এড ও লরেইন ওয়ারেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এড ওয়ারেন
লরেইন (বামে) ও এড ওয়ারেন (ডানে)
জন্ম
এডওয়ার্ড ওয়ারেন মাইনি

(১৯২৬-০৯-০৭)৭ সেপ্টেম্বর ১৯২৬
ব্রিজপোর্ট, কানেটিকাট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু২৩ আগস্ট ২০০৬(2006-08-23) (বয়স ৭৯)[১]
মনরো, কানেটিকাট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পেশা
প্রতিষ্ঠাননিউ ইংল্যান্ড সোসাইটি ফর সাইকিক রিসার্চ
দাম্পত্য সঙ্গীলরেইন ওয়ারেন (বি. ১৯৪৫)
সন্তান
ওয়েবসাইটwarrens.net
লরেইন ওয়ারেন
২০১৩ সালে লরেইন
জন্ম
লরেইন রিটা মোরান

(১৯২৭-০১-৩১)৩১ জানুয়ারি ১৯২৭
ব্রিজপোর্ট, কানেটিকাট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু১৮ এপ্রিল ২০১৯(2019-04-18) (বয়স ৯২)[২]
মনরো, কানেটিকাট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পেশা
প্রতিষ্ঠাননিউ ইংল্যান্ড সোসাইটি ফর সাইকিক রিসার্চ
দাম্পত্য সঙ্গীএড ওয়ারেন (বি. ১৯৪৫; মৃ. ২০০৬)
সন্তান
ওয়েবসাইটwarrens.net

এডওয়ার্ড ওয়ারেন মাইনি (৭ সেপ্টেম্বর ১৯২৬ – ২৩ আগস্ট ২০০৬)[১]লরেইন রিটা ওয়ারেন (জন্মগত পদবি: মোরান; ৩১ জানুয়ারি ১৯২৭ – ১৮ এপ্রিল ২০১৯)[৩] ছিলেন মার্কিন আধিদৈবিক অনুসন্ধানী ও লেখক দম্পতি। তারা বেশ কিছু বিখ্যাত ও তথাকথিত ভৌতিক উপস্থিতির ঘটনা অনুসন্ধান করেন। এডওয়ার্ড ছিলেন একজন স্বশিক্ষিত শয়তানবিদ, লেখক ও প্রভাষক। লরেইন ক্লেয়ারভয়েন্ট ও ঈষৎ সম্মোহিত মাধ্যম হিসেবে প্রশিক্ষিত হয়ে তার স্বামী এডওয়ার্ডের সাথে কাজ করতেন।

১৯৫২ সালে ওয়ারেন দম্পতি নিউ ইংল্যান্ডের সবচেয়ে প্রাচীন ভৌতিক ঘটনা অনুসন্ধানী দল “নিউ ইংল্যান্ড সোসাইটি ফর সাইকিক রিসার্চ” (এনইএসপিআর) প্রতিষ্ঠা করেন।[৪] তারা বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা এবং ভৌতিক ঘটনা অনুসন্ধানে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিভিন্ন বই লিখেছেন। দাবি অনুসারে তারা তাদের জীবনে অন্তত ১০,০০০ ঘটনা অনুসন্ধান করেছেন।[৫] অ্যামিটিভিলের ভৌতিক ঘটনার প্রথম দিককার অনুসন্ধানকারীদের মধ্যে তারা অন্যতম। ওয়ারেন দম্পতি, এনইএসপিআরের ওয়েবসাইট, ভিভিগ্লাম মাগাজিন ও অন্যান্য আরও তথ্যসূত্রমতে, এনইএসপিআর তাদের অনুসন্ধানে চিকিৎসক, গবেষক, পুলিশ কর্মকর্তা, সেবিকা, কলেজ শিক্ষার্থী ও ধর্মযাজক প্রভৃতি বিভিন্ন পেশাজীবীর সহায়তা নেয়।[৬][৭][৮]

ওয়ারেন দম্পতির বিখ্যাত বেশকিছু ঘটনা অবলম্বনে কিংবা অনুপ্রাণনায় অনেক চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ধারাবাহিক, তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে অ্যামিটিভিলে হরর ধারাবাহিকদ্য কনজ্যুরিং ইউনিভার্সের চলচ্চিত্রসমূহ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।[৯]

ভৌতিক সন্দেহবাদী পেরি ডিঅ্যাঞ্জেলিসস্টিভেন নভেলা ওয়ারেন দম্পতির অনুসন্ধানী প্রমাণগুলো পুনর্নিরীক্ষা করেন এবং এগুলোকে “ব্লার্নি” (blarney, আবোলতাবোল কথা) বলে উল্লেখ করেন।[১০] সন্দেহবাদী গবেষক জো নিকেলবেঞ্জামিন র‍্যাডফোর্ড সিদ্ধান্তে আসেন যে অ্যামিটিভিলে ও স্নিডেকার পরিবারের বিখ্যাত দুইটি ভৌতিক ঘটনা সাজানো এবং কখনো ঘটেইনি।[১১][১২][১৩]

উল্লেখযোগ্য অনুসন্ধান[সম্পাদনা]

অ্যানাবেল[সম্পাদনা]

ওয়ারেন দম্পতির ভাষ্যমতে, ১৯৬৮ সালে দুইজন তাদের জানায় যে তাদের র‍্যাগেডি অ্যান পুতুলে অ্যানাবেল হিগিনস নামের এক কমবয়সী মেয়ের আত্মা ভর করেছে। ওয়ারেন দম্পতি জানায় যে তাদের পুতুলটি “কোনো অমানবীয় সত্তা দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে।” পুতুলটি তারা সংগ্রহ করে এবং তাদের পারিবারিক “অকাল্ট জাদুঘর”-এ উঠিয়ে রাখে। এই পুতুলকে উপজীব্য করে দ্য কনজ্যুরিং ইউনিভার্সের একাধিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে এই পুতুলটিকে দেখা গেছে।[১৪]

পেরন পরিবার[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে ওয়ারেন দম্পতি দাবি করেন যে, রোড আইল্যান্ডের হ্যারিসভিলের পেরন পরিবারের বাড়িতে ভৌতিক কর্মকাণ্ড ঘটতে থাকে। তাদের দাবি অনুসারে উনবিংশ শতকের শুরুর দিকে ওই বাড়িতে কোনো জাদুকরী ডাইনির বসবাস করতো। ওয়ারেন দম্পতির ভাষ্যমতে, বাথসেবা শেরম্যান ওই ভূ-খণ্ডকে অভিশাপ দিয়েছিল, যার কারণে সেখানে যে-ই থাকতো, তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হতো। এই কাহিনি অনুসারে ২০১৩ সালে দ্য কনজ্যুরিং চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। লরেইন ওয়ারেন এই চলচ্চিত্রে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন এবং ক্ষণিক আবির্ভূত হন। ইউএসএ টুডে-এর এক প্রতিবেদক চলচ্চিত্রের প্রকৃত প্রেক্ষাপট ধারণ করেন।[১৫][১৬]

অ্যামিটিভিলে[সম্পাদনা]

ওয়ারেন দম্পতি ১৯৭৫ সালে অ্যামিটিভিলের ভৌতিক ঘটনাদির সাথে জড়িত হওয়ার জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত। নিউইয়র্কের অ্যামিটিভিলের এক দম্পতি জর্জ ও ক্যাথি লুৎস তাদের বাড়িতে হিংস্র, শয়তানি কোনো শক্তির উপস্থিতি বুঝতে পারেন। এটি এত শক্তিশালী ছিল যে তারা তাদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন। দি অ্যামিটিভিলে হরর কনস্পিরেসি গ্রন্থের লেখক স্টিফেন ও রোজেইন কাপ্লান একে “হোক্স” বা “ধাপ্পা” দাবি করে।[১৭] লরেইন ওয়ারেন দি এক্সপ্রেস-টাইমস-এর সাংবাদিকের কাছে দাবি করেন এই ঘটনা মোটেও ধাপ্পা নয়। অ্যামিটিভিলের ঘটনা অনুসারে ১৯৭৭ সালে একটি গ্রন্থ বের হয় এবং একই নামে ১৯৭৯২০০৫ সালে একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। পরবর্তীতে এই ঘটনাকে উপজীব্য করে একটি ধারাবাহিক চলচ্চিত্র-ও নির্মিত হয়। ওয়ারেন দম্পতির বর্ণনা করা মূল ঘটনার অংশবিশেষ ২০১৬ সালের চলচ্চিত্র দ্য কনজ্যুরিং ২-এর শুরুতে দেখানো হয়। বেনজামিন রেডফোর্ডের মতে অ্যামিটিভিলের ঘটনা “প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রামাণিক বিষয়বস্তু দ্বারা প্রমাণিত নয়”।[১২] ১৯৭৯ সালে আইনজীবী উইলিয়াম ওয়েবার বিবৃতি দিয়ে বলেন, যে তিনি, জে অ্যানসন ও অধিবাসীরা আড্ডায় এই গল্প “ফেঁদেছিলেন”।[১৮][১৩]

এনফিল্ডের উৎপাত[সম্পাদনা]

১৯৭৭ সালে ওয়ারেন দম্পতি লন্ডনের উপকণ্ঠে উৎপাতকারী ভূতের অনুসন্ধান শুরু করেন। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী একে “আদর-চাওয়া” শিশুদের বদবুদ্ধি বলে উড়িয়ে দিলেও, ওয়ারেন দম্পতি এতে শয়তানের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পান। এই অনুসন্ধানের কাহিনি অবলম্বনে পরবর্তী দ্য কনজ্যুরিং ২ চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়। তবে সমালোচকদের মতে চলচ্চিত্রে দেখানো গল্পের চেয়ে পরিস্থিতি অনেকটা আলাদ ছিল। ওয়ারেন দম্পতি এই ঘটনায় চলচ্চিত্রের কাহিনিপটের চেয়ে অনেক বেশি জড়িয়ে গিয়েছিলেন; এমনকি তাদের সেই ঘরে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।[১৯][২০][২১]

গাই লিয়ন প্লেফেয়ার নামক জনৈক প্যারাসাইকোলজিস্ট মরিস গ্রোসের সাথে এনফিল্ডের ঘটনার অনুসন্ধান করেন।[২২] তিনিও চলচ্চিত্রে ওয়ারেন দম্পতির অতিরঞ্জিত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, এই দম্পতিকে “একবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল” এবং এড ওয়ারেন তাকে বলেছিলেন যে “[ওয়ারেন দম্পতি এই ঘটনা থেকে] অনেক টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হতেন।” তার মতেও এনফিল্ডের ওই বাড়িতে ওয়ারেন দম্পতির “অনাহূত” ছিলেন। এমনকি “[এড ওয়ারেন তার] পরিচয় দেওয়ার আগ পর্যন্ত ওই পরিবারের কেউ তাদের চিনত না।”[২৩][২৪]

আর্ন জনসন[সম্পাদনা]

১৯৮১ সালে আর্ন চেয়িন জনসনকে তাদের জমিদার অ্যালান বনোকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এড ও লরেইন ওয়ারেন এর পূর্বেই জনসনের বাগ্‌দত্তার ছোট ভাইয়ের ওপর থেকে শয়তানের প্রভাব দূর করার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। এরপর ওয়ারেন দম্পতি দাবি করতে থাকে জনসনের ওপরও শয়তান প্রভাব বিস্তার করেছে। আদালতে জনসন শয়তানি প্রভাবের অজুহাতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে থাকে, কিন্তু আদালতে এই দাবি প্রমাণযোগ্য না হওয়ায় আমলে আনা হয়নি। জনসনের এই কাহিনি অনুসারে ২০২১ সালে দ্য কনজ্যুরিং: দ্য ডেভিল মেড মি ডু ইট চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়।[২৫] ১৯৮৩ সালে জিরাল্ড ব্রিটল এই ঘটনা অবলম্বনে দ্য ডেভিল ইন কানেটিকাট নামে একটি বইও লিখেন।

স্নিডেকার হাউজ[সম্পাদনা]

১৯৮৬ সালে এড ও লরেইন ওয়ারেন স্নিডেকার হাউজে আসেন এবং এই বাড়িটিতে শয়তানের আধিপত্যের দাবি করেন। এই বাড়িটি পূর্বে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ব্যবহৃত হতো। এই ঘটনাটি ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত ইন অ্যা ডার্ক প্লেস: দ্য ট্রু স্টোরি অব অ্যা ট্রু হন্টিং নামের একটি বইয়ে উল্লেখ করা হয়। এর উপর ভিত্তি করে ২০০২ সালে একটি টেলিভিশন চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়, যা পরবর্তীতে ডিসকভারি চ্যানেলের অ্যা হন্টিং ধারাবাহিকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই ঘটনার সাথে সামান্য মিল রেখে পিটার কর্নওয়েলের পরিচালনায় ২০০৯ সালে দ্য হন্টিং ইন কানেটিকাট নামের একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। ভৌতিক লেখক রে গার্টন কানেটিকাটের সাউথিংটনের স্নিডেকার পরিবারের গল্প নিয়ে বই লিখেছিলেন। পরবর্তীতে তিনিও এই গল্পের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “একটি পরিবার, যার সদস্যরা কিনা অ্যালকোহল ও মাদকাসক্তির মতো গুরুতর সমস্যায় জর্জরিত, তাদের জীবনগল্পকে ততটাএ সরল রাখতে পারেনি। আমি এক পর্যায়ে হতাশ হয়ে গেছিলাম। যখন একটি ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকে ভিন্ন কথা বলবে, তখন একটি বাস্তবতানির্ভর বই লেখা খুবই কঠিন হবে।”[১১] আধিবাস্তবিক গবেষক বেঞ্জামিন র‍্যাডফোর্ডকে তিনি লরেইনের সম্পর্কে বলেন, ‘যদি তিনি (লরেইন) বলেন, “আগামীকাল সকালে সূর্য উঠবে,” তাহলে আমার তাতেও ভিন্ন মত থাকবে।’[২৬]

স্মার্ল পরিবার[সম্পাদনা]

পেনসিলভানিয়ার অধিবাসী জ্যাক ও জ্যানেট স্মার্ল দাবি করেন যে তাদের বাড়িতে অদ্ভূত শব্দ, গন্ধ ও ছায়ামূর্তির মতো বিভিন্ন আধিবাস্তবিক ঘটনা ঘটতে থাকে। ওয়ারেন দম্পতি এই ঘটনায় যুক্ত হন এবং দাবি করেন এই বাড়িতে চারটি আত্মা এবং একটি শয়তানের বসবাস রয়েছে, যে জ্যাক ও জ্যানেটকে যৌন নিপীড়ন করতো। স্মার্ল পরিবারের এই গল্প নিয়ে ১৯৮৬ সালে দ্য হন্টেড শিরোনামে একটি পেপারব্যাক বই এবং ১৯৯১ সালে রবার্ট ম্যান্ডেলের পরিচালনায় টেলিভিশন চলচ্চিত্র প্রকাশিত হয়।

ইউনিয়ন কবরস্থান[সম্পাদনা]

এড ওয়ারেনের বই গ্রেভইয়ার্ড: ট্রু হন্টিংস ফ্রম অ্যান ওল্ড নিউ ইংল্যান্ড সেমেটারি-এ ইউনিয়ন সেমেটারিতে থাকা সাদা স্ত্রী ভূতের উল্লেখ পাওয়া যায়। এড ওয়ারেন এই আত্মার ভিডিওচিত্র ধারণের দাবি করেন।

অন্যান্য কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

ওয়ারেন দম্পতি বেশ কয়েকজন আত্মস্বীকৃত শয়তানবিদকে প্রশিক্ষণ দেন। এদের মধ্যে ডেভ কনসিডাইন[২৭] ও তাদের ভাতিজা জন জাফ্রিস অন্যতম।[২৮]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

এড ও লরেইন ওয়ারেন রোমান ক্যাথলিক গির্জার সদস্য ছিলেন।[২৯] ১৯৪৫ সালে তাদের বিয়ে হয়।[৩০] ১৯৪৬ সালের ১১ জানুয়ারি লরেইনের গর্ভে তাদের কন্যাসন্তান জুডি ওয়ারেনের জন্ম হয়।[৩১][৩২]

ওয়ারেন দম্পতির মতে ঈশ্বরে বিশ্বাসের অভাবের কারণে কারও ওপরে শয়তানের নিয়ন্ত্রণ পড়ে।[২৯]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

১৯৯৭ সালে কানেটিকাট পোস্ট-এ প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকার অনুসারে স্টিভেন নভেলাপেরি ডিঅ্যাঞ্জেলিস নিউ ইংল্যান্ড স্কেপ্টিকাল সোসাইটির (এনইএসএস) পক্ষে ওয়ারেন দম্পতির দাবিকৃত ঘটনাগুলো অনুসন্ধান করেন। তাদের কাছে এই দম্পতিকে অসাধারণ মানুষ বলে মনে হলেও তাদের ভূতশিকারের গল্পগুলোকে “সবচেয়ে ভালো হিসেবে অর্থহীন ভূতের গল্প এবং সবচেয়ে খারাপ হিসেবে ভয়ানক জোচ্চুরি” বলে উল্লেখ করেন। তারা ওয়ারেন দম্পতির কাছ থেকে আত্মা ও ভূতের সমস্ত তথ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করেন। প্রমাণ হিসেবে ওয়ারেন দম্পতির কাছে থাকা ভিডিও তারা দেখেন। এবং সবশেষে এই উপসংহারে আসেন যে, এই সব কিছুই “মন-ভোলানো গল্প” (blarney)। তারা ফ্ল্যাশ আলোকচিত্র ও ওয়ারেন দম্পতির সংগৃহীত বস্তুতে দুষ্ট কোনোকিছুই খুঁজে পাননি। নভেলার মতে, “তাদের কাছে... থাকা প্রমাণের ব্যাপারে একগাদা অবিশ্বাস্য কাহিনি আছে।... তারা ভালো বৈজ্ঞানিকভাবে অনুসন্ধান চালান না; তাদের অনুসন্ধান সম্পর্কে আক্ষরিকভাবে ও ধর্মীয়ভাবে পূর্বনির্ধারিত উপসংহার আছে, যার সাথেই তারা লেগে থাকেন।” লরেইনের মতে পেরি ও স্টিভের সমস্যা হলো “তারা কোনো কিছুতে ঈশ্বরের ওপর আস্থা রাখে না।” প্রত্যুত্তরে নভেলা বলেন, “আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে ও বাস্তবতাকে তুলে ধরে এমন উপসংহারে পৌঁছাতে দৃঢ়ভাবে চিন্তাভাবনা করে প্রচুর কাজ করতে হবে।... বিজ্ঞানীরা প্রতিদিন এটিই করে চলেছেন এবং সন্দেহবাদীরা এরই পক্ষে কথা বলেন।”[১০]

দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে অতিপ্রাকৃত ঘটনা নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো বাস্তবতানির্ভর হয় কি না, তা নিয়ে অনুসন্ধান চালায়, কিন্তু ফলাফলে উল্টোটা দেখা যায়। এখানে নভেলার এই উক্তি তুলে ধরা হয়, “তারা [ওয়ারেন দম্পতি] দাবি করেন, তাদের কাছে ভূতের অস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আছে। শুনতে মনে হয় এটি একটি পরীক্ষণযোগ্য দাবি, যাতে আমরা অনুসন্ধান চালাতে পারি। কিন্তু আমরা যা পাই, একজন অসাধারণ দম্পতি, কিছু সত্যিকার অর্থেই বাধ্যগত মানুষ ইত্যাদি। কিন্তু কোনো প্রকৃত প্রমাণ আমরা পাই না।...”[৩৩] ডিঅ্যাঞ্জেলিস ও নভেলা বুঝিয়েছিলেন যে তারা বিশ্বাস করতেন ওয়ারেন দম্পতি কারও ক্ষতি করবে না, কিন্তু তারা সবাইকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, ওয়ারেন দম্পতি প্রকৃত বৈজ্ঞানিক গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে জনমনে ভুল ধারণা ও ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছেন।[৩৪]

অকাল্ট জাদুঘর[সম্পাদনা]

লরেইন ওয়ারেন অনুসন্ধানের পাশাপাশি তার মেয়ের জামাই টনি স্পেরার সহায়তায় তাদের মনরোর বাড়ির পেছনের দিকে একটি অকাল্ট জাদুঘর পরিচালনা করতে।[৩৫][১৫] জাদুঘরে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের থেকে আনা ও তাদের দাবি করা ভৌতিক বস্তু ও হস্তনির্মিত দ্রব্যাদি প্রদর্শন করা হতো। ওয়ারেন দম্পতির অনেক বিখ্যাত অনুসন্ধানের দ্রব্যাদিও এখানে রাখা ছিল।[৩৬] জাদুঘরটি বর্তমানে বন্ধ আছে।

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

Cover art.
জিরাল্ড ব্রিটলের দ্য ডেমনোলজিস্ট: দি এক্সট্রাঅর্ডিনারি ক্যারিয়ার অব এড অ্যান্ড লরেইন ওয়ারেন গ্রন্থের প্রচ্ছদ। ওয়ারেন দম্পতির জীবনগল্প নিয়ে দ্য কনজ্যুরিং মুক্তি পাওয়ার জন্য এই ই-বইটি প্রকাশ করা হয়।
  • গোস্ট হান্টার্স: ট্রু স্টোরিজ ফ্রম দ্য ওয়ার্ল্ডস মোস্ট ফেমাস ডেমনোলজিস্টস, এড ওয়ারেন (সেন্ট মার্টিন’স প্রেস, ১৯৮৯) আইএসবিএন ০-৩১২-০৩৩৫৩-২
  • গোস্ট ট্র‍্যাকস, এড ও লরেইন ওয়ারেনের সাথে চেরিল এ. উইকস (অথোরহাউজ, ২০০৪) আইএসবিএন ১-৪১৮৪-৬৭৬৭-৭
  • গ্রেভইয়ার্ড: ট্রু হন্টিংস ফ্রম অ্যান ওল্ড নিউ ইংল্যান্ড সেমিটারি, এড ওয়ারেন (সেন্ট মার্টিন’স প্রেস, ১৯৯২) আইএসবিএন ০-৩১২-০৮২০২-৯
  • দ্য হন্টেড: দ্য ট্রু স্টোরি অব ওয়ান ফ্যামিলি’জ নাইটমেয়ার, জ্যাক স্মার্ল ও জ্যানেট স্মার্ল এবং এড ও লরেইন ওয়ারেনের সাথে রবার্ট কারেন (সেন্ট মার্টিন’স প্রেস, ১৯৮৮) আইএসবিএন ০-৩১২-০১৪৪০-৬
  • স্যাটান’স হার্ভেস্ট, এড ও লরেইন ওয়ারেন, মিচেল লাসালান্দ্রা, কার্ম মেরেন্ডা, মরিস ও ন্যান্সই থেরিওল্ট (গ্রেমালকিন মিডিয়া, ২০১৪; প্রকৃতপক্ষে ১৯৯০ সালে ডেল পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত) আইএসবিএন ৯৭৮১৬৩১৬৮০১৬৮
  • ওয়ারউল্ফ: অ্যা ট্রু স্টোরি অব ডেমনিক পসেশন, এড ওয়ারেন (সেন্ট মার্টিন’স প্রেস, ১৯৯১) আইএসবিএন ০-৩১২-০৬৪৯৩-৪

উপস্থিতি[সম্পাদনা]

মিডিয়ায় উপস্থিতি[সম্পাদনা]

  • ডিস্কভারি চ্যানেলের ধারাবাহিক এ হন্টিং-এ লরেইন ওয়ারেন বেশ কয়েকবার উপস্থিত হন। সেখানে তিনি এডের সাথে আধিবাস্তবিক অনুসন্ধানের কিছু ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন।[৩৭]
  • লরেইন প্যারানরমাল স্টেট-এও একজন অতিথি ভূত শিকারী হিসেবে উপস্থিত হন।[৩৮]
  • এড ও লরেইন উভয়েই স্ক্যারিয়েস্ট প্লেসেস অন আর্থ-এ উপস্থিত হন।
  • লরেইন ২০১৩ সালের চলচ্চিত্র দ্য কনজ্যুরিং-এ ক্যামিও হিসেবে উপস্থিত হন। সেখানে তাকে একজন পরামর্শক হিসেবে দেখা যায়।
  • লরেইন ২০১২ সালের ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র মাই অ্যামিটিভিলে হরর-এ উপস্থিত হন। সেখানে তিনি ড্যানিয়েল লুৎজের সাথে পুনরায় মিলিত হন। লুৎজের পরিবারই ১৯৭৫ সালে আধিবাস্তবিক ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছিল। লুৎজের পরিবার ২৮ দিন থাকার পর বাড়িটি ছেড়ে চলে যায় এবং এরপরই এড ও লরেইন ওয়ারেন সেখানে উপস্থিত হন।

চলচ্চিত্র অভিযোজনা[সম্পাদনা]

বছর ধরে ওয়ারেন দম্পতির অনুসন্ধান করা বা তাদের মুখে বর্ণনা করা ঘটনা সম্পূর্ণভাবে বা আংশিক অনুসরণ করে বহু চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিক নির্মাণ করা হয়েছে। তাদের বর্ণনা করা ঘটনা আংশিক অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দি অ্যামিটিভিলে হরর ধারাবাহিকের চলচ্চিত্র দি অ্যামিটিভিলে হরর (১৯৭৯) ও দি অ্যামিটিভিলে হরর (২০০৫)।[৯] ১৯৯১ সালে স্মার্ল পরিবারের ভূত নিয়ে একটি টেলিভিশন চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, যা টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সে মুক্তি পায়। রবার্ট কারেন, জ্যাক স্মার্ল, জ্যানেট স্মার্ল, এড ও লরেইন ওয়ারেনের লেখা চলচ্চিত্রে জ্যাক স্মার্ল চরিত্র অভিনয় করেন জেফরি ডিমুন এবং জ্যানেট স্মার্ল চরিত্রে অভিনয় করেন স্যালি কার্কল্যান্ড[৩৯] ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র দ্য হন্টিং ইন কানেটিকাট ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন দম্পতির অনুসন্ধান করা স্নিডেকার পরিবারের ঘটনার সাথে সামান্য সম্পর্কযুক্ত।[৪০]

দ্য কনজ্যুরিং ইউনিভার্স[সম্পাদনা]

ওয়ারেন দম্পতির অনুসন্ধান করা ঘটনাগুলো অবলম্বনে দ্য কনজ্যুরিং ইউনিভার্স ধারাবাহিকের চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

২০১৩ সালে জেমস ওয়ানের পরিচালনায় চলচ্চিত্র দ্য কনজ্যুরিং মুক্তি পায়। এতে এড ও লরেইন ওয়ারেনের চরিত্রে অভিনয় করেন যথাক্রমে প্যাট্রিক উইলসনভেরা ফারমিগা[৪১] এরপর ২০১৪ সালে জন আর. লিওনেত্তির পরিচালনায় দ্য কনজ্যুরিং-এর প্রিক্যুয়েল ও স্পিন-অফ অ্যানাবেল মুক্তি পায়। অ্যানাবেল নামের একটি রহস্যময় পুতুলকে ঘিরে এর কাহিনি আবর্তিত হয়। এতে অভিনয় করেন অ্যানাবেল ওয়ালিস, ওয়ার্ড হর্টনআলফ্রে উডার্ড। কনজ্যুরিং ইউনিভার্সের পরবর্তী চলচ্চিত্র হলো দ্য কনজ্যুরিং ২, যা ওয়ানের পরিচালনায় ২০১৬ সালে মুক্তি পায়। এখানেও ফারমিগা ও উইলসন লরেইন ও এডের চরিত্রে অভিনয় করেন। এনফিল্ডের উৎপাতকে ঘিরে এর কাহিনি আবর্তিত হয়। ২০১৭ সালে অ্যানাবেল পুতুলের উৎপত্তি নিয়ে একটি প্রিক্যুয়েল অ্যানাবেল: ক্রিয়েশন মুক্তি পায়। এরপর ২০১৮ সালে দ্য কনজ্যুরিং ২-এর খলচরিত্র শয়তান সন্ন্যাসিনী ভালাকের উৎপত্তি নিয়ে স্পিন-অফ দ্য নান মুক্তি পায়। এতে লরেইন ও এড চরিত্রে ফারমিগা ও উইলসনকে ক্ষণিক সময়ের জন্য দেখা যায়। পরবর্তীতেও অ্যানাবেল-এর সিক্যুয়েল অ্যানাবেল কামস হোম এবং দ্য কনজ্যুরিং: দ্য ডেভিল মেড মি ডু ইট-এ তাদের লরেইন ও এডের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়।[৪২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Obituary of Ed Warren"আব্রিওলা পার্কভিউ ফিউনেরাল হোম। ২৬ আগস্ট ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  2. "Lorraine Warren, Paranormal Investigator Portrayed in 'The Conjuring,' Dies at 92"দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। ১৯ আগস্ট ২০১৯। 
  3. বার্ক, লিবি (১৯ এপ্রিল ২০১৯)। "How Did Lorraine Warren Die?"পপকালচার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৯ 
  4. ব্রাউন, অ্যালান (৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। ঘৌস্ট হান্টার্স অব নিউ ইংল্যান্ডলেবানন, নিউ হ্যাম্প্‌শায়ার: ইউনিভার্সিটি প্রেস অব নিউ ইংল্যান্ড। পৃষ্ঠা ৩। 
  5. "Paranormal Investigator Lorraine Warren Dies At 92" (ইংরেজি ভাষায়)। আউটলুক ইন্ডিয়া। ২০ এপ্রিল ২০১৯। 
  6. আমান্ডা কুডা (২৮ এপ্রিল ২০১৯)। "'Beyond the grave' – the Warrens' paranormal legacy"। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ। 
  7. জেরেমি ডি'এন্টারমন্ট (২০১১)। ওশান-বর্ন ম্যারি: দ্য ট্রুথ বেয়ন্ড অ্যা নিউ হ্যাম্পশায়ার লিজেন্ড। আর্কাডিয়া পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ৮১। আইএসবিএন 9781614238454 
  8. Ed & Lorraine Warren – Homepage
  9. "Lorraine Warren: All the Horror and Paranormal Movies She Inspired"মুভিজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০২০ 
  10. প্যাট্রিক, মাইক (২৪ অক্টোবর ১৯৯৭)। "Truth or Scare? Ghost hunters' stories fail to rattle skeptics" (ইংরেজি ভাষায়) (বালাম ৬)। কানেটিকাট পোস্ট। পৃষ্ঠা প্রথম পৃষ্ঠা, এ১৪। 
  11. নিকেল, জো (মে ২০০৯)। "Demons in Connecticut"Skeptical Inquirer (ইংরেজি ভাষায়)। সিএসআই। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১১ 
  12. রেডফোর্ড, বেনজামিন"The Amityville Horror"Urban Legends Reference Pages (ইংরেজি ভাষায়)। স্নোপস.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১১ 
  13. নিকেল, জো (২০১৯)। "Lorraine Warren dead at ninety-two"। স্কেপ্টিকাল ইনকোয়ারার (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৩ (৪): ৭। 
  14. ম্যাকলাফলিন, প্যাম (৫ অক্টোবর ২০১৪)। "Real 'Annabelle' story shared by Lorraine Warren at Milford's Lauralton Hall" (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ হ্যাভেন রেজিস্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  15. এলসওয়ার্থ, পিটার (১৭ জুলাই ২০১৩)। "'The Conjuring' depicts family's reported haunting in Burrillville farmhouse in '70s" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য প্রভিডেন্স জার্নাল। ৩ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৩ 
  16. আলেকজান্ডার, ব্রায়ান (২২ জুলাই ২০১৩)। "The 'true' story behind 'The Conjuring'"। ইউএসএ টুডে। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৩ 
  17. ডাউনস, লরেন্স (১৪ এপ্রিল ২০০৫)। "Editorial Observer; The Devil We Know on the Island We Love"নিউইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১১ 
  18. অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (২৭ জুলাই ১৯৭৯)। "'Amityville Horror 'amplified over bottles of wine' – lawyer"লেকল্যান্ড লেজার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১১ 
  19. নিকেল, জো (২০১২)। The Science of Ghosts: Searching for Spirits of the Deadবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন (ইংরেজি ভাষায়)। প্রমিথিউস বুকস। পৃষ্ঠা 281–। আইএসবিএন 978-1-61614-586-6 
  20. হকস, রেবেকা (১২ মে ২০১৫)। "What did the Enfield Haunting have to do with Ed and Lorraine Warren?"দ্য টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। ১১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূলঅর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজন থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  21. Conjuring 2 vs the True Story of the Enfield Haunting Historyvshollywood.com
  22. লিয়ন প্লেফেয়ার, গাই (১৯৮০)। দিজ হাউজ ইজ হন্টেড: দস ট্রু স্টোরি অব অ্যা পল্টারগাইস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। স্টাইন অ্যান্ড ডে। আইএসবিএন 978-0-7387-1867-5 
  23. নিউকার্ক, গ্রেগ (১ জুলাই ২০১৬)। "Conjuring the Truth: Enfield Poltergeist Investigator Says Ed and Lorraine Warren Never Investigated Case"উইক ইন উইয়ার্ড (ইংরেজি ভাষায়)। 
  24. "MonsterTalk – The Enfield Poltergeist, interview with Guy Lyon Playfair"মনস্টারটক (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ মার্চ ২০১৭। ২১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২১ 
  25. লিন বারানস্কি (২৬ অক্টোবর ১৯৮১)। "In a Connecticut Murder Trial, Will (demonic) Possession Prove Nine-Tenths of the Law?" (ইংরেজি ভাষায়)। পিপল ম্যাগাজিন। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০০৮ 
  26. র‍্যাডফোর্ড, বেন (২০১৭)। ইনভেস্টিগেটিং গোস্টস: দ্য সায়েন্টিফিক সার্চ ফর স্পিরিটস। কোরেলস, নিউ মেক্সিকো: রম্বাস পাবলিশিং কোম্পানি। পৃষ্ঠা ২০১। আইএসবিএন 978-0-936455-16-7 
  27. জন কাচুবা (২০০৭)। গোস্টহান্টার্স: অন দ্য ট্রেইল অব মিডিয়ামস, ডাউজার্স, স্পিরিট সিকার্স, অ্যান্ড আদার ইনভেস্টিগেটর্স অব আমেরিকা’স প্যারানরমাল ওয়ার্ল্ড। পৃষ্ঠা ৬৭। আইএসবিএন 9781601639752  অজানা প্যারামিটার |প্রকাশিত= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  28. মারি ডি. জোনস; ল্যারি ফ্ল্যাক্সম্যান (২০১৭)। ডেমনস, দ্য ডেভিল, অ্যান্ড ফলেন অ্যাঞ্জেলস। ভিজিবল ইংক প্রেস। পৃষ্ঠা ২০৫। আইএসবিএন 9781578596676 
  29. গেনৎসলিঙ্গার, নিল (১৯ এপ্রিল ২০১৯)। "Lorraine Warren, Paranormal Investigator Portrayed in 'The Conjuring,' Dies at 92"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০The Warrens were Roman Catholic, and Ms. Warren said it was her belief that a lack of religion was what often opened the door for malevolent forces to enter a home or a life. 
  30. লাস্কি, ব্রিজেট (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Ed and Lorraine Warren: Their real-life role in 'The Conjuring'"ফিল্ম ডেইলি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০২০ 
  31. আলেকজান্ডার, ব্রায়ান। "The real 'Annabelle Comes Home': What was Judy Warren's life actually like?"ইউএসএ টুডে (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০২০ 
  32. জ্যাকব, রিচি মারিয়া (২৪ জুন ২০২০)। "Judy Spera Now: Where is Ed and Lorraine Warren's Daughter Today?"দ্য সিনেমাহোলিক (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২০ 
  33. বায়ার্নস, পল (১২ জুলাই ২০১৩)। "The devil among us"সিডনি মর্নিং হেরাল্ড (ইংরেজি ভাষায়)। ফেয়ারফ্যাক্স পাবলিশিং। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  34. বেক, স্টেফান (১৮ আগস্ট ২০১৩)। "A Night with The Conjuring's Ed & Lorraine Warren"দ্য ডেইলি বিস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি বিস্ট কোম্পানি এলএলসি। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৬ 
  35. "No trespassing signs, fines used to ward off curious souls in search of Warren's Occult Museum"দ্য মনরো সান (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  36. "Occult museum tours"ওয়ারেনস (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  37. ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে অ্যা হন্টিং (ইংরেজি)
  38. ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে প্যারানরমাল স্টেট (ইংরেজি)
  39. বিল্যাঙ্গার, জেফ। "50 Years of Ghost Hunting and Research With the Warrens" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। দি ওয়ান ম্যাট্রিক্স। ১৮ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৩ 
  40. র‍্যাডফোর্ড, বেনজামিন (২৬ মার্চ ২০০৯)। "The Real Story Behind 'The Haunting in Connecticut'" (ইংরেজি ভাষায়)। লাইভ সায়েন্স। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৩ 
  41. পুচকো, ক্রিস্টি (১৫ অক্টোবর ২০১২)। "The Conjuring Reveals Spooky Trailer and Scene, And James Wan Talks Horror As Therapy" (ইংরেজি ভাষায়)। সিনেমা ব্লেন্ড। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৩ 
  42. মার্ক, ক্রিস্টোফার (২ আগস্ট ২০১৮)। "James Wan's Annabelle 3 Eyeing October Production Start In Los Angeles"জিডব্লিউডব্লিউ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]