বিষয়বস্তুতে চলুন

ইসলামে মধ্যমপন্থা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ওয়াসাতিয়াহ (ইসলামী পরিভাষা) থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ইসলামে মধ্যমপন্থা হল ইসলামী শরিয়তের একটি অন্যতম পরিভাষা, এটি হল ইসলামের দৃষ্টিতে সৎ ভারসাম্যপূর্ণ‌ জীবন পদ্ধতি, যা চরমপন্থাকে এড়িয়ে চলে ও বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যমপন্থী অভিজ্ঞতা অর্জ‌নে সহায়তা করে।[][][]

শব্দতত্ত্ব

[সম্পাদনা]

ওয়াসাত, যা ওয়াসাতিয়াহ হিসেবেও পরিচিত (وسطية) হল একটি আরব শব্দ যার অর্থ মধ্যম, মাঝারি, কেন্দ্রীয়, ভারসাম্যপূর্ণ‌। কাসদ্ (قصد) বা ইকতিসাদ (الاقتصاد) শব্দটিও কুরআন ও হাদীসে মধ্যমপন্থা, পরিমিত ব্যয়, মিতব্যয়, সঞ্চয় অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যদিও ক্বাসদ শদটির আরও অর্থ রয়েছে নিয়ত, লক্ষ্য, সংকল্প, উদ্দেশ্য, সরল পথ ইত্যাদি বাস্তবে করা সম্ভব এমন কাজের ইচ্ছা ইত্যাদি এবং ইক্বতিসাদ শব্দটি আধুনিক আরবিতে অর্থনীতি অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ সূরা নাহলের (১৬) ৯ম আয়াতে, সূরা মা'ইদাহর (৫) ৬৬ আয়াতে, সূরা তওবার (৯) ৪২ আয়াতে, সূরা লূকমানের (৩১) ১৯ ও ৩২ আয়াতে, এবং সূরা ফাতিরের (৩৫) ৩২ আয়াতে। এছাড়া ইত্তিদাল ও সাদ্দাদ শব্দ দুটোও হাদীসে মধ্যমপন্থা অর্থে এসেছে, সাদ্দাদ (السداد) শব্দটি অধিকবার ব্যবহৃত হয়েছে, এবং এর একাধিক অর্থ রয়েছে, তা হলো, সঠিক করা, সোজা করা, ঋণ পরিশোধ করা, ছিদ্র বন্ধ করা, কর্ম সম্পাদন করা ইত্যাদি। এর বিশেষ্যরূপ তাসদীদ (التسديد) এর আভিধানিক অর্থ হলো পরিশোধকরণ, দৃষ্টিকে (বা দূরবীণকে) একটি নির্দিষ্ট দিকে নির্দেশ করণ, নিশানায় তীর ন্ছুড়ে লক্ষ ভেদ করা। হাদীসে অনেক স্থানে "সাদ্দিদু ওয়া ক্বারীবু" (سَدِّدُوا وَقَارِبُوا) কথাটি এসেছে যার তর্জমা বা অনুবাদ হিসেবে "সোজা সঠিক পথে চলা বা মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা ও নিকটবর্তী হওয়া" বলা হয়েছে, আবার জামাআতের নামাজের বা সালাতের কাতার সোজা করার জন্য ইমাম ও খতীবের নির্দেশনা হিসেবেও এই কথাটি ব্যবহৃত হয়, এবং বাংলাদেশে নামাজের কাতার সোজা করার সময় মূল আরবি কথাটির পরিবর্তে তর্জমা হিসেবে কাতার সোজা করে দাড়ানো, ফাঁকা স্থানগুলো পূর্ণ করা ও কাছাকাছি আসার কথা বলা হয়। সালিহ আল মুনাজ্জিদ বলেন, "দ্বীনে মধ্যপন্থার অর্থ হল কেউ বাড়াবাড়ি না করে এবং আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা অতিক্রম না করে এবং কেউ এটিকে অবহেলা না করে এবং আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা থেকে পিছিয়ে না থাকে। দ্বীনে মধ্যপন্থা মানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ অনুসরণ করা। অতিরঞ্জন মানে তার চেয়ে বেশি কিছু করার চেষ্টা করা, আর অবহেলা মানে সেই পর্যায়ে না পৌঁছানো।"[] এছাড়াও আরো দুটি শব্দ রয়েছে যা হল ইসতিতাআত বা ইসতিতাআহ (আরবি: استطاعه) যার অর্থ সাধ্য, এবং ঊস'(উন) (وُسْع ঊস্‌'(উ্বন)) যার অর্থ সামর্থ্য, সাধ্য, ক্ষমতা, শক্তি, প্রাচুর্য, প্রশস্ততা, ধারণক্ষমতা।

ইসলামে মধ্যমপন্থার বিপরীত হলো বাড়াবাড়ি, সীমালঙ্ঘন, অতিরঞ্জন, কঠিন করা, কোরআনে এসেছে বাগীঈ (بغي) হিসেবে, হাদীসে যে শব্দগুলো এসেছে তা হলো গুলু (غُلُوَّ), গালাবা (غَلَبَ) , তানাত্তা'ঊ (تَنَطِّعُوْ), মুবাল্লাগাত (مبالغة)।

ধর্মী‌য় পাণ্ডুলিপি

[সম্পাদনা]

কুরআন

[সম্পাদনা]

ওয়াসাত হিসেবে

[সম্পাদনা]

এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলীর জন্যে এবং যাতে রসূল সাক্ষ্যদাতা হন তোমাদের জন্য। আপনি যে কেবলার উপর ছিলেন, তাকে আমি এজন্যই কেবলা করেছিলাম, যাতে একথা প্রতীয়মান হয় যে, কে রসূলের অনুসারী থাকে আর কে পিঠটান দেয়। নিশ্চিতই এটা কঠোরতর বিষয়, কিন্তু তাদের জন্যে নয়, যাদেরকে আল্লাহ পথপ্রদর্শন করেছেন। আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান নষ্ট করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ, মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, করুনাময়।

— আল-বাকারা, ২: ১৪৩

তাদের উত্তম ব্যক্তিরা বা মধ্যমণিরা (আওয়াসতুম) বললঃ আমি কি তোমাদেরকে বলিনি? এখনও তোমরা আল্লাহ তা'আলার পবিত্রতা বর্ণনা করছো না কেন?/ এখনও তোমরা ইনশা আল্লাহ (যদি আল্লাহ চান) বলছো না কেনো?

— আল-কলম ৬৮:২৮

কাসদ হিসেবে

[সম্পাদনা]

আর সরল/মধ্যম (কাসদ) পথ আল্লাহ্‌র কাছে পৌছায়, কিন্তু পথগুলোর মধ্যে বাঁকা পথও আছে। আর তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদের সবাইকেই সৎপথে পরিচালিত করতেন।

— An-Nahl 16:9

আর তারা যদি তাওরাত, ইঞ্জীল ও তাদের রবের কাছ থেকে তাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা প্রতিষ্ঠিত করত, তাহলে তারা অবশ্যই তাদের উপর থেকে ও পায়ের নীচ থেকে আহারাদী লাভ করত। তাদের মধ্যে একদল রয়েছে যারা মধ্যপন্থী/ন্যায়পন্থী (উম্মাতুম মুকতাসিদাতুন); এবং তাদেঅধিকাংশ যা করে তা কতই না নিকৃষ্ট।

— Mayidah 5:66

যদি সহজে সম্পদ লাভের আশা থাকত ও সফর সহজ/মধ্যম (কাসদ) হত তবে তারা অবশ্যই আপনার অনুসরণ করত, কিন্তু তাদের কাছে যাত্রাপথ সুদীর্ঘ মনে হল। আর অচিরেই তারা আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে বলবে, ‘পারলে আমরা নিশ্চই তোমাদের সাথে বের হতাম।‘ তারা তাদের নিজেদেরকেই ধ্বংস করে। আর আল্লাহ্‌ জানেন নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী

— At-Tawbah 9:42

আর তুমি তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা (কাসদ) অবলম্বন কর এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু করো; নিশ্চয় সুরের মধ্যে গর্দভের সুরই সবচেয়ে অপ্রীতিকর।

— Luqman 31:19

আর যখন তরঙ্গ তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ছায়ার মত, তখন তারা আল্লাহকে ডাকে তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে। অতঃপর যখন তিনি তাদেরকে উদ্ধার করে স্থলে পৌঁছান তখন তাদের কেউ কেউ মধ্যমপন্থা/হকপন্থা/সঠিকপন্থা (কাসদ) গ্রহণ করে থাকে; আর শুধু বিশ্বাসঘাতক, কাফির ব্যক্তিই আমাদের নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে।

— Luqman 31:32

তারপর আমরা কিতাবের অধিকারী করলাম তাদেরকে, যাদেরকে আমাদের বান্দাদের মধ্য থেকে আমরা মনোনিত করেছি; তবে তাদের কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী, কেউ মধ্যমপন্থী/সরলপন্থী (মুকতাসিদ) এবং কেউ আল্লাহর ইচ্ছায় কল্যাণের কাজে অগ্রগামী। এটাই তো মহাঅনুগ্রহ

— Fatir 35:32

হাদিস

[সম্পাদনা]

আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয় দ্বীন সহজ। যে ব্যক্তি অহেতুক দ্বীনকে কঠিন বানাবে, তার উপর দ্বীন জয়ী হয়ে যাবে। (অর্থাৎ মানুষ পরাজিত হয়ে আমল ছেড়ে দিবে।) সুতরাং তোমরা সোজা পথে থাক এবং (ইবাদতে) মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর(সাদ্দাদু ওয়া ক্বারিবু - সোজা পথে থাকো ও নিকটবর্তী হও)। তোমরা সুসংবাদ নাও। আর সকাল-সন্ধ্যা ও রাতের কিছু অংশে ইবাদত করার মাধ্যমে সাহায্য নাও।

— বুখারী: ৩৯

আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ ... আয়িশা থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ঠিকভাবে ও মধ্যমপন্থায় (সাদ্দাদু ওয়া ক্বারিবু) নেক আমল করতে থাক। আর জেনে রাখ যে, তোমাদের কাউকে তার আমল বেহেশতে নেবে না এবং আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল হলো, যা নিয়মিত করা হয়। তা অল্পই হোক না কেন।

— বুখারী, অধ্যায়: ৬৮, হাদীস: ৬০২০

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন,) ‘‘আমি কি এই সংবাদ পাইনি যে, তুমি দিনে রোযা রাখছ এবং রাতে নফল নামায পড়ছ?’’ আমি বললাম, ‘সম্পূর্ণ সত্য, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, ‘‘পুনরায় এ কাজ করো না। তুমি রোযাও রাখ এবং (কখনো) ছেড়েও দাও। নিদ্রাও যাও এবং নামাযও পড়। কারণ তোমার উপর তোমার দেহের অধিকার আছে। তোমার উপর তোমার চক্ষুদ্বয়ের অধিকার আছে। তোমার উপর তোমার স্ত্রীর অধিকার আছে এবং তোমার উপর তোমার অতিথির অধিকার আছে।

— সহীহ আল বুখারী, খণ্ড ৭, হাদীস ১২৭

তোমরা সরল পথে থাকো, মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর (সাদ্দাদু ওয়া ক্বারিবু) সকাল-সন্ধ্যায় চল (ইবাদত কর) এবং রাতের কিছু অংশে। আর তোমরা মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর(ক্বাসদ), মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর (ক্বাসদ), তাহলেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাবে।

— সহীহ আল বুখারী, খণ্ড ৮, হাদীস ৪৭০

আদম ... আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কস্মিনকালেও তোমাদের কাউকে নিজের আমল নাজাত দেবে না। তাঁরা বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনাকেও না? তিনি বললেনঃ আমাকেও না। তবে আল্লাহ তা'আলা আমাকে রহমাত দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। তোমরা যথারীতি আমল কর, ঘনিষ্ঠ হও (সাদ্দাদু ওয়া ক্বারিবু)। তোমরা সকালে, বিকালে এবং রাতের শেষাংশে আল্লাহর কাজ কর। মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর (ক্বাসদ)। আকড়ে ধর মধ্যমপন্থাকে (ক্বাসদ), অবশ্যই সফলকাম হবে।আর তোমাদের মধ্যে কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কেননা, সে ভাল লোক হলে (বয়স দ্বারা) তার নেক ‘আমাল বৃদ্ধি হতে পারে। আর খারাপ লোক হলে সে তাওবাহ করার সুযোগ পাবে।

— সহীহ আল বুখারী, খণ্ড ৭, হাদীস ৫৭৭ (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৫৮)

আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয় উত্তম আদর্শ, সুন্দর বেশভূষা এবং মধ্যমপন্থা (ইক্বতিসাদ) নবুঅতের পঁচিশ ভাগের একটি ভাগ।

— আবূ দাঊদ ৪৭৭৮, তিরমিযী ২০১০

হাকাম বিন হাযন কুলাফী থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে মানব সকল! তোমাদেরকে যে সকল কর্মের আদেশ করা হয়, তার প্রত্যেকটাই পালন করতে তোমরা কক্ষনই সক্ষম হবে না। তবে তোমরা মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর (সাদ্দাদু ওয়া ক্বারিবু) এবং সুসংবাদ নাও।

— আহমাদ ১৭৮৫৬, আবূ দাঊদ ১০৯৮, সহীহুল জামে’ ৭৮৭১

হান্নাদ (রহঃ) .... জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন তোমাদের কেউ যখন সিজদা করবে তখন সে যেন মধ্যপন্থা অবলম্বন করে (ইয়া'তাদ্বিল) এবং কুকুরের মত কনুই পর্যন্ত হাত যেন বিছিয়ে না রাখে।

— ইবনু মাজাহ ৮৯১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৭৫

গুরুত্ব

[সম্পাদনা]

জীবনের সকল ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন মানুষকে গতিশীল করে, কাজকে সহজ করে, সমাজকে উন্নত করে ,ব্যক্তি জীবন ও পারিবারিক জীবন সর্বক্ষেত্রে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে‌ ।

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, সমাজ ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না, চলতে পারে না। সমাজের প্রতিটি সদস্য কে নিয়ে মানুষের বসবাস, একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল, আল্লাহ ছাড়া প্রতিটি সৃষ্টিকে আল্লাহ কারো না কারো উপর নির্ভরশীল করেছেন, একের কাছে অন্যের প্রয়োজনে আছে। অধিকার আছে, দায়িত্ব আছে, কাজ আছে, পাওনা আছে, অধিকার আদায় দায়িত্ব পালন এর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে ,তাহলে ব্যক্তি সফল হবে, সমাজ সুন্দর হবে ,মানুষ উপকার পাবে, দেশ গড়াসহজ হবে, এই ভারসাম্য পূর্ণ জীবন মানুষকে দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি দিবে, এমন একটি জীবন গড়ে তোলার জন্য ইসলাম মধ্যমপন্থা অবলম্বনের গুরুত্ব দিয়েছে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Kamali, Mohammad Hashim (২০১৫)। The Middle Path of Moderation in Islam: The Qurʼānic Principle of Wasaṭiyyah (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। আইএসবিএন 9780190226831 
  2. Moderation in Islam: In the Contex[t] of Muslim Community in Singapore : a Compilation of Working Papers Presented in the PERGAS Ulama Convention 2003, Held on 13th and 14th September 2003, which Carried the Theme of Moderation in Islam (ইংরেজি ভাষায়)। PERGAS। ২০০৪। আইএসবিএন 9789810510329 
  3. Hashem, Ahmad Omar (১৯৯৯)। Moderation in Islam (ইংরেজি ভাষায়)। United Printing Publishing and Distributing। পৃষ্ঠা 177। 
  4. Al-Munajjid, Salih। "What is moderation in religion? - Islam Question & Answer"islamqa.info (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০২২