এনজাবুলো এনকুবে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এনজাবুলো এনকুবে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামএনজাবুলো এনকুবে
জন্ম (1989-10-14) ১৪ অক্টোবর ১৯৮৯ (বয়স ৩৪)
বুলাওয়াও, জিম্বাবুয়ে
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৮১)
১ নভেম্বর ২০১১ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১১৩)
২৫ অক্টোবর ২০১১ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই২৫ অক্টোবর ২০১১ বনাম নিউজিল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৮/০৯ওয়েস্টার্নস
২০০৯/১০মাউন্টেইনিয়ার্স
২০১০ - বর্তমানমাতাবেলেল্যান্ড তুস্কার্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৪৯ ৩০
রানের সংখ্যা ১৭ ৩৪৩ ২৪
ব্যাটিং গড় ৮.৫০ ৮.৫৭ ৮.০০
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৪ ০* ২৯ ১৫*
বল করেছে ২১০ ৫৩ ৭,০১৬ ১,০৮৫
উইকেট ১১২ ৩০
বোলিং গড় ১২১.০০ ২৩.০০ ৩০.৭১ ২৮.৬৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/৮০ ৩/৬৯ ৭/৩৫ ৫/৩৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/০ ০/– ১৬/- ৮/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ আগস্ট ২০২০

এনজাবুলো এনকুবে (ইংরেজি: Njabulo Ncube; জন্ম: ১৪ অক্টোবর, ১৯৮৯) বুলাওয়াও এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১০-এর দশকের সূচনালগ্নে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে মাউন্টেইনিয়ার্স ও ওয়েস্টার্নস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

ছোটখাটো গড়নের অধিকারী কিন্তু চটপটে ফাস্ট বোলার এনজাবুলো এনকুবে বুলাওয়ের গোবালান্দায় প্রথম ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। মিল্টন হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। সেখানকার বিদ্যালয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। এরপর, ওয়স্টার্নসের অনূর্ধ্ব-১৯ ও বি দলের পক্ষে খেলেন। ডানহাতি সিমার হিসেবে তার আগ্রাসী ভূমিকায় মাখায়া এনটিনি’কে আদর্শ হিসেবে মানতেন ও খেলায় নিজেকে বিলিয়ে দিতেন। মাখায়া এনটিনি’র আগ্রাসী ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধতার ন্যায় আদর্শে অনুপ্রাণিত তিনি।[১]

সুন্দর ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনের কারণে জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাথে তাকে যুক্ত করা হয়। ২০০৮ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। নিউজিল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় ৭ ওভার ১/১২ পান। জিম্বাবুয়ের ক্লাব লীগ ক্রিকেটে আমাখোসি ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন।[২]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এনজাবুলো এনকুবে’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। কয়েক মৌসুম মাতাবেলেল্যান্ডভিত্তিক ওয়েস্টার্নসের পক্ষে খেলেছেন। এরপর, নতুন বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত ধরনের খেলায় মাউন্টেইনিয়ার্সের পক্ষে খেলেছেন। তবে, এ স্থানান্তর প্রক্রিয়া স্বল্পকালীন ছিল। এরপর, ২০১০ সালে পুনরায় মাতাবেলেল্যান্ড তুস্কার্সে ফিরে যান।

২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের পুণর্গঠনের পূর্ব-পর্যন্ত মাতাবেলেল্যান্ডভিত্তিক ওয়েস্টার্নসের পক্ষে কয়েক মৌসুম খেলেন। এ দলের পক্ষেই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট, লিস্ট এ ক্রিকেট ও টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে এনজাবুলো এনকুবে’র। জিম্বাবুয়ের ঘরোয়া ক্রিকেটের অবকাঠামো সংস্কারের পর ২০০৯ সালে মাউন্টেইনিয়ার্সের সদস্য হন। তবে, তার এ স্থানান্তর সুখকর হয়নি। ফলশ্রুতিতে, ২০১০ সালে পুনরায় মাতাবেলেল্যান্ড তুস্কার্সে ফিরে যান। বর্তমানে তিনি এ দলের পক্ষেই ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন।

সচরাচর, গড়ে ১২৮ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার গতিবেগে বোলিং করে থাকেন এনজাবুলো এনকুবে। নিজের সেরা দিনে দ্রুততার সাথে ইনসুইং কাটার সহযোগে বোলিং করেন। তবে, আউটসুইঙ্গারেও দক্ষতা রয়েছে তার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন এনজাবুলো এনকুবে। ১ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে বুলাওয়েতে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, টেস্টে অভিষেকের পূর্বেই ২৫ অক্টোবর, ২০১১ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ ছিল।

২০১১-১২ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড দল জিম্বাবুয়ে গমনে আসে। সফরকারী দলের পক্ষে ওডিআই সিরিজ খেলার জন্যে তাকে জিম্বাবুয়ে দলের সদস্য করা হয়।[৩] অক্টোবর, ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের জাতীয় দলের পক্ষে খেলার জন্যে প্রথম আমন্ত্রিত হন। এরপর, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওডিআইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। খেলায় তিনি তিন উইকেট লাভ করেন। মাত্র আটজন জিম্বাবুয়ীয় বোলারের অন্যতম হিসেবে অভিষেক খেলায় তিন উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন তিনি। খেলার শেষ বলে জয়সূচক রান তুলে ১ উইকেটে বিজয়ী হয় জিম্বাবুয়ে দল ও সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্যমাত্রা সফলতার সাথে অতিক্রম করে।[৪] এরফলে, বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত টেস্টে খেলার জন্যে তাকে দলে রাখা হয়।

১ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে বুলাওয়েতে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেন। রস টেলরকে উইকেট-রক্ষক রেজিস চাকাভা’র কটে পরিণত করে নিজস্ব প্রথম টেস্ট ডিসমিসাল ঘটান তিনি। এ স্তরের ক্রিকেটে তার প্রথম উইকেট লাভের পাশাপাশি চাকাভাও তার প্রথম ডিসমিসাল ঘটান। বেশ মিতব্যয়ীতার সাথে বোলিং করেন, নিখুঁত নিশানায় সুনিয়ন্ত্রিত পন্থা অবলম্বনে করে পরিবেশের শুরুরদিকের সুবিধা লাভের পূর্ণাঙ্গ সদ্ব্যবহার করেন।[৫]

জানুয়ারি, ২০১৬ সালে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তাকে জিম্বাবুয়ে দলে রাখা হয়।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Biography"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১১ 
  2. "Brmtaylor.com exclusive:Njabulo Ncube interview"। Brmtaylor.com। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১১ 
  3. Zimbabwe v New Zealand 2011 Cricinfo. Retrieved 22 November 2011
  4. "Unprecedented high for Zimbabwe as they cruise to record win"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১১ 
  5. "Test match Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১১ 
  6. "Cremer to lead Zimbabwe in Tests against New Zealand"ESPNcricinfo। ESPN Sports Media। ২১ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৬ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]