কবিতা রামদাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কবিতা রামদাস
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় কবিতা রামদাস ২০১৩
জন্ম১৯৫৫-৫৬ (বয়স ৬২-৬৩)[১]
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনপ্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় (এমপিএ ১৯৮৮);
মাউন্ট হলিওক কলেজ (বিএ ১৯৮৫)
পেশাগ্লোবাল ফান্ড ফর উইমেনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং সিইও

কবিতা রামদাস (জন্ম ১৯৬২ অথবা ১৯৬৩) [১] হলেন ফোর্ড ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ড্যারেন ওয়াকারের সিনিয়র উপদেষ্টা।[২] তিনি ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ভারত, নেপাল ও শ্রীলংকার অফিসে প্রতিনিধিত্বকারী ফোর্ডস ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি প্রতিনিধি হিসেবে তিন বছর ধরে সেবা করার পর এই পদটি গ্রহণ করেন।[৩] এর আগে, তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রিম্যান স্পগলি ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে সোশ্যাল এন্ট্রিপ্রিনারশিপ প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন।[৪] তিনি হলেন গ্লোবাল ফান্ড ফর উইমেন সংস্থার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও প্রধান কার্নিযর্বাহী কর্মকর্তা।[৫]

পশ্চাৎপট ও অন্তর্ভুক্তি[সম্পাদনা]

কবিতা রামদাস হলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন প্রধান অ্যাডমিরাল লক্ষ্মীনারায়ণ রামদাসের কন্যা।[৬][৭] কবিতার বাবা-মা উভয়ই অবসরপ্রাপ্ত, অ্যাডমিরাল এল রামদাস এবং ললিতা রামদাস; এবং তার বোন সাগরী রামদাস কোর কমিটির মাধ্যমে আম আদমি পার্টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত আছেন।

কবিতা রামদাস ভারতের দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং বড় হয়েছেন মুম্বই, দিল্লি, লন্ডন, রেঙ্গুন, এবং বন শহরে।[৮] তিনি জার্মানির বন শহরের বাড গডেসবার্গনিকোলাস কসানাস জিমনাসিয়াম; মুম্বই শহরের ক্যাথিড্রাল অ্যান্ড জন কনন স্কুলগুলোত পড়াশোনা করেছিলেন এবং ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে নিউ দিল্লির স্প্রিংডালেস স্কুল থেকে স্নাতক হন। তিনি ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু কলেজে দু-বছর ধরে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মাউন্ট হোলিওক কলেজের, দক্ষিণ হাউলি, ম্যাসাচুসেটস থেকে বৃত্তি অর্জন করেন, যেখানে তিনি ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে তার বিএ ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত উড্রো উইলসন স্কুল অফ পাবলিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স থেকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক পলিসি বিষয়ে অধ্যয়ন করে তার এমপিএ ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেছিলেন।[৯]

১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে কবিতা রামদাস একজন শান্তির পক্ষে আইনজীবী জুলফিকার আহমেদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, যার সঙ্গে তার কলেজে দেখা হয়েছিল। জুলফিকার পাকিস্তানি শিক্ষাবিদ এবং যুদ্ধবিরোধী সমজকর্মী, হ্যারিসবার্গ সেভেনের একজন, ইকবাল আহমেদ-এর সম্পর্কে ভাইপো। একজন ঊর্ধ্বতন নৌ কর্মকর্তা হিসাবে তার বাবার মর্যাদা দেওয়া হলে, ধারণা ছিল যে তাদের সম্পর্ক ভারতের জাতীয় নিরাপত্তাকে আপস করতে পারে।[৬]

কবিতা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজারি প্যানেলের প্রাক্তন সদস্য এবং প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডে কাজ করেছেন; প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির উড্রো উইলসন স্কুলে জেন্ডার ইক্যুইটি অ্যাডভাইসার্স কাউন্সিল, এবং অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল, দ্য এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, এবং দারিদ্র্য ও মানবাধিকার সম্পর্কিত [১০] আফ্রিকান ওমেন মিলেনিয়াম ইনিশিয়েটিভ সংস্থার সঙ্গেও তিনি যুক্ত। তিনি অ্যাসেন ইনস্টিটিউটের হেনরি ক্রাউন ফেলো প্রোগ্রামের সদস্য এবং পূর্বে নারী ফান্ডিং নেটওয়ার্কের বোর্ড সদস্য হিসাবে কাজ করেছিলেন।

গ্লোবাল ফান্ড ফর ওমেন সংস্থায় কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে কবিতা রামদাস গ্লোবাল ফান্ড ফর ওমেনের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও রয়েছেন। কবিতার কার্যকালে গ্লোবাল ফান্ড ফর ওমেনের সম্পদ বৃদ্ধি হয়েছে ৬০ লক্ষ ডলার থেকে বেড়েছে ২.১ কোটি ডলার। [১১] অনুদান রাশি প্রতি বছর ৮০ লক্ষ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং বিশ্বের যে দেশগুলোতে গ্লোবাল ফান্ড ফর ওমেন অনুদান তৈরি করছে তার সংখ্যা প্রায় ১৬০টিরও বেশি হয়েছে।[১১] কবিতা নারীর প্রথম বৃত্তিদান আন্দোলনের প্রচারাভিযানের গ্লোবাল ফান্ড ফর ওমেনের সমালোচনামূলক আন্তর্জাতিক বিষয়গুলিতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য, এখন বা কখনো হয়নি এরকম তহবিল গঠনের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।[১১]

এমএডিআরই সংস্থায় কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

এমএডিআরই হল আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যারা তৃণমূল স্তরে যুদ্ধ, বিপর্যয় এবং অবিচারের আবহে কাজ করার মহিলা সংগঠনগুলোর সঙ্গে মহিলাদের প্রাথমিক প্রয়োজন মিটিয়ে উন্নয়নের সেতু হিসেবে সমর্থন ও নেতৃত্বের অংশীদার হয়ে কাজ করছে।[১২] ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখে কবিতা এন রামদাস এর নতুন কৌশল উপদেষ্টা হিসাবে সংগঠনে যোগদান করেছেন। [১৩]

সম্মান ও পুরস্কারসমূহ[সম্পাদনা]

  • ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ ইন্টিগ্রাল স্টাডিজ, বিশিষ্ট সেবার জন্যে হরিদাস এবং বিনা চৌধুরী পুরস্কার, ২০০৯[১৪]
  • ডুভেনেক মানবাধিকার পুরস্কার, ২০০৮
  • সোশ্যাল ক্যাপিটালিস্ট অ্যাওয়ার্ড, ফাস্ট কোম্পানি (পত্রিকা), ২০০৭[১৫]
  • ওমেন অফ গ্রেট এস্টিম অ্যাওয়ার্ড, ২০০৭
  • গার্লস হিরো অ্যাওয়ার্ড, গার্লস মিডিল স্কুল, ২০০৭
  • ওম্যান অফ সাবস্ট্যান্স অ্যাওয়ার্ড, আফ্রিকান ওমেন্স ডেভেলপমেন্ট ফান্ড, ২০০৫
  • জুলিয়েট গর্ডন লো অ্যাওয়ার্ড, গার্ল স্কাউটস অফ দ্য ইউএসএ, ২০০৫
  • ওমেন অফ দ্য ইয়ার ফর দ্য পাবলিক সেক্টর, ফাইন্যান্সিয়াল ওমেন্স অ্যাসোসিয়েশন, ২০০৪
  • লিডারশিপ ফর ইক্যুইটি অ্যান্ড ডাইভারসিটি (এলইএডি) অ্যাওয়ার্ড, ওমেন অ্যান্ড ফিলানথ্রপি, ২০০৪
  • বে এরিয়া লোকাল হিরো, কেকিউইডি-এফএম রেডিয়ো, ২০০৪
  • ২১ লিডার্স ফর দ্য ২১তম সেঞ্চুরি অ্যাওয়ার্ড, ওমেন্স ই-নিউজ, ২০০৩

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

  • ভারতীয় আমেরিকানদের তালিকা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Soul sisters"ইন্ডিয়া টুডে। ৮ এপ্রিল ২০১১। 
  2. "Kavita N. Ramdas; Senior Advisor, Global Strategy"Ford Foundation। Ford Foundation। ৩ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৬ 
  3. "Ford Foundation Appoints Kavita N. Ramdas as Representative in New Delhi"। ২০১৫-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. "Kavita Ramdas - FSI Stanford"Kavita Ramdas, FSI 
  5. "Archived copy"। ২০০৯-০৬-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২৬ Global Fund for Women Web site
  6. Curiel, Jonathan (১০ নভেম্বর ২০০২)। "A Woman's Work ... / India native Kavita Ramdas spins her privileged background into gold for underprivileged women at S.F.'s Global Fund for Women"SFGate। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৮ 
  7. BJP। "Press : Smt. Meenakshi Lekhi on Aam Aadmi Party"www.bjp.org। ২০১৮-০১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১৪ 
  8. [১] এসএফ গেট সংবাদ নিবন্ধ
  9. "Thinking Big--and Small: Kavita Ramdas"Forbes। ২০০৮-১১-১৪। 
  10. Kavita N. Ramdas Senior Advisor, Former President and Chief Executive Officer ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জুন ২০০৯ তারিখে © 2010 Global Fund for Women
  11. "Archived copy"। ২০০৯-০৪-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২৬ Global Fund for Women Web site
  12. "MADRE - Global women's rights"MADRE (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২৩ 
  13. "MADRE Announces New Strategy Advisor"MADRE (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৫-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২৩ 
  14. "Welcome to IndiaWest.com"। ২০১১-০৭-১৩। Archived from the original on ২০১১-০৭-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১৪ 
  15. Tonya Garcia; Polya Lesova (১ ডিসেম্বর ২০০৬)। "Class of '07: The Fast Company/Monitor Group Social Capitalist Award Winners"। Fast Company। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]