এড কাউয়ান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এড কাউয়ান
২০০৮ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে এড কাউয়ান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামএডওয়ার্ড জেমস ম্যাকেঞ্জি কাউয়ান
জন্ম (1982-06-16) ১৬ জুন ১৯৮২ (বয়স ৪১)
প্যাডিংটন, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামফ্রেড[১]
উচ্চতা১.৭৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ ব্রেক
ভূমিকাউদ্বোধনী ব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪২৭)
২৬ ডিসেম্বর ২০১১ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট১০ জুলাই ২০১৩ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৩অক্সফোর্ড এমসিসিইউ
২০০৫ - ২০০৯নিউ সাউথ ওয়েলস
২০০৮স্কটল্যান্ড
২০০৯ - ২০১৫তাসমানিয়া
২০১১ - ২০১২সিডনি সিক্সার্স
২০১২গ্লুচেস্টারশায়ার
২০১২ - ২০১৩হোবার্ট হারিক্যান্স
২০১৩নটিংহ্যামশায়ার
২০১৪ - ২০১৫সিডনি সিক্সার্স
২০১৫ - ২০১৮নিউ সাউথ ওয়েলস
২০১৮সিডনি থান্ডার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ টি২০
ম্যাচ সংখ্যা ১৮ ১৪৩ ৯৮ ১৬
রানের সংখ্যা ১,০০১ ১০,০৯৭ ২,৯৮৪ ২২৯
ব্যাটিং গড় ৩১.২৮ ৪১.৮৯ ৩৬.৮৩ ১৬.৩৫
১০০/৫০ ১/৬ ২৫/৪৮ ৪/২২ ০/১
সর্বোচ্চ রান ১৩৬ ২২৫ ১৩১* ৭০
বল করেছে ১৪২
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৪/– ৯৪/– ৩০/– ২/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০

এডওয়ার্ড জেমস ম্যাকেঞ্জি কাউয়ান (ইংরেজি: Ed Cowan; জন্ম: ১৬ জুন, ১৯৮২) সিডনির প্যাডিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস, সিডনি সিক্সার্স ও তাসমানিয়া এবং ইংরেজ ক্রিকেটে ব্রিটিশ ইউনিভার্সিটিজ, গ্লুচেস্টারশায়ার ও নটিংহ্যামশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘ফ্রেড’ ডাকনামে পরিচিত এড কাউয়ান

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

নিউ সাউথ ওয়েলসের মস ভ্যালভিত্তিক টিউডর হাউজ স্কুলে ভর্তি হন। এরপর, নিউ সাউথ ওয়েলসের বেলেভ্যু হিলভিত্তিক ক্রান্সব্রুক স্কুলে পড়াশুনো করেন। এখানে অবস্থানকালেই মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশের পক্ষে ২১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এরপর, নিউ সাউথ ওয়েলস চ্যাম্পিয়নশীপে অনূর্ধ্ব-১৭ বছর বয়সী দলে খেলেন। দ্বাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নকালীন অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমনার্থে তাকে দলে রাখা হয়। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন ও ২০০৫ সালে এনএসডব্লিউ’র পক্ষে অভিষেক ঘটে তার।

তরুণ অবস্থায় ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে সিডনিতে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নেন। এ পর্যায়ে নিউ সাউথ ওয়েলসের খেলোয়াড় হিসেবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন। এসিটি’র বিপক্ষে ২১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানধারীর মর্যাদা পান। এছাড়াও, ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি পড়াশুনো চালিয়ে যান। বাণিজ্যে স্নাতকধারী হিসেবে বিনিয়োগকারী ব্যাংকে বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেন ও অ্যাপ্লাইড ফিন্যান্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে পড়াশুনো করেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

২০০৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১.৭৮ মিটার উচ্চতার অধিকারী এড কাউয়ানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।[২] ২০০৮-০৯ মৌসুমে তাসমানিয়ায় চলে যাবার পর এড কাউয়ানের খেলোয়াড়ী জীবনের ব্যাপক উন্নতি ঘটে। তবে, নিউ সাউথ ওয়েলসে থাকাকালীন তাকে শক্ত ব্যাটিংসমৃদ্ধ দলের নিয়মিত সদস্য হতে যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হতো। প্রথম মৌসুমে টাইগার্সের পক্ষে শেফিল্ড শিল্ডের প্রত্যেক খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। ৫৩.১৬ গড়ে ৯৫৭ রান তুলে প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। এ পর্যায়ে তিনি খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা ২২৫ রান তুলেন। এরপর, ২০১০ সালের মৌসুম বহির্ভূত সময়ে অস্ট্রেলিয়া এ-দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা এ-দলের বিপক্ষে শতরানের ইনিংস খেলেন। তবে, ব্লুজ দলের পক্ষে নিজস্ব শেষ গ্রীষ্মে মাত্র তিনটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিতে পেরেছিলেন ও তার স্থান দখলে অন্যের মনোসংযোগের কারণ হয়ে দাঁড়ান।

অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম দার্শনিক চরিত্রের অধিকারী ও টুইটারের অন্যতম সেরা ব্যবহারকারী হিসেবে থাকলেও ক্রিকেটের সুযোগ-সুবিধা লাভে সর্বদাই মনোনিবেশ ঘটাতেন। ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নেন। এছাড়াও, স্কটল্যান্ডের পক্ষে একদিনের কাউন্টি প্রতিযোগিতায় খেলেন। ২০০৩ সালে ছাত্র বিনিময়ের আওতায় অক্সফোর্ড ব্রুকস বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। অক্সফোর্ড দলের সদস্যরূপে ইংরেজ কাউন্টি দলগুলোর বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। এরপর, ব্রিটিশ ইউনিভার্সিটিজ দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। একই মৌসুমে রাজ্য দলের পক্ষে খেলতে শুরু করেন। তিন খেলায় অংশ নেয়ার পর গাব্বায় চূড়ান্ত খেলায় তাকে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে রাখা হয়। পরের গ্রীষ্মে ক্লাবের খেলায় ব্যাটিংকালে বাম পায়ে আঘাত পেলে তার খেলোয়াড়ী জীবন বাঁধাগ্রস্ত হয়।

দল পরিবর্তন[সম্পাদনা]

২০০৯ সালে এড কাউয়ান তাসমানিয়ান টাইগার্সের সাথে যুক্ত হন। সেখানে তিনি সফলতম মৌসুম অতিবাহিত করেন। নিজ মাঠে অনুষ্ঠিত প্রথম খেলায় সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২২৫ রান তুলেন তিনি। এরপর তিনি আরও দুইটি শতরানের ইনিংস খেলেন। বেলেরিভ ওভালের পর ফোর্ড র‍্যাঞ্জার কাপ চ্যাম্পিয়নশীপে আরেকটি করেন। ২০১১ সালে ২০১০-১১ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ড মৌসুমকে ঘরে ‘ইন দ্য ফায়ারিং লাইন’ শীর্ষক দিনপঞ্জীভিত্তিক গ্রন্থ প্রকাশ করেন।

জুন, ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কা গমনার্থে অস্ট্রেলিয়া এ-দলের সদস্য করা হয়। সেখানে তিনি শতরানের ইনিংস খেলে দলকে সিরিজ জয়ে ভূমিকা রাখেন। চার খেলায় চারটি শতরানের ইনিংস খেলে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেন। ২০১১-১২ মৌসুমে ভারত দলের অস্ট্রেলিয়া সফরের পূর্বে এ খেলা উপহার দেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, বক্সিং ডে টেস্টে তাকে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে যুক্ত করা হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আঠারোটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন এড কাউয়ান। ২৬ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১০ জুলাই, ২০১৩ তারিখে নটিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

২০১১ সালের বক্সিং ডে টেস্টে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। পূর্ববর্তী মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর খেলা থেকে ৬৪.২২ গড়ে রান সংগ্রহ করেছিলেন।[৩] সাবেক ও বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ডিন জোন্স তাকে ব্যাগি গ্রীন ক্যাপ পরিধান করে দেন। ভারতের বিপক্ষে অষ্টাদশ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকে ৬৮ রানের অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন।[৪] ২০১১-১২ মৌসুমে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে ঐ সিরিজের চার টেস্টেই তিনি অংশ নেন। ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করেন। সবমিলিয়ে ৩৪.৩৩ গড়ে ২০৬ রান তুলেন তিনি।[৫] এছাড়াও, পার্থে ৭৪ রানের আরেকটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন।[৬]

দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি[সম্পাদনা]

তবে, ঐ বছরের শেষদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি কম সফলতা পান। কেবল একটি অর্ধ-শতরান করেন। ১২ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে নিজস্ব প্রথম টেস্ট শতরানের সন্ধান পান। এক বছর পূর্বে ঐ দিনই তার পরামর্শক ও সাবেক শিক্ষক পিটার রোবাকের মৃত্যু হয়। কাউয়ান এ শতরানটি রোবাকের সম্মানে উৎসর্গ করেন।[৭] তবে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাদ-বাকী টেস্টগুলো থেকে আর কোন শতরান করতে না পারায় সমালোচিত হন। ঐ সিরিজে পাঁচ ইনিংস খেলে তিনি ২২৮ রান তুলেন। ঐ শতরানের পাশাপাশি ওয়াকায় শেষ খেলায় অর্ধ-শতরান করেছিলেন তিনি।

ভারত গমন[সম্পাদনা]

২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেশ বাজেভাবে খেলা শুরু করেন। হোবার্টে নিজ শহরের মাঠে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪ রান তুলেন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৬ রান তুলেন। এ পর্যায়ে ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ১৩২ রান তুলেন।[৮]

২০১২-১৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে ভারত গমন করেন। মোহালিতে ২৩৮ বল মোকাবেলা করে ৮৬ রান সংগ্রহ করেন। ভারতের মাটিতে তিনি ও ওয়ার্নার ১৩৯ রান তুলে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের কৃতিত্ব দেখান। চতুর্থ টেস্টে ৩৮ রান তুলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকারে পরিণত হন। সিরিজ শেষে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন ও স্বল্পসংখ্যক তারকাদের অন্যতম হিসেবে ব্যর্থ সফর শেষ করেন।

এরপর তাকে ইংল্যান্ড গমনার্থে অ্যাশেজ সফরে রাখা হয়। পরাজিত হওয়া ঐ সিরিজে একটি খেলায় অংশ নিয়ে ০ ও ১৪ রান তুলেন। পরবর্তীকালে এটিই জাতীয় দলে তার সর্বশেষ খেলা হিসেবে পরিগণিত হয়।

অবসর[সম্পাদনা]

২০১৭-১৮ মৌসুমের জেএলটি ওয়ান-ডে কাপে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে প্রত্যেক খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। তাসমানিয়ার বিপক্ষে এ প্রতিযোগিতায় সেরা খেলা প্রদর্শনে সচেষ্ট হন। ইনিংসের শেষদিকে নেমে চারটি চার ও একটি ছক্কা সহযোগে ৩২ বলে অপরাজিত ৫১ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।[৯] ঐ প্রতিযোগিতা শেষে বিতর্কিতভাবে ২০১৭-১৮ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতায় নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রথম খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। পূর্ববর্তী মৌসুমে পুরো প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়া সত্ত্বেও তার পরিবর্তে ড্যানিয়েল হিউজকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।[১০] অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগতঃ জানান। তিনি ড্যানিয়েল হিউজকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হিসেবে দেখতে চান।[১১]

মার্চ, ২০১৮ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন এড কাউয়ান।[১২]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। অস্ট্রেলীয় টেলিভিশন ও বেতার উপস্থাপক ভার্জিনিয়া লেটের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।[১৩] আগস্ট, ২০১২ সালে রোমি নাম্নী এক কন্যা সন্তানের জনক হন।[১৪] সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে কাউয়ান তার বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। বাণিজ্যে স্নাতক ডিগ্রী রয়েছে তার। ক্রিকেটার হিসেবে দিনপঞ্জী লিখেন, শাকসব্জীর আবাদ করেন, উপন্যাস পড়েন, আধুনিক শিল্পকলাকে অনুসরণসহ সঙ্গীত ভালোবাসেন।

২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার খেলায় এসসিজি মেম্বার্স বার থেকে তাকে পাঁচ মিনিটের জন্যে ত্রয়োদশ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি আচ্ছাদন পড়তে অস্বীকার করেন। কেননা, তিনি বিশ্বাস করেন যে, তিনি এর উপযুক্ত নন। এরপর, রাজ্যের একদিনের দলে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেয়ার পর যখন এনএসডব্লিউ কর্তৃপক্ষ আকস্মিকভাবে তাকে ব্যাগি ব্লু প্রদান করে, তখন তিনি ক্রিকেট এনএসডব্লিউ প্রধান ডেভ গিলবার্টের কার্যালয়ে যান ও তা ফেরৎ দেন। এ পর্যায়ে তিনি বলেন যে, যখন তিনি ক্যাপ পরিধান করবেন তখন তিনি তা নেবেন।[১৫]

২০১৫ সালে ‘ডেথ অব এ জেন্টলম্যান’ শীর্ষক ক্রিকেট বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্রে এড কাউয়ানের উপস্থিতি ছিল।[১৬]

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

এড কাউয়ানের টেস্ট শতক
# রান খেলা প্রতিপক্ষ শহর/দেশ মাঠ সাল
১৩৬  দক্ষিণ আফ্রিকা ব্রিসবেন, অস্ট্রেলিয়া গাব্বা ২০১২

সেরা অবদান[সম্পাদনা]

১৯ ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখ অনুযায়ী

ব্যাটিং
রান খেলা মাঠ মৌসুম
টেস্ট ১৩৬ অস্ট্রেলিয়াদক্ষিণ আফ্রিকা ব্রিসবেন ২০১২
এফসি ২২৫ তাসমানিয়ান টাইগার্সসাউদার্ন রেডব্যাকস হোবার্ট ২০০৯
এলএ ১৩১* তাসমানিয়ান টাইগার্সনিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজ সিডনি ২০১০
টি২০ ৭০ গ্লুচেস্টারশায়ার গ্ল্যাডিয়েটর্সওরচেস্টারশায়ার রয়্যালস ব্রিস্টল ২০১২

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Cricinfo profile"। Content.cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৩-০৪ 
  2. "Ed Cowan"cricket.com.auCricket Australia। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ 
  3. Earle, Richard; Pandaram, Jamie (২১ ডিসেম্বর ২০১১)। "Ed Cowan named to open batting with David Warner in Boxing Day Test"Herald Sun। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১২ 
  4. "Cowan Plays Grinding Role to Lunch on Boxing Day"The Sydney Morning Herald। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২৮ 
  5. "Records / Border-Gavaskar Trophy, 2011/12 / Most runs"। ESPNcricinfo। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১২ 
  6. "Statistics / Statsguru / EJM Cowan / Test matches"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১২ 
  7. "Cowan dedicates maiden ton to Roebuck - ABC News (Australian Broadcasting Corporation)"। Abc.net.au। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২৮ 
  8. "1st Test: Australia v Sri Lanka at Hobart, Dec 14-18, 2012 | Cricket Scorecard"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২৮ 
  9. "Maddinson's blazing ton sets up NSW's big win"ESPNcricinfo.comESPN Inc.। ২ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৭ 
  10. Brettig, Daniel (২৩ অক্টোবর ২০১৭)। "NSW axe Cowan for Shield opener in push for young batsmen"ESPNcricinfo.comESPN Inc.। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৭ 
  11. Brettig, Daniel (২৪ অক্টোবর ২০১৭)। "Smith takes responsibility for Cowan call"ESPNcricinfo.comESPN Inc.। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৭ 
  12. "Ed Cowan retires from first-class cricket"ESPN Cricinfo। ৭ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৮ 
  13. Pandaram, James (২১ ডিসেম্বর ২০১১)। "Ed Cowan on brink of Test call-up"Herald Sun। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১১ 
  14. Wisden 2013, p. 733.
  15. "Cowan's Philosophy No Mere Abstraction"The Sydney Morning Herald। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ 
  16. "Death Of A Gentleman Film: The Test Cricket Health-Check"All Out Cricket। ১৬ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৫ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]