উলফাত হুসাইন ফরিয়াদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উলফাত হুসাইন ফরিয়াদ
জন্ম
উলফাত হুসাইন

১৮০৪
মৃত্যু১৮৮১
পেশাকবি
উপাধিফরিয়াদ

উলফাত হুসাইন ফরিয়াদ ছিলেন উনবিংশ শতাব্দীর একজন ভারতীয় কবি। তিনি প্রধানত ফার্সিউর্দু ভাষায় কবিতা লিখতেন। বাংলার নবাব পরিবারের সাথেও তার সুসম্পর্ক ছিল।

জন্ম[সম্পাদনা]

উলফাত ১৮০৪ সালে তৎকালীন আজীমাবাদে (বর্তমান ভারতের পাটনা) জন্ম গ্রহণ করেন। তখন তার নাম রাখা হয় উলফাত হুসাইন।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৮৪৫ সালে উলফাত মুর্শিদাবাদে গমন করেন। সেখানে তিনি নবাব পরিবারের গৃহ-শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। এ সময় তিনি নবাবের সুদৃষ্টি লাভ করেন। ফলে, ১৮৪৯ সালে নবাব উলফাতকে তার প্রতিনিধি করে কলকাতায় প্রেরণ করেন। ১৮৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে নওয়াব নাযিমের প্রতিনিধি হিসেবে অবস্থান করেন।[১]

সাহিত্যে অবদান[সম্পাদনা]

উলফাত মূলত উর্দুফারসি ভাষায় ফরিয়াদ ছদ্মনামে কবিতা লিখতেন। কলকাতায় থাকাকালীন ১৮৭৬ সালে তার বিখ্যাত গ্রন্থ মসনভি-ই দাবিস্তানে আখলাক মুহাম্মদী প্রেস থেকে প্রকাশ করা হয়।[২] এছাড়া, তার অন্যান্য বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: দীউয়ানে উর্দু, দীউয়ানে ফার্সি, মসনভি-ই তিলসমে উলফাত, মসনভি-এ রাওযাতুল মাআনি, মসনভি-ই-গাঞ্জিনায়ে ইশক ইত্যাদি।

কবিতা লেখার পাশাপাশি উলফাত কিছুদিন সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ সময় তিনি আইনায়ে গীতিনুমা সহ বেশ কিছু ফার্সি পত্রিকা প্রকাশ করেন।

কলকাতায় তিনি কবি হিসেবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। এমনকি, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ আল ওবায়দী সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুর রউফ ওহীদ, খানবাহাদুর আবদুল লতিফ, নওয়াব আমির আলী প্রমুখ গুণী ব্যক্তিরাও তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন।[১]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

উলফাত ১৮৮১ সালে ৭৭ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর প্রায় ৪৫ বছর পর শাদ আজীমাবাদী তাঁর জীবনীগ্রন্থ রচনা করেন। হায়াতে ফরিয়াদ নামক এই বইটি ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. আবু মূসা মোঃ আরিফ বিল্লাহ। "ফরিয়াদ, উলফাত হুসাইন - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "দাবিস্তানে আখলাক"www.rekhta.org। ২৫ এপ্রিল ২০২০। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]