম্পারেট হার্বাসিয়াস, টেন্ডার টেম্পারেট, ট্রপিক্যাল হার্বাসিয়াস, ট্রপিক্যাল উডি এবং ক্লাইম্বার কালেকশনস।[৮৭]
উদ্যানের জলজ উদ্ভিদ সংগ্রহশালা জোড্রেল গবেষণাগারের নিকটে অবস্থিত। উদ্যানের “অ্যাকুয়াটিক গার্ডেন” জলজ ও প্রান্তিক উদ্ভিদের জন্য আদর্শ পরিবেশ নিশ্চিত করে। এই সংগ্রহশালাটি ২০০৯ সালে শতবর্ষপূর্তি উদ্যাপন করে। সংগ্রহশালার কেন্দ্রীয় জলাধারে গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন প্রজাতির শাপলার উদ্ভিদ রয়েছে। এছাড়া আশেপাশের ছোট ছোট জলাধারে অন্যান্য উদ্ভিদ, যেমন: টাইফা, বুলরাশ, ফ্র্যাগমাইটিস ও অন্যান্য ক্ষুদ্রাকার ভাসমান জলজ উদ্ভিদ রয়েছে।[৮৮]
জোড্রেল গবেষণাগারের অন্যপাশে বিশেষায়িত সবুজঘরে উদ্যানের বনসাই সংগ্রহশালার অবস্থান।[৮৯]
অ্যারিড (অর্থ: অনুর্বর) সংগ্রহশালার উদ্ভিদসমূহ (বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাস ও সাকুলেন্ট উদ্ভিদ) উদ্যানের ক্রান্তীয় নার্সারি, প্রিন্সেস অব ওয়েলস সংরক্ষণাগার এবং নাতিশীতোষ্ণ ভবনে অবস্থিত।[৯০]
উদ্যানের মাংসাশী উদ্ভিদের সংগ্রহশালা প্রিন্সেস অব ওয়েলস সংরক্ষণাগারে অবস্থিত।[৯১]
১৯৮০-এর দশকে ঘাসের বাগান এর বর্তমান স্থানে তৈরি করা হয়। বিভিন্ন আলঙ্কারিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঘাস এখানে প্রদর্শন করা হয়েছে। ১৯৯৪ ও ১৯৯৭ সালে এই বাগানের ঘাসগুলোকে পুনরায় সজ্জিত করে বপন করা হয়। বাগানে ৫৮০টিরও অধিক ঘাসের প্রজাতি প্রদর্শন করা হয়েছে।[৯২]
উদ্যানের অর্কিড সংগ্রহশালা প্রিন্সেস অব ওয়েলস সংরক্ষণাগারের দুইটি ভিন্ন জলবায়ুগত অংশে অবস্থিত। অর্কিড প্রদর্শনীকে দৃষ্টিনন্দন করতে প্রদর্শনীর উদ্ভিদসমূহকে নিয়মিত পরিবর্তন করা হয়, যাতে করে প্রদর্শনীতে বিদ্যমান অর্কিডসমূহ সবসময় পুষ্পপূর্ণ থাকে। ১৮৮২ সালে রক গার্ডেন চুনাপাথরে তৈরি করা হলেও বর্তমানে সাসেক্সের ওয়েস্ট হোথলি থেকে আনা সাসেক্স বেলেপাথর দিয়ে রক গার্ডেন তৈরি করা হয়েছে। রক গার্ডেন ছয়টি ভৌগোলিক অংশে বিভক্ত, যথা: ইউরোপ, ভূমধ্যসাগর ও আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা। উদ্যানে আরও ২,৪৮০টি আনুষঙ্গিক উদ্ভিদ বর্ধনশীল রয়েছে।[৯৩]
উদ্যানের দক্ষিণাংশের দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে অবস্থিত আর্বোরেটামে হাজারের অধিক প্রকরণের প্রায় ১১,০০০ উদ্ভিদ রয়েছে।[৯৪][৯৫]
হার্বেরিয়াম
[সম্পাদনা]কিউ হার্বেরিয়াম বিশ্বের বৃহত্তম হার্বিয়ামগুলোর অন্যতম। এখানে শ্রেণীবিন্যাসগত গবেষণার জন্য ৭০ লক্ষাধিক নমুনা সংরক্ষণ করা আছে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের, বিশেষ করে ক্রান্তীয় অঞ্চলের টাইপ প্রজাতির নমুনার সংগ্রহশালা অত্যন্ত সমৃদ্ধ। প্রতি বছর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আরও প্রায় ৩০,০০০-এর অধিক নতুন নমুনা হার্বেরিয়ামে যুক্ত হচ্ছে। কিউ হার্বেরিয়াম আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বিশ্বব্যাপী গবেষকদের আকৃষ্ট করে এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান ও বিশেষভাবে জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। হার্বেরিয়ামের একটি বিশাল অংশ ইতোমধ্যে ডিজিটালকৃত হয়েছে।[৯৬] হার্বেরিয়ামের এই অংশটি অনলাইনে সাধারণ মানুষের জন্যও উপলভ্য।[৯৭][৯৮] ইনডেক্স হার্বেরিওরাম-এ কিউ হার্বেরিয়ামের জন্য স্বীকৃত কোড K (কে)।[৯৯] কিউয়ে সংরক্ষিত উদ্ভিদ নির্দেশ করতে এই কোড ব্যবহার করা হয়।
-
কিউ হার্বেরিয়ামের পুরনো অংশ
-
কিউ হার্বেরিয়ামের পুরনো অংশের সংরক্ষণাগার
-
চার্লস ডারউইন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সোলানাম কিসমানিয়াই-এর পৃষ্ঠা, চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জ, গ্যালাপাগোস, সেপ্টেম্বর ১৮৩৫
-
রাফিয়া অস্ট্রালিস উদ্ভিদের চাপা ও বাক্সবন্দি নমুনা
এছাড়া ফাঙ্গারিয়াম (ছত্রাকের সংগ্রহশালা), উদ্ভিদ ডিএনএ ব্যাংক ও বীজ ব্যাংকের কারণে বৈজ্ঞানিক জগতে কিউ উদ্যানের অবস্থান অত্যন্ত প্রভাবশালী।[৯৭] কিউ ফাঙ্গারিয়ামে ১২.৫ লাখের অধিক ছত্রাকের শুষ্ক নমুনা রয়েছে।[১০০]
গ্রন্থাগার ও আর্কাইভস
[সম্পাদনা]কিউয়ের গ্রন্থাগার ও আর্কাইভসও বিশ্বের বৃহত্তম উদ্ভিদবিজ্ঞানসংক্রান্ত সংগ্রহশালাগুলোর অন্যতম।[১০১][১০২] গ্রন্থাগার ও আর্কাইভসের অধীনে বিভিন্ন বই, উদ্ভিদবৈজ্ঞানিক চিত্রাঙ্কন, আলোকচিত্র, চিঠি, পাণ্ডুলিপি, সাময়িকপত্র ও মানচিত্রসহ প্রায় দশ লক্ষ উপাদান রয়েছে। কিউয়ের আর্কাইভস, ইলাস্ট্রেশন চিত্রশালা, দুর্লভ বইয়ের সংগ্রহ, মূল গ্রন্থাগার ও অর্থনৈতিক উদ্ভিদবিজ্ঞান গ্রন্থাগার শাখা সবগুলোই হার্বেরিয়াম ভবনে অবস্থিত।
১৯৬২ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুসারে,[১০৩] কিউ গ্রন্থাগার ও আর্কাইভসের সংগ্রহের ক্ষেত্র লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সাথে পরস্পর মিলবে না।[১০৪] লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম সাধারণত ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার উদ্ভিদরাজি নিয়ে কাজ করে থাকে।
ফরেনসিক উদ্যানবিদ্যা
[সম্পাদনা]কিউ পৃথিবীব্যাপী সকল দেশের পুলিশ বাহিনীকে উদ্ভিজ্জ বস্তু দ্বারা কৃত অপরাধে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র বা প্রমাণ খুঁজে পেতে সহায়তা করে। জনপ্রিয় একটি ঘটনায়, টেমস নদীতে প্রাপ্ত মাথাবিহীন একটি মৃতদেহের পাকস্থলীতে বিষাক্ত আফ্রিকান শিমবিচির অস্তিত্ব কিউয়ের বিজ্ঞানীরা খুঁজে বের করেন।[১০৫]
অর্থনৈতিক উদ্ভিদবিজ্ঞান
[সম্পাদনা]কিউয়ের সাস্টেনেবল ইউজেস অব প্ল্যান্টস গ্রুপ (উদ্ভিদের টেকসই ব্যবহার সংক্রান্ত দল, পূর্বে অর্থনৈতিক উদ্ভিদবিজ্ঞান কেন্দ্র) যুক্তরাজ্যের অনুর্বর ও প্রায়-অনুর্বর অঞ্চলে উদ্ভিদের ব্যবহার নিয়ে কাজ করে। এই শাখাটি ইকোনমিক বোটানি কালেকশনের (অর্থনৈতিক উদ্ভিদবিজ্ঞান সংগ্রহশালা) রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বেও নিযুক্ত। এই সংগ্রহশালার অধীনে ৯০,০০০-এরও অধিক উদ্ভিদবৈজ্ঞানিক কাচামাল ও নৃতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। এই নিদর্শনাবলির কোনো কোনোটি ১ নং জাদুঘরের প্ল্যান্টস + পিপল (উদ্ভিদ + মানুষ) প্রদর্শনীকক্ষে প্রদর্শন করা হয়েছে। এই শাখাটি বর্তমানে জোড্রেল গবেষণাগারের অন্তর্ভুক্ত।[১০৬]
জোড্রেল গবেষণাগার
[সম্পাদনা]
১৮৭৬ সালে কিউয়ের পরিচালক জোসেফ ডালটন হুকার ও তার সহকারী উইলিয়াম টার্নার থিসেলটন-ডায়ার একত্রে জোড্রেল গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন। গবেষণাগারটি উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব, শারীরস্থান ও ভ্রূণতত্ত্ব, জীবাশ্ম উদ্ভিদবিজ্ঞান ও ছত্রাকবিজ্ঞান গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা খাতে কিউয়ের অন্যতম দাতা টমাস জোড্রেল ফিলিপস জোড্রেলের নামানুসারে গবেষণাগারটির নামকরণ করা হয়েছে।[১০৭][১০৮][১০৯] এটি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অনধিভুক্ত সর্বপ্রথম গবেষণাগার। এখানে বিভিন্ন জীবিত ও ফসিলকৃত উদ্ভিদ নিয়ে বহু পুরনো উদ্ভাবন সংঘটিত হয়েছে। শুরুতে একতলাবিশিষ্ট একটি ছোট গবেষণাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৬৫ সালে জোড্রেল গবেষণাগারের জন্য একটি বৃহৎ ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০০৬ সালে উলফসন উইংকে গবেষণাগারের অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে একে আরও বর্ধিত করা হয়।
প্রখ্যাত উদ্ভিদবিজ্ঞানী ডাকিংফিল্ড হেনরি স্কট ১৮৯২ থেকে ১৯০৬ সাল পর্যন্ত জোড্রেলের সহকারী রক্ষক ছিলেন। তৎকালীন জোড্রেলের আবাসিক ও পরিদর্শক গবেষকদের মধ্যে ছিলেন গাঠনিক উদ্ভিদবিজ্ঞানী ইথেল সার্গেন্ট ও উইলসন ক্রসফিল্ড ওয়ার্সডেল, কোষ জীববিজ্ঞানী ওয়াল্টার গার্ডিনার, সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ফেলিক্স ইউজিন ফ্রিটশ, শারীরতাত্ত্বিক জোসেফ রেনল্ডস গ্রিন এবং প্রত্নউদ্ভিদবিজ্ঞানী উইলিয়াম হেনরি লাং ও ফ্রেডরিক ওরপেন বোয়ার প্রমুখ।
পরবর্তীতে জোড্রেল গবেষণাগারের রক্ষক উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ববিদ চার্লস রাসেল মেটকালফে (১৯৩০–১৯৬৯) এবং তার পরবর্তীতে এই পদে আসীন সাইটোজিনতত্ত্ববিদ কিথ জোনস (১৯৬৯–১৯৮৭) ও মাইকেল ডেভিড বেনেট (১৯৮৭–২০০৬) জোড্রেল গবেষণাগারকে শৃঙ্খলাবদ্ধ উদ্ভিদবিজ্ঞানের কেন্দ্রে রূপান্তর করেন।
জোড্রেল গবেষণাগারের কার্যক্রম কিউ উদ্যানের বাইরেও বিস্তৃত হয়। হারপেনডেনে অবস্থিত উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব গবেষণাগার (১৯২০), কিউয়ের ইম্পেরিয়াল ব্যুরো অব মাইকোলজি (১৯৩০) এবং সহস্রাব্দ বীজ ব্যাংক অন্যতম। সহস্রাব্দ বীজ ব্যাংক প্রাথমিকভাবে ১৯৯৩ সালে কিউয়ের অধীনে ওয়েকহার্স্ট প্রাসাদের শারীরতত্ত্ব শাখায় স্থাপিত হয়।
অর্জন
[সম্পাদনা]২০০৯ সালে কিউ উদ্যানে বীজ থেকে শাপলার সবচেয়ে ছোট প্রজাতি নিম্ফিয়া থেরমারাম গজানো হয়। এর মাধ্যমে উদ্ভিদটি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পায়।[১১০][১১১]
২০২২ সালে কিউ উদ্যানের বিজ্ঞানীরা ভিক্টোরিয়া গণের নতুন একটি প্রজাতি ভিক্টোরিয়া বলিভিয়ানা আবিষ্কার করেন। উদ্ভিদটি সবার অজান্তে ১৭০ বছর ধরে কিউ উদ্যানে প্রস্ফুটিত হয়ে আসছিল।[১১২]
অন্যান্য স্থাপনা
[সম্পাদনা]কিউ কনস্ট্যাবুলারি
[সম্পাদনা]কিউ কনস্ট্যাবুলারি নামের কিউ উদ্যানের নিজস্ব পুলিশ বাহিনী রয়েছে। ১৮৭২ সালের উদ্যান বিধিমালার ৩ নং ধারা অনুসারে এই বাহিনী পরিচালিত হয়।[১১৩] এটি পূর্বে “রয়েল বোটানিক গার্ডেনস কনস্ট্যাবুলারি” নামে পরিচিত ছিল। এটি দুইজন সার্জেন্ট ও ১২ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত ক্ষুদ্র ও বিশেষায়িত একটি বাহিনী।[১১৪] রুপালি রঙের বিশেষ গাড়িতে করে এই বাহিনীর সদস্যগণ উদ্যানে টহল দেন। উদ্যান বিধিমালা উদ্যানের আওতাভুক্ত ক্ষেত্রের মধ্যে কনস্ট্যাবুলারির সদস্যদের মেট্রোপলিটন পুলিশের সমান ক্ষমতা প্রদান করে।[১১৫][১১৬]
ওয়ার মেমোরিয়াল
[সম্পাদনা]প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত কিউয়ের সদস্যদের স্মরণে পার্শ্ববর্তী সন্ত লুকের গির্জায় স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। ১৯২১ সালে স্যার রবার্ট লরিমার এর নকশা করেন।[১১৭]
এছাড়াও উদ্যানে দুইটি স্মারক বেঞ্চ (বসার স্থান) রয়েছে, যথাক্রমে “রিমেমব্রেনস অ্যান্ড হোপ সিট” এবং “ভেরদুন বেঞ্চ”। উভয়টিই ভেরদুন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আনা ওক গাছের অ্যাকর্ন থেকে জাত গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি। ওক গাছটি কিউ উদ্যানে লাগানোর পর ২০১৩ সালে একটি ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল।
খাদ্য ও পানীয়
[সম্পাদনা]কিউয়ের বিভিন্ন স্থানে খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা আছে। এর মধ্যে ওরেঞ্জারি, প্যাভিলিয়ন বার অ্যান্ড গ্রিল, বোটানিক্যাল ব্র্যাসারি, ভিক্টোরিয়া ফটকের কাছে একটি ক্যাফে এবং শিশুদের বাগানের কাছে ফ্যামিলি কিচেন প্রভৃতি অন্যতম।[১১৮]
গণমাধ্যম ও জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে
[সম্পাদনা]কিউ উদ্যানের বিষয়ে বিভিন্ন চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও অন্যান্য মিডিয়া নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:[১১৯]
- চলচ্চিত্রকার জিওফ্রে উনসওয়ার্থ কর্তৃক স্বল্পদৈর্ঘ্য রঙিন চলচ্চিত্র ওয়ার্ল্ড গার্ডেন, ১৯৪২[১২০]
- চ্যানেল ৪-এ প্রচারিত টেলিভিশন ধারাবাহিক টাইম টিম-এর ২০০৩ সালে প্রচারিত একটি পর্বে তৃতীয় জর্জের প্রাসাদসমূহের বর্তমান অবস্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়। পর্বটিতে উপস্থাপনা করেন টনি রবিনসন।[১২১]
- ২০০৪ সালে বিবিসি ফোরে প্রচারিত ধারাবাহিক অনুষ্ঠান আর্ট অব দ্য গার্ডেন-এর একটি পর্বে ১৮৪০-এর দশকে গ্রেট পাম ভবন নিয়ে আলোচনা করা হয়।[১২২]
- বিবিসি ওয়েবসাইট: অ্যা ইয়ার অ্যাট কিউ — কিউ উদ্যানের পেছনের গল্প নিয়ে ২০০৫ সালের একটি প্রামাণ্যচিত্র
- ২০০৭ সালে বিবিসির টেলিভিশন অনুষ্ঠানের জন্য ধারণকৃত ও ডিভিডি আকারে প্রকাশিত তিনটি ধারাবাহিক অ্যা ইয়ার অ্যাট কিউ।[১২৩]
- ২০০৯ সালে ড্যান ক্রুকশ্যাংকের উপস্থাপনায় বিবিসির প্রামাণ্যচিত্র ক্রুকশ্যাংক অন কিউ: দ্য গার্ডেন দ্যাট চ্যাঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড, যেখানে কিউ উদ্যান ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যকার সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে।[১২৪]
- ২০১২ সালে ডেভিড অ্যাটনবারার কিংডম অব প্ল্যান্টস ৩ডি।[১২৫]
- ২০১৪ সালে ভিডিও গেম শার্লক হোমস: ক্রাইমস অ্যান্ড পানিশমেন্টস-এ "দ্য কিউ গার্ডেনস ড্রামা" নামে একটি পর্ব ছিল, যেখানে উদ্যানের ভবনে একটি কাল্পনিক খুনের ঘটনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়।[১২৬]
১৯২১ সালে ভার্জিনিয়া উলফের ছোটগল্প "কিউ গার্ডেনস" প্রকাশিত হয়, যেখানে ফুলচাষের একটি ছোট জমি পার হওয়ার সময়ে চার ধরনের লোকের বিষয়ে বর্ণনা করা হয়।[১২৭][১২৮]
যোগাযোগ ও প্রবেশপথ
[সম্পাদনা]
কিউ উদ্যানে প্রবেশের জন্য মোট চারটি প্রবেশপথ বা তোরণ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। কিউ গ্রিনের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত এলিজাবেথ তোরণটি পূর্বে প্রধান তোরণ হিসেবে পরিচিত ছিল। এরপর ২০১২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসনে আরোহণের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে এর নাম পরিবর্তন করে "এলিজাবেথ তোরণ" রাখা হয়।[১২৯] এছাড়া টেমস নদীর দিকে ব্রেন্টফোর্ড তোরণ এবং কিউ সড়কের পাশে রানি ভিক্টোরিয়ার নামে নামকৃত ভিক্টোরিয়া তোরণ (যেখানে ভিজিটর'স সেন্টারও অবস্থিত) ও সিংহ তোরণ নামে আরও তিনটি প্রবেশপথ রয়েছে।[১৩০]
এছাড়া কিউ সড়কের পাশে ইউনিকর্ন তোরণ, কাম্বারল্যান্ড তোরণ ও জোড্রেল তোরণ, টেমস নদীর দিকে আইসলওয়ার্থ তোরণ এবং দক্ষিণ দিকে ওল্ড ডিয়ার পার্কের সীমানায় অক্সেনহাউজ তোরণ থাকলেও, এগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়।[৬৩]

১৮৬৯ সালে চালু হওয়া কিউ গার্ডেনস স্টেশন উদ্যানের সবচেয়ে নিকটবর্তী ট্রেন স্টেশন। ভিক্টোরিয়া তোরণ থেকে লিচফিল্ড সড়ক ধরে স্টেশনটির দূরত্ব মাত্র ৪০০ মিটার (১,৩০০ ফুট)। স্টেশনটি দিয়ে লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডের ডিস্ট্রিক্ট লাইন ও ওভারগ্রাউন্ডের মিল্ডমে লাইনের ট্রেন চলাচল করে।[১৩১] টেমসের অপর পাড়ে, ভিক্টোরিয়া তোরণ থেকে কিউ সেতু হয়ে প্রায় ৮০০ মিটার দূরবর্তী স্থানে কিউ ব্রিজ রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত। এই স্টেশনে ক্ল্যাপহাম জংশন ও ওয়াটারলু থেকে সাউথ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ের ট্রেন চলাচল করে।[১৩১]
ইলিং ব্রডওয়ে ও কিংসটনের মধ্যবর্তী যাতায়াতকারী রুট ৬৫ দিয়ে গমনকারী বাসগুলো সিংহ তোরণ ও ভিক্টোরিয়া তোরণের নিকটে থামে। হ্যামারস্মিথ ও হাউন্সলোর মধ্যবর্তী রুট ১১০ দিয়ে গমনকারী বাসগুলো কিউ গার্ডেনস স্টেশনের নিকট থামে। অন্যদিকে রুট ২৩৭ ও রুট ২৬৭ দিয়ে গমনকারী বাসগুলো কিউ ব্রিজ স্টেশনের নিকটে থামে।[১৩১]
গ্রীষ্মকালে লন্ডন রিভার সার্ভিসেস ওয়েস্টমিনস্টার থেকে চলাচল করে এবং ভিক্টোরিয়া তোরণের ৫০০ মিটার (১,৬০০ ফুট) দূরবর্তী কিউ পায়ারে থামে।[১৩১] ভিক্টোরিয়া তোরণ, এলিজাবেথ তোরণ ও ব্রেন্টফোর্ড তোরণের ঠিক ভেতরেই সাইকেল রাখার জায়গা রয়েছে। ফেরি লেন হয়ে ব্রেন্টফোর্ড তোরণের বাইরে ৩০০টি গাড়ি রাখার সুবিধাযুক্ত পার্কিং রয়েছে। এছাড়াও কিউ সড়কে বিনামূল্যে গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান রয়েছে। তবে এটির ব্যবহার অনেক সময় সীমাবদ্ধ থাকে।[১৩১]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- যুক্তরাজ্যের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকা
- রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ, কিউ উদ্যান ও ওয়েকহার্স্ট প্লেসের পরিচালনায় নিযুক্ত সংস্থা
- ওয়েকহার্স্ট
- কিউ উদ্যানে সক্রিয় উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের তালিকা
- দ্য গ্রেট প্ল্যান্ট হান্ট, কিউ উদ্যানের উদ্যোগে এবং ওয়েলকাম ট্রাস্টের অর্থায়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিজ্ঞান প্রকল্প
- ইনডেক্স কিউয়েনসিস, কিউ উদ্যানের উদ্যোগে ও রক্ষণাবেক্ষণে পরিচালিত উদ্ভিদের নামের একটি বিশাল সূচিপত্র
- কিউ বুলেটিন, রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউয়ের পক্ষে স্প্রিঙ্গার সায়েন্স+বিজনেস মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত উদ্ভিদ ও ছত্রাকের শ্রেণিবিন্যাস সংক্রান্ত একটি ত্রৈমাসিক পিয়ার-রিভিউড বৈজ্ঞানিক সাময়িকী।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Kew's scientific collections"। কিউ। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "Living collections at Kew"। কিউ (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Science collections at Kew"। কিউ (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Royal Botanic Gardens, Kew"। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "Most visited attractions in London UK 2021"। স্ট্যাটিস্টা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ ডাইডুশ, অ্যামি (২৮ মার্চ ২০১৪)। "Dozens of jobs at risk as Kew Gardens faces £5m shortfall"। রিচমন্ড গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪।
- ↑ ক খ "Royal Botanic Gardens, Kew"। বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (ইংরেজি ভাষায়)। ইউনেস্কো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০০৯।
- ↑ "Kew, History & Heritage" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ২৯ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "Director of Royal Botanic Gardens" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ১৪ অক্টোবর ২০১০। ১৫ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড (১ অক্টোবর ১৯৮৭)। "Royal Botanic Gardens, Kew (1000830)"। ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Quiz: Are you a Kew history buff?" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ ক খ গ ঘ মালডেন, এইচই (১৯১১)। Kew, A History of the County of Surrey: Volume 3 (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা ৪৮২–৪৮৭।
- ↑ লাইসনস, ডেনিয়েল (১৭৯২)। The Environs of London: volume 1: County of Surrey (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা ২০২–২১১।
- ↑ "London Attractions and Places of Interest Index" (ইংরেজি ভাষায়)। মাইল ফাস্টার। ৬ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ হ্যারিসন, ডব্লিউ (১৮৪৮)। The Visitor's Hand-book to Richmond, Kew Gardens, and Hampton Court (ইংরেজি ভাষায়)। ক্র্যাডক অ্যান্ড কোম্পানি। পৃষ্ঠা ২৫।
- ↑ পার্কার, লিন; রস-জোনস, কিরি (১৩ আগস্ট ২০১৩)। The Story of Kew Gardens (ইংরেজি ভাষায়)। আর্কটুরাস পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ৯। আইএসবিএন 9781782127482।
- ↑ জোনস, মার্টিন। "Royal Botanic Gardens, Kew and Wakehurst Place" (ইংরেজি ভাষায়)। ইনফো ব্রিটেইন। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ ইউনেস্কো পরামর্শক দল (২০০৩)। UNESCO Advisory Body Evaluation Kew (United Kingdom) No 1084 (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। ইউনেস্কো।
- ↑ ড্রেটন, রিচার্ড হ্যারি (২০০০)। Nature's Government: Science, Imperial Britain, and the 'Improvement' of the World (ইংরেজি ভাষায়)। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ৭৮। আইএসবিএন 0300059760।
- ↑ লংম্যান (১৮১৫)। দি এপিকিউর'স অ্যালমানাক। পৃষ্ঠা ২২৬–২২৭।
- ↑ স্মিথ, আর জি (১৯৮৯)। Stubbers: The Walled garden (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ জ্যারেল, রিচার্ড এ (১৯৭৯–২০১৬)। "Masson, Francis"। Dictionary of Canadian Biography (online সংস্করণ)। University of Toronto Press।
- ↑ "Lancelot 'Capability' Brown (1716–1783)"। কিউ হিস্ট্রি অ্যান্ড হেরিটেজ (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ৮ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১২।
- ↑ "Biographies" (পিডিএফ)। ল্যাঙ্কেস্টেরিয়ানা। ল্যাঙ্কেস্টার উদ্ভিদ উদ্যান। ১০ (২/৩): ১৮৩–২০৬, ১৮৬। ২০১০। ২৩ মে ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Palm House and Rose Garden"। ভিজিট কিউ গার্ডেনস (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৪।
- ↑ স্ফটিকের প্রাসাদ নামে কাচ ও লোহার তৈরি আরও মনোরম একটি স্থাপনা ছিল। কিন্তু একটি অগ্নিকান্ডে সেটি ধ্বংস হয়ে যায়।
- ↑ "Suffragists burn a pavilion at Kew; Two Arrested and Held Without Bail – One Throws a Book at a Magistrate"। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯১৩।
- ↑ বোন, ভিক্টোরিয়া (১৬ অক্টোবর ২০০৭)। "Kew: Razed, reborn and rejuvenated"। বিবিসি নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৪।
- ↑ "Kew Gardens Flagpole" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ৪ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ কেনেডি, মায়েভ (৩ মে ২০১৮)। "'Breathtakingly beautiful': Kew's Temperate House reopens after revamp"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Celebrating the tree"। কিউ ব্লগ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Treasures of London – The 'Old Lion' Maidenhair Tree, Kew Gardens"। এক্সপ্লোরিং লন্ডন (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ ভিমেরিস, অ্যান্ড্রু; জনস্টন, এডি (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "Meet Kew's Old Lions"। কিউ.অর্গ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "Treetop Walkway" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ৯ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ রোজ, স্টিভ (৯ অক্টোবর ২০১৭)। "David Marks obituary"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "Treetop Walkway" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ১৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "The making of the Treetop Walkway" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ৭ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ ক খ "Lake and Crossing"। কিউ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ "Lake and Sackler Crossing"। কিউ (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ ক খ "Maps of Kew Gardens" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ২০ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ জুরি, লুইস (১৩ এপ্রিল ২০১২)। "New St Pancras wins major award for architecture"। ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "Kew Garden set to bee a permanent home for popular sculpture The Hive" (ইংরেজি ভাষায়)। ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড। ২৪ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ "Kew Explorer land train" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ২২ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০২৫।
- ↑ ক খ "Compost heap" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ ক খ "Compost heap"। ভিজিট কিউ গার্ডেনস (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৪।
- ↑ "Introduction to the Gardens" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ৪ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "Aroid House No 1 listing"। ব্রিটিশ ভবনের তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Visit Kew Gardens – The Orangery" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ৩ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ ক খ কোলমায়ার, জর্জ; ফন সর্টরি, বারনা (১৯৯০)। Houses of Glass, A Nineteenth-Century Building Type (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য এমআইটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩০০।
- ↑ কোলমায়ার, জর্জ; ফন সর্টরি, বারনা (১৯৯০)। Houses of Glass, A Nineteenth-Century Building Type (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য এমআইটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৪০।
- ↑ ক খ গ কোলমায়ার, জর্জ; ফন সর্টরি, বারনা (১৯৯০)। Houses of Glass, A Nineteenth-Century Building Type (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য এমআইটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৯৬।
- ↑ কোলমায়ার, জর্জ; ফন সর্টরি, বারনা (১৯৯০)। Houses of Glass, A Nineteenth-Century Building Type (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য এমআইটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৯৯।
- ↑ "Local Sculptures – 10 Queen's Beasts" (ইংরেজি ভাষায়)। ব্রেন্টফোর্ড ডক রেসিডেন্টস। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৪।
- ↑ ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড। "CAMPANILE, Richmond upon Thames (1251642)"। ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "Augusta, Princess of Wales" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০০৫।
- ↑ ক খ অ্যাভিস-রিওর্ডান, ক্যাটি (৭ মে ২০১৯)। "The secrets of the Princess of Wales Conservatory"। কিউ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ ক খ The History of the Royal Botanic Gardens Kew
- ↑ "Temperate House, Royal Botanic Gardens" (ইংরেজি ভাষায়)। ডোনাল্ড ইনস্যাল অ্যাসোসিয়েটস। ৯ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ ল্যাংলি, ব্রি। "Why does the Waterlily House shut?" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "Waterlily House"। ভিজিট কিউ গার্ডেনস (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৪।
- ↑ ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড (৯ মে ২০১১)। "Australian House Kew (1401475)"। ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Bonsai Collection"। কিউ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ The Royal Botanic Gardens Kew, Key Plan, 1974
- ↑ The Royal Botanic Gardens Kew, Key Plan। The National Archive Kew OS 5/112. Ordnance Survey Map of Royal Botanic Gardens, Kew Gardens (ইংরেজি ভাষায়)। লন্ডন: অর্ডন্যান্স সার্ভে। ১৯৩৯।
- ↑ মর্লি, জেমস (১ আগস্ট ২০০২)। "Kew, History & Heritage" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ। ১৫ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Dragons to return to The Great Pagoda at Kew after 200-year hunt" (ইংরেজি ভাষায়)। হিস্টোরিক রয়েল প্যালেসেস। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "'Japan 2001′ fest set to take center stage in U.K."। দ্য জাপান টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Queen Charlotte's Cottage" (ইংরেজি ভাষায়)। হিস্টোরিক্যাল রয়েল প্যালেসেস। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড। "King William's temple (1251785)"। ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড। "Temple of Aeolus (1262669)"। ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ গ ম্যাকএওয়েন, রন (২০১৮)। "Solving the Mysteries of Kew's Extant Garden Temples"। গার্ডেন হিস্ট্রি (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৬ (২): ১৯৬–২১৬। জেস্টোর 26589606। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড। "Temple of Arethusa (1251777)"। ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড। "Temple of Bellona (1262581)"। ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড। "Ruined Arch (1251956)"। ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড। "Ice House (1251799)"। ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ গডফ্রে, অ্যালান (১৮৯৪)। Old Ordnance Survey maps: Kew, Gunnersbury and Old Brentford (ইংরেজি ভাষায়)। কনসেট: অর্ডন্যান্স সার্ভে। আইএসবিএন 9780850544268।
- ↑ "Folly trail, Kew" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Kew Gardens Temple of the Sun" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Kew Palace" (ইংরেজি ভাষায়)। ডোনাল্ড ইনস্যাল অ্যাসোসিয়েটস। ৯ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Kew Gardens Sundial"। পাবলিক মনুমেন্টস অ্যান্ড স্কাল্পচার অ্যাসোসিয়েশন (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Thomas Tompion (bapt.1639 d. 1713) – Sundial"। রয়েল কালেকশন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "Medical Museums"। মেডিক্যাল মিউজিয়ামস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "Marianne North Gallery, Royal Botanic Gardens" (ইংরেজি ভাষায়)। ডোনাল্ড ইনস্যাল অ্যাসোসিয়েটস। ৯ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ ক খ "Wood collection at Kew" (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড। "Cambridge Cottage (1065396)"। ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Cambridge Cottage"। হেরিটেজ গেটওয়ে (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Plants" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Aquatic Collection" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Bonsai Collection" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Arid Collection" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Carnivorous Plant Collection" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Grass Collection" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Orchid Collection" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Arboretum" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Arboretum" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Kew Herbarium Catalogue" (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ "Kew website, Herbarium Collections" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Welcome to the Kew Herbarium Catalogue" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Index Herbariorum" (ইংরেজি ভাষায়)। স্টিয়ার হার্বেরিয়াম, নিউইয়র্ক। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "The Fungarium" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। ১০ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২০।
- ↑ "Kew's Library" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ১৫ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Library and Archives" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৪।
- ↑ "The Library"। কিউ (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২১।
- ↑ ফর্টি, রিচার্ড (২০০৮)। Dry Store Room No. 1 (ইংরেজি ভাষায়)। হার্পারকলিন্স। আইএসবিএন 9780007209880।
- ↑ "Jodrell Laboratory" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ১৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৪।
- ↑ "Economic Botany Collection" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৪।
- ↑ মেটকালফে, সিআর (১৯৭৬)। Jodrell Laboratory Centenary 1876–1976 (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ।
- ↑ থিসেলটন-ডায়ার, ডব্লিউটি (নভেম্বর ১৯১০)। "The Jodrell Laboratory at Kew"। ন্যাচার (ইংরেজি ভাষায়)। ৮৫ (২১৪৩): ১০৩–১০৪। এসটুসিআইডি 3974811। ডিওআই:10.1038/085103d0। বিবকোড:1910Natur..85..103T।
- ↑ রুডল, পাউলা জে (ডিসেম্বর ২০২২)। "From "New Botany" to "New Systematics": an historical perspective on the Jodrell Laboratory"। কিউ বুলেটিন। ৭৭ (৪): ৮০৭–৮১৮। ডিওআই:10.1007/S12225-022-10061-0
। বিবকোড:2022KewBu..77..807R।
- ↑ ঘোষ, পল্লব (১৮ মে ২০১০)। "Waterlily saved from extinction"। বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১০।
- ↑ মাগদালেনা, কার্লোস (নভেম্বর ২০০৯)। "The world's tiniest waterlily doesn't grow in water!"। ওয়াটার গার্ডেনারস ইন্টারন্যাশনাল (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ (৪)। ১৩ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১০।
- ↑ ব্রিউয়ার, জি (৪ জুলাই ২০২২)। "Uncovering the giant waterlily: A botanical wonder of the world" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ৪ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Parks Regulation Act 1872" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ ম্যাককার্থি, মাইকেল (৩০ জানুয়ারি ২০০১)। "How many policemen does it take to guard an orchid?"। দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
- ↑ "Parks Regulation Act 1872: 3 Definition of "park-keeper" Section 3" (ইংরেজি ভাষায়)। যুক্তরাজ্য আইনসভা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "Parks Regulation Act 1872: 7 Powers, duties, and privileges of park-keeper" (ইংরেজি ভাষায়)। যুক্তরাজ্য আইনসভা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ Dictionary of Scottish Architects: Robert Lorimer (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Eating and drinking"। কিউ উদ্যান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০২৫।
- ↑ "Videos" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ১৮ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৫।
- ↑ "World Garden"। ব্রিটিশ কাউন্সিল ফিল্ম কালেকশন (ইংরেজি ভাষায়)। ব্রিটিশ কাউন্সিল। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "IMDb: Time Team: Season 10, Episode 9 Kew Gardens, London"। আইএমডিবি (ইংরেজি ভাষায়)। ২ মার্চ ২০০৩।
- ↑ "IMDb: Art of the Garden: Season 1, Episode 2 The Great Palm House at Kew" (ইংরেজি ভাষায়)। আইএমডিবি। ৪ জুন ২০০৪।
- ↑ "A Year at Kew"। এপিসোড গাইড (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি। ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "BBC Two: Cruickshank on Kew: The Garden That Changed the World" (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি। ১০ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Kew: Kingdom of Plants with David Attenborough" (ইংরেজি ভাষায়)। কিউ উদ্যান। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ মারিয়া, শার্লিন (১৭ জানুয়ারি ২০২২)। "Sherlock Holmes: Best Murder Cases In The Series, Ranked"। দ্য গেমার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ রাইড, প্যান্থিয়া (২ ডিসেম্বর ২০১৩)। "Virginia Woolf: early fiction"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা ২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪।
- ↑ উলফ, ভার্জিনিয়া (১৯২১)। Kew Gardens (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২৫।
- ↑ "Royalty opens Kew Gardens' Elizabeth Gate"। রিচমন্ড অ্যান্ড টুইকেনহ্যাম টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Which gate to use"। ভিজিট কিউ গার্ডেনস (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Getting here" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০২৪।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- ব্লান্ট, উইলফ্রিড (১৯৭৮)। In for a Penny: A Prospect of Kew Gardens (ইংরেজি ভাষায়)। হ্যামিশ হ্যামিল্টন।
- ডেসমন্ড, রে (১৯৯৫)। Kew: The History of the Royal Botanical Gardens (ইংরেজি ভাষায়)। হারভিল প্রেস।
- The Royal Botanic Gardens, Kew. An illustrated guide (ইংরেজি ভাষায়) (তৃতীয় সংস্করণ)। লন্ডন: হার ম্যাজেস্টি'স স্টেশনারি অফিস। ১৯৫৯।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- "Kew"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 15 (১১তম সংস্করণ)। ১৯১১। পৃষ্ঠা 767। — The Royal Botanic Gardens of Kew originated in..... (ইংরেজি)
- ১৭৫৯-এ ইংল্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত
- ১৭৫৯-এ সম্পন্ন ভবন ও স্থাপনা
- লন্ডনের শিল্প জাদুঘর ও চিত্রশালা
- লন্ডনের উদ্ভিদ উদ্যান
- উদ্ভিদবৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান
- টেমস নদীর তীরে ভবন ও স্থাপনা
- ক্যাপাবিলিটি ব্রাউন কর্তৃক বাগান
- লন্ডনের বাগান
- যুক্তরাজ্যের গ্রিনহাউজ
- লন্ডন বরো অব রিচমন্ড আপন টেমসের ১ম শ্রেণির তালিকাভুক্ত ভবন
- লন্ডনের ১ম শ্রেণির তালিকাভুক্ত উদ্যান ও বাগান
- লন্ডন বরো অব রিচমন্ড আপন টেমসের ২য় শ্রেণির তালিকাভুক্ত ভবন
- ইংল্যান্ডের জাপানি বাগান
- কিউ গ্রিন
- কিউ, লন্ডন
- লন্ডনের চিকিৎসা জাদুঘর
- লন্ডন বরো অব রিচমন্ড আপন টেমসের জাদুঘর
- ইংল্যান্ডের প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর
- লন্ডন বরো অব রিচমন্ড আপন টেমসের উদ্যান ও উন্মুক্ত স্থান
- জাখসেন-গোথার প্রিন্সেস অগাস্টা
- রয়েল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ
- লন্ডনের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান