এম. এ. মান্নান (গাজীপুরের রাজনীতিবিদ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এম.এ. মান্নান
গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৯১ – জুন ১৯৯৬
পূর্বসূরীহাসান উদ্দিন সরকার
উত্তরসূরীআহসানউল্লাহ মাস্টার
বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৯৯১ – ১৯৯৬
প্রধানমন্ত্রীবেগম খালেদা জিয়া
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১ম মেয়র
কাজের মেয়াদ
২০১৩ – ২৬ জুন ২০১৮
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
উত্তরসূরীমো: জাহাঙ্গীর আলম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৫০
গাজীপুর, পূর্ব পাকিস্তান
মৃত্যু২৮ এপ্রিল ২০২২ (৭২ বছর)
ঢাকা
নাগরিকত্বপাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশারাজনীতিবিদ

এম.এ.মান্নান (১৯৫০ - ২৮ এপ্রিল ২০২২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি আলহাজ্ব অধ্যাপক এম.এ. মান্নান নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি এছাড়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

এম.এ.মান্নান গাজীপুরের সালনা গ্রামে ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সালনা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি, জয়দেবপুর রাণী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি এবং ময়মনসিংহ মুসলিম হাই স্কুল থেকে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পাস করেন। পরে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে ভর্তি হন ও সেখান থেকে এসএসসি পাস করেন। তিনি ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন।[১] পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত রসায়নে এম, এস, সি ডিগ্রি অর্জন করেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

টঙ্গী কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে এম.এ.মান্নান কর্মজীবন শুরু করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক নানা কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

এম. এ. মান্নান ১৯৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলে (জাগদল) যোগদান করেন, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এম.এ.মান্নান বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপরসনের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[২]

এম. এ. মান্নান ১৯৮৪ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ও কাউলতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে তিনি আরও দুইবার ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১]

১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তাকে তৎকালীন মন্ত্রীসভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি নবগঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হলে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচনে ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে তিনি মেয়র পদ প্রার্থী হিসেবে টেলিভিশন প্রতীকে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন এবং জয়লাভ করেন। মেয়র থাকাকালীন বিভিন্ন কারণে তিনি তিনবার বরখাস্ত হয়েছিলেন।[১] ২০১৫ সালে তাকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিভিন্ন মামলায় তিনি প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান।[৩]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

এম. এ. মান্নান দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "একজন মেয়র মান্নান"মানবজমিন। টঙ্গী। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ 
  2. "বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন- গাজীপুর জেলা"। ১৫ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. "গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা এম এ মান্নান আর নেই"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০২২