এয়ার বার্লিন
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। (সেপ্টেম্বর ২০১৫) |
| |||||||
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭৮ (এয়ারবার্লিন ইউএসএ হিসেবে) | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
কার্যক্রম শুরু | ১৯৭৯ | ||||||
হাব | |||||||
ফোকাস শহর | |||||||
নিয়মিত যাত্রী প্রোগ্রাম | topbonus | ||||||
জোট |
| ||||||
অধীনস্ত কোম্পানি | |||||||
বিমানবহরের আকার | ১৩১ | ||||||
গন্তব্য | ৯২ (not including seasonal destinations) | ||||||
প্রধান কোম্পানি | Air Berlin PLC & Co. Luftverkehrs KG | ||||||
প্রধান কার্যালয় | Airport Bureau Center Charlottenburg-Wilmersdorf, বার্লিন, জার্মানি | ||||||
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি |
| ||||||
আয় | € 4.15 billion (2013)[১] | ||||||
পরিচালন আয় | € -231.9 million (2013)[১] | ||||||
নিট আয় | € -315.5 million (2013)[১] | ||||||
=মোট সম্পদ | € 1.89 billion (2013)[১] | ||||||
মোট ইক্যুইটি | € -186.1 million (2013)[১] | ||||||
কর্মচারী | ৮,৯০৫ (১২/২০১৩)[১] | ||||||
ওয়েবসাইট | airberlin |
এয়ার বার্লিন বা এয়ারবার্লিন (ইংরেজি: Air Berlin) হল লুফ্টহানজার পরেই জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারলাইন এবং মোট যাত্রী সংখ্যার বিচারে ইউরোপের অষ্টম বৃহত্তম এয়ারলাইন।[২]
বিমানসংস্থাটির বিচরণ এলাকার মধ্য আছে ১৭ টি জার্মান নগরী, কিছু ইউরোপীয়ান শহর এবং ভুমধ্যসাগরীয় এলাকার অনেকগুলি অবকাশ যাপন কেন্দ্র যেমন, মাদেরিয়া, কানারি দ্বীপপুঞ্জ এবং উত্তর আফ্রিকা, সাথে সাথে ক্যারাবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের আন্তমহাদেশীয় ঠিকানা সমূহ এবং অবশ্যই আমেরিকা।সংস্থাটির মূলকেন্দ্র হলো বার্লিন-টেজেল এ্যায়ারপোর্ট[৩] এবং ডুজেলডোর্ফ এ্যায়ারপোর্ট। চারলোটেনবার্গ-ওয়ামার্সডোর্ফ এর বিমানবন্দর ব্যুরো সেন্টারে এটির প্রধান কার্যালয় অবস্থিত,[৪] যা কিনা ওয়ান অয়ার্ল্ড এ্যালা্ইন্সের সদস্য এবং অস্ট্রিয়াতে তাদের সহোযোগী প্রতিষ্ঠান নিকি এবং সুইজারল্যান্ডের বিলেয়ার এ মালিকানা আছে।
এয়ার বার্লিন বেশ কয় বছর লোকসানী প্রতিষ্ঠান হিসাবে চালু আছে। এটার মূল প্রতিষ্ঠান এয়ার বার্লিন পিএলসি এর শেয়ার ২০১১ সালে উন্মুক্তভাবে কেনাবেচা হয় এবং এর ২৯.২১% মালিকানা ইতিহাদ এয়ারওয়েজ গ্রহণ করে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রাথমিকভাবে এয়ার বার্লিন ইউএসএ [৫] নামে নিবন্ধিত কোম্পানিটি ১৯৭৮ সালে লেল্কো-যা কিনা একটি আমেরিকান এগ্রিকালচারাল প্রতিষ্ঠান যার প্রধান কার্যালয়ের অবস্থান ছিল ওরেগন[৬] -এর একটি পরিপূর্ণ মালিকানাধীন সহোযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, এবং জার্মান ট্যুর অপারেটরস এর পক্ষ হয়ে বিমান ভাড়া করতো প্রধানত বার্লিন টেজেল বিমানবন্দর থেকে, ভূমধ্যসাগরীয় অবকাশ যাপন কেন্দ্রগুলোতে বিমান পরিচালনার জন্য।[৫][৭] একটি আমেরিকান বিমানসংস্থা হিসাবে, এয়ার বার্লিন সহজেই পশ্চিম বার্লিন বাজারে ঢুকতে পেরেছিল। শীতল যুদ্ধের সময়ে, বার্লিনের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তেজেল বিমানবন্দর থেকে সেসকল বিমানসংস্থার বিমান আসা এবং যাওয়া করতে পারতো যেসকল বিমানসংস্থা ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য অথবা যুক্তরাষ্ট্র এর সহিত নিবন্ধিত ছিল। বিমানসংস্থাটির প্রাথমিকভাবে সদরদপ্তর তেজেল বিমানবন্দরে ছিল।লিওনার্ডো লান্ডগ্রীন ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রথম চেয়ারম্যান।[৫][৮]
কোম্পানী যখন এ্যায়ারলাইন্স লাইসেন্স পায় এবং দুইটি বোয়িং ৭০৭ জেট বিমান অধিগ্রহণ করে যা কিনা পুর্বে ট্রান্স ওয়ার্ল্ড এ্যায়ারলাইন্স এর মালিকানধীন ছিল, তখন ২৮শে এপ্রিল ১৯৭৯ সালে এয়ার বার্লিন ইউএসএ তাদের আয়মূখী সেবা কার্যক্রম শুরু করে যেখানে তাদের একটি বিমান বার্লিন-তেজেল থেকে পাল্মা দি মায়োর্কা পর্যন্ত বিমানযাত্রা করেছিল।[৬][৯] বিশাল দুরত্বের বহরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল পশ্চিম বার্লিন-ব্রাসেলস্-ফ্লোরিডা পথে,[৬][১০] সহোযোগিতায় ছিল এ্যায়ার ফ্লোরিডা (একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছিল ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে)।[১১]
১৯৮০ সালে, এয়ার বার্লিন যুক্তরাষ্ট তাদের বহর বড় করে ফেলে যখন বোয়িং ৭৩৭-২০০ যুক্ত হয়, এবং যখন এ্যায়ার ফ্লোরিডার নিকট হতে এধরনের আরো দুটি বিমান ধার নেয়া হয়।[১২] ১৯৮২ সালে, ৭০৭ বহর থেকে বিদায় করে দেয়া হয় এবং ৮০ এর দশকের সিংহভাগ সময়ে এয়ার বার্লিন ইউএসএ একটি মাত্র ৭৩৭-২০০ দিয়ে পরিচালিত হয়েছিল[১৩] (১৯৮৬ এর পর)। ১৯৯১ সালে যখন এ্যায়ার বার্লিনের মাত্র ৯০ জন কর্মাচারী ছিল তখন জোয়াকিম হুনোল্ড এটাকে কিনে নেয় এবং একে পুনর্গঠন করে এয়ার বার্লিন জিএমবিএইচ এন্ড কো: লুফ্টভার্কাস কেজি হিসাবে একটি জার্মান প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন [৯]। ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে এয়ার বার্লিন ভিয়েনা এ্যায়ারলাইন্স নিকি এর সাথে ব্যবসায়িক চুক্তিতে আবদ্ধ হয় এবং এটার ২৪% শেয়ার ক্রয় করে নেয়। ২০০৭ সালে, এয়ার বার্লিন জার্মান লিয়েজার এ্যায়ারলাইন এলটিইউ কে কিনে নেয় এবং ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম বিমান সংস্থাতে পরিনত হয় যাত্রি পরিবহনের বিচারে।
বহরের বিবরন
[সম্পাদনা]বর্তমানে এ্যায়ার বার্লিনের বহরে রয়েছে ১৩১ টি বিমান যার মধ্যে এ্যায়ারবাস আছে ৭৯ টি এবং বোয়িং আছে ৩৫ টি এবং অন্য ১৭ টি হলো বোম্বার্ডিয়ার।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Annual Report 2013 - Financial Figures" (পিডিএফ)। Air Berlin। ২০১৪-০৫-২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-২১।
- ↑ airberlin Strategy and Business Model ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ আগস্ট ২০১২ তারিখে. Air Berlin, retrieved on 26 September 2015
- ↑ "Berlin Tegel still Air Berlin's #1 base"। Anna.aero। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Approach map ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে." Air Berlin. Retrieved on 26 September 2015.
- ↑ ক খ গ "World Airline Directory: Air Berlin USA"। Flight International: 272। ২৬ জুলাই ১৯৮০। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ ক খ গ "World Airline Directory: Air Berlin"। Flight International: 1332। ২৮ এপ্রিল ১৯৭৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "World Airline Directory: Air Berlin"। Flight International: 49। ২৭ মার্চ ১৯৯১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "On-Board Air Berlin"। cleartrip.com। ৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ ক খ "Out into the world from Berlin: The history of airberlin in a nutshell"। Air Berlin। ৩০ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "1981 timetable of Air Berlin USA"। Air Berlin USA। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "World Airline Directory: Air Berlin USA"। Flight Internationa]: 1395। ১৬ মে ১৯৮১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Air Berlin USA Fleet Details and History"। planespotters.net। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "World Airline Directory: Air Berlin"। Flight International: 813। ৩১ মার্চ ১৯৮৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫।