কোমা (ধূমকেতু)

কোমা হলো ধূমকেতুর কেন্দ্রের চারপাশে অবস্থিত অস্পষ্ট আবরণ, যা সূর্যের কাছাকাছি আসার সময় ধূমকেতুর অত্যন্ত উপবৃত্তাকার কক্ষপথে গঠিত হয়। সূর্যের তাপে ধূমকেতুর অংশ বিশেষ উর্ধ্বপাতিত হয়;[১] এর ফলে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে দেখার সময় ধূমকেতুকে অস্পষ্ট দেখায় এবং এটি তারাদের থেকে আলাদা দেখা যায়। কোমা শব্দটি গ্রিক κόμη (kómē) থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ "চুল" এবং এটি ধূমকেতু শব্দেরও উৎস।[২][৩]
সাধারণত কোমা বরফ ও ধূমকেতুর ধুলো দিয়ে গঠিত।[১] সূর্যের থেকে ৩–৪ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক (২৮০–৩৭০ নিযুত মাইল; ৪৫০–৬০০ নিযুত কিলোমিটার) দূরত্বের মধ্যে থাকলে ধূমকেতুর কেন্দ্র থেকে নির্গত পদার্থের ৯০% পর্যন্ত জলীয় বাষ্প দ্বারা গঠিত হয়।[১] H2O মূল অণুগুলি প্রধানত আলোক-বিয়োজন এবং কিছুটা কম মাত্রায় আলোক-আয়নায়ন এর মাধ্যমে ধ্বংস হয়।[১] সৌর বায়ু আলোক-রসায়ন তুলনায় জল ধ্বংসের ক্ষেত্রে খুব সামান্য ভূমিকা পালন করে।[১] বড় ধূলিকণাগুলি ধূমকেতুর কক্ষপথের পথে রয়ে যায়, এবং ছোট কণাগুলি আলোর চাপ দ্বারা ধূমকেতুর লেজে ঠেলে দেয়া হয়।

কোমা সাধারণত ধূমকেতু সূর্যের কাছে আসার সাথে সাথে বড় হয় এবং বৃহস্পতির ব্যাসের মতো বড় হতে পারে, যদিও এর ঘনত্ব খুবই কম।[২] ২০০৭ সালের অক্টোবরে একটি বিস্ফোরণের এক মাস পর ১৭পি/হোম্স ধূমকেতুর একটি দুর্বল ধূলিকণার আবরণ সূর্যের চেয়েও বড় হয়ে উঠেছিল।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Combi, Michael R.; Harris, W. M.; Smyth, W. H. (২০০৪)। "Gas Dynamics and Kinetics in the Cometary Coma: Theory and Observations" (পিডিএফ)। Comets II। Lunar and Planetary Institute। 745: 523–552। বিবকোড:2004come.book..523C। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৫।
- ↑ ক খ "Chapter 14, Section 2 | Comet appearance and structure"। lifeng.lamost.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৮।
- ↑ টেমপ্লেট:Cite Dictionary.com
- ↑ Jewitt, David (২০০৭-১১-০৯)। "Comet Holmes Bigger Than The Sun"। Institute for Astronomy at the University of Hawaii। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-১৭।