বিষয়বস্তুতে চলুন

কায়েস উদ্দিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ড. প্রফেসর
মুহাম্মদ কায়েস উদ্দিন
পঞ্চম উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
কাজের মেয়াদ
০৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ – ১৯ অক্টোবর ২০০০
চ্যান্সেলরআবদুল হামিদ
পূর্বসূরীমুহাম্মদ ইনাম-উল হক
উত্তরসূরীমুহাম্মদ লুৎফর রহমান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৩৭-০৭-১৫)১৫ জুলাই ১৯৩৭
আলীনগর ইউনিয়ন, গোমস্তাপুর উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু১১ নভেম্বর ২০২১(2021-11-11) (বয়স ৮৪)
রাজশাহী
জাতীয়তাবাংলাদেশী
দাম্পত্য সঙ্গীলতিফা কায়েস
সন্তান৪ (২ ছেলে ও ২ মেয়ে)[]
আত্মীয়স্বজনআবু হাসান শাহরিয়ার (জামাতা)
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
পেশাশিক্ষাবিদ, অধ্যাপক
যে জন্য পরিচিতইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক উপাচার্য

মুহাম্মদ কায়েস উদ্দিন (১৯৩৭ – ১১ নভেম্বর ২০২১) ছিলেন একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, লেখক ও অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন।[][] তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম উপাচার্য ছিলেন।[] এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[] ১৯৭৪ সালে পোস্ট-ডক্টরেল গবেষণার জন্য কমনওয়েলথ ফেলোশিপ লাভ করেছিলেন।

প্রাথমিক জীবন

[সম্পাদনা]

কায়েস উদ্দিন ১৯৩৭ সালের ১৫ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলাস্থ আলীনগর ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাশ করেন। ১৯৫৭ সালে স্নাতক পরীক্ষায় ডিস্টিংশনসহ প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করায় রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয় কর্তৃপক্ষ কায়েস উদ্দিনকে স্বর্ণপদক প্রদান করে। ১৯৬১ সালে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষণার জন্য কমনওয়েলথ স্কলারশীপ এবং ১৯৭৪ সালে ইম্পেরিয়াল কলেজ অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজিতে পোস্ট-ডক্টরেল গবেষণার জন্য কমনওয়েলথ একাডেমিক স্টাফ ফেলোশিপ লাভ করেন।

ইবিতে নিয়োগ প্রাপ্তি

[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৯৭ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন,[] এবং এখানে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসাবে যোগদান করেন।[] দুর্নীতি, দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি ও আঞ্চলিকতার অভিযোগ এনে ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকের আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন, ২০০০ সালের ১৯ অক্টোবর উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।[]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

কায়েস উদ্দীন ১১ নভেম্বর ২০২১ সালে ৮৪ বছর বয়সে রাজশাহীস্থ নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।[][] তাঁকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবরস্থানে দাফন করা হয়।[১০][১১] দৈনিক ভোরের কাগজ অনুযায়ী, তিনি গত এক বছর ধরে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন।[১০]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "বাউবির সাবেক উপাচার্য কায়েস উদ্দিন আর নেই"দৈনিক শিক্ষা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২১ 
  2. "মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবেন তো ইবি উপাচার্য ড.আসকারী!"সংবাদ দর্পণ। ২০১৯-০৯-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "রাজশাহীর বড় কুঠিতে স্থাপিত হলো ওয়াই ফাই জোন"banglanews24.com। ২০২০-০৯-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৫ 
  4. "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩৭ বছর : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি"www.djanata.com। ২০২১-০১-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৫ 
  5. "১১ উপাচার্যের কেউই মেয়াদ শেষ করতে পারেননি"প্রথম আলো [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৫ 
  7. "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেই 'শনির দশা'"দৈনিক শিক্ষা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৫ 
  8. "৪৪ বছরে মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছেন ইবির মাত্র একজন উপাচার্য"thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৭ 
  9. "ইবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কায়েস উদ্দীন মারা গেছেন"banglanews24.com। ২০২১-১১-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১২ 
  10. "ইবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কায়েস আর নেই"www.bhorerkagoj.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১২ 
  11. "রাবির সাবেক অধ্যাপক কায়েস উদ্দিন মারা গেছেন"thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২১