ঊষা গুহ
ঊষা গুহ | |
---|---|
জন্ম | ১৮৯৯ |
নাগরিকত্ব | ![]() ![]() |
পেশা | রাজনীতিবিদ, |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, |
অপরাধের অভিযোগ | গালিমপুর গ্রামে একটি রাজনৈতিক বৈঠক |
পিতা-মাতা |
|
ঊষা গুহ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।
জন্ম ও পরিবার[সম্পাদনা]
ঊষা গুহ ১৮৯৯ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম অভয়চন্দ্র ঘোষ ও মাতার নাম হেমাঙ্গিনী দেবী[১]। ।
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
১৯২১ সালে গান্ধীজীর আহ্বানে তিনি দেশাত্মবােধের প্রেরণা পান। ১৯৩০ সালে নােয়াখালিতে তিনি লবণ-সত্যাগ্রহ করেন। ১৯৩২ সালেও আইন-অমান্য আন্দোলনে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি রাজনৈতিক মনস্ক হয়ে ওঠেন। সে সময় যুগান্তর দলের কতিপয় সদস্যের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। ১৯৩২ সালের আন্দোলনের সময়ের একটি ঘটনা উল্লেখযােগ্য। একদিন নবাবগঞ্জ থানার গালিমপুর গ্রামে একটি ঘরােয়া বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় কর্মী সুনীতি বসু ও উষা গুহের উদ্যোগে। সেই সময়ে প্রায় দুইশত গুর্খা সৈন্য সেই বাড়ি ঘেরাও করে। তখন বিকাল ৪টা। পুলিস সুনীতি বসু ও উষা গুহকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে হাঁটাতে আরম্ভ করে। প্রায় ৬-৭ মাইল হাঁটাবার পর রাত্রি আটটার সময় তাদের নবাবগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। তারপরে জঙ্গলের একটা নিবিড় বেতঝােপের মধ্যে তাদের দুজনকে ধাক্কা দিয়ে ঠেলে ফেলে তারা চলে যায়। বেতঝােপটা এত ঘন। ছিল যে, আকাশও দেখা যাচ্ছিল না, তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসাও অসম্ভব। ভাের হলে পুলিস দেখল যে, ঐ নিবিড় জঙ্গলের মধ্যে দুটি গান্ধী অনুগতা স্বদেশভক্ত নারী তখনও বেঁচে আছেন, বাঘে খায় নি। সেখান থেকে আবার তাদের থানায় নিয়ে যায়। থানাতে নিয়ে গিয়ে কুৎসিত গালাগালি করেও দারােগা তাদের মনােবল বিন্দুমাত্রও ক্ষুণ্ণ করতে পারে নি। কোর্টে মামলা শুরু হ’ল। তিনমাস হাজতবাসের পর তাদের প্রতি একশত টাকা জরিমানা দণ্ডের আদেশ হয়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯। কলকাতা: র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ২০৩-২০৪। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0।