এয়ার মালদ্বীপ
![]() | |||||||
| |||||||
প্রতিষ্ঠাকাল | ১ অক্টোবর ১৯৭৪ | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
কার্যক্রম শেষ | ২০০০ | ||||||
হাব | মালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | ||||||
বিমানবহরের আকার | ৯ | ||||||
গন্তব্য | ১৪ | ||||||
প্রধান কার্যালয় | মালে, মালদ্বীপ | ||||||
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি | লে.জে.(অব.) আবদুল সাত্তার (Chairman) Fauzi Bin Ayob (MD) |
এয়ার মালদ্বীপ হলো মালদ্বীপের প্রথম জাতীয় বিমান সংস্থা এবং পতাকাবাহী বিমান। ১৯৭৪ সালের ১ অক্টোবর তারিখে, ইব্রাহিম নাসির রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন, এই বিমান সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় ২৬ বছর ধরে বিমান পরিষেবা দানের পরে এই বিমান সংস্থাটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সাল থেকে এটি সব ধরনের পরিষেবা প্রদান বন্ধ করে দেয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৭০'এর দশক
[সম্পাদনা]এয়ার মালদ্বীপ ক্যারিবীয়ান ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স থেকে দুটি কনভয়ার ৪৪০ উড়োজাহাজ, "ফ্লাইং ফিস ১" (8Q-AM101) এবং "ফ্লাইং ফিস ২" (8Q-AM102), ক্রয়ের মাধ্যমে বিমান পরিষেবা জগতে প্রবেশ করে। এয়ার মালদ্বীপের প্রথম বিমানটি ১৯৭৪ সালের ৯ অক্টোবর তারিখে হুলহুলে বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সপ্তম দিনটিতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংরক্ষণ করে বিমানটি সপ্তাহে ছয় দিন কলম্বো এবং মালের মধ্য দৈনিক চলাচল করার নির্ধারিত উড্ডয়ন পরিচালনা শুরু করে। মালে এবং গানের মধ্যে একটি পাক্ষিক উড্ডয়ন সূচী অনুসারে বিমানটি একটি আভ্যন্তরীন বিমান পরিষেবা প্রদানও চালু করে। ইত্যবসরে, বিমানটি টিকিট বিক্রয় করার জন্য কলম্বোতে ট্রাভেল এজেন্ট নিয়োগ দান করে এবং এয়ার সিলোনকে বিমানবন্দরের কার্যক্রম সম্পাদনের দায়িত্ব অর্পণ করে, এর ফলে বিমান কর্তৃপক্ষ স্বল্প সংখ্যক নিজস্ব মাঠ কর্মীর দ্বারা বিমান পরিষেবা প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করে।
১৯৮০'এর দশক
[সম্পাদনা]১৯৮০-এর দশকের শুরুতে বিমানটির পরিষেবা দানের ক্ষেত্রটি কেবলমাত্র আভ্যন্তরীণ বিমান পরিচালনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এটি আদ্দু অ্যাটোলের গান এবং মালের মধ্যে একটি সর্ট স্কাইভ্যানের মাধ্যমে নিয়মিত বিমান পরিষেবা প্রদান করতো।
১৯৮০'এর দশকের শেষের দিকে বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে স্কাইভ্যানকে প্রতিস্থাপিন করা হয় দুটি ডোরনিয়ার ২২৮ বিমান দ্বারা যখন হানিমাধু (হা ধালু অ্যাটোল) এবং কাহধু (লামু অ্যাটোল)-এ আরও দুটি আভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর খোলা হয়।
১৯৯০'এর দশক
[সম্পাদনা]পরিচালনার শেষ পর্যায়ে, ১৯৯০'এর দশকে, এয়ার মালদ্বীপ নতুন বিনিয়োগের প্রভাবে আবার আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সেবা দান করা শুরু করে। এই পর্যায়ে এয়ার মালদ্বীপ একটি যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় যাতে ৫১% স্বত্ব থাকে মালদ্বীপ সরকারের মালিকানাধীন এবং অবশিষ্ট ৪৯% মালিকানা পায় নালুড়ী বারহাদ (মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের সর্বাধিক শেয়ারহোল্ডার)।
বিমানের চলাচলের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করা হয় এবং ১৯৯৪ সালের ১০ নভেম্বর তারিখ থেকে দুবাই, কলম্বো, ট্রিভেন্ড্রাম এবং কুয়ালালামপুরে নির্ধারিত বিমান পরিষেবা শুরু করে এটি। পরবর্তীতে এটি ব্যাংকক ও লন্ডনে (দুবাই হয়ে)-ও চলাচল শুরু হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]