ওয়াসিত
وَاسِط | |
![]() ওয়াসিতে শারাবাই স্কুলের প্রবেশদ্বার | |
অবস্থান | ইরাক |
---|---|
অঞ্চল | ওয়াসিত প্রদেশ |
স্থানাঙ্ক | ৩২°১১′১৭″ উত্তর ৪৬°১৭′৫৩″ পূর্ব / ৩২.১৮৮° উত্তর ৪৬.২৯৮° পূর্ব |
ইতিহাস | |
সংস্কৃতি | ইসলামি খিলাফত (ইসলামি স্বর্ণযুগ) |
ওয়াসিত ( আরবি: وَاسِط , সিরীয়: ܘܐܣܛ ) ছিল ইরাকের একটি প্রাথমিক ইসলামী শহর। এটি ৮ম শতাব্দীতে ইরাকের উমাইয়া উপরাজ্যপাল আল-হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শহরটি প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত এবং সেখানে উমাইয়া শাসন প্রতিষ্ঠাকারী সিরিয়ান সৈন্যদের ঘাঁটি হিসেবে কাজ করত। শহরটি ইরাকের দুটি ঐতিহাসিক প্রশাসনিক কেন্দ্র কুফা এবং বসরার মধ্যে অবস্থিত ছিল। তাই শহরের নাম ওয়াসিত রাখা হয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শহরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল এবং এর ধ্বংসাবশেষ দক্ষিণ-পূর্ব ইরাকের কুতের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ওয়াসিত প্রদেশে অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ঐতিহাসিক শহর কাশকারের উল্টোদিকে টাইগ্রিস নদীর পশ্চিম তীরে আনুমানিক ৭০২ খ্রিস্টাব্দে আল-হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ এই শহরটি নির্মাণ করেছিলেন।[১] কথিত আছে যে আল-হাজ্জাজ দুর্গ এবং প্রধান মসজিদের দরজা জানজাওয়ার্দ থেকে নিয়ে এসেছিলেন।[২] ৭১৪ সালে ওয়াসিতে আল-হাজ্জাজ মারা যান।
ইউনেস্কোর উদ্ধৃতি:[৩]
ওয়াসিত হল একটি ইসলামী শহর যা প্রথম হিজরি শতাব্দীর শেষ প্রান্তিকে (খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দী) আল-হাজাজ বিন ইউসুফ আল-ছাকাফি ইরাকের প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে নির্মাণ করেছিলেন। একটি প্রাচীন শহর হিসেবে এর পরিধি ১৬ কিলোমিটার। দশম হিজরি শতাব্দীতে (খ্রিস্টীয় ১৬শ শতাব্দী) টাইগ্রিস নদীর গতিপথ পরিবর্তনের পর শহরটি পরিত্যক্ত হয়। ভবন নির্মাণ এবং চাষাবাদ এই শহরে কম করার কারণে এর ধ্বংসাবশেষগুলি সুস্থ ও নিরাপদ ছিল। এর বেশিরভাগ ভবনই ইটের তৈরি। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত এখানে একটি জরিপ করা হয় এবং আবার ১৯৮৫ সালে একটি নতুন জরিপ করা হয়। সপ্তম হিজরি থেকে প্রথম হিজরি শতাব্দী পর্যন্ত চার ধাপে বড় মসজিদটি পরিষ্কার করা হয়েছিল। মসজিদের পাশে আমিরের একটি বাড়ি ছিল। মসজিদের পাশে মিনার নামে পরিচিত একটি ভবন খনন করা হয়েছিল। ভবনটিতে সপ্তম হিজরি শতাব্দীর একটি সমাধি এবং একটি বিদ্যালয় ছিল। ১৯৩০-এর দশকের শেষের দিকে একটি আবাসিক এলাকাও পরিষ্কার করা হয়েছিল। মিনারের কিছু অংশের দেয়াল ক্ষয় হয়ে যাওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু বড় ধরনের রক্ষণাবেক্ষণের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।
ইবনে বতুতা ওয়াসিত শহর ভ্রমণ করেন। তিনি লিখেছেন "এখানে সুন্দর এলাকা, প্রচুর বাগান আর ফলের গাছ আছে। এটি বিখ্যাত ব্যক্তি ও জীবিত শিক্ষকদের জন্য পরিচিত। তাদের কাছ থেকে ধ্যান করার শিক্ষা পাওয়া যায়।" শহরটি কুফা এবং বসরার মাঝামাঝি একটি সৈন্য ঘাঁটি ছিল। তাই এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল।[৪]
বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা
[সম্পাদনা]এই স্থানটি ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০০ তারিখে সাংস্কৃতিক বিভাগে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অস্থায়ী তালিকায় যুক্ত করা হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Mirecki, BeDuhn; Jason, Paul Allan (২০০৭)। Frontiers of faith: the Christian encounter with Manichaeism in the Acts of Archelaus। BRILL। পৃষ্ঠা 10। আইএসবিএন 978-90-04-16180-1।
- ↑ Michael G. Morony (২০০৫)। Iraq After the Muslim Conquest। Gorgias Press। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৬।
- ↑ Centre, UNESCO World Heritage। "Wasit"। UNESCO World Heritage Centre (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-২৫।
- ↑ Battutah, Ibn (২০০২)। The Travels of Ibn Battutah। Picador। পৃষ্ঠা 59,303। আইএসবিএন 9780330418799।