করাচি চিড়িয়াখানা
বাম থেকে ডানে: প্রবেশদ্বার • আঙ্গিনা • ফ্ল্যামিংগো • সরীসৃপ গৃহ | |
স্থাপিত | ১৮৭৮ |
---|---|
অবস্থান | নিস্তার রোড, গার্ডেন ইস্ট করাচি, সিন্ধু প্রদেশ, পাকিস্তান |
স্থানাঙ্ক | ২৪°৫২′৩৪″ উত্তর ৬৭°০১′২৪″ পূর্ব / ২৪.৮৭৬২২৮° উত্তর ৬৭.০২৩২০৩° পূর্ব |
আয়তন | ৩৩ একর (১,৩০,০০০ মি২)[১] |
প্রাণীর সংখ্যা | ~৮৮০ |
প্রজাতির সংখ্যা | ~৮০ |
বার্ষিক পরিদর্শক | ০.১ মিলিয়ন (২০০১) |
করাচি চিড়িয়াখানা (উর্দু: کراچی چڑیاگھر; সিন্ধি: ڪراچي زو چڙيا گهر), যা করাচি প্রাণী ও উদ্ভিদ উদ্যান বা গান্ধী গার্ডেন নামেও পরিচিত, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের করাচি শহরের গার্ডেন ইস্ট এলাকায় অবস্থিত। এটি ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানা। এটি লাহোর চিড়িয়াখানার পর দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন চিড়িয়াখানা।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]করাচি চিড়িয়াখানা ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সাধারণত এটি 'মহাত্মা গান্ধী গার্ডেন' নামে পরিচিত ছিল। এর আগে, ১৮৬১ সালে ব্রিটিশ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এটি পৌরসভায় হস্তান্তর করা হয়। ১৮৭৮ সালে পৌরসভা এটি একটি ট্রাস্টের অধীনে এনে জনগণের অনুদানের মাধ্যমে উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নেয়। পরবর্তীতে, ১৮৮১ সালে এটি পুনরায় জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের পর, এর নাম পরিবর্তন করে 'করাচি জুলজিক্যাল গার্ডেন' বা সংক্ষেপে 'করাচি চিড়িয়াখানা' রাখা হয়। ১৯৫৩ সালে, করাচি মেট্রোপলিটন কর্পোরেশন চিড়িয়াখানার জন্য একজন কিউরেটর এবং একজন যোগ্য পশুচিকিৎসক নিয়োগ করে।[২] ১৯৯১-৯২ সালে সিটি ডিস্ট্রিক্ট গভর্নমেন্ট করাচি প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরের পুনর্গঠন পরিকল্পনা গ্রহণ করে, যা বাস্তবায়িত হয়। ১৯৯২ সালে, জাপানের রাজকুমারী নতুনভাবে নির্মিত প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর উদ্বোধন করেন। ২০০৮ সালে, করাচি চিড়িয়াখানায় প্রায় ২৪০ জন কর্মচারী ছিল।
অঞ্চল এবং আকর্ষণসমূহ
[সম্পাদনা]- হাতি বাড়ি করাচি চিড়িয়াখানার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রদর্শনী। ৬৫ বছর বয়সী এশীয় হাতি 'আনারকলি' ১৯ জুলাই ২০০৬ সালে মারা যায়।[১] ১৬ মে ২০১০-এ, করাচি সাফারি পার্ক থেকে দুটি স্ত্রী আফ্রিকান বুশ হাতি করাচি চিড়িয়াখানায় আনা হয়। এদের জন্ম ২০০৭ সালে তানজানিয়াতে এবং এদের নাম রাখা হয় নূর জাহান এবং মধুবালা।[৩]
- প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর, ১৯৯২ সালে পুনর্নির্মিত, করাচি চিড়িয়াখানার অন্যতম জনপ্রিয় আকর্ষণ। এখানে বিভিন্ন প্রাণীর স্টাফড নমুনা রাখা আছে। এছাড়াও ত্বক, শিং, শুঁড়, পালক ইত্যাদি প্রদর্শিত হয়। এই স্থাপনাটি প্রাণিবিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের গবেষণা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যবহার করা হয়।[১]
- সরীসৃপ ঘর ১৯৯২ সালে সম্প্রসারিত ও পুনর্নির্মাণ করা হয়। এটি পাকিস্তানের অন্যতম কয়েকটি সরীসৃপ ঘরের মধ্যে একটি। এখানে ১৩ প্রজাতির সাপ ও গিরগিটি রয়েছে। কচ্ছপ এবং কুমির প্রজাতির নতুন জন্মানো শিশু সরীসৃপও প্রদর্শিত হয়।[১]
- পশুচিকিৎসা হাসপাতাল ১৯৯৮ সালে করাচি চিড়িয়াখানায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে এবং সোনোগ্রামের সুবিধা, অসুস্থ প্রাণীদের জন্য বিশেষ কক্ষ, একটি ল্যাবরেটরি এবং ইনকিউবেশন রুম রয়েছে।
- মুঘল গার্ডেন, ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত, এতে সবুজ লন এবং মৌসুমি গাছপালা রয়েছে যা বাগানের একটি বড় অংশ দখল করে। মুঘল ধাঁচের ঝর্ণা বাগানের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে। এখানে বিভিন্ন জাতের গোলাপ এবং অন্যান্য ফুল প্রদর্শিত হয়।[১]
- সাদা সিংহ, ২০১২ সালে ক্রয়কৃত এই সিংহ করাচি চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ এবং একটি প্রজনন কর্মসূচির অংশ।
করাচি পৌর অ্যাকোয়ারিয়াম
[সম্পাদনা]করাচি পৌর অ্যাকোয়ারিয়াম ১৯৫৩ সালে নির্মিত হয়। এটি করাচি চিড়িয়াখানার ভেতরে অবস্থিত। এখানে মোট ২৮টি ট্যাংক রয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ প্রজাতির ৩০০টি মাছ রাখা হয়েছে।[১][২] এটি করাচির তিনটি পাবলিক অ্যাকোয়ারিয়ামের একটি। বাকি দুটি হলো ক্লিফটন ফিশ অ্যাকোয়ারিয়াম এবং লান্ধি কোরাঙ্গি অ্যাকোয়ারিয়াম।
উল্লেখযোগ্য প্রাণীসমূহ
[সম্পাদনা]ভাল্লুক
[সম্পাদনা]১৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে, করাচি চিড়িয়াখানায় দুটি নতুন ভালুক আনা হয়। এদের মধ্যে একটি পুরুষ এশীয় কালো ভাল্লুক এবং অপরটি স্ত্রী সিরিয়ান ভাল্লুক।[৪]
নূর জাহান
[সম্পাদনা]নূর জাহান (মৃত্যু: ২২ এপ্রিল ২০২৩) করাচি চিড়িয়াখানায় বসবাসকারী ১৭ বছর বয়সী একটি স্ত্রী আফ্রিকান হাতি ছিল। এপ্রিল ২০২৩-এ, শারীরিক অসুস্থ অবস্থায় সে চিড়িয়াখানার একটি কংক্রিটের পুকুরে পড়ে যায়।[৫]
আগস্ট ২০২২-এ, ফোর পাওস (চার পাঞ্জা) দল চিড়িয়াখানায় নূর জাহানের ক্ষয়প্রাপ্ত দাঁত সফলভাবে অপসারণ করে।[৬] তারা নূর জাহানের শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং পেলভিক ফ্লোরের ক্ষতি শনাক্ত করে। এগুলো তার শারীরিক কষ্ট এবং আংশিক পক্ষাঘাতের প্রধান কারণ ছিল।[৭]
পুকুরে পড়ে যাওয়ার পর, তাকে একটি ক্রেনের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়। পেছনের পায়ে ব্যথার কারণে দাঁড়াতে তার কষ্ট হচ্ছিল। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি স্থানীয় পশুচিকিৎসকদের একটি দল তার চিকিৎসা শুরু করে। ফোর পাওসের পরামর্শ অনুযায়ী, তাকে ওষুধ, ভিটামিন, ব্যথানাশক এবং হাইড্রোথেরাপি প্রদান করা হয়।[৮]
নূর জাহানের অবস্থার অবনতি হলে অনেক মানুষ তার প্রতি উদ্বেগ এবং দুঃখ প্রকাশ করে। গায়িকা নাতাশা বেইগ, অভিনেত্রী আয়শা ওমর, জালাই সরহাদী, এবং সিমি রাহেলসহ অনেক সেলিব্রিটি পশু অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তুলেন।[৯]
২২ এপ্রিল ২০২৩-এ, নূর জাহানের মৃত্যু হয়। স্থানীয় পশুচিকিৎসক এবং ফোর পাওস দলের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তার অবস্থার অবনতি ঘটে। প্রাণী সংরক্ষণ সংগঠনগুলো পাকিস্তানে বন্দী বন্যপ্রাণীর জন্য উন্নত চিকিৎসার দাবি জানায়। একইসঙ্গে, নূর জাহানের সঙ্গী মধুবালাকে আরও উন্নত পরিবেশে স্থানান্তরের প্রতিশ্রুতি দেয় সরকার।[৫][১০][১১]
মধুবালা
[সম্পাদনা]মধুবালা করাচি চিড়িয়াখানার একটি স্ত্রী আফ্রিকান হাতি।[১২][১৩] তানজানিয়ায় খুব অল্প বয়সে তার মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে তাকে পাকিস্তানে আনা হয়।[১৪] আগস্ট ২০২২-এ, ফোর পাওস (চার পাঞ্জা) দল মধুবালার ক্ষয়প্রাপ্ত দাঁত সফলভাবে অপসারণ করে।[৬][১৫]
বিতর্ক এবং সমালোচনা
[সম্পাদনা]চিড়িয়াখানায় প্রাণীদের প্রতি আচরণ ও তাদের অবস্থার কারণে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে করাচি চিড়িয়াখানা সমালোচনার মুখে পড়েছে।[১৬]
করাচি চিড়িয়াখানার একটি দুর্নাম অর্জনের আরেকটি কারণ হলো এখানে বাস করা আরবীয় ওরিক্সের একাধিক মৃত্যুর ঘটনা। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন দ্বারা এই প্রজাতিকে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। ২০০৭ সালে এক জোড়া বেসরকারি খামার থেকে কেনা হয়। একই বছর স্ত্রী ওরিক্স একটি মেয়ে শাবকের জন্ম দেয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে এক পুরুষ এবং এক স্ত্রী শাবকের জন্ম দেয়। কিন্তু ২০০৯ সালে উভয় শাবকের মৃত্যু ঘটে।[১৭] ২০০৭ সালে জন্মানো প্রথম শাবকটি ১২ মার্চ ২০১০ তারিখে আরেকটি শাবকের জন্ম দেয়। তবে এটি পরের দিন মারা যায়। চারদিন পর, শাবকের মা-ও চিড়িয়াখানা হাসপাতালে মারা যায়। ফলে চিড়িয়াখানায় কেবল ২০০৭ সালে কেনা মূল জোড়া ওরিক্সই বেঁচে ছিল।[১৮] ২৩ মার্চ ২০১০ তারিখে, এই জোড়ার স্ত্রী ওরিক্স, যার এক সপ্তাহ ধরে চিড়িয়াখানা হাসপাতালে পায়ের আঘাতের চিকিৎসা চলছিলো, সেটিও মারা যায়।[১৭]
এপ্রিল ২০১৬-তে, চিড়িয়াখানায় ১৬ বছর বয়সী ‘অ্যালেক্স’ নামের একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার কিডনি অকেজো হওয়ার কারণে মারা যায়। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় কেবল একটি স্ত্রী বাঘ, ‘র্যাচেল’, বেঁচে আছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সরকারকে নতুন একটি পুরুষ বাঘ আনার অনুরোধ জানায়।[১৯] উল্লেখ্য, একই মাসে চিড়িয়াখানায় রাতের বেলা তিনটি ভারতীয় কৃষ্ণসার লড়াইয়ে মারা যায়। চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়করা কেবল দিনের বেলাতেই উপস্থিত থাকে। ফলে রাতে প্রাণীদের দেখাশোনা করার কেউ ছিল না।[১৯][২০] তিনটি নবজাতক কুগার শাবকও এই চিড়িয়াখানায় মারা যায়।[২১]
প্রজাতির তালিকা
[সম্পাদনা]
|
|
|
|
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
বানর
-
কালো মুকুটযুক্ত সারস
-
পুকুরে কুমির
-
স্থল কচ্ছপ
-
শিংওয়ালা হরিণ
-
বরফের টুকরো দিয়ে তাপ ঠেকানো বেঙ্গল টাইগার
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ করাচি চিড়িয়াখানায় বিনোদনের সীমাহীন সুযোগ ডন (পত্রিকা), প্রকাশিত ২২ ডিসেম্বর ২০০৮, সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২২
- ↑ ক খ গ "Karachi: Garden and parks"। tourismsouthasia.com। মে ৬, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ কোহেল, ড্যান। "পাকিস্তানের করাচি চিড়িয়াখানা"। কোহেল ডি, হাতি এনসাইক্লোপিডিয়া। ২০১২-০৫-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ Sheharyar Ali (১৬ মার্চ ২০১৭)। "Karachi Zoo welcomes new pair of bears"। The Express Tribune। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ "Ailing Karachi Zoo elephant Noor Jehan passes away"। ২২ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ ক খ "Four Paws team successfully remove rotten tusks of Madhubala, Noor Jehan"। Samaa (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ আগস্ট ২০২২।
- ↑ Ilyas, Faiza (১৪ এপ্রিল ২০২৩)। "Ailing elephant Noor Jehan in 'critical condition'"। DAWN.COM।
- ↑ "Elephant Noor Jehan showing signs of improvement, says commissioner"। www.thenews.com.pk।
- ↑ "Natasha Baig, others on elephant Noor Jehan's fall"। The Express Tribune। ১৪ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ "Elephant 'Noor Jehan' breathes her last at Karachi Zoo"।
- ↑ "Ailing elephant 'Noor Jehan' breathes her last at Karachi Zoo"। ২২ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ "Karachi Zoo's Madhubala turns 16"। The Express Tribune। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ "Tusks of two elephants allegedly cut off at Karachi Zoo"। The News International (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ Ilyas, Faiza (১৬ আগস্ট ২০২২)। "Madhubala to undergo 'unique' surgery at Karachi Zoo today"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ Hassan, Syed Raza (১৮ আগস্ট ২০২২)। "Pakistan's Madhubala elephant gets relief after years of dental pain"। Reuters (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ Karachi Zoo Daily Times (পত্রিকা), প্রকাশিত ২৪ মার্চ ২০১৯, সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২২
- ↑ ক খ গ করাচি চিড়িয়াখানার শেষ নারী ওরিক্সও মারা গেছে ডন (পত্রিকা), প্রকাশিত ২৩ মার্চ ২০১০, সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২২
- ↑ ক খ ফাইজা ইলিয়াস (১৭ মার্চ ২০১০)। "করাচি চিড়িয়াখানা আরেকটি আরবীয় ওরিক্স হারালো"। ডন (পত্রিকা)। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ (শেহরিয়ার আলি) Tragic end: Karachi zoo loses tiger to kidney failure The Express Tribune (পত্রিকা), ২৯ এপ্রিল ২০১৬, সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২২
- ↑ Karachi: 3 deer in zoo died mysteriously ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে Abb Takk TV News, ১১ এপ্রিল ২০১৬, সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২০
- ↑ Birthday celebrations as Zoo turns 150 years old Pakistan Observer, ২৩ জুলাই ২০২০, সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২০