কালো মাম্বা
| এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
| কালো মাম্বা | |
|---|---|
| বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
| জগৎ/রাজ্য: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
| পর্ব: | কর্ডাটা (Chordata) |
| শ্রেণি: | রেপটিলিয়া (Reptilia) |
| বর্গ: | স্কোয়ামাটা (Squamata) |
| উপবর্গ: | সারপেন্টস (Serpentes) |
| পরিবার: | এলাপিডি(Elapidae) |
| গণ: | ডেনড্রোয়াস্পিস (Dendroaspis) গুন্টার, ১৮৬৪[২] |
| প্রজাতি: | D. polylepis |
| দ্বিপদী নাম | |
| Dendroaspis polylepis গুন্টার, ১৮৬৪[২] | |
| লাল রঙে কালো মাম্বার বিচরণ পরিসীমা চিহ্নিত করা হয়েছে (ধূসর অংশ অমীমাংসিত) | |
| প্রতিশব্দ[৩] | |
|
তালিকা
| |
কালো মাম্বা (Dendroaspis polylepis) এলাপিড পরিবারভুক্ত এক প্রজাতির বিষধর সাপ। এটি আফ্রিকার সবচেয়ে বিপজ্জনক ও ভয়ংকর সাপ। আফ্রিকার একটি বড় অঞ্চলজুড়ে এই সাপের বিস্তৃতি লক্ষ্য করা যায়। কালো মাম্বা দেখা যায় ইথিওপিয়া, কেনিয়া, বতসোয়ানা, উগান্ডা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, অ্যাঙ্গোলা, নামিবিয়া, মালাউই, মোজাম্বিক, সোয়াজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, এবং কঙ্গোতে। সাভানা অঞ্চল, কাষ্ঠল বণাঞ্চল, এবং শিলাময় অঞ্চলে এদের দেখা যায়।[৪] এরা নিজেরা হুমকির সম্মুখীন হলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এবং মরণঘাতী দংশন করতে দ্বিধা করে না।
আকৃতির দিক থেকে কালো মাম্বা আফ্রিকার সর্ববৃহৎ এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিষধর সাপ রূপে চিহ্নিত। একটি পূর্ণ বয়স্ক কালো মাম্বার দৈর্ঘ্য গড়ে প্রায় ২.৫ মিটার এবং সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য প্রায় ৪.৩ মিটার।[৫] কালো মাম্বা থেকে বড় পৃথিবীর একমাত্র প্রজাতির বিষধর সাপটির নাম শঙ্খচূড় বা কিং কোবরা,[৬] যা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সাপ। আর বনাঞ্চলে দেখতে পাওয়া এই সাপটির অন্যতম একটি স্থানীয় বা প্রজাতিগত বাসস্থান হচ্ছে সুন্দরবন। অন্যান্য সরীসৃপের মতোই কালো মাম্বা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাহ্যিক তাপের ওপর নির্ভরশীল।[৭] কালো মাম্বা নামটি একটি ভুল পথ নির্দেশনামূলক। কারণ, সাপটির ত্বকের সত্যিকারের রং কালো নয়, বরং গাঢ় ধূসর জলপাই রংয়ের এবং এই নামের বিশেষ কারণ এর মুখের ভিতরের রং কালো। যদিও জীবনের প্রথমভাগে এটিও থাকে না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সাপের ত্বকের রং গাঢ় হতে থাকে।[৮] এদের নামের সাথে কালো বা কালো যুক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে ধারণা করা হয় এদের কুচকুচে কালো মুখকে। এদের মুখের ভেতরটা পুরোটা গাঢ় কালো রংয়ের। কালো মাম্বা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী সাপ রূপে চিহ্নিত। বলা হয় এদের কিছু প্রজাতি ঘণ্টায় ১৯.৫ কিলোমিটার বেগে চলাচল করতে পারে।[৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Branch, W.R.; Trape, J.-F.; Luiselli, L.; Spawls, S.; Penner, J.; Howell, K.; Msuya, C.A.; Ngalason, W. (২০২১)। "Dendroaspis polylepis"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১। আইইউসিএন: e.T১৭৭৫৮৪A১৫৬২৭৩৭০। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2021-2.RLTS.T177584A15627370.en। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২১।
- 1 2 "Dendroaspis polylepis"। ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্সোনোমিক ইনফরমেশন সিস্টেম।
- ↑ Uetz, Peter; Hallermann, Jakob। "Dendroaspis polylepis Günther, 1864"। রেপটাইল ডাটাবেস। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "The Black Mamba"। Venomous Reptiles.org। ২০০০–২০০৭। ২৬ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০০৮।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: তারিখ বিন্যাস (লিঙ্ক) - 1 2 Perry, Mike (২০০১–২০০৭)। "Black Mamba"। African Reptiles and Venom। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০০৮।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: তারিখ বিন্যাস (লিঙ্ক) - ↑ "National Geographic black mamba page"। ৯ মে ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "The Black Mamba Snake"। Environmental Involvement for Young People। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০০৮।
- ↑ Mastenbroek, Richard (২০০২)। "Black Mamba"। Richard Mastenbroek। ১ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০০৮।