উড়ুক্কু ডুবোজাহাজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উশাকভের উড়ুক্কু ডুবোজাহাজ

উড়ুক্কু ডুবোজাহাজ এমন এক ধরনের যান যেটা আকাশেও উড়তে পারে আবার পানির নিচে সহজে চলাচল করতে পারে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন একটি উড়ুক্কু ডুবোজাহাজ তৈরির উদ্যোগ। দেশটির নেভাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে প্রকৌশলী বরিস উশাকভকে প্রধান করে একটি উড়ুক্কু ডুবোজাহাজ তৈরির প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। নকশা অনুযায়ী যানটা পানিতে ৩ নট ও আকাশে ১৫০ নট গতিতে চলাচলে সক্ষম। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে প্রকল্পটি সীমিত সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং এর সকল নথি-পত্র সংরক্ষণ করা হয়। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে নেভাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের প্রধান লাভরেন্তি বেরিয়ার আদেশক্রমে পুনরায় প্রকল্পটি চালু করা হয়। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে উড়ুক্কু ডুবোজাহাজ প্রথম পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু ১৯৫৩ সালে কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সচিব নিকিতা খ্রুশ্চেভের আদেশে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রকল্পটি আর কখনো আলোর মুখ দেখে নি।

১৯৬১ সালে মার্কিন সাবমেরিন বিশেষজ্ঞ ডোনাল্ড রিড একক আসনের একটি যান তৈরি করেন যেটা পানির নিচে চলতে সক্ষম আবার আকাশেও উড়তে সক্ষম। যানটার নাম দেওয়া হয় রিড ফ্লাইং সাবমেরিন-১ (আরএফএস-১)।[১] উড়ুক্কু ডুবোজাহাজটির দৈর্ঘ্য ছিল ৩২.৮৩ ফুট। যানটির ওড়ার জন্য একটি ৬৫ অশ্বশক্তির (৪৮ কিলোওয়াট) ইঞ্জিন এর পাইলনের সাথে যুক্ত করা ছিল। আর পানিতে চলার জন্য একটি ১ অশ্বশক্তির বৈদ্যুতিক মোটর এর লেজের দিকে যুক্ত ছিল। এর চালক পানির নিচে শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অ্যাকুয়ালাঙ ব্যবহার করতেন। ১৯৬৪ সালের ৯ জুন যানটির কার্যক্রম প্রথম পুরোপুরিভাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়। পরীক্ষাকালে যানটি আকাশে সর্বোচ্চ ৩৩ ফুট (১০ মিটার) উপরে ওঠে আর পানিতে ৬.৫ ফুট (২ মিটার) গভীরে যায়।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. BERNHARD C.F. KLEIN COLLECTION, "Reid RFS-1", No. 6559. Reid RFS-1 (N1740) ; 1000aircraftphotos.com (accessed 12 July 2010)
  2. http://www.aerofiles.com/_ra.html see Reid, Ashbury Park NJ (subheading)

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]