বনবিবি সেতু

স্থানাঙ্ক: ২২°৩৪′২৫″ উত্তর ৮৮°৫৫′৪০″ পূর্ব / ২২.৫৭৩৬১° উত্তর ৮৮.৯২৭৭৮° পূর্ব / 22.57361; 88.92778
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(কাঠাখালি সেতু থেকে পুনর্নির্দেশিত)
হাসনাবাদ সেতু
স্থানাঙ্ক২২°৩৪′২৫″ উত্তর ৮৮°৫৫′৪০″ পূর্ব / ২২.৫৭৩৬১° উত্তর ৮৮.৯২৭৭৮° পূর্ব / 22.57361; 88.92778
বহন করেযানবাহন
অতিক্রম করেকাটাখালি নদী
স্থানহাসনাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ
দাপ্তরিক নামবনবিবি সেতু
অন্য নামকাটাখালি সেতু
বৈশিষ্ট্য
নকশাবক্স গাডার
মোট দৈর্ঘ্য৯১৭ মিটার (৩,০০৯ ফু)
প্রস্থ১২ মিটার (৩৯ ফু)
দীর্ঘতম স্প্যান৮০ মিটার (২৬২ ফু)
ইতিহাস
চালু২০১৯
পরিসংখ্যান
টোলনা
অবস্থান
মানচিত্র

বনবিবি সেতু [১][২][৩] হাসনাবাদের কাছে কাটাখালি নদীর উপর অবস্থি। এই সেতু যুক্ত করবে হাসনাবাদহিঙ্গলগঞ্জকে। সেতুটি ২০১৯ সালে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সেতুটি ৯৭১ মিটার দীর্ঘ।[৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে বাম আমলে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এই সেতুর শিলান্যাস করেছিলেন। জনসভায় বলা হয়েছিল, তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হবে। সাড়ে ৭ মিটার চওড়া দু’লেনের সেতুটি লম্বায় হবে ৮৬৪ মিটার। নানান সমস্যার ফলে ছ'বছর ধরে নির্মাণ কাজের পরে নদীর মধ্যে ৩৫ মিটার উচুঁ দু’টি পিলার এবং দু’পাশে খানিকটা করে রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব হয়।[৫] কিন্তু সেতু নির্মাণে নির্মাণ ত্রুটি ধরা পরে।[৬] ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে নতুন ভাবে সেতুটি নির্মাণের অনুমোদন ও অর্থ প্রদান করা হয়। ২০১৯ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সেতুর উদ্বোধন করেন।

সমস্যা[সম্পাদনা]

প্রথমে সেতু তৈরির জন্য নদীতে দুটি পিলার নির্মাণ করা হয়।কিন্তু পরে দেখা যায় পিলারের জোড়ার মুখে ৬ ইঞ্চির মতো ফাঁকা। মুম্বই, যাদবপুর এবং খড়গপুর-সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিশেষজ্ঞ দলের আসা-যাওয়া শুরু হয়। শেষে ঠিক হয়, আগের তৈরি পিলার দু’টি ভেঙে নতুন করে করতে হবে।

  • ০২ মার্চ ২০১৭: বৃহস্পতিবার (০২-০৩-২০১৭) রাতে জলের তোড়ে সেতুর পিলার ধরে রাখার অস্থায়ী একটি স্টিলের কাঠামো ভেঙে পড়ে এবং একটি বার্জ নদীর জলে ডুবে যায় । তবে পূর্ত ও সড়ক দফতর থেকে দাবি করা হয় যে, উক্ত সমস্যার ফলে মূল সেতুর কোনো ক্ষতি হয়নি।

নতুন ভাবে সেতু নির্মাণ[সম্পাদনা]

আগের সেতু তৈরির খুঁটি দুটি ভেঙে নতুন ভাবে সেতু তৈরি শুরু হয় ২০১২ সালে। সেতু নির্মাণের জন্য পুরনো ঠিকাদার বদলে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। ফলে সেতু তৈরির খরচ ২৫ কোটি থেকে বেড়ে ৮১ কোটি নির্ধারণ করা হয়। ২০১৭ সালের মধ্যে সেতুর দু'পাশের সংযোগ সড়ক এবং তিনটি খুঁটি নির্মাণের বড় অংশের কাজ শেষ হয়। ২০১৯ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সেতুর ফলক উন্মোচন করে সেতুর উদ্বোধন করেন।

গুরুত্ব[সম্পাদনা]

সেতুটির কারণে হিঙ্গলগঞ্জের সঙ্গে কলকাতাবসিরহাট শহরে যোগাযোগ সহজ ও দ্রুত হয়েছে। রোগী নিয়ে সহজেই টাকি বা বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে যাতায়াত সম্ভব। কলকাতা থেকে পর্যটকদের সুন্দরবনে ভ্রমণ সহজ হয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "থাম কেটে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে সেতু"আনন্দবাজার প্রত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ০৭-০৩-২০১৭  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "নিষ্প্রদীপ বেহাল সেতু, বাড়ছে দুষ্কৃতীদের উপদ্রব"আনন্দবাজার প্রত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ০৭-০৩-২০১৭  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. "নৌকা চলে না, সেতুর দাবিতে নদীতে নেমে বিক্ষোভে বাসিন্দারা" 
  4. "খুলে গেল ‌বনবিবি সেতু"। আজকাল। ১ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "বার বার বাধা সেতু তৈরিতে" 
  6. "9 January 2020"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]