ওয়াশিংটন চুক্তি (প্রত্যয়ন)
ওয়াশিংটন চুক্তি হলো স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পেশাগত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত সনদ প্রদানের নিয়মাবলি সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের প্রকৌশল শিক্ষার ডিগ্রি/সনদ প্রদানের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলো সাধারণত এই সনদে স্বাক্ষর করে থাকে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী পূর্ণ সদস্য দেশসমূহ হলো অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কানাডা, কোস্টারিকা, চীন, জাপান, তাইওয়ান, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, পেরু, ফিলিপাইন, বাংলাদেশ, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর ও হংকং।[১]
বিবরণ
[সম্পাদনা]ওয়াশিংটন চুক্তির মাধ্যমে স্বাক্ষরকারী দেশসমূহের প্রকৌশল শিক্ষার সনদ ও মূল্যায়নকে সমতুল্য হিসেবে গণ্য করা হয়। এর মাধ্যমে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ অন্য দেশের স্বীকৃত বিষয়সমূহ থেকে স্নাতক পাশ করা একজন শিক্ষার্থীকে প্রকৌশল খাতে কর্মজীবনে প্রবেশের উপযোগী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। তবে, এই স্বীকৃতি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাঠদানের দিন থেকে নয়, বরং চুক্তিতে অন্তর্ভুক্তির দিন থেকে গণ্য করা হয়।
চুক্তির পরিধি
[সম্পাদনা]ওয়াশিংটন চুক্তি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পর্যায়ের প্রকৌশল ডিগ্রি/সনদের জন্যই প্রযোজ্য।[২] তবে প্রকৌশল প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট খাতের শিক্ষাব্যবস্থা এই চুক্তির আওতাভুক্ত নয়, বরং তা সিডনি চুক্তি ও ডাবলিন চুক্তির আওতাভুক্ত। কেবল চুক্তির আওতাভুক্ত হওয়ার পরেই ওয়াশিংটন চুক্তির অধীনে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ওয়াশিংটন চুক্তি পেশাদার প্রকৌশলীদের লাইসেন্স প্রদান কিংবা চার্টার্ড প্রকৌশলীদের নিবন্ধনে সরাসরি জড়িত নয়। চুক্তি শুধু স্বাক্ষরকারী দেশসমূহের লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করে।
স্বাক্ষরকারী দেশসমূহ
[সম্পাদনা]
নিচের তালিকায় ওয়াশিংটন চুক্তিতে পূর্ণ স্বাক্ষরকারী দেশ ও অঞ্চল, তাদের সংশ্লিষ্ট ডিগ্রি/সনদ প্রদানকারী সংস্থা এবং পূর্ণ স্বাক্ষরকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বছর উল্লেখ করা হয়েছে।[১]
নিচের দেশগুলো অস্থায়ী স্বাক্ষরকারী দেশের মর্যাদাসম্পন্ন এবং নিকট ভবিষ্যতে পূর্ণ স্বাক্ষরকারী দেশের মর্যাদা লাভ করবে:
পতাকা | সদস্য দেশ | ডিগ্রি/সনদ প্রদানকারী সংস্থা | অস্থায়ী মর্যাদাপ্রাপ্তির বছর |
---|---|---|---|
![]() |
চিলি | অ্যাক্রেদিতা সিআই | ২০১৮ |
![]() |
থাইল্যান্ড | থাইল্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড অব ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন | ২০১৯ |
![]() |
নাইজেরিয়া | কাউন্সিল ফর দ্য রেগুলেশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং ইন নাইজেরিয়া | ২০২৩ |
![]() |
মরিশাস | ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মরিশাস (আইইএম) | ২০২৪ |
![]() |
মিয়ানমার | মিয়ানমার ইঞ্জিনিয়ারিং কাউন্সিল | ২০১৯ |
![]() |
সৌদি আরব | শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ মূল্যায়ন কমিশন (ইটিইসি) | ২০২২ |
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Washington Accord Signatories" (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যালায়েন্স। ৮ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Outcome Based Education" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ জুন ২০০৮। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।