এ বাগ'স লাইফ
এ বাগ'স লাইফ | |
---|---|
পরিচালক | জন ল্যাসেটার |
প্রযোজক |
|
চিত্রনাট্যকার |
|
কাহিনিকার |
|
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | র্যান্ডি নিউম্যান |
চিত্রগ্রাহক | শ্যারন কালাহান |
সম্পাদক | লি ইউরিখ |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | বুয়েনা ভিস্তার পিকচার্স ডিস্ট্রিবিউশন |
মুক্তি | ২০ নভেম্বর ১৯৯৮ |
স্থিতিকাল | ৯৫ মিনিট[১] |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরাজী |
নির্মাণব্যয় | $১২০ মিলিয়ন[২] |
আয় | $৩৬৩.৩ মিলিয়ন[২] |
এ বাগ'স লাইফ ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স এর পক্ষে পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিও প্রযোজিত ১৯৯৮ সালের আমেরিকান কম্পিউটার-অ্যানিমেটেড কৌতুক চলচ্চিত্র। এটি পিক্সার প্রযোজিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। জন ল্যাসেটার পরিচালিত এবং অ্যান্ড্রু স্ট্যান্টন লিখিত ও সহ-পরিচালিত এই ফিল্মটি ফ্লিক নামে একজন দুর্দান্ত পিঁপড়ে কে নিয়ে গড়ে উঠেছে। সে ক্ষুধার্ত এক পাল ঘাসফড়িয়ের কবল থেকে তার উপনিবেশটিকে বাঁচানোর জন্য "শক্ত যোদ্ধা" খুঁজছিল। কিন্তু ভুল করে ভাড়া করে নিয়ে আসে এক সার্কাস দলকে। এই ছবিতে ডেভ ফোলি, কেভিন স্পেসি, জুলিয়া লুইস-ড্রেফাস এবং হ্যাডেন প্যান্টিয়ার প্রমুখের কণ্ঠ-অভিনয় ব্যবহৃত হয়েছে।
ছবিটি ঈশপ ফেবল কল্পিত পিঁপড়ে ও ঘাসফড়িং কাহিনীর দ্বারা অনুপ্রাণিত। [৩][৪] ১৯৯৫ সালে টয় স্টোরি মুক্তির পরেই এই ছবির প্রযোজনা শুরু হয়েছিল। লাসেস্টার, স্ট্যান্টন এবং র্যাফ্ট এর একটি গল্প থেকে এর চিত্রনাট্য রচনার দায়িত্বে ছিলেন স্ট্যান্টন এবং কৌতুক-লেখক ডোনাল্ড ম্যাকেনারি ও বব শ। ছবিটির পিঁপড়েদের আরও আবেদনশীল করার জন্য পুনরায় নকশা করা হয়েছিল এবং পিক্সারের অ্যানিমেশন ইউনিট কম্পিউটার অ্যানিমেশনে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন প্রয়োগ করেছিল। র্যান্ডি নিউম্যান চলচ্চিত্রটির জন্য সংগীত রচনা করেছেন। প্রযোজনার সময়ে তাঁর অনুরূপ চলচ্চিত্রে সমান্তরাল প্রযোজনার কারণে স্টিভ জবস এবং পিক্সারের লাসেস্টার এবং ড্রিম ওয়ার্কস সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেফ্রি কাটজেনবার্গ এর মধ্যে একটি বিতর্কিত জনবিবাদ শুরু হয়েছিল। অ্যান্টজ নামের সেই ছবিটিও একই বছর মুক্তি পেয়েছিল।
ছবিটি ২০ নভেম্বর ১৯৯৮ সালে মু্ক্তি পেয়েছিল এবং $৩৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। এটি প্রথম চলচ্চিত্র যা ফ্রেমে-বাই ফ্রেমে ডিজিটালি স্থানান্তরিত করা হয়েছিল এবং ডিভিডি তে এবং একাধিকবার হোম ভিডিওতে প্রকাশিত হয়েছে।
পটভূমি
[সম্পাদনা]পিঁপড়ে দ্বীপ অবসরপ্রাপ্ত রানী এবং তার মেয়ে প্রিন্সেস আট্টার নেতৃত্বে পিঁপড়েদের একটি উপনিবেশ। প্রতি মরসুমে তারা হপারের নেতৃত্বে ঘৃণ্য ঘাসফড়িংদের দলটিকে খাবার দিতে বাধ্য হয়। ফ্লিক এক জন ব্যক্তিবাদী উদ্ভাবক। সে সর্বশেষ একটি শস্য কাটার ডিভাইস উদ্ভাবণ করেছে। ঘাসফড়িং ক্ষতিপূরণের চেয়ে দ্বিগুণ খাবারের দাবি করে।
একটি ট্রেলারের নীচে আবর্জনার স্তূপে "বাগ সিটি" অবস্থিত। ফ্লিক ঘাসফড়িংদের অত্যাচার প্রতিরোধ করার জন্য সাহসী যোদ্ধার সন্ধান করতে থাকে। কিন্তু ভুল করে সে ভাড়া করে নিয়ে আসে এক সার্কাস দলকে (যাদের সম্প্রতি লোভী রিংমাস্টার পি.টি. ফ্লি বরখাস্ত করেছিল)। তাদের আগমনের স্বাগত অনুষ্ঠানের সময় সার্কাস বাগ এবং ফ্লিক উভয়ই তাদের পারস্পরিক ভুল আবিষ্কার করে। তারা ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে পালানোর সময় তারা একটি পাখিকে অনুসরণ করে তার কবল থেকে আট্টার ছোট বোন ডটকে উদ্ধার করে। ফলে পিঁপড়েদের কাছ থেকে তারা সম্মান ও খাতির লাভ করে। ফ্লিকের অনুরোধে তাদের "যোদ্ধা"র ভূমিকা অব্যাহত থাকে এবং পিঁপড়েদের আতিথেয়তা উপভোগ করতে থাকে। ঘাসফড়িং পাখিকে ভয় করে শুনে অনুপ্রাণিত হয়ে ফ্লিক ঘাসফড়িংদের ভয় দেখানোর জন্য একটি নকল পাখি বানায়। এদিকে হপার তার দলকে মনে করিয়ে দেয় যে পিঁপড়েরা তাদের থেকে সংখ্যায় অনেক বেশি এবং সন্দেহ করে যে তারা শেষ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে।
পিঁপড়েরা নকল পাখি তৈরি শেষ করে। কিন্ত এমন সময়ে পি.টি. ফ্লি তার দলের অনুসন্ধান করতে এসে অজান্তেই তাদের গোপনীয়তা প্রকাশ করে ফেলে। ফ্লিকের প্রতারণা বুঝতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে পিঁপড়েরা তাকে নির্বাসিত করে এবং ঘাসফড়িংদের জন্য খাবার সংগ্রহ করতে তারা মরিয়া চেষ্টা চালায়। যাইহোক হপার ফিরে এসে দ্বীপটির দখল নেয় এবং পিঁপড়েদের কাছ থেকে শীতের খাবার সরবরাহের দাবি করে। পরে রানিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পরিকল্পনাও করে। এই পরিকল্পনাটি শুনে ডট ফ্লিককে আর সার্কাস বাগগুলিকে অ্যান্ট আইল্যান্ডে ফিরে আসতে রাজি করায়।
সার্কাস বাগগুলি রানীকে উদ্ধার করার জন্য দীর্ঘক্ষণ ঘাসফড়িংদের বিভ্রান্ত করার পরে ফ্লিক নকল পাখিটি মোতায়েন করে। এতে ঘাসফড়িংরা প্রথমে বোকা বনেছিল। কিন্তু পি.টি. ফ্লি একটিকে সত্যিকারের পাখির ভেবে ভুল করে এটিকে পুড়িয়ে ফেলে। ফলে সেটি ধোঁকা দেওয়ার ফাঁদ ছিল প্রকাশ পেয়ে যায়। হপার ফ্লিককে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা শুনিয়ে বলে যে পিঁপড়েরা নীচু ধরনের প্রাণী এবং তারা ঘাসফড়িংদের সেবা করার জন্য বেঁচে আছে। প্রতিক্রিয়ায় ফ্লিক তাদের জানায় যে হপার আসলে তাদের উপনিবেশকে ভয় করে। কারণ সে সবসময়ই জানে যে তারা ভীষণই সক্ষম প্রাণী। এর পরেই ফ্লিক পিঁপড়ে এং সার্কাস বাগগুলিকে ঘাসফড়িংদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অনুপ্রাণিত করে। পিঁপড়েরা পি.টি. ফ্লির সার্কাস কামান ব্যবহার করে হপারকে অ্যান্ট আইল্যান্ড থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু হঠাৎই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। পরবর্তী বিশৃঙ্খলার মধ্যে হপার নিজেকে কামানের আক্রমণ থেকে মুক্ত করে এবং ফ্লিককে অপহরণ করে। সার্কাস বাগেরা তাদের ধরতে ব্যর্থ হওয়ার পরে অবশেষে আট্টা ফ্লিককে উদ্ধার করে। হপার যখন তাদের তাড়া করে তখন তারা তাকে পাখির নীড়ের প্রতি আকৃষ্ট করে। এই পাখির সাথে ফ্লিক, ডট, এবং সার্কাস বাগগুলির আগেই মোলাকাৎ হয়েছিল। হপার এটিকেও আগের মতো ধোঁকা ভাবে। কিন্তু যখন সে আসল বলে টের পায় ততোক্ষণে সে পাখির বাচ্চার খাদ্য হয়ে গেছে।
তাদের শত্রুরা চলে যাওয়ার সাথে সাথে ফ্লিক তার আবিষ্কারগুলির আরও উন্নতি ক'রে অ্যান্ট আইল্যান্ডের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। সে এবং আত্তা এখন দম্পতি। তারা হপারের ছোট ভাই মোল্ট এবং পি.টি. ফ্লিকে তাদের দলে নতুন সদস্য হিসাবে কিছু পিঁপড়েকে পাঠায়। আট্টা এবং ডট যথাক্রমে নতুন রানী এবং রাজকন্যা হয়েছে। পিঁপড়েরা ফ্লিককে তাদের নায়ক হিসাবে অভিনন্দন জানায় আর সার্কাস দলকে জানায় সহর্ষ বিদায়সম্ভাষণ।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "A Bug's Life"। bbfc.co.uk। British Board of Film Classification। মার্চ ২, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৭, ২০১৫।
- ↑ ক খ "A Bug's Life (1998)"। Box Office Mojo। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২০, ২০১৬।
- ↑ Maslin, Janet (নভেম্বর ২৫, ১৯৯৮)। "A Bug's Life (1998)"। The New York Times। মার্চ ২, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৬, ২০১৬।
- ↑ "A Bug's Life – The Tale"। pixar.com। Pixar। ডিসেম্বর ৫, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৪, ২০১৬।