উম্মে আল-নাসর মসজিদ
উম্মে আল-নাসর মসজিদ | |
---|---|
مسجد أم النصر | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | বিট হানুন, গাজা, ফিলিস্তিন |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামি স্থাপত্য, বিশেষ করে আইয়ুবীয় |
সম্পূর্ণ হয় | ১২৩৯ |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজসমূহ | ১ |
মিনার | ১ |
উম্মে আল-নাসর মসজিদ (আরবি: مسجد أم النصر) বিট হানুন মসজিদ নামেও পরিচিত। এটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত গাজা স্ট্রিপের ফিলিস্তিনি শহর বিট হানুনের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]আইয়ুবীয় রাজবংশ ১২৩৯ সালে উম্মে আল-নাসর মসজিদটি নির্মাণ করে। তাদের এবং ক্রুসেডারদের মধ্যে মসজিদের স্থানে সংঘটিত যুদ্ধে মারা যাওয়া তাদের সৈন্যদের স্মরণে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। আইয়ুবীয়রা বিজয়ী ছিল, তাই মসজিদের নাম উম্মে আল-নাসর ("বিজয়ের মা") রাখা হয়।[১][২] মসজিদের প্রবেশদ্বারের উপরস্থ প্রাচীরের শিলালিপিটি আইয়ুবীয়দের দ্বিতীয় সুলতান "আল-আদিলের" বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে আছে।[৩]
যে যুদ্ধটিকে স্মরণ করা হয় তা কোনও বিশেষ যুদ্ধ ছিল না, তবে পরবর্তীতে ক্রুসেডর ইতিহাসে এটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে স্থান পায়। মিশরীয় ইতিহাসবিদ আল-মাকরিজি উল্লেখ করেন যে, যুদ্ধটি ১২৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই নভেম্বর সংঘটিত হয় এবং মিশরীয়দের (আইয়ুবীয়) বিজয় দিয়ে এটি শেষ হয়। ক্রুসেডাররা তাদের রিপোর্টে আল-মাকরিজির এই দাবি নিশ্চিত করে যে, হেনরি দ্য কাউন্ট অব বারকে তার এক হাজার লোকসহ হত্যা করা হয় এবং ৬০০ জনকে বন্দী করা হয়। তাদের বেশিরভাগকেই মিশরে যাওয়ার পথে অপহরণকারীদের দ্বারা হত্যা করা হয়।[৪]
ইসরায়েলী বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের দ্বারা ২০০৬ সালের ৩রা নভেম্বর মসজিদে একটি বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়। মসজিদটি মূলত ইসরায়েলিরা কার্তুজ দিয়ে ধ্বংস করে। একমাত্র কাঠামো হিসেবে মসজিদের কেন্দ্রের দক্ষিণ পোর্টিকোর একটি অগভীর গম্বুজ অক্ষত অবস্থায় আছে। এই মসজিদটিকে রক্ষা করতে প্রায় ৪০ জন ইসরায়েলী মহিলা গুলি চালায়, যার ফলে দু'জনের মৃত্যু হয়।[৫] মসজিদের এই ক্ষতির প্রতি জাতিসংঘ নিন্দা করে।[৬]
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]মূল মসজিদটিতে একটি বড় ঘর রয়েছে। যার মধ্যে একটি সাধারণ গম্বুজ রয়েছে, যা অপরিশোধিত এবং জীর্ণ পাথর থেকে নির্মাণ করা হয়।[৭] মূল মসজিদে ছাদসহ দক্ষিণের পোর্টিকো ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, যার কেন্দ্রে ফ্যানের খিলান এবং অগভীর গম্বুজ রয়েছে। গোলাকার ত্রিভুজ সমর্থিত একটি গম্বুজসহ পূর্ব দিকের ছাদবিশিষ্ট একটি কক্ষ দিয়ে প্রার্থনা হলটি শেষ হয়।[৮] ভিত্তি প্লেটটি আইয়ুবীয় নাশকি লিপিতে খোদাই করা হয়।[৭]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Beit Hanoun - Gaza This Week in Palestine.
- ↑ Filfil, Rania.The Other Face of Gaza: The Gaza Continuum This Week in Palestine.
- ↑ Sharon, 1999, p. 101
- ↑ Sharon, 1999, pp. 102 -103
- ↑ Myre, Greg (২০০৬-১১-০৩)। "Israel Kills 2 Women During Mosque Siege"। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৫।
- ↑ UNRWA strongly condemns Israeli military operations in Beit Hanoun ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে United Nations. 2006-11-08.
- ↑ ক খ Sharon, 1999, p. 98
- ↑ "Travel in Gaza: Nassr Mosque"। www.mideasttravelling.net। ২০১৩-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Moshe Sharon (১৯৯৯)। Corpus Inscriptionum Arabicarum Palaestinae। II, B-C। BRILL। আইএসবিএন 9004110836।