এরিক রাসেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এরিক রাসেল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামউইলিয়াম এরিক রাসেল
জন্ম (1936-07-03) ৩ জুলাই ১৯৩৬ (বয়স ৮৭)
ডাম্বার্টন, স্কটল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪০৫)
২১ অক্টোবর ১৯৬১ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট২৭ জুলাই ১৯৬৭ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ৪৪৮
রানের সংখ্যা ৩৬২ ২৫,৫২৫
ব্যাটিং গড় ২১.২৯ ৩৪.৮৭
১০০/৫০ –/২ ৪১/১৩৪
সর্বোচ্চ রান ৭০ ১৯৩
বল করেছে ১৪৪ ১,৯৩৮
উইকেট ২২
বোলিং গড় ৪৫.১৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/২০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/– ৩০৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ এপ্রিল, ২০১৯

উইলিয়াম এরিক রাসেল (ইংরেজি: Eric Russell; জন্ম: ৩ জুলাই, ১৯৩৬) ডাম্বার্টনে জন্মগ্রহণকারী ও স্কটল্যান্ডীয় বংশোদ্ভূত, প্রথিতযশা ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬১ থেকে ১১৯৬৭ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন এরিক রাসেল

কাউন্টি ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৫৬ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মিডলসেক্সের পক্ষে নিয়মিতভাবে কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দীর্ঘদেহী এরিক রাসেল লেট কাট ও লেগ গ্ল্যান্সে সবিশেষ দক্ষ ছিলেন। মিডলসেক্সের শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান জ্যাক রবার্টসনের সহজাত উত্তরাধিকারী হবার অনেকগুলো গুণাবলীর অধিকারী ছিলেন। ধ্রুপদী ঘরানার ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন।

২০ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালে মিডলসেক্সের সদস্যরূপে যোগদান করেন। এরপর থেকে চারশতাধিক খেলায় অংশ নিয়ে পঁচিশ সহস্রাধিক প্রথম-শ্রেণীর রান তুলেছিলেন। এ সময়ে তিনি ৪১টি শতরানের ইনিংস খেলেন। ১৯৬৪ সালে বোর্নমাউথে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বোচ্চ ১৯৩ রান তুলেছেন।

আঘাতের কারণে তার খেলোয়াড়ী জীবনে বাঁধার প্রাচীর গড়ে ওঠে। এছাড়াও, জিওফ বয়কটজন এডরিচের একাধিপত্যও এর অন্যতম কারণ ছিল।[১]

স্বীয় সক্ষমতাকে তুলে ধরতে তেরোবার মৌসুমে সহস্রাধিক রানের মাইলফলকে পৌঁছেন। ১৯৬৪ সালে ৪৫.৯২ গড়ে ২৩৪৩ রান তুলেন যা তার মৌসুমে সেরা। তিন মৌসুমে দুই সহস্রাধিক রান করতে পেরেছেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে মিডিয়াম পেস বোলিং করে ২২ উইকেট পেয়েছেন। পাশাপাশি ৩০৪টি ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন তিনি।

টেস্ট ক্রিকেট[সম্পাদনা]

২১ অক্টোবর, ১৯৬১ তারিখে লাহোরে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ঐ একই দলের বিপক্ষে লর্ডসে ২৭ জুলাই, ১৯৬৭ তারিখে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন এরিক রাসেল। ইংরেজ দলের সাথে তিনবার বিদেশ গমন করেন। সতীর্থদের সাথে মানিয়ে নিতে পারেননি। এছাড়াও, উগ্র মেজাজে খেঁই হারিয়ে ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে হাতে গুরুতর আঘাত পান। ফলশ্রুতিতে, প্রথম টেস্ট শেষেই দেশে ফিরে আসতে হয় তাকে।[১]

ব্রিসবেনের নিজস্ব চতুর্থ টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭০ রান করলেও উপর্যুপরি আঘাতের কবলে পড়েন। পরবর্তী দুই বছরে ছয় টেস্টে অংশ নিলেও নিজেকে দলে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। সাতটি সিরিজে অংশ নিয়ে পাঁচটি দলের বিপক্ষে তিনি এই ১০টি টেস্ট খেলেছেন। অংশগ্রহণকৃত ১৮টি ইনিংসে দুইটিমাত্র অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলে স্বীয় নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।[১]

ক্রিকেট সংবাদদাতা কলিন বেটম্যানের অভিমত, পরিচ্ছন্ন ও নিশ্চিতধর্মী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হওয়া সত্ত্বেও তিনি কখনো ইংল্যান্ড দলের পক্ষে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেননি।

অবসর[সম্পাদনা]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর দুই মৌসুম মাইনর কাউন্টিজে বার্কশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। লর্ডসে থাকাকালীন শিপলেক কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। পরবর্তীতে এমসিসির শেনলি ক্রিকেট সেন্টারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 144আইএসবিএন 1-869833-21-X 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]