কাবুলের হিন্দু মন্দির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভগবান শিবের সহিত কুষাণরাজ দ্বিতীয় কণিষ্কের স্বর্ণমুদ্রা (২০০–২২০)
শাহী রাজা খিঙ্গল দ্বারা প্রস্তুত পঞ্চম শতাব্দীর গণেশ মূর্তি, গারদেজে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, বর্তমানে দরগাহ পীর রতন নাথে সুরক্ষিত

কাবুল প্রাচীনকালে হিন্দু শাহী রাজাদের রাজধানী ছিল। বৈদিক সংস্কৃতির এক অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল আফগানিস্তান। অতীতে আফগানিস্তানে বহু হিন্দু মন্দির ছিল। বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যেও কাবুলের কিছু হিন্দু মন্দির তাদের অতীত সাক্ষ্য বহন করছে।

কাবুলে হিন্দু মন্দিরের তালিকা[সম্পাদনা]

কাবুলে অনেক হিন্দু মন্দির রয়েছে:

  • আসামাই হিন্দু মন্দির, পুরোনো শহর, দরগা, আসামাই: আসামাই মন্দিরটি আফগান রাজধানীর মধ্য পর্বত আসামাইয়ের(কোহ্-ই-আসামাই) পাদদেশে অবস্থিত। পর্বতটির নাম আশা থেকে আসামাই রাখা হয়েছে,আশা হলেন আশা-আকাঙ্ক্ষার দেবী। মনে করা হয় যে প্রাচীনকাল থেকেই দেবী ওই পর্বতে অবস্থান করছেন। বহু শতাব্দী ধরে অখণ্ড জ্যোতি (জ্বলন্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ) ওই পর্বতে অবিরত জ্বলছে। কাবুলে বহু যুদ্ধ ও সংঘাতের পরেও মন্দিরটি ও সেই অম্লানজ্যোতি তার অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করছে ও এই দুটি মূল্যবান অতীত ঐতিহ্য আফগানিস্তানের হিন্দু শাহী রাজাদের ঐতিহ্যবাহী শাসনের স্মৃতিচিহ্ন। কাবুলের এই বিখ্যাত মন্দিরের নামে নিউইয়র্ক, লন্ডন, ফরিদাবাদ, ফ্রাঙ্কফুর্টের বহু আসামাই মন্দিরের নামকরণ করা হয়েছে।
  • বাবা জ্যোতি স্বরূপ মন্দির, দরবাজা লাহুরি
  • ভৈরো মন্দির, শর বাজার
  • গুরু হরি রায় গুরুদ্বার, শর বাজার
  • মঙ্গলবার, শর বাজার

কান্দাহারে হিন্দু মন্দির[সম্পাদনা]

কান্দাহারে,শিকারপুরী বাজার,কাবুলী বাজার, ঝামপীর সাহিব (সরপুজার নিকটে) এবং দেবী-দ্বার (দন্দের নিকটে) বহু হিন্দু মন্দির ছিল।

আফগানিস্তানের অন্যান্য শহরে হিন্দু মন্দির[সম্পাদনা]

চাসমাসাহিব,সুলতানপুর,জালালাবাদ,গজনি,হেলমান্দ(লাশকেরগা) অঞ্চলগুলিতেও বহু হিন্দু মন্দির ও গুরুদ্বার রয়েছে।

আফগানিস্তানের হিন্দু[সম্পাদনা]

আফগানিস্তানের প্রধান হিন্দু অধিবাসীরা হলেন মহিয়াল,[১] ক্ষত্রী,অরোরা,এবং অন্যান্য সম্প্রদায় হলেন ভাটিয়া ও ব্রাহ্মণ এবং অন্যান্য মহিয়ালরাও বর্তমান রয়েছেন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Hindu Castes and Sects, by Jogendra Nath Bhattacharya, Published by Editors Indian, Calcutta, 1968- page 470.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]