কাউ


কাউ বা কাউফল (ইংরেজি: Cowa (mangosteen) বা ম্যাঙ্গোস্টিন; বৈজ্ঞানিক নাম Garcinia cowa Roxb বা Garcinia kydia Roxb)[১] এক ধরনের অপ্রচলিত টক স্বাদের ফল। এর অন্যান্য নাম হলো- কাউয়া, কাগলিচু, তাহগালা, ক্যাফল, কাউ-গোলা ইত্যাদি। এর গাছ মাঝারি আকৃতির বৃক্ষ জাতীয়, ডালপালা কম, উপরের দিকে ঝোপালো। গাছের রঙ কালচে। সাধারনত জঙ্গলে এই গাছ দেখা যায়। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে কমলা বা হলুদ হয়। ফলের ভেতর চার-পাঁচটি দানা থাকে। দানার সাথে রসালো ভক্ষ্য অংশ থাকে, যা চুষে খেতে হয়। কাউ খেলে দাঁতে হলদেটে কষ লেগে যায় বলে ফলটি জনপ্রিয় নয়। ফলের আকার লিচুর সমান বা সামান্য বড় হয়।[২]
বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ চীন, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে কাউ গাছ দেখা যায়।[৩] ফল হিসেবে সরাসরি খাওয়া ছাড়াও কাউ দিয়ে জ্যাম তৈরি করা হয়। কাউ গাছের কষ থেকে রঙ ও বার্নিশ তৈরি হয়।[১]
কাউ গাছের ছাল খিঁচুনি রোগের জন্য এবং ফল আমাশয় ও মাথা ব্যথার জন্য ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।[৪]
মাঝারি আকৃতির চিরসবুজ এ গাছ কিছুটা কালো বর্ণের হয়। নিচের দিকে ডালপালা কম থাকলেও উপরটা নিশ্ছিদ্র পাতার সন্নিবেশিত ঝুপড়িতে ঘেরা। গাছে ফুল ধরে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে। আর ফল পাকে জুন-জুলাই মাসে। ফল গোলাকার, অনেকটা টেবিল টেনিস আকৃতির কিন্তু খাঁজযুক্ত। কাঁচা অবস্থায় সবুজ এ ফল পাকাকে হলুদ বা কমলা বর্ণ ধারণ করে। ফলের ভিতরে চার-পাঁচটি দানা থাকে। ফল পাকার পর এই দানা চুষে খেতে হয়। বীজযুক্ত এসব দানা রসালো ও মুখরোচক। ফল হিসেবে সরাসরি খাওয়া ছাড়াও জ্যাম-জেলি করেও সংরক্ষণ করা যায়। পুষ্টিগুণে ভরা এ ফল সর্দি, জ্বর ও ঠাণ্ডা প্রশমনে বিশেষ কার্যকর। এ ছাড়া এটি অরুচি দূর করে। এই গাছের কষ রং ও বার্নিশ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। উপকারী এই ফলের ইংরেজি নাম Cowa আর বৈজ্ঞানিক নাম Garcinia cowa। সারাদেশে অল্পবিস্তর কাউফলের দেখা মেলে। তবে সিলেট, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে কাউফলের দেখা মেলে বেশি। পিরোজপুর ও বাগেরহাট অঞ্চলেও এ ফল জন্মে। অনেক গৃহস্থ বাড়ির লোকজন শখ করেও দুই একটি গাছ লাগায়। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে নার্সারীতে কাউফলের চারা উৎপাদনও করা হয়। তবে এর বাণিজ্যিক আবাদ নেই। কাউফলের বেশ চাহিদা রয়েছে বাজারে। পাকা কাউফল কেজি প্রতি ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Garcinia cowa Roxb, floracafe.com
- ↑ http://www.directrss.co.il/TextPage_EN.aspx?ID=9429007[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৮ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১২।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]



এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |