কালোডগা প্রবালপ্রাচীর হাঙর
এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
![]() | এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
কালোডগা প্রবালপ্রাচীর হাঙর | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Chondrichthyes |
উপশ্রেণী: | Elasmobranchii |
বর্গ: | Carcharhiniformes |
পরিবার: | Carcharhinidae |
গণ: | Carcharhinus |
প্রজাতি: | C. melanopterus |
দ্বিপদী নাম | |
Carcharhinus melanopterus (Quoy & Gaimard, 1824) | |
![]() | |
Range of the blacktip reef shark | |
প্রতিশব্দ | |
Carcharias elegans Ehrenberg, 1871 * ambiguous synonym |
কালোডগা প্রবালপ্রাচীর হাঙর (বৈজ্ঞানিক নাম Carcharhinus melanopterus) এটি requiem হাঙর এর একটি প্রজাতি এবং এটি Carcharhinidae পরিবারের। এদের খুব সহজে শনাক্ত করা যায় এদের পাখনার কালো টিপ দেখে। এই হাঙর বাস করে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রবালদ্বীপের আশেপাশে। প্রশান্ত মহাসাগরের সব জায়গাতে এরা বিচরণ করে। এই প্রজাতি সাধারণত ১.৬ মিটার (৫.২ ফুট) এর মতো হয়।
নামকরণ
[সম্পাদনা]
ফরাসি প্রকৃতিবিদ জঁ র্যনে কোঁস্তঁ ক্যুয় এবং জোযেফ পোল গাইমার কালোডগা প্রবালপ্রাচীর হাঙর আবিষ্কার করেন। ১৮১৭-১৮২০ সালে অনুসন্ধানাত্মক সমুদ্রযাত্রার সময় এটিকে আবিষ্কার করা হয়। নমুনা ছিল একটা ৫৯ সেমি (২৩ ইঞ্চি) লম্বা একটা পুরুষ হাঙর। এটিকে পশ্চিম নিউ গিনি এর Waigeo দ্বীপ থেকে ধরা হয়।
ক্যুয় এবং জোযেফ এটির নাম দেন Carcharias melanopterus । নামটি এসেছে গ্রিক melas থেকে যার অর্থ "কালো" এবং pteron যার অর্থ "পাখনা" ও "গরূৎ"। পরবর্তিকালে এটিকে Carcharhinus গোত্রের ভিতরে ঢুকানো হয়েছে। ১৯৬৫ সালে জুলজিকাল নামকরণের আন্তর্জাতিক কমিশন Carcharhinus নামটাই মনোনীত করে। কিছু আগে এটির বৈজ্ঞানিক নাম C. spallanzani দেওয়া হয়।
এটির নামের অনেক প্রতিশব্দ আছে। নানান সময়ে এই প্রতিশব্দ ব্যবহার করা হয়। যেমন- Carcharias elegans Ehrenberg, 1871 Carcharias marianensis Engelhardt, 1912 Carcharias melanopterus Quoy & Gaimard, 1824 Carcharias playfairii Günther, 1870 Squalus carcharias minor Forsskål, 1775 Squalus commersonii* Blainville, 1816 Squalus ustus* Duméril, 1824
ইংরেজিতে এদের সাধারণ নামগুলি হলো ব্লাকটিপ রীফ শার্ক, ব্লাক রীফ শার্ক, ব্লাক ফিন রীফ শার্ক, ব্লাকটিপ শার্ক, ব্লাকটিপ নিলও শার্ক ইত্যাদি। এদের আরো যেসব নাম শোনা যায়ঃ Zwartpuntrifhaai- ডাচ, Žralok cernošpicí এবং Žralok útesový cernošpicý- চেক, thalan-sorrah এবং koppulisura- তামিল, gursh, jahrah, jarjur, rabie এবং shattafi- আরবি, chalarm - থাই, balda, Mori এবং khada mushi- মারাঠি, apeape, malie-alamata- সামোয়ান, anak hiu, hiu, ikan hiu, chan, yu kepak hitam, yu nipah, yu shirip hitam, yu sirip hitam-মালয়।
বিচরণ
[সম্পাদনা]
সাধারণত সারা ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এদের খুব চোখে পড়ে। এদের উত্তর অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে পাওয়া যায়। তাছাড়া হাওয়াই এর দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল এলাকায় এদের দেখা মেলে। ভারত মহাসাগরে এটি দক্ষিণ আফ্রিকা, লোহিত সাগর সহ মাদাগাস্কার, মরিশাস, এবং সিসিলি তে পাওয়া যায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বা ভারতীয় উপমহাদেশ এটিকে শ্রীলঙ্কা, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, এবং মালদ্বীপ সহ আরো অনেক উপকূলীয় এলাকায় ব্লাকটিপ রীফ হাঙরের দেখা মেলে। প্রশান্ত মহাসাগরে এটিকে দক্ষিণ চীন এবং ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, উত্তর অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ ক্যালেডোনিয়া তে পাওয়া যায়। তাছাড়া আরও অনেক মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ এর আশেপাশে এদের দেখা পওয়া যায়। যেমন- মার্শাল, গিলবার্ট, সোসাইটি, এবং হাওয়াইয়ান দ্বীপ। ব্লাকটিপ রীফ হাঙর প্যাসিফিক অঞ্চলের খুবই সাধারণ একটা রীফ হাঙর। ব্লাকটিপ রীফ হাঙর ছাড়াও আরো দুটি রীফ হাঙর ওই একই এলাকয় পাওয়া যায়- হোয়াইটটিপ রীফ শার্ক এবং গ্রেরীফ শার্ক।
কিশোর ব্লাকটিপ রীফ হাঙর সাধারণত অগভীর জলে থাকতে ভালোবাসে। এরা পরিষ্কার জলে প্রবালপ্রাচীরের আশেপাশে কম গভীরতার মধ্যে (১০ ফুট বা ৩ মিটার) ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তবে প্রায়ই প্রাপ্তবয়স্কদের গভীর জলে পাওয়া যায়। বড় ব্লাকটিপ রীফ হাঙরও পরিষ্কার জলে ও প্রবালপ্রাচীরের আশেপাশে থাকতে ভালবাসে।
জীববিদ্যা
[সম্পাদনা]
ব্লাকটিপ রীফ হাঙর এর চোখটি ছোট, চওড়া, বৃত্তাকার এবং পরিমিতরূপে ডিম্বাকৃতির মত হয়। এদের নাক মুখের উপরে হয় এবং নাকের ছিদ্র বেশ বড় হয়। বক্ষীয় পাখনা বৃহত হয় এবং তীক্ষ্নভাবে কাস্তের মতো বাঁকা (কাস্তে আকৃতির) হয়। দ্বিতীয় পৃষ্ঠীয় পাখনার পিছনের দিকে ধূসর রং এর মার্জিন থাকে এবং এটি (পৃষ্ঠীয় পাখনা) পায়ূ পাখনা বিপরীতে অবস্থান করে। এদের দ্বিতীয় পৃষ্ঠদেশীয় পাখনা থেকে প্রথম পৃষ্ঠদেশীয় পাখনা বড় হয়। এদের দুটি পৃষ্ঠদেশীয় পাখনার ভেতর অন্ত পৃষ্ঠদেশীয় বন্ধন অনুপস্থিত। যদিও কিছু প্রজাতির মধ্যে এটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
অনেকে গ্রে রীফ শার্কের সাথে ব্লাকটিপ রীফ শার্ককেও গুলিয়ে ফেলে। ব্লাকটিপ রীফ শার্কের পৃষ্ঠদেশীয় পাখনার কালো টিপ (ফোটা) দেখে এদের স্বতন্ত্র করে চেনা যায়। ব্লাকটিপ রীফ শার্কের সব পাখনাতেই কালো টিপ দেখা যায়। ব্লাকটিপ রীফ হাঙর এর পৃষ্ঠদেশ ধূসর এবং কটা বর্ণের এবং এদের পেট ও অঙ্কতল সাদা বর্ণের হয়।
ব্লাকটিপ রীফ হাঙর এর দাঁত বেশ সংকীর্ণ হয়। তাছাড়া এদের দাঁত বাঁকানো এবং দেখতে অনেকটা পাহাড়ের চূড়ার মত লাগে। এদের নিচের দাঁত খুবই সংকীর্ণ হয়। বয়স্ক পুরুষ ব্লাকটিপ রীফ হাঙর এর দাঁত স্ত্রী হাঙর এর তুলনায় বেশি ধারালো হয়। দাঁতের সংখ্যার দিক দিয়ে ২৩ থেকে ২৮ টির মধ্যে উপরের চোয়ালে এবং নিচের চোয়ালে থাকে ২১ থেকে ২৭ টির মধ্যে। এদের কোনো মধ্য দাঁত নেই, উপরের চোয়ালর দুই পাশে ১০-১২ টি করে সারি থাকে এবং নিচের চোয়ালে ১০-১৩ সারি থাকে।
ব্লাকটিপ রীফ হাঙর একটা টি মাঝারি মাপের হাঙর। এরা সাধারণত ৩৬-৩৯ ইঞ্চিতে পৌছালে এদেরকে পরিপক্ব হাঙর হিসাবে ধরা হয়। পুরুষ ব্লাকটিপ রীফ হাঙর এর আকার হয় ৩৮-৪৪ ইঞ্চি (০.৯১-১.০ মিটার) এবং নারী যথাক্রমে ০.৯৭ -১.১২ মিটার। বৃহত্তম নমুনা রেকর্ড করা হয়ে ছিলো ৭৯ ইঞ্চি (২ মি)। রেকর্ডে করা সর্বাধিক ওজনের হাঙরটি ছিলো ১৩.৬ কেজি (৩০ পাউণ্ড)।
খাদ্য অভ্যাস
[সম্পাদনা]
ব্লাকটিপ রীফ হাঙর বাস্তুতন্ত্রের সব থেকে উপরের স্তরের খাদক। পরিবেশগত ও বাস্তুতন্ত্রের ক্ষেত্রে এদের ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে এদের খাবারের তালিকায় আছে অনেক রকম ছোট মাছ যেমন- মুলেত(mullet), তেলেওস্ত(teleost), স্মেল্ট-ওহিতিংস(smelt-whitings), সুরগেওনফিশ(surgeonfish), ওরাসসেস(wrasses), মজাররাস(mojarras) এবং জ্যাক ফিশ। ব্লাকটিপ রীফ হাঙরের দল মুলেত মাছ খেতে ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় এলাকায় জমায়েত হয়। এরা কেবল ছোট মাছ খায় এমন নয়, এদের খাবার তালিকায় আরো আছে স্কুইড, অক্টোপাস, কাঁটলফিশ, চিংড়ি। এছাড়াও এরা নানা রকম মরা মাছও খায়। এখানেই শেষ নয়, এরা এমন একটা জাতি যারা ছোট হাঙর ও রে মাছ খায়। এরা যদি না থাকতো তবে সাগরের তলদেশ একটা ময়লার খনিতে পরিণত হতো। এদের সমুদ্রের পাখি শিকার করার প্রমাণ আছে। এদের পেটের ভেতর শৈবালপুঞ্জ, ঘাস, কচ্ছপ, প্রবাল, ইঁদুর এবং পাথর পাওয়া গেছে।
বেশির ভাগ হাঙরের মতই ব্লাকটিপ রীফ হাঙরের চোখে কোন কোষ (cone cells) থাকে না। তাই এরা কোনো রং আলাদাকরে চিনতে পারে না। পরীক্ষায় জানা গেছে এই হাঙর ১.৫-৩ মি (৫-১০ফুট) দূরের ছোট বস্তু বা শিকার শনাক্ত করতে পারে, কিন্তু বস্তুর আকৃতিটা ঠিক কেমন তা বুঝতে পারেনা। ইলেক্ট্রোরিসেপশনের (প্রাণী দেহ থেকে আসা খুবই হালকা বৈদ্যুতিন সংকেত) সাহায্য নিয়ে এরা শিকার করতে পারে। এরা খাবার খাওয়ার কাজটা দিনের বেলা থেকে রাতের বেলায় বেশি করে।
প্রজনন
[সম্পাদনা]
ব্লাকটিপ রীফ শার্ক একটি জরায়ুজ মাছ, যার মানে মায়ের জরায়ুর ভেতরে বাচ্চা বিকাশ লাভ করে এবং জরায়ু থেকে সরাসরি জন্মগ্রহণ করে। এদের প্রজনন চক্রের সময়সীমা এলাকা ভেদে এক এক রকম হয়। যেমন- বার্ষিক, অর্ধ বার্ষিক, এবং দ্বিবার্ষিক। এদের গর্ভকালিন সময় সীমা ৮-৯ মাস থেকে ১০-১১ মাস দীর্ঘস্থায়ী হয়। আবার অনেক সময় ১৬ মাসও লেগে যায়। এক বারে এরা ২-৪ টি শিশুর জন্ম দেয়।
ব্লাকটিপ রীফ শার্ক প্রজননের সময় একে অপরকে অনুসরণ করে। বলা বাহুল্য তারা এমন আচরণ করে প্রজননের করণে। মিলনের সময় এলে নারী ব্লাকটিপ রীফ শার্ক একটা বিশেষ প্যাটার্নে পুরুষ হাঙরের আশেপাশে খুব ধীরে সাতার কাটতে থাকে। পুরুষ নারী উভয়ের অনুমতিতে মিলন ঘটে। মিলনের সময় পুরুষ হাঙর নারী হাঙরকে মুখ দিয়ে কামড়ে ধরে রাখে। অনেক সময় একারণে নারীর শরীরে আঘাত লাগে। তবে এটা গুরুতর হয় না। ৪-৬ সপ্তাহ পরে এটা ঠিক হয়ে যায়।
বিপদ
[সম্পাদনা]
ব্লাকটিপ রীফ হাঙর মানুষের মাঝেই সাতার কাটে আর এদের থেকে মানুষের বিপদের বিশেষ কোনো কারণ নেই। এরা আসলে একটু ভীতু প্রকৃতির হয়। মানুষের জন্য গুরুতর হুমকির কারণ এরা একদমই নয়। তবে মানুষের উপর এদের হামলা করার কথাও জানা গেছে। আন্তর্জাতিক শার্ক আক্রমণ ফাইল (ISAF) এর হিসাব মতে ১৯৫৯ থেকে শুধুমাত্র ১১ টি ব্লাকটিপ রীফ শার্ক এর হামলার কথা রেকর্ড করা হয়েছে। এই হামলাকে ঠিক সেভাবে হামলা বলা যায় না। ব্লাকটিপ রীফ শার্কের কারণে এখনো কেউ মারা যাইনি। সাধারণত মানুষ যখন এদের খাবার খাওয়াতে যায় তখন ভুলকরে এরা কামড়ে বসে। তবে মজার কথা হলো যদি কোনো ব্লাকটিপ রীফ শার্ক এমন ভুল করে তবে সে আপনার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেবে নিজের ভাষায়।
এরা সাগরের নিচে মানুষের সাথে এমন আচরণ করে দেখে মনে হবে এটি আপনার বাড়ির পোষা কুকুর। অনেকে এদের খেতে দিতে ভালবাসে। অনেকের ধারণা মানুষের সাথে এদের এতোটা মিশুক হওয়ার কারণ এটাই। আবার অনেকে ভাবে খাবার দিয়ে আমরা একটা শিকারিকে ভুলিয়ে দিয়েছি শিকারের ক্ষমতা। তবে একথা বলা যেতেই পারে যে ব্লাকটিপ রীফ হাঙরদের ভয় পাবার কিছু নেই।
গুরুত্ব
[সম্পাদনা]অনেক জেলে ব্লাকটিপ রীফ শার্ক ধরে থাকে। এটি তারা পাখনা এবং মাংসের জন্য ধরে থাকে। তবে এটির ছোট আকারের জন্য অনেকে ধরতে চায় না। তবে এই প্রজাতি গবেষণা ও ডুবো পর্যটনের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে দেখতে ও খাওয়াতে অনেকে ভালবাসে।
সংরক্ষণ
[সম্পাদনা]ব্লাকটিপ রীফ হাঙর হুমকির ভেতর থাকা প্রাণী হিসেবে এটি আইইউসিএন লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর কারণ এদের এলাকায় মানুষের অবাধ বিচরণ। এদের সংরক্ষণে কিছু সংগঠন হাত বাড়িয়েছে। এর মধ্যে আছে IUCN (এটি একটি বিশ্বব্যাপী ইউনিয়ন), সরকারী সংস্থা এবং বেসরকারী সংস্থা। এরা অংশীদারত্ব ভাবে এই প্রজাতিটাকে সংরক্ষণে হাত বাড়িয়েছে। একাজে সবার সহযোগিতা ও সমর্থন দরকার।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Heupel, M. (2005). Carcharhinus melanopterus. 2008 IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2008. Retrieved on September 15, 2009.
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |