এদিবে শাহিন
এদিবে শাহিন ১৯৬০ সালে তুরস্কের টুনসেলির নাজিমিয়েতে জন্মগ্রহণকারী একজন বিশিষ্ট নারী রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী। তিনি ডেমোক্র্যাটিক সোসাইটি পার্টি (ডিটিপি)-র হয়ে পূর্ব আনাতোলিয়ার টুনসেলি প্রদেশের রাজধানী টুনসেলি (মামেকিয়ে) পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কুর্দি আলেভি বংশোদ্ভূত একজন তুর্কি নাগরিক। এছাড়াও,তিনি রেউসেন ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছিলেন।
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
[সম্পাদনা]এদিবে শাহিন ১৯৬০ সালে তুরস্কের টুনসেলির নাজিমিয়েতে জন্মগ্রহণ করেন এবং টুনসেলিতে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করেন।[১] এর পরে তিনি আগ্রির গার্লস ভোকেশনাল স্কুল থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[১] ১৯৮০ সালের আগ পর্যন্ত তিনি ট্রেজারি কেরানি হিসেবে কাজ করেছিলেন। সামরিক অভ্যুত্থানের পর, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ১৯৮০ সালে সামরিক সরকার তাকে নির্বাসনে পাঠায়।[২] তবে, পরবর্তীতে সাধারণ ক্ষমার পরেও তিনি নির্বাসন থেকে ফিরে আসেননি।[২] নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য তুরস্কে ফিরে আসার আগে, তিনি বহু বছর ধরে নারী ও মানবাধিকার সংগঠনের হয়ে কাজ করেছেন।[২]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]ডেমোক্র্যাটিক সোসাইটি পার্টিতে (ডিটিপি) যোগদানের পর থেকেই তিনি দলের মহিলা শাখায় জড়িত ছিলেন।[২] ২০০৯ সালের স্থানীয় নির্বাচনে তিনি ৮১টি প্রাদেশিক রাজধানীর দুইজন মহিলা মেয়রের মধ্যে একজন হিসেবে ডিটিপি-এর হয়ে টুনসেলির মেয়র নির্বাচিত হন।[৩] ২০১০ সালে মালাতিয়ার তৃতীয় ভারী দণ্ড আদালত তাকে একটি অবৈধ সংগঠনের পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেয়।[৪] ২০১৫ সালের জুন মাসের সংসদীয় নির্বাচনে তিনি টুনসেলির পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) এর প্রতিনিধিত্ব করে তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন।[৫]
রাজনৈতিক অবস্থান
[সম্পাদনা]তিনি রাজনীতিতে নারীদের শক্তিশালী প্রতিনিধিত্বের পক্ষে অবস্থান করেন। তিনি এই অগ্রগতিতে ডিটিপির ভূমিকা আরও বৃদ্ধির উপর জোর দেন।[২] দেরসিম বিদ্রোহের সময় কুর্দিদের উপর নৃশংসতার বিষয়ে তিনি তুর্কি সরকারের কাছে একটি আর্কাইভ খোলার দাবি জানান।[৬] টুনসেলির নির্বাচিত মেয়র থাকার সময়, বাদের ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে,এদিবে শাহিন মুনজুর বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধেও প্রচারণা চালিয়েছিলেন।[৭][৮]
কারাদণ্ড
[সম্পাদনা]২০১৬ সালের নভেম্বরে শাহিনকে পিকেকে-র সাথে যোগাযোগের অভিযোগে টুনসেলিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।[৯] ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তাকে ৮ বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।[১০] কারাগারে তিনি লেখালেখি শুরু করেন এবং গুলতান কিসানাকের " দ্য কালার পার্পল অফ কুর্দিশ পলিটিক্স" বইটিতে বেশ কয়েকটি লেখায় অবদান রাখেন।[১১]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]এদিবে শাহিন বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 3 "Edibe Şahin Kimdir? - Edibe Şahin Hayatı ve Biyografisi"। Haberler (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।
- 1 2 3 4 5 "Exiled in 1980, Şahin Returns Tunceli as Mayor"। Bianet। ১ এপ্রিল ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "That Makes Two: Only One New Female Province Capital Mayor"। Bianet। ৩১ মার্চ ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "Punishments against Kurdish politicians rain down"। Diha। ৯ ডিসেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ Şafak, Yeni (৩০ এপ্রিল ২০২২)। "Tunceli Nazimiye Election Results 2015 - Yeni Şafak Elections"। Yeni Şafak (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ ""Tertele", the Dersim Massacre, commemorated at Seka Sure mass grave"। Agos। ৫ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "People from Munzur Walked Against Dam"। STGM। ১৭ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ "Filmmakers condemn dams in eastern Turkey's Dersim"। Hurriyet। ২৬ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ TM। "Former pro-Kurdish HDP deputy detained in Tunceli - Turkish Minute" (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৯।
- ↑ "Two co-mayors released, another sentenced to 8 years in prison"। ANF News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৯।
- ↑ "Kisanak's new book: The Color Purple of Kurdish Politics"। Firat News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।