বিষয়বস্তুতে চলুন

ওভাল অফিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ওভাল অফিসে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন
১৯৮১ সালে ওভাল অফিস

ওভাল অফিস হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির দাপ্তরিক কার্যালয়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির নির্বাহী কার্যালয়ের অংশ, যা ওয়াশিংটন, ডিসিতে হোয়াইট হাউসের পশ্চিম শাখায় অবস্থিত।

ডিম্বাকৃতির ঘরটির তিনটি বড় জানালা দক্ষিণ লনের দিকে মুখ করে আছে, যার সামনে ঐতিহ্যগতভাবে রাষ্ট্রপতির ডেস্ক থাকে, আর উত্তর প্রান্তে একটি অগ্নিকুণ্ড আছে। পশ্চিম দেওয়ালে দুটি অন্তর্নির্মিত বুককেস রয়েছে। এখানে চারটি দরজা আছে: পূর্ব দিকের দরজাটি রোজ গার্ডেনে খোলে; পশ্চিমের দরজাটি একটি ব্যক্তিগত পড়ার ঘর ও খাবার ঘরের দিকে নিয়ে যায়; উত্তর-পশ্চিমের দরজাটি পশ্চিম শাখার মূল করিডোরে খোলে; এবং উত্তর-পূর্বের দরজাটি রাষ্ট্রপতির সচিবের অফিসে খোলে।

হোয়াইট হাউসের প্রধান বাসস্থানের ধনুকাকৃতির ডিম্বাকার ঘরগুলো থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ঘরটি তৈরি করা হয়েছে। ১৯০০ সালের প্রথম দিকে, ওয়েস্ট উইং সম্প্রসারণের সময় ডিম্বাকার কক্ষটি তৈরি করা হয়, যা উইংটি তৈরির কয়েক বছর পর। সাধারণত রাষ্ট্রপতিরা তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী অফিস সাজান। তারা আসবাবপত্র ও ড্র্যাপারির ধরন ঠিক করেন এবং প্রায়শই ডিম্বাকার কার্পেটের নকশার ফরমায়েশ দেন। শিল্পকর্ম হোয়াইট হাউসের সংগ্রহ থেকে বেছে নেওয়া হয় অথবা রাষ্ট্রপতির মেয়াদের জন্য জাদুঘর থেকে ধার নেওয়া হয়।

সাংস্কৃতিক ইতিহাস

[সম্পাদনা]

স্মরণীয় কিছু দৃশ্যের মাধ্যমে মার্কিনিদের মনে ওভাল অফিসটি রাষ্ট্রপতিত্বেরই সাথে জড়িয়ে পড়েছে, যেমন জন এফ. কেনেডি জুনিয়র তার বাবার ডেস্কের সামনের প্যানেলের মধ্য থেকে উঁকি দিচ্ছেন, রিচার্ড নিক্সন চাঁদে পদচারণার সময় অ্যাপোলো ১১-এর নভোচারীদের সাথে টেলিফোনে কথা বলছেন, এবং অ্যামি কার্টার তার সিয়ামিজ বিড়াল মিস্টি ম্যালার্কি ইয়িং ইয়াং কে নিয়ে এসে তার বাবা প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের দিনটি উজ্জ্বল করছেন। কয়েকজন রাষ্ট্রপতি মাঝে মাঝে ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। এর উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের খবর প্রদান করতে গিয়ে কেনেডি (১৯৬২), লিন্ডন বি. জনসন তার পুনর্নির্বাচন না লাগার ঘোষণা দিতে গিয়ে (১৯৬৮),[] নিক্সন তার পদত্যাগের ঘোষণা দিতে গিয়ে (১৯৭৪),[] স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জার দুর্ঘটনার পর রোনাল্ড রেগান (১৯৮৬),[] সেপ্টেম্বর ১১ হামলার পর জর্জ ডব্লিউ. বুশ (২০০১),[] এবং চার্লি কার্কের হত্যার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে (২০২৫)।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "President Johnson's address to the nation 31 March 1968"YouTube। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  2. Herbers, John। "The 37th President Is First to Quit Post"The New York Times। নং 9 August 1974। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  3. "Address to the Nation on the Explosion of the Space Shuttle Challenger"reaganlibrary.gov। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২০
  4. "Address to Nation on Terrorist Attacks, 9/11/2001"YouTube। US National Archives। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  5. "BREAKING: Trump releases Oval Office statement reacting to the assassination of Charlie Kirk"YouTube। Fox News। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫