এমব্রোজ লাইট (জাহাজ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতিহাস
ত্রুটিপূর্ণ পতাকা চিত্র
নাম: এমব্রোজ লাইট
নির্মাতা: ওয়াল্ডোবোরফ, মাইন
নির্মাণের সময়: ১৮৫৭
বন্দী: ১৮৮৫
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: ব্রাইজেনটাইন
Tons burthen: ২১৫
রণসজ্জা: একটি ৬০ পাউন্ড কামান

এমব্রোজ লাইট ছিল কলম্বিয়ার বিদ্রোহীদের দ্বারা পরিচালিত একটি ব্রাইজেনটাইন (দুই মাস্তুল বিশিষ্ঠ ভেসেল বা জাহাজ)।[১][২] ১৮৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ইউএসএস এলিয়েন্স (ছোট গানবোট) নামক জাহাজ এটিকে জলদস্যুতার অভিযোগে আটক করে।[৩] পরবর্তীতে একটি আদালত জলদস্যুতার অভিযোগ বাতিল করে দেয়।

আটক[সম্পাদনা]

২৪শে এপ্রিল দক্ষিণ আটলান্টিক স্কোয়াড্রনের কমান্ডার লুইস ক্লার্ক কলম্বিয়ার ক্যারিবীয় উপকূলের কার্টাগেনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন। হঠাৎ এলিয়েন্সের সদস্যরা কালো কাপড়ে লাল ক্রস চিহ্ন আঁকা পতাকা সংবলিত এমব্রোজ লাইটকে দেখতে পায়। পতাকা দেখে নৌবাহিনীর সদস্যরা এটিকে জলদস্যুদের জাহাজ বলে মনে করেন, কারণ তখনকার সময়ে জলদস্যুরা কোন জাহাজ আক্রমণের প্রাক্কালে জলি রজার নামে এ ধরনের পতাকার ব্যবহার করত। আমেরিকানরা যুদ্ধের প্রস্ততি নিতে শুরু করেন কিন্তু কাছাকাছি আসার পর তারা এমব্রোজ লাইট থেকে কলম্বিয়ার কল সাইন শুনতে পান ও এমব্রোজ লাইটও এলিয়েন্সকে দেখে থেমে যায়। কমান্ডার ক্লার্ক, লেফটেনান্ট এম. ফিশারের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধানী দল এমব্রোজ লাইটে প্রেরন করেন। দলটি এমব্রোজ লাইটে সন্ধান করে জাহাজটিকে সশস্ত্র ও ৬০ জন সশস্ত্র লোককে খুঁজে পান। অস্ত্রের একটি বড় চালান আবিষ্কার করেন। কলম্বিয়ার বিদ্রোহীরা তাদের নেতা পেদ্রু লারর পত্র দেখান ও কার্টাগেনাতে অবরোধের অনুমতি চান। কিন্তু কমান্ডার ক্লার্ক পত্রটি উপেক্ষা করে বিদ্রোহীদের বন্দি ও এমব্রোজ লাইটকে উপহার হিসেবে আটক করেন। ক্লার্ক লেফটেনান্ট ফিশারের সাথে আরো দশ জন সদস্য দিয়ে এমব্রোজ লাইটের ক্যাপ্টেন নিয়োগ করেন এবং নিউ ইয়র্কের দিকে যাত্রা করে।

আদালতের রায়[সম্পাদনা]

আদালতে এটি নিয়ে বিচার উস্থাপিত হলে, আদালত বলেন, ইউএসএস এলিয়েন্স জাহাজটি আটক করে কোন ভুল করেনি কারণ বিদ্রোহীদের নেতা পেদ্রু লারার এরকম একটি যুদ্ধ জাহাজ পরিচালনার অনুমতি নেই। রায়ে আরো বলা হয়, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জড়িমানার বিনিময়ে জাহাজটি এর কলম্বিয়ার মালিকের কাছে ফেরত পাঠানো হবে। এছাড়া আদালত রুল জাড়ি করেন, কলোম্বিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় সৈন্যদের আনা নেওয়ায় জাহাজটি ব্যবহৃত হবে।[৪] যখন কার্টাগেনাতে যুদ্ধ ছড়িয়ে পরে তখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থমাস এফ. বেয়ার্ড এমব্রোজ লাইট ও এর বন্দিদের মুক্ত করে দেন।[১][২]

এই সিদ্ধান্তটি শুধুমাত্র যুক্তরাষ্টের জলদস্যু আইনের অওতায় নেওয়া হয়েছিল, যেখানে উল্লেখ রয়েছে কাকে জলদস্যু বলা যাবে এবং কাকে বলা যাবে না।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Oppenheim, p. 435
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৩ 
  3. "In Charge of a Prize Crew.; Arrival of the Supposed Pirate Captured By the Alliance" (PDF)New York Times। ১৮৮৫-০৬-০২। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০০৯ 
  4. "The Ambrose Light Not a Privateer" (PDF)New York Times। ১৮৮৫-০৭-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০০৯ 
  • Oppenheim, Lassa (২০০৬)। International law: a treatise, Volume 1। The Lawbook Exhange, Ltd.। 1584776099।