কাশিল ইউনিয়ন
কাশিল | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
বাংলাদেশে কাশিল ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°১৪′৩″ উত্তর ৯০°০′৩৯″ পূর্ব / ২৪.২৩৪১৭° উত্তর ৯০.০১০৮৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | টাঙ্গাইল জেলা |
উপজেলা | বাসাইল উপজেলা |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
কাশিল ইউনিয়ন বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত বাসাইল উপজেলার একটি ইউনিয়ন।[১][২]
ভৌগোলিক উপাত্ত
[সম্পাদনা]বাংড়াঃ এই গ্রামটি ভৌগলিক দিক দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামটি ঝিনাই নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত৷৷ টাংগাইল জেলা থেকে বাসাইল ও সখিপুর উপজেলায় মুখ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাছাড়া কাশিল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা বেশি থাকায় কাশিল ইউনিয়নের অন্যতম পাওয়ার হাউজ ধরা হয়।
কাশিলঃ এই গ্রামটির মাঝ দিয়ে চলে গেছে ঝিনাই নদী। ঝিনাই নদীর দুই পাড়ে প্রচুর কাশবন ছিল। আর গাছ- গাছালি ও ছিল প্রচুর কাক। কাশবন ও কাকের নাম অনুসারে গ্রামের নাম কাশিল হয়ে যায় কাশিল।
বাথুলী সাদীঃ ঝিনাই নদীর তীব্র ভাঙন এক সময় মোড় নিয়ে এই গ্রামের দিকে আসতে থাকে। পরে এলাকার মানুষ বিশাল বাঁধ নির্মাণ করে নদী ভাঙনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই বাধের কারণে গ্রামের নাম হয় বাথুলী। পরবর্তীতে এই গ্রামে এক পরিবারের আবিরভাব ঘটে আফগানস্থান থেকে। সেই পরিবারে জন্ম হয় বিখ্যাত এক লোক তার নাম সাদী খাঁন। দূর- দূরান্তের মানুষ সাদী খাঁনের বাথুলী বাথুলী হিসেবে এ গ্রামকে চিনতো। পরে বাথুলীর সাথে সাদী যোগ হয়ে গ্রামের নাম হয় বাথুলী সাদী।
বিয়ালাঃ একাধিক বিলের মধ্যে প্রায় সারা বছর গ্রামটি ভেসে থাকতো। শুস্ক মৌসুমে মানুষ ক্ষেতের আইল দিয়ে চলাফেরা করতো। বিল এবং আইলের সংমিশ্রনে গ্রামের নাম হয় বিয়ালা।
দাপনাজোরঃ ঝিনাই নদীর পাড়ে গড়ে উঠা এই গ্রামটি অত্যন্ত সুন্দর। এখানে একটি গার্লস স্কুল রয়েছে যা অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত। এই গ্রামে ওয়াটার গার্ডেন রিসোর্ট নামে একটি রিসোর্ট রয়েছে।
পিচুড়ীঃ এগ্রামে প্রচুড়গাছ-গাছালি ছিল। এসব গাছে পেচাঁ ও টিয়ার পাখির বসবাস ছিল। টিয়া ও পেচাঁর ডাকের শব্দে এই নীরব গ্রামটি কোলাহলে ভরা ছিল। টিয়ার ও পেচারডাকের কারণে এবং এদের অবস্থানের জন্য গ্রামটির নাম হয় পিচুটি। পরে সংস্করণ হয়ে নাম হয় পিচুড়ী।
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]মোট জনসংখ্যাঃ ২৫৭৬১ জন*
যোগাযোগ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]ক) উপজেলা সদর সরকারি হাসপাতাল গেইট থেকে কাশিল ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত - সিএনজিতে- ১৫-২০/- (জনপ্রতি)।
খ) বাথুলী সাদী বাজার থেকে কাশিল বটতলা, বাংড়া ও নথখোলা পর্যন্ত - সিএনজিতে - ২০-২৫/- (জনপ্রতি), রিক্সাযোগে- ৩৫-৪০/- (জনপ্রতি)।
গ) বালিয়া বাজার থেকে বাঘিল, ফুলবাড়ী, বাসাইল পর্যন্ত - সিএনজিতে - ২০-২৫/- (জনপ্রতি), রিক্সাযোগে- ৫০-৬০/- (জনপ্রতি)।
ঘ) দেউলী বাজার থেকে দাপনাজোর, নথখোলা, করটিয়া পর্যন্ত - সিএনজিতে- ২০-৩০-(জনপ্রতি), রিক্সাযোগে-৪০-৫০/-(জনপ্রতি)।
হাটবাজারের তালিকা
[সম্পাদনা]- কাশিল বটতলা বাজার
- বাথুলী বাজার
- কাশিল পুরাতন বাজার
- বাঘিল/ফুলবাড়ি বাজার
- দেউলি বাজার
হাসপাতাল
[সম্পাদনা]কমিউনিটি ক্লিনিক বিদ্যমান
শিক্ষা
[সম্পাদনা]- মারথা লিন্ডস্ট্রম নুরজাহান বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দাপনাজোর
- দেউলি কে এইচ নুর উচ্চ বিদ্যালয়
- বাথুলি সাদী উচ্চ বিদ্যালয়
- নাকাছিম নিমতলা বাজার
- কে. বি. এন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
- খন্দকার আবু হোসেন মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- নথখোলা স্মৃতিসৌধ
- ওয়াটার গার্ডেন রিসোর্ট,(দাপনাজোর)
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]বেশির ভাগ মানুষ কৃষক। কিছু সরকারি চাকুরি করে ও অনেকে ব্যবসা করে। তাছাড়া অনেকে প্রবাসী।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
[সম্পাদনা]১. মরহুম সাদি খান, বাথুলী সাদী গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে যার নামে।
২. মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল কাদির খান (ডাবল এম এ), প্রাক্তন চেয়ারম্যান অত্র ইউনিয়ন।
৩. মরহুম ফজলুল হক জমাদার, প্রাক্তন চেয়ারম্যান অত্র ইউনিয়ন,
৪. আখতারুজ্জামান ভূইয়া (রুনু) সহকরী পুলিশ সুপার,
৫. আবু আহম্মেদ জমাদার, যুগ্ন সচিব, আইন মন্ত্রণালয়,
৫. মো: মাসুম খান, সচিব,যুগ্ন সচিব প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়,
৬. শহীদ মনিরুলজ্জামান (বীরবিক্রম),
৭. মরহুম জংগু মির্জা,
৮. মরহুম আলহাজ হাজী জালু খান,
৯. বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবু হোসেন ( সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান)-বাসাইল।
১০.মরহুম মির্জা আব্দুল হাকিম।
১১. মরহুম দুলাল খান..... বিশিষ্ট ফুটবলার।
বিবিধ
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |