বিষয়বস্তুতে চলুন

ওকুজ মুহাম্মাদ পাশা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ওকুজ (ষাঁড়) · কারা (কালো) · কুল কিরণ · দামাত
মুহাম্মাদ
কুসদাসিতে ওকুজ মুহাম্মাদ পাশার নামানুসারে স্থাপিত ক্যারাভানসরাইএ তার ভাস্কর্য
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম
কাজের মেয়াদ
১৮ জানুয়ারি ১৬১৯ – ২৩ ডিসেম্বর ১৬১৯
সার্বভৌম শাসকদ্বিতীয় উসমান
পূর্বসূরীদামাত হালিল পাশা
উত্তরসূরীগুজেলস আলী পাশা
কাজের মেয়াদ
১৭ অক্টোবর ১৬১৪ – ১৭ নভেম্বর ১৬১৬
সার্বভৌম শাসকপ্রথম আহমেদ
পূর্বসূরীনাসুহ পাশা
উত্তরসূরীদামাত হালিল পাশা
উসমানীয় মিশরের গভর্নর
কাজের মেয়াদ
১৬০৭ – ১৬১১
সার্বভৌম শাসকপ্রথম আহমেদ
পূর্বসূরীইয়েমেনলি হাসান পাশা
উত্তরসূরীসফু মুহাম্মাদ পাশা
ব্যক্তিগত বিবরণ
মৃত্যু২৩ ডিসেম্বর ১৬১৯
ইস্তানবুল, উসমানীয় সাম্রাজ্য
জাতীয়তাউসমানীয়
দাম্পত্য সঙ্গীগেভেরহান সুলতান (বি. ১৬১২)
সন্তানসুলতানজাদে ফুলান বেগ
ধর্মইসলাম
সামরিক পরিষেবা
পদসিলাহদার

"ওকুজ" মুহাম্মাদ পাশা ("মুহাম্মাদ পাশা যিনি অক্স (ষাঁড়) নামেও পরিছিত "; মৃত্যু ২৩ ডিসেম্বর, ১৬১৯), যিনি কারা মুহাম্মাদ পাশা ("কৃষ্ণাঙ্গ") বা "কুল কিরান" মুহাম্মাদ পাশা ("শিষ্যভঙ্গকারী" বা ''দাস ধংসকারি'')[] নামেও পরিচিত, তিনি ছিলেন ১৭ শতকের গোড়ার দিকের একজন উসমানীয় তুর্কি রাষ্ট্রনায়ক, প্রশাসক এবং সামরিক ব্যক্তিত্ব। তিনি দুবার উসমানীয় উজিরে আজমের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন: ১৭ অক্টোবর, ১৬১৪ সাল থেকে ১৭ নভেম্বর, ১৬১৬ সাল পর্যন্ত (প্রথম আহমেদের রাজত্বকালে) এবং ১৮ জানুয়ারী, ১৬১৯ থেকে ২৩ ডিসেম্বর, ১৬১৯ (দ্বিতীয় ওসমানের রাজত্বকালে)[]। তিনি ১৬০৭ থেকে ১৬১১ সাল পর্যন্ত মিশরের উসমানীয় সাম্রাজ্যের গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[][][][][]

ওকুজ মুহাম্মাদের ডাকনাম, "কুল কিরণ" (শিষ্য-ভঙ্গকারী বা দাস ধ্বংসকারী), ১৭ শতকের এর গোড়ার দিকে মিশরে বিদ্রোহ দমনে তার সাফল্যর জন্য তাকে এই উপাধি দেওয়া হয়েছিল (সৈনিকরা প্রায়শই কুল নামে পরিচিত ছিল, যার অর্থ উসমানীয় সামরিক প্রেক্ষাপটে শিষ্য বা সহ-অধ্যক্ষ)।

পটভূমি

[সম্পাদনা]

ওকুজ মুহাম্মাদ পাশা ছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত, তিনি ইস্তাম্বুলের কারাগুমরুক জেলায় জন্মগ্রহন করেন। জানা গেছে, তার বাবা ষাঁড় কামার ছিলেন।[][][] তার বাবার পেশার নামানুসারে, তার শত্রুরা তাকে "কালো" এবং "ষাঁড়" ডাকনাম দিয়েছিল।[১০] সরকারি দায়িত্ব পালনের পূর্বে, মুহাম্মাদ পাশা একজন সিলাহদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন, যা সুলতানের সুরক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি উচ্চপদস্থ পদ।[]

তিনি রাজকুমারী গেভেরহান সুলতানকে বিয়ে করেন, যিনি সুলতান প্রথম আহমেদ এবং কোসেম সুলতানের কন্যা। তাদের একটি ছেলে ছিল যে শৈশবেই মৃত্যুবরণ করে।[]

মিশরের গভর্নর

[সম্পাদনা]

প্রথম মেয়াদে উজির হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পূর্বে, মুহাম্মাদ পাশা ১৬০৭ সালে মিশরে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পক্ষ থেকে গভর্নর নিযুক্ত হন, এই পদে তিনি ১৬১১ সাল পর্যন্ত অধিষ্ঠিত ছিলেন।[][][][][] ১৬০৪ সালে, তার দায়িত্ব গ্রহণের তিন বছর পূর্বে , উসমানীয় মিশরের গভর্নর, মাকতুল হাকি ইব্রাহিম পাশা, তার নিজস্ব সিপাহি সৈন্যদের বিদ্রোহের মাধ্যমে নিহত হন।[১১][১২][১৩] এই ঘটনা মিশরে তিন বছর ধরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে, পরবর্তী দুই গভর্নর, হাদিম মুহাম্মাদ পাশা এবং ইয়েমেনলি হাসান পাশা পর্যন্ত বিদ্রোহ সম্পূর্ণরূপে দমন করতে ব্যর্থ হন।

দায়িত্ব গ্রহণের পর, মুহাম্মাদ পাশার দৃঢ় মনবল এবং ব্যক্তিত্ব তাকে সিপাহিদের দমন করতে এবং মিশরের গ্রামাঞ্চলে তারা যে অবৈধ তুল্বা সুরক্ষা কর আরোপ করেছিল,তা বাতিল করতে সক্ষম হন।[] আলেকজান্দ্রিয়ায় অবতরণের পর, তিনি স্থানীয় সাধু-সন্তদের সমাধি পরিদর্শন করে এবং মামলুকদের সাথে ভালো আচরণ করেন, মামলুকদের নির্মিত ভবন ও কাঠামো মেরামতের নির্দেশ দিয়ে জনসমর্থন লাভ করেন।[] এরপর তিনি সিপাহিদের তুল্বা আরোপের অনুমতি দেওয়া জেলা গভর্নরদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন এবং অন্যদেরও একই পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করেন।[]

১৬০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়, যখন বিদ্রোহীরা তান্তা শহরে জড়ো হয় এবং মিশরের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাধক আহমদ আল-বাদাবির সমাধিতে মিলিত হয় এবং মুহাম্মাদ পাশার প্রচেষ্টা প্রতিহত করার শপথ নেয়। এরপর তারা সৈন্য সংগ্রহ করত এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহের জন্য গ্রামাঞ্চলে লুটপাট করতে শুরু করে।[] মুহাম্মাদ পাশাও সৈন্য সংগ্রহ করেছিলেন, যদিও তার কিছু কর্মকর্তা উনাকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে মুহাম্মাদ পাশা সম্মত হন।[১৪] তিনি বিদ্রোহীদের সাথে আলোচনার জন্য আলতিপারমাক মুহাম্মাদ এফেন্দি নামে একজন মুফতি এবং একজন কর্মকর্তা প্রেরণ করেন। মুফতি বিদ্রোহীদের "কর্তৃপক্ষের" কাছে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দেন, অতঃপর বিদ্রোহীরা অস্বীকৃতি জানালে, মুহাম্মাদ পাশার বাহিনী একত্রিত হতে শুরু করে।[১৪]

কায়রোর ঠিক উত্তরে মুহাম্মাদ পাশার বাহিনী বিদ্রোহীদের মুখোমুখি হয়। বিদ্রোহীরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ে এবং যুদ্ধে হেরে যায় অতঃপর পাশার বাহিনী তাদের মধ্যে প্রায় ২৫০ জনের মত বিদ্রোহীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে, অন্যদের পরে ইয়েমেনে নির্বাসিত করা হয়।[১৪]

পরবর্তীকালে, মামলুক এবং সৈন্যদের উসমানীয় শাসনের অধীনে রাখার জন্য মুহাম্মাদ পাশা কুল কিরান (তুর্কি ভাষায় "দাস ধ্বংসকারী") নামে পরিচিত হন। তিনি জনসাধারণের কাজকর্মে উৎসাহিত করেন এবং মিশরীয় এয়ালেত ও সামরিক সংগঠন সংস্কারের চেষ্টা করেন, স্থানীয় বেগ- এর সংখ্যা ১২-এ কমিয়ে আনেন,[১৪] যদিও পরে এই ব্যবস্থাটি পরিত্যাগ করা হয়।[] ১৬১১ সালে, সুলতান তাকে রাজধানী ইস্তানবুলে ডেকে আনেন।[১৪]

গ্র্যান্ড উজির

[সম্পাদনা]

মুহাম্মাদ পাশা ১৭ অক্টোবর, ১৬১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর, ১৬১৬ সাল এবং আবার ১৮ জানুয়ারী, ১৬১৯ থেকে ২৩ ডিসেম্বর, ১৬১৯ সাল পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম ছিলেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন, তাকে সাধারণত কারা মুহাম্মাদ পাশা বলা হত; "ষাঁড়" ডাকনামটি তার পিছনে উদ্ভাবিত হয়েছিল (যদিও তিনি প্রায় নিশ্চিতভাবেই এটি শুনেছিলেন) কারণ তার ভারী দেহ এবং ইস্তানবুল কারাগুমরুক কোয়ার্টারে গবাদি পশুর কামার হিসেবে তার পিতার পেশা ছিল। ইতিহাস "কারা" এর পরিবর্তে এই ডাকনামটি ধরে রেখেছে, যার তুর্কি ভাষায় অর্থ "কালো" এবং এটি কারও গায়ের রঙ বা চুলকে অথবা রূপকভাবে সাহস এবং সাহসিকতাকে বোঝাতে পারে।

তার উজিরে আজমকালে একটি ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে মাত্র ৪৭ জন আক্রমণকারী ভিয়েনায় আক্রমণ করেছিলেন, যেখানে সুলতান বা উসমানীয় রাজধানীর অন্য কোনও কর্তৃপক্ষকে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। এটি সম্পূর্ণ ব্যর্থতায় শেষ হয়েছিল এবং প্রায় তার জীবন কেড়ে নিতে হয়েছিল। কিছু ঐতিহাসিক এই অভিযানকে অটোমান তুর্কিদের দ্বারা ভিয়েনার তৃতীয় অবরোধ বলে মনে করেন, সুপরিচিত ঘটনাগুলির পাশাপাশি, প্রথমে ১৫২৯ সালে সুলতান সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট এবং পরে ১৬৮৩ সালে গ্র্যান্ড উজির কারা মুস্তফা পাশা কর্তৃক পরিচালিত হয়।

আইদিনের গভর্নর

[সম্পাদনা]
কুসদাসিতে ওকুজ মুহাম্মাদ পাশা ক্যারাভানসরাই

তার দুই দফা প্রধান উজির থাকাকালীন, তিনি আইদিন ভিলায়েতের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন, যা তখন পশ্চিম আনাতোলিয়ার একটি বিশাল অংশকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। তার গভর্নরশিপের সময়, তিনি কুশাদাসিতে একটি ক্যারাভানসরাই নির্মাণ করেন, যা তার নামানুসারে ওকুজ মুহাম্মাদ পাশা ক্যারাভানসরাই নামে পরিচিত। এর উদ্দেশ্য ছিল বন্দরকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আকৃষ্ট করা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের পছন্দের কারণে বাণিজ্যের কেন্দ্রভূমি ইজমির বন্দরে স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে, কুশাদাসির ওই কারাভানসারাই একটি বিলাসবহুল হোটেল ও শপিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

তিনি আরও একটি কারাভানসারাই উলুকিসলাতে নির্মাণ করেন, যা উসমানীয়-সাফাভীদ যুদ্ধ (১৬০৩–১৬১২) চলাকালীন সাফাভীয়দের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার পথে অবস্থিত ছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধ ওসমানীয়দের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পরাজয়ের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।[১৫]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

ক্ষমতায় থাকাকালীন ১৬১৯ সালে তিনি এক তরুণ জেনিসারির হাতে শ্বাসরোধে নিহত হন। যে জেনিসারির আনুকূল্য তিনি লাভ করতে চেয়েছিলেন তার হাতেই তার মৃত্যু হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসুত্র

[সম্পাদনা]
  1. Jane Hathaway; Karl K. Barbir (২০০৮)। The Arab lands under Ottoman rule, 1516-1800। Pearson Longman। পৃষ্ঠা 63, 255। আইএসবিএন 978-0-582-41899-8 
  2. İsmail Hâmi Danişmend, Osmanlı Devlet Erkânı, Türkiye Yayınevi, İstanbul, 1971 (Turkish)
  3. Winter, Michael (১৯৯৮)। "Ottoman Egypt, 1525-1609"। Daly, M. W.। The Cambridge History of Egypt। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 18। আইএসবিএন 978-0-521-47211-1 
  4. A. Zuhuri Danışman (১৯৬৫)। Osmanlı İmparatorluğu tarihi। Z. Danışman Yayınevi। পৃষ্ঠা 243। 
  5. Michael Winter (১৪ জানুয়ারি ২০০৪)। Egyptian Society Under Ottoman Rule, 1517-1798। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 47। আইএসবিএন 978-0-203-16923-0 
  6. Doris Behrens-Abouseif (২০০০)। Ehud R. Toldedano (reviewer)। "The Ottoman-Egyptian Elites (review)"Turkish Studies Association Bulletin। Turkish Studies Association.: 93, 95। 
  7. Uzunçarşılı, İsmail Hakkı, (1954) Osmanlı Tarihi III. Cilt, 2. Kısım, XVI. Yüzyıl Ortalarından XVII. Yüzyıl Sonuna kadar), Ankara: Türk Tarih Kurumu
  8. Süreyya Bey, Mehmet (১৮৯০)। Sicilli Osmani। Robarts - University of Toronto। [stnbl?] Maba'a-'i 'mire। 
  9. Avcı, Casim, "Mehmed Paşa (Öküz, Damat)" (1999) Yaşamları ve Yapıtlarıyla Osmanlılar Ansiklopedisi, İstanbul:Yapı Kredi Kültür Sanat Yayıncılık A.Ş. C.2 s.164 ISBN 975-08-0072-9
  10. "Mehmed Paşa, Damad"। İslâm Ansiklopedisi। 
  11. Michael Winter (১৪ জানুয়ারি ২০০৪)। Egyptian Society Under Ottoman Rule, 1517-1798। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 45, 96। আইএসবিএন 978-0-203-16923-0 
  12. Hathaway, Jane (১৯৯৮)। "Egypt in the seventeeth century"। Daly, M. W.। The Cambridge History of Egypt। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 40। আইএসবিএন 978-0-521-47211-1 
  13. Adam Sabra (২০১১)। "The Second Ottoman Conquest of Egypt: Rhetoric and Politics in Seventeenth Century Egyptian Historiography"। Ahmed, Asad; Sadeghi, Behnam; Bonner, Michael। The Islamic Scholarly Tradition: Studies in History, Law, and Thought in Honor of Professor Michael Allan Cook। Brill। পৃষ্ঠা 154। আইএসবিএন 978-90-04-19435-9 
  14. Winter 1998, পৃ. 19।
  15. Prof.Yaşar Yücel-Prof Ali Sevim:Türkiye tarihi vol.III, AKDTYKTTK Yayınları, 1991, 43-44
রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
ইয়েমেনলি হাসান পাশা
উসমানীয় মিশরের গভর্নর
১৬০৭–১৬১১
উত্তরসূরী
সফু মুহাম্মাদ পাশা
পূর্বসূরী
নাসুহ পাশা
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম
১৭ অক্টোবর ১৯১৪ – ১৭ নভেম্বর ১৬১৬
উত্তরসূরী
দামাত হালিল পাশা
পূর্বসূরী
দামাত হালিল পাশা
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম
১৮ জানুয়ারি ১৬১৯ – ২৩ ডিসেম্বর ১৬১৯
উত্তরসূরী
গুজেলস আলী পাশা