বিষয়বস্তুতে চলুন

কর্মদক্ষতা (পদার্থবিজ্ঞান)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শক্তিকে তার একটি রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত করার বেলায় সব সময়ই খানিকটা শক্তির অপচয় হয়। কাজেই সব সময়েই আমরা যে পরিমাণ কাজ করতে চাই সে পরিমাণের চেয়ে বেশি শক্তি দেই।[]

সকল ধরনের যন্ত্রেই ঘর্ষণ, তাপশক্তি বা অন্যান্য কারণে শক্তির অপচয় হয়। সেজন্য আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যন্ত্রটি কতটুকু দক্ষতার সাথে শক্তি ব্যবহার করেছে তা পরিমাপ করা প্রয়োজন। এখন এই পরিমাপের জন্য আমরা কর্মদক্ষতা বলে একটি নতুন রাশি ব্যবহার করে থাকি।[]

সংজ্ঞা

[সম্পাদনা]

কোনো যন্ত্র থেকে প্রাপ্ত মোট কার্যকর শক্তি এবং যন্ত্রে প্রদত্ত মোট শক্তির অনুপাতকে ঐ যন্ত্রের কর্মদক্ষতা বলে। আমরা কর্মদক্ষতাকে গ্রীক ছোটো হাতের অক্ষর η (ইটা) দিয়ে প্রকাশ করে থাকি।[][] কর্মদক্ষতাকে শতকরা হিসেবে সূত্র আকারে লিখা হলেঃ কর্মদক্ষতা=(কাজের পরিমাণ/প্রদত্ত শক্তি)×১০০℅

এই সূত্রকে আরও কয়েকরকম ধরনে লিখা যায়। কর্মদক্ষতা={(প্রদত্ত শক্তি-শক্তির অপচয়)/প্রদত্ত শক্তি}×১০০℅[]

আবার, কর্মদক্ষতা=(লভ্য কার্যকর ক্ষমতা/মোট প্রদত্ত ক্ষমতা)×১০০℅

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "CK12-Foundation"flexbooks.ck12.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-১১ 
  2. বিজ্ঞান, পদার্থ। কর্মদক্ষতা। এনসিটিবি। পৃষ্ঠা ১১৯–১২০। 
  3. "ইটা"। ২৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২১ 
  4. "কর্মদক্ষতা ও ইটা" 
  5. "কর্মদক্ষতার সূত্র"। ২৮ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২১