কল্পকাহিনিতে বুধ

কল্পকাহিনিতে সৌরজগতের সর্বপ্রথম[ক] গ্রহ বুধের চিত্রায়ণ তিনটি স্বতন্ত্র পর্যায় অতিক্রম করেছে। গ্রহটির বিস্তারিত তথ্য আবিষ্কারের পূর্বে এটি মানুষের খুব কম মনোযোগ পেয়েছিল। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে, ভ্রান্ত বিশ্বাস ছিল যে এটি সর্বদা স্থিরবস্থায় সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে এবং গ্রহটির এক গোলার্ধে সর্বদা দিন ও অন্য অর্ধে চির-অন্ধকার থাকে। কাহিনিগুলিতে বুধের উভয় গোলার্ধের অবস্থা এবং স্থায়ী গোধূলির মধ্যবর্তী সংকীর্ণ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে রচিত। ১৯৬৫ সালে এই ভুল ধারণাটি দূরীভূত হওয়ার পড় গ্রহটি কথাসাহিত্যিকদের আগ্রহ হারিয়েছে। পরবর্তীতে গল্পগুলি সূর্যের নিকটে থাকার কারণে কঠোর পরিবেশগত অবস্থাকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে।[১]
প্রারম্ভিক চিত্রণ
[সম্পাদনা]সূর্যের কাছাকাছি থাকার কারণে বুধের জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক পর্যবেক্ষণ করা কঠিন ছিল। ইতিহাসের বেশিরভাগ সময় গ্রহটি সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। গ্রহটি সম্পর্কে কম তথ্যের প্রভাব কল্পকাহিনীতে প্রতিফলিত হয়।[২][৩][৪] কথাসাহিত্যের অংশ হিসেবে গিয়ামবাটিস্তা মারিনোর ১৬২২ সালের এল'এদন গ্রন্থে গ্রহটি গল্পের বিষয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।[৫] শেভালিয়ে দে বেথুনের ১৭৫০ সালের উপন্যাস রিলেশন ডু মন্ডে দে মার্কিউর (ইংরেজি শিরোনাম: দা ওয়ার্ল্ড অফ মার্কারি) হল আরেকটি প্রাথমিক উদাহরণ। এটি মূলত ব্যঙ্গের উদ্দেশ্যে কাল্পনিক বহির্জাগতিক সমাজকে ব্যবহার করে রচিত।[২][৩][৬] ডব্লিউএস ল্যাচ-যাইরমার ১৮৮৩ সালের এলারিয়েল ,অর এ ভয়েজ টু আদার ওয়ার্ল্ডস) উপন্যাসে বুধগ্রহবাসীদেরকে গ্রহের বায়ুমণ্ডলে বসবাসকারী হিসেবে চিত্রায়ণ করা হয়েছে।[৩][৭] জন মুনরোর ১৮৯৭ সালের এ ট্রিপ টু ভেনাস উপন্যাসে বুধ এবং শুক্র গ্রহের একটি সংক্ষিপ্ত পরিদর্শন চিত্রায়ণ করা হয়েছে।[২][৮][খ] বুধকে কেন্দ্র করে রচিত উইলিয়াম ওয়ালেস কুকের ১৯০৫ সালের উপন্যাস এড্রিফ্ট ইন দ্য আননোন বা অ্যাডভেঞ্চারস ইন আ কুইয়ার রিয়ম হলো ইংরেজি ভাষার প্রথম কথাসাহিত্য যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাদের উপর একটি ব্যাঙ্গাত্মক রচনা।[২][৯][গ] হোমার ইয়ন ফ্লিন্ট তাঁর ১৯১৯ সালের "লর্ড অফ ডেথ" ছোট গল্পে বুধ গ্রহে বর্তমানে বিলুপ্ত একটি সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ চিত্রায়ণ করেছেন।[৩][৭][ঘ]
আবদ্ধ ঘূর্ণন
[সম্পাদনা]
১৮৯৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত, বিশ্বাস করা হতো যে বুধ সূর্যের সাথে ১:১ ঘুর্ণনে আবদ্ধ ছিল। এখানে বলা হয়েছে যে, বুধের এক দিক সর্বদা সূর্যের আলোতে আলোকিত এবং অপর দিকে চিরঅন্ধকারে বিরাজ করে এবং এই আলোকময় ও তিমির অংশের মাঝখানে চিরস্থায়ী গোধূলির একটি প্রচ্ছন্ন অঞ্চল থাকে। এই বিশ্বাসের ভিত্তিতে এই যুগে রচিত অনেক কথাসাহিত্যেও বুধকে এভাবে চিত্রায়ণ করা হয়েছে।[৩][৪][৭] যেমন: রে কামিংসের ১৯৩০ সালের টামা অফ দ্য লাইট কান্ট্রি উপন্যাসে দেখানো হয়েছে যে বুধের বাসিন্দারা একটি অচল সূর্যের নিচে তাদের জীবনযাপন করে।[২] ক্লার্ক অ্যাশটন স্মিথের ১৯৩২ সালের ছোট গল্প দ্য ইমমর্টালস অফ মার্কারি-তে বলা হয়েছে, এই গ্রহে দুটি ভিন্ন প্রতিকূল প্রজাতি আছে।[৩][৭][১০] আইজ্যাক আসিমভের ১৯৪২ সালের ছোটগল্প রান এরাউন্ড-এর গল্পে একটি রোবটকে বুধের অবাসযোগ্য দিবাংশ হতে জটিল বস্তুর সরবরাহ পুনরুদ্ধার করার জন্য পাঠানো হয়, যা ত্রুটিগ্রস্থ হয়।[৪][৭] হ্যাল ক্লিমেন্টের ১৯৫৩ সালের আইস ওয়ার্ল্ড উপন্যাসের বর্ণনায় এসেছে বহির্জাগতিক প্রাণীরা পৃথিবীর তাপমাত্রা অপেক্ষা বেশি তাপমাত্রায় অভ্যস্ত ছিল বলে বুধের উত্তপ্ত আবহাওয়া সম্পন্ন দিবাংশে শিবির স্থাপন করেছিল।[১১] আসিমভের ১৯৫৬ সালের ছোট গল্প দ্য ডাইং নাইটে একটি চরিত্র সম্পর্কে বলা হয়েছে যে গ্রহটির চিরঅন্ধকার এলাকাতে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছে।[৪] অ্যালান ই. নার্সের ১৯৫৬ সালের ছোট গল্প ব্রাইটসাইড ক্রসিং যেখানে গ্রহের আলোকিত দিকটি অতিক্রম করার একটি প্রচেষ্টাকে চিত্রায়ণ করা হয়েছে। এটিকে এভারেস্ট পর্বতে প্রথম আরোহনের অনুরূপ কৃতিত্ব হিসাবে দেখা হয়।[৩][৭] পল অ্যান্ডারসনের ১৯৫৭ সালের লাইফ সাইকেল অনুসারে বুধে এমন একটি প্রজাতি আছে যেটি রাতের সীমানা থেকে দিবাময় অংশের দিকে গেলে নারী থেকে পুরুষে লিঙ্গান্তরিত হয়।[৪] কার্ট ভননেগুটের ১৯৫৯ সালের দ্য সাইরেন্স অফ টাইটান উপন্যাসে রাতের অংশের গুহাগুলিতে প্রাণের জীবনরূপ চিত্রায়ণ করা হয়েছে।[২][৩][১২] এলি সাগির ১৯৬৩ সালের উপন্যাস হারপাটকোটাভ শেলের ক্যাপ্টেন ইউনো আল হাকোচাভ হামিস্টোরি (অনু. রহস্যময় গ্রহে ক্যাপ্টেন ইউনোর রোমাঞ্চকর অভিযান) দেখানো হয়েছে দুই গোলার্ধের বাসিন্দারা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে লিপ্ত।[৩][৪][৭] ল্যারি নিভেনের ১৯৬৪ সালের ছোট গল্প দ্য কোল্ডেস্ট প্লেস বুধের রাতের চিত্রায়ণ তুলে ধরেছে এবং তিনি বলেছেন এটি একই দিক হতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এটিকে বুধের কল্পকাহিনীভিত্তিক শেষ গল্প বলে ধারণা করা হয়। প্রকৃতপক্ষে,৩:২ কক্ষপথ ঘূর্ণন অনুসারে গ্রহের সবঅংশে নিয়মিত দিনের আলো দেখতে পায়। এই কক্ষপথ আবিষ্কারের পর সকলের একটি ভুল ধারণা দূরীভূত হয়।[৩][৪][৭]
আধুনিক বর্ণনা
[সম্পাদনা]বুধ সর্বদা স্থিরবস্থায় সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে না- এটি আবিষ্কৃত হওয়ার পরেও কিছু গল্প গ্রহটির একার্ধে সর্বদা দিন ও অন্য অর্ধাংশে চির অন্ধকারে থাকার ধারণা ব্যবহার করেছে। গ্রান্ট ক্যালিন তাঁর ১৯৮২ সালের "দ্য টর্টোইজ এবং ও'হেয়ার" ছোটগল্পে একজন নভোচারীকে চিত্রায়ণ করেন, যিনি দিনের তাপদাহ থেকে বাঁচতে গোধূলি অঞ্চলের রাতের দিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করেন।[৪] কিম স্ট্যানলি রবিনসনের ১৯৮৫ সালের উপন্যাস দ্য মেমরি অফ হোয়াইটনেস এবং চার্লস স্ট্রসের ২০০৮ সালের স্যাটার্নস চিলড্রেন উপন্যাস দুটিতে এমন শহরের বর্ণনা করা হয়েছে যেগুলি সূর্যোলোকিত অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ার সেখানকার জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ।[২][৭][১২][১৩] তবে ১৯৬৫ সালের পরবর্তী বেশিরভাগ গল্পগুলোতে বুধের রুক্ষ পরিবেশগত অবস্থার উপর আলোকপাত করা হয়।[৭]
আধুনিক বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে বুধগ্রহ সম্পর্কিত বর্ণ্নাগুলির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সূর্য সম্পর্কে অধ্যয়ন করা। যেমন: ১৯৮০ সালে ডেভিড ব্রিনের 'সানডাইভার' উপন্যাসের চিত্রায়ণ অনুযায়ী মানুষ সূর্যের অভ্যন্তরে বহির্জাগতিক প্রাণ আছে কিনা তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করে।[২][৩][১৪] একইভাবে, ২০০৫ সালে বেন বোভা রচিত মার্কারি উপন্যাসে বুধকে সৌরশক্তি কেন্দ্র হিসাবে বর্ণনা করা হয়।[১২] অনেক কল্পকাহিনীতে খনিজ পদার্থ খনন করার চিত্রায়ণ লক্ষণীয়। যেমন: ১৯৯২ সালের ভিডিও গেম স্টার কন্ট্রোল II এবং স্টিফেন ব্যাক্সটারের ১৯৯৪ সালের "সিলিয়া-অফ-গোল্ড" ছোট গল্পে বুধগ্রহের মেরুর কাছে স্থায়ীভাবে ছায়াযুক্ত অঞ্চলে বরফের নীচের অংশের চিত্রায়ণ করা হয়েছে।[৩][৪][১৫] আর্থার সি ক্লার্কের ১৯৭৩ সালের উপন্যাস রঁদেভু উইথ রামায় বুধ গ্রহে হার্মিয়ান নামে পরিচিত মানবসমাজের ঔপনিবেশিক বংশধরদের কঠিন এবং পাগলাটে আচরণ বর্ণিত হয়েছে।[৭][১২] বেশ কয়েকটি গল্পে আমলাতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামকে চিত্রায়ণ করা হয়েছে। যেমন: ১৯৭৬ সালের এরিক ভিনিকফ এবং মার্সিয়া মার্টিনের "রেন্ডার টু সিজার" ছোটগল্পে যেখানে বুধ গ্রহের একটি ছোট উপনিবেশ গ্রহটির স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের প্রভাবকে প্রতিহত করে।[৪][৭] টম পারডোম রচিত ২০০০ সালের ছোটগল্প "রোম্যান্স ইন এক্সটেন্ডেড টাইম" এ একটি বিশাল মনুষ্যসৃষ্ট কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ বুধ গ্রহের পৃথিবীর মত আবহাওয়াগত রুপান্তর বা 'টেরাফর্মিং' চিত্রায়ণ করা হয়েছে।[৩] বুধের টেরাফর্মিং ডেলট্রন ৩০৩০ সঙ্গীতদল দ্বারা ২০০০ সালের ডেলট্রন ৩০৩০ সঙ্গীত অ্যালবামে চিত্রায়ণ করা হয়েছে।[১৬] ল্যারি নিভেন এবং ব্রেন্ডা কুপারের ২০০৫ সালের কাথ অ্যান্ড কুইকসিলভার ছোট গল্পে দেখানো হয়েছে যে, বুধগ্রহ সূর্যের আকৃতি সম্প্রসারণের কারণে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।[৩] ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে অ্যানিমেটেড টেলিভিশন সিরিজ এনভেডার জিম-এ বুধকে একটি বিশাল মহাকাশযানে রূপান্তরিত করা হয়েছে।[১৭][১৮] এটি ২০০৭ সালের সানশাইন চলচ্চিত্রের একটি পটভূমি হিসাবে কাজ করে। এই চলচ্চিত্রে দুটি মহাকাশযানের একটি অন্যটির সাথে মিলিত হওয়ার আগে বুধের চারপাশে কক্ষপথে চলে যাওয়ার চিত্রায়ণ করা হয়েছে।[১৭][১৮]
ভলকান
[সম্পাদনা]আর্বেই লে ভেরিয়ার সূর্যের চারপাশে বুধের কক্ষপথের অসঙ্গতিগুলিকে কেন্দ্র করে ১৮৫৯ সালে বুধের কক্ষপথের অভ্যন্তরে একটি অদৃশ্য গ্রহের অস্তিত্বের প্রস্তাব দেয়। এর পূর্বে ১৮৪৬ সালে ইউরেনাসের কক্ষপথের অনিয়মের কারণে নেপচুন আবিষ্কারের নজির রয়েছে। এই অনুমিত গ্রহটিকে "ভলকান" নামে অভিহিত করা হয়েছিল, এবং লেসলি এফ স্টোনের ১৯৩২ সালের ছোট গল্প "দ্য হেল প্ল্যানেট" সহ কল্পকাহিনীর বেশ কয়েকটি গ্রন্থে উল্লেখিত হয়েছিল। "দ্য হেল প্ল্যানেট" ছোট গল্পে বুধগ্রহে সম্পদের জন্য খনন করার কাহিনি রয়েছে। ১৯৩৬ সালের রস রকলিনের "অ্যাট দা সেন্টার অফ গ্রাভিটি" ছোট গল্পে বুধের ফাঁপা অভ্যন্তর চিত্রায়ণ করা হয় এবং ১৯৪১ সালের লি ব্র্যাকেটের ছোট গল্প "চাইল্ড অফ দা সান"-এ বুধে বুদ্ধিমান জীব বাস করার কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। বুধের কক্ষপথের অসঙ্গতি সাধারণ আপেক্ষিকতার প্রভাবের ফলে সৃষ্ট বলে বর্তমানে বোঝা যায়।[৪][৭][১৯]
বিশেষ দ্রষ্টব্য
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ওয়েস্টফ্যাহল, গারি (১৯ জুলাই ২০২১)। ""Mercury""। Science Fiction Literature through History: An Encyclopedia [ইতিহাসে বৈজ্ঞানিক কল্পসাহিত্য :একটি বিশ্বকোষ [২য় খন্ড]] (ইংরেজি ভাষায়)। এবিসি-সিএলআইও। পৃ. ৪৪২–৪৪৪। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪৪০৮-৬৬১৭-৩।
- 1 2 3 4 5 6 7 8 ক্লুট, জন; ল্যাংফোর্ড, ডেভিড; স্লেইট, গ্রাহাম (সম্পাদকগণ)। "Mercury"। দা এনসাইক্লপিডিয়া অফ সাইন্স ফিকশন (৪র্থ সংস্করণ)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০২১।
- 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 স্টাবলফোর্ড, ব্রিয়ান এম. (২০০৬)। "Mercury"। Science Fact and Science Fiction: An Encyclopedia [বিজ্ঞানের সত্য ঘটনা ও বিজ্ঞানের কল্পকাহিনী:একটি বিশ্বকোষ] (ইংরেজি ভাষায়)। টেইলর এবং ফ্রান্সিস। পৃ. ২৯৮–২৯৯। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪১৫-৯৭৪৬০-৮।
- 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 জিলেট, স্টিফেন (২০০৫)। "Mercury"। ওয়েস্টফল, গ্যারি (সম্পাদক)। The Greenwood Encyclopedia of Science Fiction and Fantasy: Themes, Works, and Wonders (ইংরেজি ভাষায়)। গ্রীনউড পাবলিশিং গ্রুপ। পৃ. ৫১৩–৫১৫। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩১৩-৩২৯৫২-৪।
{{বই উদ্ধৃতি}}: অজানা প্যারামিটার|অনূদিত- শিরোনাম=উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ রবার্টস, অ্যাডাম (২৮ নভেম্বর ২০০৫)। "Seventeenth-Century Science Fiction"। The History of Science Fiction [বৈজ্ঞানিক কল্পসাহিত্যের ইতিহাস] (ইংরেজি ভাষায়)। স্প্রিংগার। পৃ. ৪৫–৪৬। আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৩০-৫৫৪৬৫-৮।
- ↑ রবার্টস, অ্যাডাম (২৮ নভেম্বর ২০০৫)। "Eighteenth-Century Science Fiction"। The History of Science Fiction [বৈজ্ঞানিক কল্পসাহিত্যের ইতিহাস] (ইংরেজি ভাষায়)। স্প্রিংগার। পৃ. ৭৮। আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৩০-৫৫৪৬৫-৮।
Didacticism does not overpower Le Chevalier de Béthune's Relation du Monde de Mercure ('An Account of the Planet Mercury', 1750); a work of early SF unusual in not using the description of an imaginary Mercurian society as a vehicle for political satire or utopian fantasy or satire. [উপদেশবাদ লে শেভালিয়ে দে বেথুনের সম্পর্ককে পরাভূত করে না ('অ্যান অ্যাকাউন্ট অফ দ্য প্ল্যানেট বুধ', ১৭৫০) - প্রাথমিক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি রাজনৈতিক ব্যঙ্গ বা ইউটোপিয়ান ফ্যান্টাসির জন্য একটি বাহন হিসাবে একটি কাল্পনিক মার্কারিও সমাজের বর্ণনা ব্যবহার না করার ক্ষেত্রে একটি বিরল কাজ]
- 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 ওয়েস্টফল, গ্যারি (১৯ জুলাই ২০২১)। "Mercury"। Science Fiction Literature through History: An Encyclopedia[2 volumes] [ইতিহাসের বিজ্ঞান সাহিত্যের কল্পকাহিনী: একটি বিশ্বকোষ [২য় খন্ড]] (ইংরেজি ভাষায়)। এবিসি-সিএলআইও। পৃ. ৪৪২–৪৪৪। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪৪০৮-৬৬১৭-৩।
- ↑ ক্লুট, জন; ল্যাংফর্ড, ডেভিড; স্লাইট, গ্রাহাম (সম্পাদকগণ)। "মুনরো, জন"। দা এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সায়েন্স ফিকশন (চতুর্থ সংস্করণ)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ ক্লুট, জন; ল্যাংফোর্ড, ডেভিড; স্লেইট, গ্রাহাম (সম্পাদকগণ)। "Cook, William Wallace" [কুক, উইলিয়াম ওয়ালেস]। দা এনসাইক্লপিডিয়া অফ সাইন্স ফিকশন (ইংরেজি ভাষায়) (চতুর্থ সংস্করণ)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ ক্লুট, জন; ল্যাংফোর্ড, ডেভিড; স্লেইট, গ্রাহাম (সম্পাদকগণ)। "Smith, Clark Ashton" [স্মিথ, ক্লার্ক অ্যাশটন]। দা এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সাইন্স ফিকশন (৪র্থ সংস্করণ)। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ কানাস, নিক (২০১৬)। "Silicon-Based Life and the Planet Mercury: Fiction and Fact"। The Caloris Network: A Scientific Novel [তাপের নেটওয়ার্ক : একটি বৈজ্ঞানিক উপন্যাস]। Science and Fiction (ইংরেজি ভাষায়)। স্প্রিংগার। পৃ. ১০৯–১২৪। ডিওআই:10.1007/978-3-319-30579-0_2। আইএসবিএন ৯৭৮-৩-৩১৯-৩০৫৭৯-০।
- 1 2 3 4 উইলিয়ামস, ম্যাট (৩ আগস্ট ২০১৬)। "How Do We Colonize Mercury?" [কীভাবে আমরা বুধে উপনিবেশ স্থাপন করবো?]। ইউনিভার্স টুডে (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২২।
- ↑ "Kim Stanley Robinson Sees Humans Colonizing the Solar System in 2312" [কিম স্টানলে রবিনসন মানবকে সৌরজগতে ২৩১২ তে উপনিবেশ স্থাপন করতে দেখেছেন]। ওয়্যার্ড (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ জুন ২০১২। আইএসএসএন 1059-1028। ৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২২।
- ↑ স্ট্যাবলফোর্ড, ব্রিয়ান (১৯৯৯)। "David Brin"। ব্লেইলার, রিচার্ড (সম্পাদক)। Science Fiction Writers: Critical Studies of the Major Authors from the Early Nineteenth Century to the Present Day (২য় সংস্করণ)। নিউ ইয়র্ক: Charles Scribner's Sons। পৃ. ১০৭–১০৮। আইএসবিএন ০-৬৮৪-৮০৫৯৩-৬। ওসিএলসি 40460120।
{{বই উদ্ধৃতি}}: লেখা "বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী রচয়িতা:উনিশ শতকের গোড়ার দিক থেকে বর্তমান দিন পর্যন্ত প্রধান লেখকদের সমালোচনামূলক গবেষণা" উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ হোয়াইট, রোজার "স্টার টজু " (মার্চ ১৯৯৩)। "A Star to Steer by For Star Control 2" [ স্টার কন্ট্রোল ২ এর হল ধরার জন্য একজন তারকা] (পিডিএফ)। কম্পিউটার গেমিং ওয়ার্ল্ড। খণ্ড ১০৪। গোল্ডেন এম্পায়ার পাবলিকেশন। পৃ. ৩৮। ৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ ক্লুট, জন; ল্যাংফোর্ড, ডেভিড; স্লেইট, গ্রাহাম (সম্পাদকগণ)। "Deltron 3030" [ডেলট্রন ৩০৩০]। দা এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সাইন্স ফিকশন (৪র্থ সংস্করণ)। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- 1 2 "Mercury in Popular Culture"। The Universe: A Travel Guide [বিশ্বজগৎ :একটি ভ্রমণ সহায়িকা] (ইংরেজি ভাষায়)। লোনলি প্ল্যানেট। ১ অক্টোবর ২০১৯। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৭৮৮৬৮-৭০৫-৮।
- 1 2 "Mercury" [বুধ]। নাসা সোলার সিস্টেম এক্সপ্লোরেশন। ২৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ ক্লুট, জন; ল্যাংফোর্ড, ডেভিড; স্লেইট, গ্রাহাম (সম্পাদকগণ)। "Vulcan" [ভলকান]। দা এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সাইন্স ফিকশন (৪র্থ সংস্করণ)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০২১।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- নাইন প্ল্যানেট তথ্যাবলী
- নাসার বুধ গ্রহ সম্বন্ধনীয় উপাত্ত সংগ্রহ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে
- ‘বেপিকলম্বো’, এসার বুধ অভিযান
- গ্রহসমূহ — বুধ গ্রহ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে ছোটদের জানার জন্য বুধ গ্রহের তথ্যাবলী
- বুধ গ্রহ ওয়ার্ল্ড বুক অনলাইন রেফারেন্স সেন্টার ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ জানুয়ারি ২০০৫ তারিখে
- জিওডি সাইটে বুধ গ্রহ বিশ্বের সার্চ ইঞ্জিন যা নাসা ওয়ার্ল্ড ওয়াইন্ড, সেলেস্টিয়া ও অন্যান্য প্রয়োগগুলোকে সমর্থন করে।
