কাজী আফসারউদ্দীন আহমদ
কাজী আফসারউদ্দীন আহমদ | |
---|---|
জন্ম | চাটমোহর, পাবনা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) | ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯২১
মৃত্যু | ২৬ মার্চ ১৯৭৫ ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স ৫৩)
সমাধিস্থল | কুড়িগ্রাম, বাংলাদেশ |
পেশা | সাহিত্যিক, সাংবাদিক |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
শিক্ষা | ইংরেজি |
ধরন | উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্র, অনুবাদ |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি |
|
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | বাংলা একাডেমি পুরস্কার |
কাজী আফসারউদ্দীন আহমদ (২৪ সেপ্টেম্বর ১৯২১ - ২৬ মার্চ ১৯৭৫) একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক এবং লেখক ছিলেন। তার রচিত চর ভাঙা চর উপন্যাসের জন্য ১৯৬৬ সালে সাহিত্যে বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন।[১][২]
জন্ম ও প্রথম জীবন[সম্পাদনা]
কাজী আফসারউদ্দীন আহমেদ ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯২১ সালে চাটমোহর, পাবনা জেলা, পূর্ববাংলা, ব্রিটিশ ভারততে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ এ পড়াশোনা করেন। পৈত্রিক নিবাস ছিল মানিকগঞ্জের কতল গ্রামে। পিতা আফাজ উদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। গ্রামের বাড়িতে সবাই তাকে সুরুজ নামেই ডাকতো। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। । লেখা পড়ার পাশাপাশি তিনি গল্প, কবিতা, উপন্যাসসহ বিভিন্ন ধরনের বই পড়তেন।[৩]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
কাজী আফসারউদ্দীন আহমেদ কলকাতায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৪১ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত মৃত্তিকা নামে একটি দ্বিমাসিক সাহিত্যপত্র সম্পাদনা করেন। ১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত তিনি মাসিক সওগাত ও সাপ্তাহিক দেশের কথা পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৪৫সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি মাসিক মোহাম্মদীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন।
আফসারউদ্দীন আহমদ ভারত বিভাজনের ১৯৪৭ সালে ঢাকায় ফিরে আসেন এবং তার সম্পাদনায় দৈনিক সংবাদপত্র জিন্দেগী প্রকাশ করেন। তিনি দৈনিক ইনসাফ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫১ সালে সরকারের তথ্য বিভাগে জ্যেষ্ঠ উপ-সম্পাদক পদে যোগ দেন। ওই সময় থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি তথ্য বিভাগ থেকে প্রকাশিত বাংলা সাপ্তাহিক পাক সমাচার এবং শিশু কিশোর সাময়িকী নবারুণ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।[৩][৪]
সাহিত্যকর্ম[সম্পাদনা]
মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তার প্রথম উপন্যাস বের হওয়ার সাথে সাথে ই তিনি কলকাতার ‘সন্দেশ’, ‘মৌচাক’, ‘রামধনু’ ও ‘কৃষক’ পত্রিকার ছোটদের পাতা চাঁদের হাটে গল্প, কবিতা,ছড়া, উপন্যাস, ও প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন। এর পাশাপাশি তিনি বড়দের জন্য রাজনীতি, ভ্রমণ কাহিনি ও প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন । ফলে তার খ্যাতির আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে । তার লেখা প্রায় ৬০ টি বই প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে নয়টি ই ছিল উপন্যাস। গ্রন্থিত হয়নি এমন পাণ্ডুলিপির সংখ্যা ৪০ টি । যার মধ্যে আছে গল্প, উপন্যাস, নাটক, জীবনী ও প্রবন্ধের পাণ্ডুলিপি। ‘চর ভাঙ্গার চর’ উপন্যাস টি তার অনবদ্য সৃষ্টি ।
পুরস্কার[সম্পাদনা]
১৯৫১ সালের তার রচিত চর ভাঙা চর উপন্যাসের জন্য ১৯৬৬ সালে সাহিত্যে বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন।
মৃত্যু[সম্পাদনা]
কাজী আফসারউদ্দীন আহমেদ ২৬ মার্চ ১৯৭৫ সালে ঢাকায় তার মৃত্যু হয়। [৩]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক তালিকা"। banglaacademy.org.bd। বাংলা একাডেমি। ২৭ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ ক খ গ মীর ফারজানা শারমীন (২০১২)। "আহমদ, কাজী আফসারউদ্দীন"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ Contemporary Bengali Writing: Pre-Bangladesh Period (ইংরেজি ভাষায়)। বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। ১৯৯৬। পৃষ্ঠা ৫১। আইএসবিএন 9789840513178।