কবির চৌধুরী শিক্ষা কমিশন, ২০০৯

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কবির চৌধুরী শিক্ষা কমিশন, ২০০৯ হলো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকরন, পরিমার্জন ও সংস্কার করার জন্য প্রণীত একটি জাতীয় শিক্ষানীতি কমিশন।[১] এটি ২০০১ সালে এম এ বারীর শিক্ষা কমিশনকে যাচাই ও পরিমার্জন করার জন্য ২০০৯ সালে বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।[২] এই শিক্ষা কমিশন কমিটি কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন, শামসুল হক শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট ১৯৯৭ প্রভৃতির আলোকে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।[৩] ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি এই শিক্ষানিতির খসড়া প্রস্তাব সরকারের নিকট জমা দেন।[৪]

প্রস্তাবসমূহ[সম্পাদনা]

এই কমিশন নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলো, উদ্যোগসমূহের প্রধান কিছু হলো:

  1. স্নাতক শিক্ষার স্তরগুলি তিন থেকে দুই-এ সংশোধন করা
  2. শিক্ষার সমস্ত ধারার অধীনে কিছু বাধ্যতামূলক বিষয়াবলীর বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্তি করা
  3. শিক্ষাকে আরও প্রয়োগ ভিত্তিক করে তোলা, এবং একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করা।
  4. বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাকে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বর্ধিত করা, এইজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের ব্যবস্থা করা। অষ্টম শ্রেণির শেষ পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শেষ পর্যায়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করা।
  5. ফলাফলের ভিত্তিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
  6. মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা চার শিক্ষাবর্ষে রূপান্তর করা, মাধ্যমিক শিক্ষা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রসারিত হবে। দশম শ্রেণির শেষে সরকারি পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। চূড়ান্ত মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা দ্বাদশ শ্রেণির শেষে অনুষ্ঠিত হবে।
  7. প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমের বিভিন্ন ধারায় বাংলা, নৈতিক শিক্ষা, বাংলাদেশের অধ্যয়ন, গণিত, প্রকৃতি ও পরিবেশ, সামাজিক গবেষণা, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞানসহ কয়েকটি মৌলিক বিষয় বাধ্যতামূলক করা হবে।
  8. সকল মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানে কিছু প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রবর্তন করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। বাধ্যতামূলক বিষয়গুলির মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করে মাদ্রাসা শিক্ষার পুনর্গঠন করা হবে।
  9. এছাড়াও এই কমিটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তদারকির জন্য বেসরকারি শিক্ষক কমিশন গঠনেরও সুপারিশ করেছিল।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বাংলাদেশের শিক্ষা কমিশন"studypress.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১০ 
  2. "জাতীয় শিক্ষানীতি অনুমোদন"BBC News বাংলা। ২০১০-০৫-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১০ 
  3. "বাংলাদেশ সরকারের নতুন শিক্ষা নীতির খসড়া তৈরি – DW – 09.10.2009"dw.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১০ 
  4. "শিক্ষা কমিশন - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১০