কালো ছত্রাক (কোভিড-১৯ জনিত অবস্থা)

বিশেষ দ্রষ্টব্য: উইকিপিডিয়া কোনো চিকিৎসা-সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদানকারী ওয়েবসাইট নয়। প্রয়োজনে পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরও দেখুন: মিউকরমাইকোসিস

৪৭-বছর বয়স্ক মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তি (বামে) এবং ইলেকট্রন মাইক্রোগ্রাফে তার চামড়ায় মিউকোরালেস ছত্রাকের স্পোরাঞ্জিয়া দেখা যাচ্ছে।

কোভিড-১৯-সম্পর্কিত মিউকরমাইকোসিস, যা সাধারণত কালো ছত্রাক বা কৃষ্ণ ছত্রাক হিসেবে উল্লেখিত হয়, হলো কোভিড-১৯ এর সাথে সম্পর্কিত মিউকরমাইকোসিসের তথা অ্যাগ্রেসিভ ধাঁচের ছত্রাক সংক্রমণ। নাক, চোখ এবং মস্তিষ্কে আক্রান্ত করে, যার ফলে কখনো কখনো এটাকে 'রাইনো-অরবিটার-সেরেব্রাল (আরওসি) মিউকরমাইকোসিস' হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

কোভিড-সম্পর্কিত মিউকরমাইকোসিসের তথ্য সাধারণত বিরল ছিল। চিকিৎসা সাহিত্যের পর্যালোচনা করে দেখা যায় ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা বিশ্বে এ ধরনের মাত্র ৮টি ঘটনা ঘটেছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী মিউকরমাইকোসিসের সবচেয়ে সাধারণ ঝুঁকির কারণ ছিল ডায়াবেটিস। হাসপাতালে ভর্তির সময় (প্রায়শই ভর্তির ১০-১৪ দিন পরে) বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগ দেখা যায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই মারা যায়। প্রথম থেকেই অ্যাগ্রেসিভ চিকিৎসা অপরিহার্য হিসেবে বিবেচিত হয়। ধারণা করা হয় যে ৪০% থেকে ৮০% মিউকরমাইকোসিসের কোনো ধরণে আক্রান্তরা মৃত্যুবরণ করেন, যা সংক্রমণস্থল এবং অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য অবস্থার উপর নির্ভর করে।

কোভিড-সম্পর্কিত মিউকরমাইকোসিস ভারতের মানুষকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে। রাশিয়াতেও এ সমস্যা দেখা দেয়। বাংলাদেশেও এই রোগী শনাক্ত করা হয়। ভারতে এই সংক্রমণের উচ্চমাত্রার কারণ হিসেবে কোভিড সংক্রমণের উচ্চ হার এবং ডায়াবেটিসের উচ্চ হারকে নির্দেশ করা হয়। ২০২১ সালের মে মাসে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ কোভিড-সম্পর্কিত মিউকরমাইকোসিসকে শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য নির্দেশিকা জারি করে।

দ্রুত ক্রমবর্ধমান আক্রান্ত ঘটনার ফলে রাজস্থান সরকার ১৯ মে ২০২১ তারিখে এই রোগকে মহামারী ঘোষণা করে। রাজস্থান সরকারের পাশাপাশি হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং গুজরাত সরকারও এখন এই মহামারী ঘোষণা করেছে।