এমিল ক্রেপেলিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এমিল ক্রেপেলিন (১৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৬-৭ অক্টোবর ১৯২৬) একজন জার্মান মানসিক রোগের চিকিৎসক।H.J.Eysenck এর এনসাইক্লোপিডিয়া অব সাইকোলজিতে তাকে আধুনিক মনোরোগবিদ্যা,মানুসিক রোগ সংক্রান্ত ঔষধবিজ্ঞান এবং মানুসিক রোগের জিনবিদ্যার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করা হয়।

Emil Kraepelin
Emil Kraepelin in his later years
জন্ম(১৮৫৬-০২-১৫)১৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৬
মৃত্যু৭ অক্টোবর ১৯২৬(1926-10-07) (বয়স ৭০)
জাতীয়তাGerman
মাতৃশিক্ষায়তনLeipzig University
University of Würzburg
(MBBS, 1878)
University of Munich
(Dr. hab. med., 1882)
পরিচিতির কারণClassification of mental disorders,
Kraepelinian dichotomy
দাম্পত্য সঙ্গীIna Marie Marie Wilhelmine Schwabe
সন্তান2 sons, 6 daughters
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রPsychiatry
প্রতিষ্ঠানসমূহUniversity of Dorpat
University of Heidelberg
University of Munich
অভিসন্দর্ভের শিরোনামThe Place of Psychology in Psychiatry (1882)
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেনWilhelm Wundt
Bernhard von Gudden
Karl Ludwig Kahlbaum
যাদেরকে প্রভাবিত করেছেনDiagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders
International Statistical Classification of Diseases and Related Health Problems
স্বাক্ষর

তিনি বিশ্বাস করতেন মানুসিক রোগগুলো জৈবিক এবং জিনগত ত্রুটির কারণে উদ্ভূত।সিগমুন্ড ফ্রয়েড এবং তাঁর অনুসারীদের সাইকোডাইনামিক প্রভাব সত্ত্বেও এমিলের তত্ত্বগুলো বিংশ শতাব্দীর শুরুতে জনপ্রিয়তা পায় এবং একই শতাব্দীর শেষে তার পুনঃজাগরণ ঘটে।দক্ষ পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রতিটি রোগের তথ্য সংগ্রহ করে তিনি যেমন তার চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনেক উপরে নিয়ে গিয়েছিলেন।তেমনি অনেক ক্ষেত্রে কেবল মনোরোগবিদ্যায় অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্তে পৌছেছেন।

পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

ক্রেপেলিনের বাবা কার্ল উইলহেম ছিলেন প্রাক্তন অপেরা শিল্পী,সঙ্গীত শিক্ষক এবং পরবর্তীতে সফল গল্পকার।তিনি প্রথম জীববিজ্ঞানের সাথে পরিচিত হন তাঁর থেকে দশ বছরের বড় ভাইয়ের মাধ্যমে।তাঁর এই ভাই পরবর্তীতে প্রকৃতিবিজ্ঞানী হয়েছিলেন।

শিক্ষাজীবন এবং পেশা[সম্পাদনা]

১৮৭৪ সালে লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর চিকিৎসা শিক্ষাজীবন শুরু করে ১৮৭৮ সালে ভার্যবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাপ্ত করেন।লাইপজিগে পল ফ্লেকজিগ এর তত্বাবধানে নিউরোপ্যাথোলজি এবং উইলহেম ভুন্দ এর অধীনে পরীক্ষামূলক মনরোগবিদ্যায়(Experimental psychology) কাজ করেন।এখানে তিনি 'জটিল রোগের মানুসিক ব্যাধির উপর প্রভাব'(The Influence of Acute Illness in the Causation of Mental Disorders) শীর্ষক একটি প্রবন্ধ লেখেন।

ভার্যবার্গে তিনি ১৮৭৮ এর মার্চে রাইগোরোসাম(Rigorosum) বা মৌখিক পরিক্ষা,জুলাইয়ে স্ট্যাটসএক্সামেন(Staatsexamen) বা লাইসেন্সিং পরিক্ষা এবং অগাস্টে চিকিৎসা করার অনুমোদন লাভ করেন।১৮৭৮ থেকে ১৮৮২ পর্যন্ত তিনি মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন।এরপরে লাইপজিগে ফিরে আসেন।১৮৮২ সালে সেখানে তার Habilitation থিসিস এবং পরবর্তী বছরে মিউনিখে তার Umhabilitation(Rehabilitation=Habilitation Recognition Procedure) লেখা সমাপ্ত করেন।

ঐ বছরই তার অন্যতম প্রধান কাজ "কম্পেন্ডিয়াম অব সাইকিয়াট্রি:ফর দি ইউজ অব স্টুডেন্টস এন্ড ফিজিশিয়ানস(Compendium of Psychiantry:For the Use of Students and Physicians)" প্রকাশ পায়।এরপর একাধিক ভলিউমে তার "আ টেক্সটবুক:ফাউন্ডেশনস অব সাইকিয়াট্রি এন্ড নিউরোসায়েন্স(A textbook:Foundations of Psychiatry and Neuroscience)" প্রকাশ পায়।এই বইয়ে তিনি যুক্তি দেখান যে,মনোরোগবিদ্যা চিকিৎসা বিজ্ঞানেরই একটি শাখা এবং অন্যান্য প্রকৃত বিজ্ঞানের মত এখানেও নিরীক্ষা এবং পরীক্ষা ভিত্তিক অনুসন্ধানের প্রয়োজন আছে।

তত্ত্ব এবং শ্রেণিবিভাগ[সম্পাদনা]

ক্রেপেলিন ঘোষণা করেন তিনি মানুসিক অসুস্থতাকে এক নতুন উপায়ে বিবেচনার পথ খুঁজে পেয়েছেন।তার মতে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি হলো 'উপসর্গ' নির্ভর।আর তার পদ্ধতি হলো 'রোগী'(Clinical) নির্ভর।

মনোব্যাধি এবং মনোভাব[সম্পাদনা]

এমিল ক্রেপেলিনকে বিশেষভাবে কৃতিত্ব দেওয়া হয় ক্রেপেলিনিয়ান ডিকোটমির (Kraepelinian Dichotomy)জন্য।এই সূত্রমতে মনোব্যাধি(Psychoses) এর দুটো চিত্র আছে।ম্যানিক ডিপ্রেশন(Manic depression) এবং ডিমেনশিয়া প্রিকক্স(Dementia praecox)।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • Emil_kraepelin_en.wiki.org
  • Noll, Richard (2011) American Madness: The Rise and Fall of Dementia Praecox. Cambridge and London: Harvard University Press.
  • Briole G (২০১২)। "Emil Kraepelin: The Fragility of a Colossal Oeuvre"। Hurly-Burly8: 125–147। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

ক্রেপেলিনের জীবনী জানার জন্যে-

ক্রেপেলিনের কাজের ইংরেজি অনুবাদের জন্যে-